Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

মারা গেছেন সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় যকৃতের অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন।

কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকতা শুরু করেন দৈনিক সংবাদের মাধ্যমে। অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকতায় তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন। পরে তিনি দেশের অন্যতম প্রধান পরিবেশ সাংবাদিক হিসেবে আবির্ভূত হন। সর্বশেষ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বার্তা সম্পাদক ছিলেন তিনি।

কামরুল ইসলাম চৌধুরী পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, নোয়াখালীর সুনাইমুড়ী উপজেলার আইচাপাড়া গ্রামে তাকে দাফন করা হবে।


আরও খবর



তুরস্কে প্রসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;প্রথম পর্বে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গড়িয়েছে দ্বিতীয় পর্বে। দেশটির স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারে নির্বাচনে দেশটির ছয় কোটি ৪০ লাখের বেশি তুর্কি ভোট দিতে পারবেন। দেশজুড়ে এক লাখ ৯২ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে 


আজকের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানই আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থাকছেন নাকি নতুন মুখ নির্বাচন করবে তুর্কিরা। এদিকে গতকাল বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত পর্বের নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে এরদোয়ান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিশদারোগলু কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়েছেন।

বিরোধী শিবির বলছে, এরদোগান লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থী বহিষ্কারাদেশ দিয়ে জাতীয়তাবাদী চাল চালছেন। আর এরদোগান বলছেন, কামাল কিলিশদারোগলুর জয় মূলত সন্ত্রাসীদের জয় হবে।

প্রথম পর্বে এরদোগান ৪৯.৫ শতাংশ ভোট পান আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিশদারোগলু পান ৪৪.৮ শতাংশ ভোট। প্রথম পর্বের অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয় এরদোয়ানের। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে হিসাবটা কিছুটা জটিল হয়ে পড়েছে। কেননা প্রথম পর্বের নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী সিনান ওগান এই পর্বে ‘কিং মেকারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে এরদোয়ানকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাই বিশ্লেষকের কিছু অংশ ধরেই নিয়েছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে ফের আসীন হচ্ছেন এরদোয়ান। তবে কামালের জেতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। কেননা দুই সপ্তাহ আগেই নির্বাচন হয়ে গেল।

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট শাসন চালুর পর এবারই প্রথম দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরদোয়ান দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। সেটি প্রথম দফা নির্বাচনে উঠে এসেছে। বিষয়টি এরদোগানবিরোধী শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো শুকায়নি। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমসহ কিছু পর্যবেক্ষক বলেছিলেন, এবার হয়তো এরদোয়ানের অধ্যায় শেষ হতে চলেছে। কিন্তু প্রথম দফা নির্বাচনের পর তাদের সেই ধারণা পাল্টেছে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড সাড়ে ৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: পাগলা মসজিদের আট দানবাক্সে এবার রেকর্ড অর্থ পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকা মিলেছে।। এ ছাড়া বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রা এবং স্বর্ণ ও রূপার বিভিন্ন ধরনের অলংকারও পাওয়া গেছে

আজ শনিবার (৬ মে) রাতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রশাসনের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৯ বস্তা অর্থ পাওয়া গেছে। হিসেব করে দেখা গেছে মোট টাকার পরিমাণ পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯।

এর আগে তিন মাস ছয় দিন পর সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মসজিদটির দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৮টি দানবাক্সে চার কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল, যা ছিল তার আগের সময়ের থেকে সর্বোচ্চ। তবে, সেই রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

আজ সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ। দানবাক্স খুলে প্রথমে ১৯টি বড় বস্তায় টাকা ভরা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনা। এ কাজে মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মিয়া জানান, মসজিদের প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্তানের ব্যয় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরীব ছাত্র ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়।

পারভেজ মিয়া আরও জানান, সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। বর্তমানে পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে এখানে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্স আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

কথিত আছে, প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে বাংলার বারো ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’হিসেবে পরিচিতি পায়।


আরও খবর



কারামুক্ত বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ কারামুক্ত হওয়ার পর তানোরের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন। চাঁদকে পবিত্র রমজান মাসে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী থেকে বর্তমান সরকারের পুলিশ বাহিনীর  গ্রেফতার করেন। দীর্ঘ ৩২ দিন কারাভোগের পর গত ২ মে মুক্ত হন জেলা আহবায়ক। মুক্তির পর তানোর উপজেলার বিএনপিসহ অঙ্গ সংঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে যান বানেশ্বর সদর এলাকায় তার নিজস্ব বাস ভবনে।গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শুভেচ্ছা জানিয়েছে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিকে রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলা অবস্থায় জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ ৩২ দিন কারাভোগের পর ২ মে মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান তিনি। এর আগে রমজান মাস জুড়ে উপজেলা বিএনপি বিভিন্ন সভায় কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। 

গত বৃহস্পতিবার তানোর উপজেলা বিএনপি ও যুবদল এবং কৃষকদলের নেতাকর্মীরা চাঁদের বাসায় গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামীর আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে মতবিনিময় করেন।উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল মালেক মন্ডল জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে জেলা বিএনপির আহবায়ককে আওয়ামী পুলিশলীগ গ্রেফতার করেন। রোজা থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। পবিত্র রমজান মাসের রোজা ও ঈদ কারাগারে করেন তিনি। মুক্তি পেয়ে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ফ্যাসিষ্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সে আন্দোলনের বিজয় হবেই। কারন আপামর দেশ বাসী এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। এজন্য প্রতিটি ঘরেঘরে আন্দোলনের বার্তা পৌছে দিয়ে সাধারন জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। জেল খানা ও আদালত বাড়ি  মনে করতে হবে। যে ভাবেই হোক নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারা জনগণের কথা ভাবেনা, প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যে দাম বাড়তেই আছে। এসব চিন্ত না করে এই অবৈধ সরকার বিএনপিকে দমাতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গায়েবি মামলায় শতশত নেতাকর্মীরা কারাগারে রয়েছেন। এমনকি দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দিচ্ছেন না। 

পরে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মিজান, বলেন পুরো রমজান মাস জেলে থাকার পর তিল পরিমান ভেঙ্গে পড়েনি আবু সাইদ চাঁদ। তার একটাই কথা আন্দোলন শুরু হয়েছে জেল জুলুম নির্যাতন যতই আসুক বিজয় হবেই। দেশের মানুষ আর এই দাবনকে দেখতে চায়না। তাদের মেগা প্রকল্পে মেগা দূর্নীতি ঢাকতে বারবার বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস এমনকি প্রতি কেজি সারের ৫ টাকা করে দাম বাড়িয়েছে। দেশ পরিচালিত হচ্ছে আমলাদের মাধ্যমে। তাদের প্রতি নির্ভর সরকার। আগামীতে আন্দোলন বেগবান করতে এবং কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসবে সে মোতাবেক আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। সরকার ভালো করেই জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের কি অবস্থা ঘটবে।  রাজশাহীসহ পাঁচ সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে। তাদের দলের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী তারাই নির্বাচনের প্রতি আস্থা নেই। ভোটের কোন আমেজ বলতে কিছুই নেই। সরকার আবারো এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সুতরাং তাদের নির্বাচন নির্বাচন খেলায় বা ফাঁদে পা বা কোনভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।  তারা অনেক লোভনীয় অফার দিবেন, কোন কর্নপাত করা যাবে না।এসময় উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা জসিম হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৪জন দেখেছেন

Image

 লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক:লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জসিমকে গুলি করে হত্যার দায়ে আটজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুরে জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলী হোসেন বাচ্চু, মো. মোস্তফা, মো. খোকন, আবুল হোসেন, মোবারক উল্যা, কবির হোসেন রিপন, জাফর আহম্মদ ও হিজবুর রহমান স্বপন।

মেহেদী হাসান জসিম চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার সঙ্গে একই বাড়ির মোবারক উল্যা ও আলী হোসেন বাচ্চুদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে মোবারকরা ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি মফিজ উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।

এরপর থেকে মফিজের মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেয়, না করলে হত্যা করা হবেও হুমকি দেওয়া হয়। এ জন্য মফিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে না যেতে পেরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকতেন।

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মোবারকদের করা মামলাটি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরনবী তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মফিজের ছেলে হাসান জসিমের নাম বাদ দেওয়ায় মোবারকরা চরম ক্ষিপ্ত হয়। এ কারণে জসিম ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে আত্মীয় গোলাম মাওলার বাড়িতে আত্মগোপনে যায়।

জসিমের সঙ্গে তার বড় ভাই আবদুল হাই ও গোলাম মাওলার ভাই মাসুদ একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে আসামিরা জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে। এ সময় তারা জসিমের বুকে গুলি করে। তাকে বাঁচানোর জন্য অন্যরা এগিয়ে আসলে আসামিরা গুলি করার হুমকি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে।পরে জসিমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন জসিমের বাবা মফিজ উল্যাহ বাদী হয়ে সদর থানায় মোবারকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সবশেষ ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এতে সাক্ষ্য-প্রমাণে মোবারক উল্যা, আলী হোসেন বাচ্চু, অজি উল্যা, কবির হোসেন রিপন, হিজবুর রহমান স্বপন, আবুল কাশেম, সফিক উল্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

আসামিদের মধ্যে আবুল কাশেম, সফিক উল্যা, আমির হোসেন ও অজি উল্যা মারা গেছেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় প্রদান করেন।

রায়ের সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক রয়েছেন।

রায়ের পর মামলার বাদী মফিজ উল্যা বলেন, ‘আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। মামলার রায়ে আমি সন্তুষ্ট।


আরও খবর



সিলেট সিটি করপোরেশন

প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিলেন মেয়র আরিফুল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

সিলেট ব্যুরো: আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আজ শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত এক নাগরিক সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

আসন্ন নির্বাচনকে প্রহসনের উল্লেখ করে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই মুহূর্তে সিলেট তথা সারা দেশেই কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নেই। আপত্তি সত্ত্বেও সিলেটে ইভিএমে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে। অথচ সিলেটের মানুষ ইভিএমের সঙ্গে একেবারে অপরিচিত। এখানে ইভিএম নিয়ে আসাই ভোট ডাকাতির ইঙ্গিত। বর্তমান নির্বাচনও কমিশন সুষ্ঠু ভোট চায় না। তারা ডিজিটাল ভোট ডাকাতি চায়।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে কারচুপির নীলনকশার অংশ হিসেবে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল শুরু হয়েছে। একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। আমার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এরকম অবস্থায় আমি নির্বাচনে যেতে পারি না। আমি বিএনপির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমি প্রহসনের নির্বাচনে প্রার্থী হব না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যারা মনে মনে আমাকে উকিল আব্দুল সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তারা আজ হতাশ হয়েছেন। আরিফুল হক কখনো উকিল আব্দুস সাত্তার হবে না। আমি আপনাদের আরিফ, আমি বিএনপির আরিফ। তাই আমার নেত্রী খালেদা জিয়া, নেতা তানেক রহমান ও আমার মায়ের নির্দেশে আমি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হব না। তাদের আদেশই আমার শিরোধার্য।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সিসিক মেয়র আরিফুল বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার বাসায় গিয়ে আমাকে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করছেন। আমি তাদের সবার কাছে, এই নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা করে দিন। তবে মেয়র না থাকলেও এই নগরবাসীর যে কোনো প্রয়োজনে, সব ভালো কাজে এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমি সব সময়ই থাকব।

প্রার্থী না হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনেও নানা ভয়, প্রতিবন্ধকতা ও কারচুপি উপেক্ষা করে এই নগরবাসী আমাকে বিজয়ী করে এনেছেন। তারা ফলাফল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ছাড়েননি। কিন্তু এবার প্রেক্ষাট ভিন্ন। এবার আপনারা চাইলেও আমাকে বিজয়ী করতে পারবেন না। কারণ এবারের ভোট হবে ইভিএমে। এবার আপনারা এক জায়গায় ভোট দেবেন, কিন্তু তা অন্য বাক্সে জমা হবে।

নগরবাসীকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই নির্বাচন আসলে নির্বাচন নয়, এটি প্রহসন। তাই আমার দলীয় নেতাকর্মীসহ সকল নাগরিককে এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাই। দয়া করে আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।

নির্বাচনে তফশিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থী না হতে আরিফুল হকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিএনপি। তবে মেয়র ২০ মে পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন।

সিলেট সিটির বর্তমান মেয়র আরিফুল হক এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়ে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। আরিফের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নির্বাচন নিয়ে তার আগ্রহও প্রকাশ পায়। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে ছিল। এ অবস্থায় দল আর নির্বাচন- এই দুটির মধ্যেই একটিকে বেছে নিতে হতো মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।

অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দলে থাকার ঘোষণা দিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। আজকের নাগরিক সভায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমার অস্থিমজ্জায়। ছাত্রজীবনে জিয়াউর রহমানের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আজীবন বিএনপিই হবে আমার শেষ ঠিকানা।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৩ মে এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। আগামী ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে।


আরও খবর