Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব: জি এম কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতি দেশের মানুষের এখনো আস্থা রয়েছে মন্তব্য করে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকবো। জনগণ যা চায়, আমরা তাই করবো। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও জেল-জুলুম করা হয়েছে। বারবার জাতীয় পার্টিকে বিভক্ত করা হয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি এখনো টিকে আছে। দেশের মানুষের এখনো জাতীয় পার্টির প্রতি আস্থা রয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, আমরা কারও বি-টিম। আমরা সবসময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। আমরা কখনোই কারও বি-টিম হতে কাজ করি না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতেও কাজ করি না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নয়।

তিনি বলেন, ‘ভোটাররা বলছেন, আমরা ভোট দিতে পারবো তো? আমরা ভোট দিলে সেই ভোট গণনা হবে তো? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে? এটাই এখন বাস্তবতা। এটা বুঝতে এখন খুব জ্ঞানী হতে হয় না। গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত এ প্রশ্ন করছেন। যারা গণতন্ত্রের নামে বড় বড় কথা বলছেন, যারা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন, তারাই ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছেন। রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকবো। জনগণ যা চায়, আমরা তাই করবো। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।

জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায়ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে কারচুপি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে ভোটে কারচুপি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে ভোটের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুর্নীতি ও দুঃশাসনে মানুষ বিরক্ত। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির প্রতি আস্থা রেখেছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকার সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির রাখেন সুমন আশরাফ, আবু সাঈদ স্বপন, আমিনুল হক সাইদুল, এম এ আসাদুজ্জামান মবিন, আবুল হাসনাত আজাদ, নাসির উদ্দিন হাওলাদার (নাসিম), আনিসুর রহমান বাবু, মো. রনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হুমায়ুন খান, এমএ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুম, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক। জাতীয় ছাত্র সমাজ এর সভাপতি আল মামুন, হকার্স পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু। স্বেচ্ছাসেবক পার্টির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ মনিরুজ্জামান, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, জাহিদুল ইসলাম, এসএম কিবরিয়া, শাহজাহান মিয়া, আজিজুল হুদা চৌধুরী সমুন, মাহবুবুর রহমান কামাল, ফয়সাল আহমেদ ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাপ্পু, ওমর ফারুক টিটু, আলমগীর কবির মেম্বর, ফজলুল হক মাস্টার, শাকিব হাসান জয়, শিপলু নোমান চৌধুরী, মোঃ ইকবাল, কনক আহমেদ, খলিলুর রহমান বাবু, আলতাফ, নুরুজ্জামান, নাদিম, পলাশ প্রমুখ।


আরও খবর



বউ বিক্রি হয় যে বাজারে!

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:দেশের বিভিন্ন স্থানে বউ বাজার রয়েছে। তবে সেখানে বিক্রি হয় আলু, পটলসহ নিত্যপণ্য। তবে বুলগেরিয়াতে এমন একটি বউ বাজার রয়েছে, যেখানে অর্থের বিনিময়ে কেনা যায় বউ। পাত্রের পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একটি মেয়ে বেছে কিনে নেন এবং তাকে পুত্রবধূ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান।

বিষয়টি অদ্ভুত হলেও সত্যি! শুনতে অবাক লাগলেও আজকের এই দিনে সেখানে নারী কেনাবেচা হয় বহাল তবিয়তে। আলু পেঁয়াজের মতোই এ বাজারে বিক্রি হন নারীরা। বাজারে মেয়েদের দাম ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়।

বুলগেরিয়ায় ‘বউ-বাজার’টি রয়েছে স্তার জাগোর নামের এক স্থানে। পুরুষরা এই বাজারে তাদের পরিবার নিয়ে যান এবং নিজের পছন্দমতো মেয়ে বেছে টাকা দিয়ে কিনে নেন।

যে মেয়েটিকে পছন্দ করা হয় তার সঙ্গে দর কষাকষি করা হয়। তারপর যখন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা প্রদত্ত মূল্যে খুশি হন, তখন সেই মূল্যে ছেলেটির পরিবারকে মেয়েটিকে দেওয়া হয়। এরপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং মেয়েটি তার স্ত্রীর মর্যাদা পায়।

এই কনের বাজারটি মূলত গরিব পরিবারের মেয়েদের জন্য। যেসব মেয়ের পরিবার অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তারা তাদের মেয়েকে নিয়ে যায় এই বাজারে।

বুলগেরিয়ায় বহু যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। এই বাজার স্থাপনের অনুমতি মিলেছে সরকারের পক্ষেও।

তবে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রথমত মেয়েটিকে কুমারী হতে হবে। এমন হলে তার দর বেশি হয়। শুধুমাত্র কালাইদঝি সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাদের মেয়েদের এই বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পরিবারটির দরিদ্র হওয়া আবশ্যক। আর্থিকভাবে সাবলম্বী বা ধনি পরিবের মেয়েদের বিক্রি করা নিয়ম বিরুদ্ধ। এছাড়াও বাজের কেনা মেয়েটিকে পুত্রবধূর মর্যাদা দেওয়া আবশ্যক।

উল্লেখ্য, শুধু বুলগেরিয়াতেই নয়, এমন ভয়াবহ ঘটনা নাইজেরিয়ার একটি সম্প্রদায়ের জন্য নিত্যদিনের ব্যাপার। দেশটির সর্বদক্ষিণের ক্রস রিভার রাজ্যের বেশেরে সম্প্রদায়ে মানি ম্যারেজ বা অর্থের বিনিময়ে অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ের নামে বিক্রি করে দেয়া একটি প্রচলিত প্রথা।

মূলত দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের শিশুদের বিয়ের নামে মোটা অংকের বিনিময়ে কিনে নেন প্রভাবশালীরা। দেশটির আরও কয়েকটি সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও এ ধরনের বিতর্কিত প্রথার চল রয়েছে।


আরও খবর

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ট্রুডো

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দৌলতপুরে এ এস আই এর বিরুদ্ধে চুক্তি ভিত্তিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই তারেক হাচান এর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে মাসিক চুক্তি ভিত্তিক হিসেবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন, এ এস আই তারেক হাচান দৌলতপুর থানাধীন পিপুলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পে যোগদানের পর থেকে খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী নিরাপদে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ এস আই তারেক হাচান বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে ও সরাসরি মাসোহারা নিয়ে আসছে। কোন সময় সে নিজে গিয়ে টাকা তোলে আবার কিছু কিছু সময় মাদক ব্যবসায়ীরা তারেকের বিকাশে টাকা পৌঁছায়ে দেয়। মাসোহারা দেওয়ার কারনে মাদক ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। যেমন ক্যাম্প থেকে কোন পুলিশ মাদকের অভিযানে বের হলে আগে থেকে জানিয়ে দেন এ এস আই তারেক হাচান , অথবা অন্য কোন সংস্থা অভিযানে আসলেও তারেক জানতে পেলে জানিয়ে দেন মাদক ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে এ এস আই তারেক বলেন, আমার নিজের নাম্বারে বিকাশ খোলা আছে কেউ হয়তো আমাকে ফাঁসাতে আমার নাম্বারে টাকা দিয়েছেন। এক বার না হয় ফাঁসাতে দিলো বার রার কি করে টাকা আসে এমন প্রশ্নের কোন সদ্দউত্তর দিতে পারেন নাই এ এস আই তারেক । এ বিষয় পিপুলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মেহেদী হাচান মুন্নু বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নাই। তবে কেউ এই ধরনের কাজে জড়িত থাকলে সে দায়ভার তার নিজের।



আরও খবর



নাইজার জান্তা সরকারের দাবি মেনে নিল ম্যাক্রন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, তার দেশ নাইজার থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত এবং সেনা সরিয়ে নেবে। এর মাধ্যমে নাইজার জান্তা সরকারের দাবি মেনে নিল ম্যাক্রন। আজ সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ফ্রান্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করা হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’

ম্যাক্রন আরও বলেছেন, নাইজারে সামরিক সহযোগিতা সমাপ্তি এবং নাইজারে থাকা এক হাজার ৫০০ ফরাসি সেনাকে এই বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। 

গত ২৬ জুলাই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। সেদিন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে আটক করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।

ওই সময় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা কর্নেল আমাদু আবদরামান এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, নাইজারের প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। 

পরবর্তী সময়ে নাইজার জান্তা সরকার দেশটিতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও সেনাদের দেশে ফিরে যাওয়ার দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে জান্তা সরকার অধীনে বিক্ষোভও হয় কয়েক দফায়। এরপর ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের ভিসা বাতিল করে নাইজারের জান্তা সরকার। সেইসঙ্গে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। ম্যাক্রন গতকাল নিশ্চিত করলেন, সেনা ও রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিচ্ছে ফ্রান্স। 


আরও খবর

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ট্রুডো

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বন্যা কবলিত মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে নির্মিত হচ্ছে- মুজিবকিল্লা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর)প্রতিনিধি ॥ দূর্গম যমুনার নদীর বন্যা কবলিত মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে জানমাল রক্ষার্থে জামালপুরের ইসলামপুরে নির্মিত হচ্ছে মাটির কিল্লা। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে সারা দেশে কিল্লাগুলো নির্মিত হয়। সে সময় এগুলো ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি পায়। সম্প্রতি এসব কিল্লার সংস্কার ও উন্নয়ন শুরু করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তারই অংশ হিসেবে জামালপুরের ইসলামপুরে কুলকান্দি হেদায়েতিয়া আলিম মাদরাসা ও চিনাডুলী আফরোজা ফরিদ সুরুজ্জামান টেকনিক্যাল কলেজ নামে নির্মিত হচ্ছে দুটি মুজিব কিল্লা। জানাগেছে, প্রতি বছর যমুনার ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে দীর্ঘদিন পানিবন্দি থেকে জীবনধারণ করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ওই লক্ষাধিক মানুষকে বন্যার পানিবন্দি দশা থেকে বাঁচানোর বড় চ্যালেঞ্জ। অকাল বন্যার পানি থেকে বাঁচার রক্ষা কবজ হরিণধার বাঁধটি ভাঙনে বিলিন হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যমুনা নদী থেকে বাঁধাহীন ভাবে নেমে আসা বন্যায় তলিয়ে যায় উপজেলার সদর ইউনিয়ন, পাথর্শী, কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুুলি ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন সমুহের নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার একর ফসলি জমি। আবার যমুনা নদীতে বন্যার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতেই ওই ৬টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ওই সময় পানিবন্দিদের ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানি ও রান্নাকরা খাদ্যের তীব্র সঙ্কটসহ গো-খাদ্যেরও অভাব দেখা দেয়। পানিবন্দি অনেক শিশুদের পানিতে ডুবে মরার ঘটনা ঘটে। অনেকের মাঝেই পানিতে ডুবে মরার আতঙ্ক বিরাজ করে।

এছাড়াও বিগত দিনে যমুনার তীব্র ভাঙ্গনের ফলে উপজেলার কুলকান্দি,বেলগাছা,চিনাডুলী ও সাপধরী ও পার্থশী ইউনিয়নের বিরাট অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে হাজার হাজার পরিবার ভিটা বাড়ি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। এসব মানুষ মোরাদাবাদ বাঁধ,কুলকান্দি,ছড়াবাতা ও গুঠাইলে বিচ্ছিন্ন ভাবে বসবাস করে আসছেন। পাশাপাশি গরু ছাগল মহিষ ও হাঁস মুরগি কবুতরসহ বসবাস করতে প্রতিনিয়তই দূর্ভোগ পেহাতে হয়। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিচ্ছিন্ন এসব মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যা কবলিত মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান এমপির ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হচ্ছে উপজেলায় দুটি মুজিবকিল্লা। মুজিব কিল্লায় বন্যা কবলিত মানুষ আশ্রয় সহ গরু,ছাগল,হাস মুরগি নিয়ে দুর্ভোগ লাঘব সহ আতঙ্ক বিহীন সাচ্ছন্দে আশ্রয় নিতে পারবে। বাঁধে আশ্রিতরা জানান-কিল্লাডা হয়তাছে,এহন আশ্রয় নেওয়ার জায়গা হব। ঝড়-বইন্যা হইলে এই কিল্লার ওপরেই গরু-বাছুর লইয়া আশ্রয় নিবের পামু। তারাতারি বিল্ডিং গুলে হইলে আমরা থাকপের পামু।

কুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান- মুজিবকিল্লা নির্মিত হচ্ছে এতে বন্যায় আক্রান্ত মানুষরা নির্বিঘেœ আশ্রয় নিতে পারবে। বন্যার তাদের দূর্ভোগ লাঘব হবে বলে আমি মনে করি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু বলেন, ‘চলমান মুজিবকিল্লার কাজ বাস্তবায়নে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিনিয়তই আমাদের তদারকি রয়েছে। মুজিবকিল্লায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানুষের জীবন বাঁচাতে ও গবাদি পশু-পাখির আশ্রয়স্থল হিসাবে ভরসা পাবে নির্মানাধীন মুজিব কিল্লায়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান এমপি বলেন- আমার এলাকার যমুনা পাড়ের বন্যা কবলিত মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কয়েকটি ফ্লাল্ড সেল্টার ও মুজিব কিল্লা নির্মাণ বরাদ্ধ দিয়েছেন। যাহার কাজ চলমান রয়েছে। বন্যায় দূর্গম চরের মানুষ,গবাদি পশু পাখি সহ মুজিব কিল্লা শতভাগ ব্যবহার করবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ পাবে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া হত্যার রাজনীতি শুরু করেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে বলেছেন, জিয়াউর রহমান শাসন আমল থেকেই গুম,খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি শুরু হয় এই দেশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে খুনি জিয়া হত্যার রাজনীতি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান গুম খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রাখে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তিনি বলেন, রায়ের ৬মাস আগেই সেনাবাহিনী সদস্যদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা হয়েছিল ছয় মাস পর। ১৯৭৭ সালে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের লাশও পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ক্লিন হার্ট অপারেশন নামে এবং ২০১৩ ও ১৪ সালে অগ্নিসংযোগ এর মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাস ট্রাকসহ অমূল্য সম্পদ। জাতির দাবি ও প্রত্যাশা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, নতুন আইন এর মাধ্যমে কমিশন গঠন করে ১৯৭৭সাল ও ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসংযোগ হত্যার বিচার করা হোক এটা এখন সময়ের দাবি।শনিবার দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান তার পথ ধারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশে খুন ,অগ্নি সন্ত্রাস,অরাজকতা সৃষ্টি চালিয়ে দেশকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অন্যত্র সরানোর দাবী জানিয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস হত্যা,মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় আনার দাবী জানানো হয়। ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, হুইপ ইকবালুর রহিম, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ফুয়াদ চৌধুরী গণ ফাসী ৭৭প্রামান্যচিত্র নির্মাতা প্রমুখ। এছাড়াও ভুক্তভোগীদের সন্তান , মাতা, পিতা এবং ভুক্তভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর