Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে তোয়াক্কা করে না আওয়ামী লীগ : ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ২৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ভয়াবহ দুঃশাসন ও অনাচার’ থেকে দেশকে মুক্ত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় জামিনে মুক্তির পরও গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুকে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বুধবার গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জামিনে মুক্তিলাভের পরও জেলগেট থেকে গ্রেপ্তারের জঘন্য খেলায় অবতীর্ণ হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী সরকার দেশব্যাপী নজীরবিহীনভাবে এই ধরনের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটনের জন্য ধিকৃত হচ্ছে, নিন্দিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে তোয়াক্কা না করে দেশ শাসনে এক ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণকেই অতিমাত্রায় প্রাধান্য দেওয়ার কারণে দেশ এখন গভীর সংকটে নিপতিত। বর্তমান অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন ও অনাচারের করাল গ্রাস থেকে এখনই দেশকে মুক্ত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।’

গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুকে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার চলমান অপসারণে নিরবচ্ছিন্ন অংশ বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমি মীর সরফত আলী সপুকে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অসত্য মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।

জামিনে মুক্তিলাভের পরও প্রতিনিয়ত দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার বন্ধ এবং অবিচার-অনাচার বন্ধেরও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।


আরও খবর



পরীক্ষা চলাকালে ঢাবি ছাত্রীদের মুখ-কান খোলা রাখতে হবে: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশ বহাল রেখেছন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতেও হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।

আদেশের পরে ফয়জুল্লাহ বলেন, আপিল বিভাগ বলেছেন- যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু মুখ-কান খোলা রাখা যাবে।

গত ২৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়। পরে ৭ মে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।

পরে অপর এক নোটিশে একই বিষয়ে বলা হয়, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পরে ওই নোটিশের কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান সব দেশকে বলেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ২৩জন দেখেছেন

Image

কূটনৈতিক প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমাদের বক্তব্য বলেছি। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। আমরা সব দেশকে বলেছি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান।

আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প কবে নাগাদ শুরু হবে- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাও আমরা বলতে পারবো না। মিয়ানমার দু-দুবার তারিখ নির্ধারণ করেছে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে, কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। আর এখনো আন্তরিকতা না থাকলে কাজ হয় না। ওদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব আছে, না হলে এতদিন শুরু হয়ে যেত।

চীন এ ক্ষেত্রে কী আশা দিয়েছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো। যে কারণে আমাদের পক্ষ হয়ে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে চীন, আলাপ করছে। তারা বোঝে যে আমরা এগুলোকে বেশিদিন রাখতে পারব না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চীনের কাছ থেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে মিয়ানমারের দুটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে, রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিরাও মিয়ানমারে গেছে।

চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বছর দশেক আগেও বাংলাদেশে এসেছিলেন। এতদিন পর এসে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখেছেন, সেই গল্পটিই বলেছেন। তখন এসে তিনি বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন দেখেননি। তিনি পদ্মা সেতু দেখতে গিয়েছিলেন। কারণ তাদের ঠিকাদাররাই এটিতে কাজ করেছিলেন। সেটা এবং রাস্তাঘাট দেখে তার খুব পছন্দ হয়েছে। বললেন যে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতেই চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করছি। চীন-মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ত্রিপক্ষীয় আলাপ করছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমাদের বক্তব্য বলেছি। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। সম্প্রতি আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, যারা রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল দিতেন, তারা টাকা পয়সা কমিয়ে দিয়েছে। অনেকে অনেক বেশি কমিয়ে দিয়েছে। যেমন, আগে যুক্তরাজ্য ১২৬ মিলিয়ন (১২ কোটি ৬০ লাখ) মার্কিন ডলার দিত, কিন্তু এ বছরে তারা ৫.৪ মিলিয়ন (৫৪ লাখ) ডলার দিয়েছে। আমাদের দেননি, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারকে (ইউএনএইচআর) দিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী সেপ্টেম্বরে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ওই সময়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার শিডিউল থাকায় সরকারপ্রধান চলতি বছরই বেইজিং যাবেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই।


আরও খবর



পলাশবাড়ীতে স্পীড ব্রেকার স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
গাইবান্ধা সংবাদদাতা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মেরীরহাট নামক স্থানে, সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থী নিহতের জের ধরে, স্পীড ব্রেকার স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। হোসেনপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারন সম্পাদক  হাবিবুর রহমান  বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে 

প্রধান অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেন হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু,মেরীরহাট ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মোনোয়ারুল ইসলাম,,আব্দুর রউফ  অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক জামশেদ,দ্য হলি কোরআন স্কুলের পরিচালক, সিভিল সার্জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাসুদ প্রমুখ।
 
উল্লেখ্য গত সোমবার দ্যা হলি কোরআন একাডেমীর শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ(৫) স্কুল ছুটি শেষে বাসায় ফেরার পথে, দ্রুতগতিতে ছুটি আসা ব্যাটারী চালিত একটি অটোরিক্সার ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে গিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় সানাউল্লাহকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মানববন্ধনে আগত এলাকাবাসী বলেন শুধু সানাউল্লাহ নয়,  গতি রোধক না থাকায় একই স্থানে  ইতিপূর্বে আরো দু'জন মানুষ  সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা অবিলম্বে গতিরোধক স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

আরও খবর



ছাত‌কে কি‌শোরী ধর্ষনের মামলার আসামী জেল হাজ‌তে

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিসুনামগঞ্জের ছাতকে সন্তানের জনক কর্তৃক এক কিশোরীর ধর্ষনের মামলার আসামী ফয়জুল ককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো য়েছে। বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক   ‌সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ হোলাল উদ্দিনের আদালতে উপস্থিত য়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে তার জামিন না মঞ্জুর রে তাকে জেল হাজতে পাঠানো নিদেশ দেন। গত মে দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউপির মুলতানপুর গ্রামের দিনমজুর বোরহান উদ্দিনের বসত রে টুকে কিশোরী মুখ হাত পা বেধে ধর্ষনের
ঘটনা টে ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে গ্রাম্য মাতব্বররা ্যাপক চেষ্ঠা রে

জানা যায়,কিশোরী মা নানার বাড়িতে বাবা ধান কাটতে হাওরের ছিল সুযোগে গত মে দিন দুপুরে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ঘরে ঢুকে  তাকে হাত-পা, মুখ বেঁধে জোরপুবক ধর্ষণ করেন সন্তানের জনক ফয়জুল হক 

ঘটনায় ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করেছে গ্রামের মাতব্বররা গত মে, সকালে গ্রামের ফুল মিয়ার বাড়িতে এক শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ধর্ষকের চাচাতো ভাই, শান্তিগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। অনুষ্টিত শালিস বৈঠকে ধর্ষক ফয়জুল হক (৪০) কে শাস্তি হিসেবে তার মাথার চুল কর্তন জুতার মালা ড়িয়ে শাস্তি দেয়অভিযুক্ত সন্তানের জনক ফয়জুল হক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির মুলতানপুর গ্রামের লিল লেখক আব্দুস সালামের ভাই
মৃত সুলেমান আলীর পুত্র

ঘটনায় গত মে সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা সুলতানা বেগম বাদী য়ে সন্তানের জনক ধর্ষক ফয়জুল হককে আসামী রে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের রেন মামলা নং ছাতক থানায় নারী শিশু নিযাতন দমন আইনের ২০০০ সংশোধনী এর এক ধারায় মামলা রেকর্ড় করেছে পুলিশ

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বোবহান উদ্দিন বলেন,আমি দরিদ্র মানুষ দিনমজুরে কাজ রি ঘটনার সময় আমি হাওরের ধান কাটা ছিলাম এদিকে তার মা- বাড়িতে ছিলনা কিন্তু মেয়েটি ঘরে একা থাকায় সন্তানের জনক ফয়জুল হক তাকে সর্বনাশ করেছে। এব্যাপারে ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লেন,অভিযুক্ত কিশোরী ধর্ষন মামলার  আসামী‌ ফয়জুল হককে আদালতে মাধ্যমে
জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে


আরও খবর



বাংলাদেশে মার্কিন ব্যবসায়ীদের বড় বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল এবং ফার্মাসিউটিক্যালে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং শুধু মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ রাখার প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামসহ অনেক গতিশীল ও সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণ ও বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ : শেয়ার্ড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিলের মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ইউএস বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল উদ্বোধন করেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ইউএস চেম্বার অব কমার্স ওয়াশিংটন ডিসির গ্রেট হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের যাত্রায় অংশীদার হিসেবে আমাদের সাথে থাকার জন্য আমি আজকে এখানে আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিটেন্স, বাধাহীন প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ ও মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন সুবিধা রয়েছে।

তিনি আশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন যে, ‘আমরা আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।


তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো আমাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মধ্যে সম্পর্কের তা প্রতিফলিত হচ্ছে। ২০২১-২০২২ সালে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশে একটি শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাপানের প্রস্তাবের উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই আমাদের লক্ষ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নীত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের প্রচেষ্টায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন সর্বজনীনভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, ‘সুশাসনের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি খাতে অগ্রগতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে যা আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে পরিণত করবে।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং চেয়ারম্যান এক্সেলরেট এনার্জি স্টিভেন কোবোস, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস (বিসিজি) হ্যান্স-পল বার্কনার, মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক পলিসি অপারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি অরোরা, বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক ওয়াকার এবং গ্লোবাল হেড অব এক্সপ্রোরেশন অ্যান্ড নিউজ এক্সনমোবিলের ভেঞ্চার ড. জন আর্ডিল গোলটেবিলে বক্তৃতা করেন।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-সাউথ এশিয়া অ্যাম্বাসেডর অতুল কেশপ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বোয়িং ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট শাইল গুপ্ত, ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কেভিন রোপেকে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 বাসস,


আরও খবর