Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মানুষের গড় আয়ু দেশে বায়ুদূষণে কমছে পৌনে ৭ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে বায়ুদূষণে মানুষের গড় আয়ু কমছে পৌনে ৭ বছরবায়ুদূষণের কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৮ মাস বা পৌনে সাত বছর কমছে। আর বিশ্বের মানুষের গড় আয়ু কমছে ২ বছর ৪ মাস। এছাড়া বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকির বিষয় হয়ে উঠেছে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্মসম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-২০২৩ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। 

কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজিজেস অব দ্য চেস্ট অ্যান্ড হসপিটালে ২০২১ সালে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগ মিলিয়ে ২ লাখ ১০ হাজার রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৭ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৫ হাজার। 

অন্যদিকে রাজধানীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের হিসাবে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাইয়ে সেখানে ভর্তি, আউটডোর ও জরুরি বিভাগ মিলে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের কিছু বেশি। আর চলতি বছরের জুলাইয়ে এ সংখ্যা ১৪ হাজার পার হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সিসা দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ কারণে শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। তাদের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাপা। এ সময় সংগঠনটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সহসভাপতি অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



আমার অধীনে বিচার বিভাগ না: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে না, বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ম্যাজিস্ট্রেটরাও না। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা বলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার রুটিন কাজ করবে। পলিসি-সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, আইন হবে না, কারণ সংসদ বসবে না।

মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার থাকে, তারা সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।

আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপরে নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে এবং নির্বাচন প্রভাবিত হবে না, সেসব নির্বাচন কমিশন করবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে। আর গণতন্ত্রে মূল বক্তব্য যখন নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে।

আনিসুল হক বলেন, আইনতো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না, এটা একটা স্বাধীন দেশ, যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।

তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।

তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না, নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এ রকম কাজ আমরা করব না।

পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে, সেটা যৌক্তিক হলে নির্বাচন কমিশন সেটা করবে।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




নারায়ণগঞ্জে ৩৮ কেজি গাঁজা’সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

প্রেস রিলিজ:নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১, অভিযানে বন্দর থানা এলাকা হতে ৩৮ কেজি গাঁজা’সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার,

র‌্যাব-১১’এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান

পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩৮ (আটত্রিশ) কেজি গাঁজা এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানাধীন দুরিবাতগ্রাম গ্রামের জামালের ছেলে মোঃ রনি (৩৬)।

র‌্যাব-১১, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রনি (৩৬) পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত মোঃ রনি কুমিল্লা হতে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চিত্রনায়ক শাকিল খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট:বাগেরহাট-৩ (রামপাল -মোংলা) আসনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও নির্বাচন না করার ঘোষনা দিয়েছেন চিত্র নায়ক শাকিল খান (শাকিল আহসান)। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি মুঠোফোনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী, সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপু্রে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে শাকিল খানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ভাগ্নে শাহরিয়ার নাজিম। 

চিত্র নায়ক শাকিল খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। নির্বাচনে অংশ না নিলেও, আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকার প্রচার-প্রচারণায় কাজ করার ঘোষনা দেন তিনি। বাগেরহাট-৩ আসন থেকে শাকিল খানসহ অন্তত ১১ জন নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে দল থেকে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপিকে মনোনয়ন দেওয়া 


আরও খবর



বাগেরহাটে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক নারীকে ধর্ষনের অভিযাগে কামাল ফকির (৪৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তারকৃত কামাল ফকির উপজেলার শুভদিয়া ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের রুস্তুম ফকিরের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কামাল ফকির তার দুই সহযোগিকে নিয়ে ওই নারীর বাড়িতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই নারীকে একা পেয়ে কামাল ফকির তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর পরই ওই নারীর স্বামী বাড়িতে আসেন। সেখানে এসে তিনি তার স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এসময় কামাল ফকিরসহ তার দুই সহযোগি পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামাল ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে।

অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

ভিকটিমের পরিবার জানায়, প্রতিবেশী কামাল ফকির বেশ কিছুদিন ধরে ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কু-প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় কামাল ফকির সুযোগ বুঝে ওই গৃহবধুকে বসতঘরে একা পেয়ে জোরপুর্বক ধর্ষন করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কামাল ফকিরকে প্রধান আসামী করে ও সাথে থাকা দুই সহযোগির নাম উল্ল্যেখ করে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলম জানান, এক নারীকে ধর্ষনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ভিকটিম নারীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তধীন রয়েছে।


আরও খবর