Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

মামলার জট ৫-৬ বছরে সহনশীল পর্যায়ে আসবে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে আমাদের মামলা নিষ্পত্তির কাজ অনেকটা ধীরগতিতে চলছিল। তবে গত বছর মামলা নিষ্পত্তির হার অনেকটা বেড়েছে। আমরা যদি মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ থেকে ১৩০ ভাগ করতে পারি তাহলে আগামী ৫-৬ বছরে মামলার জট সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। এতে বিচারপ্রার্থীরা অনেকটাই সুফল পাবেন।

আজ সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের কিছু জনবল সংকটও আছে। গত বছর আমরা ১০২ জন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছি। এ বছরও ১০০ জনের মতো কর্মকর্তা নেওয়া হবে। তাহলে আমাদের জনবলের ঘাটতিটা পূরণ হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেই তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের বিচারালয় আছে, অবকাঠামো আছে, বিচারকদের বসার জায়গা আছে, আইনজীবীদের বসার জায়গা আছে। শুধু বসার জায়গা নেই বিচার প্রার্থীদের। যাদের জন্য এই বিচার ব্যবস্থা তাদের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে কোথাও স্বস্তিতে বাসার জায়গা নেই। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে পুরুষ বিচার প্রার্থীদের সঙ্গে নারী বিচার প্রার্থীরাও আসেন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘সারাদেশে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বাদী-বিবাদী মিলিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ লোককে আদালত প্রাঙ্গণে আসতে হয়। তারা স্বস্তিতে বসে পানি পান করতে পারবেন, শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন- এমন ব্যবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি ৩৫ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। অর্থাৎ ৬৪টি জেলায় যদি আমরা ৫০ লাখ করে টাকা দেই তাহলে প্রত্যেক জেলায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করতে পারব। যেখানে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা করে দুটি টয়েলেট থাকবে, ৫০-৭০টি চেয়ার থাকবে, একটি মাতৃদুগ্ধ কর্নার, এক কর্নারে থাকবে একটি ফাস্টফুডের দোকান।

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন, জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমাদ্দার, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানিয়া কামাল, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উৎপল ভট্টাচার্য, পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) আব্দুস সালাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ন্যায়কুঞ্জ-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রধান বিচারপতি আদালত প্রাঙ্গণে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন। এ ছাড়া বিকেলে আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিচারকদের নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালো

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল  ৬ মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল বলেছিল, গাজা থেকে তারা হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করবে। তবে ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তারা এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।

এরমধ্যে গাজার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলায় এতে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রপার রিজার্ভ ইউনিটের এসব বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালানোর সময় তাদের ডাকা হলে এতে সাড়া দেবেন না।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে ৬ মাস ধরে যুদ্ধ করে তারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে কাল সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।

হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কাল কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে আগামীকাল জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কি না।

ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফাহতে হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে তারা। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল


আরও খবর



জিপিএ -৫ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:এস এস সি পরিক্ষায় জিপিএ -৫ না পাওয়ায় এমিল (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর আত্ত্বহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ১২ মে দুপুরে সৈয়দপুর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের বাংগালী পুর নীজ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তার বাবার নাম আব্দুর রহিম ওরফে মিন্টু। তার গ্রামের বাড়ি বদরগন্জ উপজেলার পাঠানের হাট ও সে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

স্হানীয়রা জানায়, আব্দুর রহিম ওরফে মিন্টুর ছেলে এমিল মেধাবী হওয়ায় সৈয়দপুর শহরের লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করানো হয় এবং তার পড়াশোনার সুবিধার্থে শহরের বাংগালী পুর নীজ পাড়া গ্রামের সাবেক কাউন্সিল মোসলেম উদ্দিনের বাসা ভাড়ায় নিয়ে বসবাস করতেন তারা। রবিবার ১২ মে শিক্ষার্থীর বাবা সকালে যায় গ্রামের বাড়ি। এদিকে এস এস সির রেজাল্ট হয় একই দিনে। এই রেজাল্টে ওই শিক্ষার্থী পায় ৪.৫৬। এতে শিক্ষার্থী সন্তুষ নয় বলেই আত্মহত্যা করেছে।শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুর রহিম ওরফে মিন্টু বলেন, তার একমাত্র সন্তান, এমিল ছিল মেধাবী। নামাজও আদায় করতো ৫ ওয়াক্ত। কিন্তু সে কিভাবে যে এ ঘটনা ঘটাবে ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। 

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম  জানান স্হানীয় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে সেখানে যাই। আত্মহত্যার সত্যতা শিকার করে বলেন, লাশ এর সুরতহাল করা হয়েছে। ঘন্টা২/১ পরেই লাশ মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট এলেই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর



ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে: র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন, ফরিদপুরে দুই সহোদর হাফেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় সভায়’ সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। তাদেরকে গ্রেপ্তারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অপরাধ সংঘটনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেপ্তার হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার পূর্বের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন। ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করব। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করব।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভালো হয়ে গেলো যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এই পর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই৷ র‌্যাব কেন আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সব সময় চাই বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র-মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। প্রচুর কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এদের আশ্রয়প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূলে উৎখাত করব ইনশাআল্লাহ। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতোটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।


আরও খবর



ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের দুহাত ভাঙ্গলো কিশোর গ্যাং!!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছে কিশোর গ্যাং।ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো.হাসান (৩৪)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার শিক্ষক।

খবর নিয়ে জানা যায় বিকেলে দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজারের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, একই দিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে এই ইভটিজিংয়ের এই ঘটনা ঘটে।

হামলাকারী মো.রাজু (২৪) ও আবু নোমান (২৫) মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা এলাকার বাসিন্দা।

জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মো.শহীদ উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বহিরাগত রাজু জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার ক্যাম্পাসে আসে। এরপর সে মাদরাসার ছাত্র নোমানের সহযোগিতায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণী কক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। খবর পেয়ে মাদরাসার নূরানি বিভাগের শিক্ষক মো.সোহেল এগিয়ে আসলে ইভটিজার রাজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদরাসার ভিতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। তাৎক্ষণিক একই মাদরাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে তার সাথেও ইভটিজারদের বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭/৮জন কিশোর গ্যাং সদস্য তার গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষক হাসানের ওপর হামলা চালায়। তখন হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে বেধড়ক পেটায়। এতে তার দুই হাত ভেঙ্গে যায়।

হামলার শিকার শিক্ষকের শাশুড়ি বিবি খাদিজা ও শ্বশুর মো.সাহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা এ হামলা চালায়। বর্তমানে হাসানকে জেলা শহর মাইজদির জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডাক্তার আবদুর রহমান বলেন,তার একটি হাতে অপারেশন করে পাত বসানো হয়েছে। অন্য একটি হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। তার দুটি হাত ভেঙ্গে গেছে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয় শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবারকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর