Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৪০২জন দেখেছেন

Image

ক্রীড়া প্রতিবেদক:মালদ্বীপের বিপক্ষে দারুণ এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপের প্রাক বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ড শেষ করল বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিং অ্যারেনায় মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে রইল জামাল ভুঁইয়ারা।

এই ম্যাচটা ছিল বেশ চাপের। ম্যাচটা হারলে আগামী এক বছর বসেই কাটাতে হতো হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের। এখন এই ম্যাচে জয় পাওয়ায় আগামী বছরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ৬টি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজরা। ফিলিস্তিন, অস্ট্রেলিয়া ও লেবাননের বিপক্ষে হোম এন্ড অ্যাওয়েতে ২টি করে ম্যাচ খেলবেন জামালরা।


আরও খবর



মাগুরায় সারাদেশের ন্যায় বাংলা নববর্ষ পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:সারাদেশের ন্যায় মাগুরায় নানান কর্মসুচির মধ্যদিয়ে রবিবার বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উৎযাপিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ কর্মসুচি পালন করে। কর্মসুচির মধ্যে ছিল চিত্রান্কন প্রতিযোগিতা, বৈশাখী র‍্যালি, স্থানীয় আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী জেলখানা শিশু পরিবার ও হাসপাতালে বাঙ্গালী খাবার পরিবেশন ও স্থানীয় নোমানী ময়দানে লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। কর্মসুচিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজাসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করে।


আরও খবর



হিলিতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:চলছে বৈশাখ মাস সারাদেশে প্রচন্ড তাপদহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে রিকসা,ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা।এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোঃ মোসলেম উদ্দিন,হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সভাপতি সবিরুল ইসলাম,সদস্য ডাঃ সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রিকসা চালক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বুঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন।ইজিবাইক চালক নাজমুল হোসেন বলেন,প্রচন্ড রোদ ও তীব্র গরমে তারা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন। আমি তাদের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানাই।হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচন্ড তাপদহে পুড়ছে সারাদেশ।

এসময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছি। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহবান জানাই তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় !।সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



দেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর- এ শহীদ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির একসাথে নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দেশের বড় ঈদের জামাতে লাখো লাখো মুসল্লিরা একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি একসাথে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবী।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ দুরদুরান্ত থেকে আসার ঢল নামে মুসল্লিদের। দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসে ছাড়াও মুসল্লিরা বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে আসেন। এসময় শহরের সব রাস্তাগুলো যেন একমুখী হয়ে যায়। ঈদের দিন সকাল ৯টায় এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম কাশেমী। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে দেশ এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি(ভারপ্রাপ্ত) এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।

নামাজ শেষে বৃহৎ এই ঈদগাহ মাঠ ও মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা এবং পরিকল্পনাকারী হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, এই জামাতে একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিল জিরো টলারেন্স। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিন দিন এই জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।

এইবার ভারত থেকে নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লী। দিনাজপুর ছাড়াও ঢাকা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঠাকুরগাঁ, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের অনেক মুসল্লি বাস, কার, মাইক্রো, জীপ এবং মোটরবাইকে করে এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ভারতের গঙ্গারামপুর থানা থেকে আসা ওসমান আলী জানান, টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতবড় মাঠ ও এত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে। এতে আমারও ইচ্ছা হয়। তাই এবার এখানে নামাজ পড়ার জন্য এসেছি।এত মানুষের একসাথে এটাই আমার প্রথম নামাজ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে খুব খুশি।

নামাজ আদায় করে একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করে ঢাকার রামপুরার বনশ্রী নিবাসী হাজী মোঃ আব্দুল আলী বলেন, এশিয়ার বড় জামাতের কথা শুনে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। এটি আসলেই বৃহৎ জামাত। এতবড় জামাতে নামাজ আদায় করেছি সওয়াবের আশায়।ঢাকা থেকে মোঃ ইমরান কবির ও মোঃ রাতুল বলেন, ঈদের কারণে যানবাহন পেতে সমস্যা হয় দেখে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নামাজ আদায় করতে আসেন না। যদি প্রতিটি জেলা থেকে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসল্লি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এখানে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে।রংপুর থেকে আসা অলিউল ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন। মাঠে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছিল ঈদগাহের মাঝে র‌্যাবের ওয়াচ টাওয়ার, প্রবেশের পূর্বে মুসল্লিদের আনা যানবাহন রাখার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী ব্যবস্থা। মাঠে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশ করানো হয় মুসল্লিদের।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়। মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। রাতে আলোকিত করতে প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি এখন দর্শনীয়।


আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে সিমেন্ট ও কয়লা পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ কয়লা পাচাঁরসহ দেশীয় সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করা হয়েছে বলে খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নাম ভাংগিয় প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে মজুত করে। এছাড়াও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে আরো ২শ মেঃটন অবৈধ কয়লা মজুত করা হয়েছে। এদিকে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত দেড়টার সময় চারাগাঁও এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন পাহাড়ী ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে চোরাকারবারী সুহেল মিয়া ৬০বস্তা, আনোয়ার হোসেন বাবলু ৫০বস্তা ও নবু মিয়া ৪০বস্তা সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করে এবং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ২শ মেঃটন কয়লা  তারা পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা সীমান্তের লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া ও সোহেল মিয়াসহ আারো একাধিক বাড়িতে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, সুপারী, চিনি, পেয়াজ, গরু, ইয়াবা, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়না।

একারণে সোর্স ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩ বছরে হয়েগেছে কোটিপতি। তারা পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়েও লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে সোর্স ও তাদের গডফাদার।

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের ভিআইপির দায়িত্বে থাকা শামীম বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলুন, এব্যাপারে আমি কিছু করতে পারবনা। এই ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, তিনি ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু,একজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনো নিখোঁজ। রোববার গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম উসমান আলী (১৩), সে মহিশালবাড়ি সাগরপাড়া মহল্লার ওমর আলীর ছেলে। অপর নিখোঁজ শিশু সুলতান মুহাম্মদ সাইফ (১৫), সে একই এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের ছেলে। দুজনই মহিশালবাড়ি আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, সকালে আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির পাঁচ ছাত্র পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন ডুবে যায়। পরে অন্য তিনজনের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা উসমান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

সাইফকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়।রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনজন ডুবুরি বেলা ১টা থেকে নদীর তলদেশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ৩ টা) নিখোঁজ সাইফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এরপরও সন্ধান না পাওয়া গেলে পরদিন অভিযান শুরু হবে।’গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু উসমানের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।জানা যায়, চলতি মাসে তীব্র গরমে রাজশাহীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২৩ এপ্রিল পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুঘাট এলাকায় পদ্মায় ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। ২১ এপ্রিল একই উপজেলার হরিপুরে নদীতে ডুবে এক কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয়। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় নদীতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ১৯ এপ্রিল একই উপজেলায় এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। তার আগে ১৪ এপ্রিল আরও দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায়। সবশেষ গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাট এলাকায় নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।


আরও খবর