Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

মালাবিতে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড, নিহত ৯৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ মালাবিতে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে কমপক্ষে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ব্লানটায়ার শহরে সবচেয়ে বেশি ৮৫ জন মারা গেছেন। এই শহরে ১৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ‘দুর্যোগময় অবস্থা’ ঘোষণা করেছে সরকার।

ঘূণিঝড়ে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা।

এর আগে সোমবার মালাবি পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া সিএনএনকে বলেন, ‘ঝড়ের কারণে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ব্ল্যাকআউট শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা বলেছেন, ‘উদ্ধার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে গেছে। আমাদের এখানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এখন ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং পাহাড় বেয়ে পাথর গড়িয়ে পড়ার মতো অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি।

দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি জেলায় বুধবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ১২ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে ১২টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সারা দেশে দিনে ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাতের একই প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও পরের পাঁচ দিনে তা কমে আসতে পারে। আগামী ২৮ মের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং মাদারীপুর ও পাবনার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২৫টি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে, ৭৩ মিলিমিটার।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ জানান, ২৮ মে বা এর পর থেকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।


আরও খবর



ঢাকা আজ বায়ুদূষণে ষষ্ঠ স্থানে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ ষষ্ঠ। আজ শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ১২৪। বায়ুর এ মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। গতকাল শুক্রবার এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্থ।      

এদিকে ১৬৮ স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে চীনের বেইজিং শহর। ১৫৪ এবং ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৪৪। ১৩৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চমে রয়েছে চীনের আরেক শহর চংকিং।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।


আরও খবর



মধুপুরে পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে গণমিছিল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগের এক বিশাল গণমিছিল আনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(২০মে) বিকাল ৫ টায় নয়াপাড়া মোড় থেকে এই বিশাল গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ করে। আনারস চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বাবুল আকন্দ। 

এ সময় শুভ চৌহানের সন্চালনায়  বক্তব্য রাখেন পৌর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ আকন্দ, ছাত্রলীগ নেতা শুভ চৌহান পৌর যুবলীগের নেতা লতিফ আকন্দ, লাভলু আকন্দ, আইয়ুব আকন্দসহ পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তারা কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপির বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের করা মিথ্যাচার ও বিষদগারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



যশোরে সড়ক দূঘর্টনায় পিতা পুত্রসহ ৩ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : যশোরের কেশবপুর-চুকনগর মহাসড়কের বুজতলা নামক স্থানে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে পিতা পুত্রসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাত ৮টার
দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বেতগ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে জাহাঙ্গীর জোয়ার্দার (৪৫) ও তার ছেলে মোস্তাইন (১২), একই উপজেলার মালঞ্চী গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে মোস্তফা (২২)।

কেশবপুর থানার ওসি মফিজুল ইসলাম জানান, রাত ৮টার দিকে যশোরের কেশবপুর-চুকনগর মহাসড়কের বুজতলা নামক স্থানে দুই মোটরসাইকেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজনের মৃত্যু হয়। আরেকজনকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে পিতাপুত্র রয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর ছবি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশ হয়ে ওঠার পথে বাংলাদেশের মসৃণ উত্তরণ, পরবর্তীতে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণ লাভ এবং এর ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে জাতিসংঘের এলডিসি মর্যাদা থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ লাভের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি বিশ্বব্যাংককে আমাদের মানব পুঁজি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচিগুলিকে একটি মসৃণ উত্তরণের জন্য সহায়তা দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। সে লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আইডিএ উইন্ডোটি সংরক্ষণ ও অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরের প্রিস্টন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বব্যাংক-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সামনে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ রেখেছেন যা বিশ্বব্যাংক ঋণদাতাদের বিবেচনায় নেয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন (আড়াই বিলিয়ন) ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে পদ্মা বহুমুখী সেতুর একটি ছবি তুলে দেন।

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ অবকাঠামো ও লজিস্টিকসে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব বিশ্বব্যাংক আগামী বছরগুলোতে আমাদের ভৌত ও সামাজিক উভয় খাতে মেগা-প্রকল্পগুলোতে সম্পৃক্ত হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জাতীয় আকাঙ্খার সঙ্গে জাতিসংঘের এসডিজির সমন্বয় করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের বর্ধিত, ছাড় দেয়া এবং উদ্ভাবনী অর্থায়নের জরুরি প্রত্যাশা রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, মহামারী, সশস্ত্র সংঘাত এবং জলবায়ু জরুরি অবস্থার কারণে চলমান বৈশ্বিক একাধিক সংকট বেশিরভাগ উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোকে গুরুতর চাপের মধ্যে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ‘মহামারী ও সশস্ত্র সংঘাত থেকে উদ্ভূত একাধিক সংকট সত্ত্বেও, কিছু উন্নয়ন অংশীদার তাদের ঋণের খরচ এবং সুদের হার বাড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদেরকে কার্যকর বিকল্প খুঁজে বের করার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে আমাদের অর্থনীতিগুলো উদ্ভুত চ্যালেঞ্জগুলি আরও ভালভাবে মোকাবেলা করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আশা করে যে, জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে বিশ্বব্যাংকের বর্ধিত সম্পৃক্ততা প্যারিস চুক্তির অধীনে অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনের মধ্যে অর্থায়নের সমান বণ্টনের ওপর জোর দেব। বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতিতে বিশ্বব্যাপী রোল-মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, দুর্যোগ-সহিষ্ণু অবকাঠামো এবং সম্প্রদায় ভিত্তিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।

তিনি বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজনের একটি জীবন্ত গবেষণাগার হিসেবে বর্ণনা করেন যেখানে বেশ কিছু প্রকৃতি-ভিত্তিক ও কৌশলগত সমাধান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর অধীনে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে আমাদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের আমন্ত্রণ জানান।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে তারা জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি।

তিনি বলেন, ‘বিস্তৃত অঞ্চলের জন্য ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তার প্রভাবের পাশাপাশি পরিস্থিতি আমাদের জন্য ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। আমি বিশ্বব্যাংককে আমাদের মানবিক প্রচেষ্টায় যোগদানের জন্য এবং রোহিঙ্গা ও তাদের সম্প্রদায়ের জন্য ৫৯০ মিলিয়ন ডলার অনুদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ গত চার দশকে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ব্যাপক নৃশংসতার পর থেকে তাদের সংখ্যা ১.২ মিলিয়নে পৌঁছেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিলো।

প্রধানমন্ত্রী জানান, নিজের ভাগ্য গড়তে নয়, দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মা এবং তিন ভাইসহ সবকিছু হারিয়ে দেশবাসীকে পাশে পেয়ে তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তাকে তার জীবনের অনেক ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়েছে, তবে তিনি কখনই মাথা নত করেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি কখনো মাথা নিচু করে দেশবাসীকে অসম্মান করতে চাই না।

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাঙালি একটি বিজয়ী জাতি, আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অব্যাহত ও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, কারণ তার আশেপাশে থাকা লোকদের কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার কারণে এবং সে সাথে রয়েছে দেশের জনগণের অটুট সমর্থন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং এর প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌসিক বসু অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং বৈশ্বিক ঋণদাতা ভিপি মার্টিন সমাপনী বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা জানান, তিনি বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে সবার সাথে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত।

তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট মালপাসকে তার আমন্ত্রণ ও আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বিশ্বব্যাংকে অনেক বাংলাদেশীকে নিয়োজিত দেখে আমি আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্বিঘ্নে এগিয়ে যেতে থাকবে। বিশ্বব্যাংক একটি নেতৃস্থানীয় উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা করে আসছে। বিশ্বব্যাংক চলমান আইডিএ কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশের জন্য বর্তমান বৈদেশিক সহায়তার প্রায় ৩২ শতাংশ অবদান রাখে।

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া, আইএফসি এবং এমআইজিএ আমাদের বেসরকারী খাতকেও সহায়তা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে (বিশ্বব্যাংক) আমার উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা বিশ্বব্যাংকের প্রতি আমাদের আস্থা বজায় রেখেছি। আগামী দুই দশকে আমাদের সাফল্য নির্ভর করবে আমাদের সম্মিলিত সক্ষমতা এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উপায়ে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করার প্রচেষ্টার উপর।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তার পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে আমাদের সংবিধানে মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আমাদের দীর্ঘ ২১ বছরের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার করে।

তিনি বলেন, ‘টানা তিন মেয়াদে জনগণ ও দেশের সেবা করার সুযোগ লাভের জন্য আমি আমাদের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। গত দেড় দশকে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলির জন্য বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে এবং ২০২১ সালে, জাতিসংঘ এটিকে দ্বিতীয়বারের মতো এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তরণ লাভের যোগ্য ঘোষণা করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ২৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজ এবং বিনামূল্যের গণ টিকাদানের মাধ্যমে সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সম্পদে পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপ্তি এবং গত বছর এর উদ্বোধন সম্ভবত আমাদের সহনশীলতা ও সাফল্য অর্জনের সেরা উদাহরণ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যার জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি গত এক দশকে গড়ে ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহামারীর ঠিক আগে এটি ৮.১৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে ২০২২ সালে মাথাপিছু আয় ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২২ সালে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে যা ২০০৬ সালে ছিল ৪১.৫ শতাংশ।

তিনি জানান, তার সরকার সামাজিক সুরক্ষার জন্য জাতীয় বাজেট বরাদ্দ ৪০ গুণ বাড়িয়েছে, যা জিডিপির ২.৫ শতাংশ। তার সরকার এক বছর আগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিনা খরচে সকল গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, আমরা প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে বিনা খরচে বাড়ি দিয়েছি এবং আয়সংস্থানমূলক দক্ষতা ও সহায়তা দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার প্রতিটি বাড়ির দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা এবং বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার আমাদের আঞ্চলিক দেশগুলোর তুলনায় বেশি। আমাদের সরকার সম্প্রতি আমাদের জাতীয় জিডিপিতে নারীদের গৃহস্থালির কাজ প্রতিফলিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তারা বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক সংযোগ, বিমান ও লজিস্টিক হাব হিসেবে গয়ে তোলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে আনুমানিক দশ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বের শতাধিক সেরা সবুজ কারখানার অর্ধেকেরও বেশি এখন বাংলাদেশে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ে তোলার জন্য তার পরবর্তী রূপকল্প চালু করেছে যার লক্ষ্য ডিজিটালভাবে নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করা; চেহারাহীন সরকারি সেবা প্রদান; একটি জ্ঞান-ভিত্তিক নগদ অর্থ লেনদেনহীন অর্থনীতি; এবং একটি অধিকার-ভিত্তিক ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ।

বাসস,


আরও খবর