Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

মাহির চাওয়া ছিল,প্রথম সন্তান মেয়ে হবে!

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৫৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির চাওয়া ছিল, তার প্রথম সন্তান যেন মেয়ে হয়। শুধু তাই নয়, তার বিশ্বাসও ছিল তার প্রথম সন্তান মেয়ে হবে! আর সে কারণে অনাগত সন্তানের নাম ‘ফারিশতা’ আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন মাহি। আর এ নামে গাজীপুর চৌরাস্তার একটি রেস্তোরাঁও দিয়েছেন মাহি ও তার স্বামী রকির সরকার।

অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম সন্তানের মা হন মাহি। কিন্তু মাহি’র চাওয়া পূরণ হয়নি। মেয়ে নয়, ছেলের মা হয়েছেন অগ্নি’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা। তবে এ নিয়ে মোটেও মন খারাপ না মাহি’র। আল্লাহ যা দিয়েছেন, তাতেই সন্তুষ্ট রাকিব-মাহি দম্পতি।

আজ বুধাবার ভোররাতে মাহি তার সন্তানের খবরটি প্রকাশ্যে আনেন। হাসপাতালের বিছানায় সন্তান কোলে একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ৮টি ভালোবাসার ইমোজি। তার ভালোবাসার ইমোজি’র সংখ্যা দেখে বোঝা যায়, দারুণ খুশি মাহি।

মাহি ও তার সন্তানের খবর জানতে যোগাযোগ করা হয় স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সবই ভালোয় ভালোয় হয়েছে। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন। আল্লাহ যা দিয়েছে আমরা তাতে দারুণ খুশি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় মাহি এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। এই নায়িকা লিখেছেন, ‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ তখনই তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন এই সুখবরের।

গত বছর আগস্টে মা হওয়ার খবরটি প্রকাশ্যে আনেন মাহি নিজেই। তখন এই চিত্রনায়িকা বলেছিলেন, ‘আমি আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়গুলো পার করছি। দিন-রাত কীভাবে চলে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছি না। প্রচণ্ড আদর-যত্নে দিনগুলো কেটে যাচ্ছে। কারণ আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে মা হতে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব‍্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার কর হয়। গ্রেপ্তারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। তারপরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলা ও গণহত্যা শুরু করে।

এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই-ই হয়তো আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।’

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন একটি ভূখন্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এ উপলক্ষে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

এদিন সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দিবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের ভাবনায় ঈদ-আনন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পালন করবেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ক্লান্তিময় জীবনের শেষে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় পৌছে গেছে । ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে  নিটার শিক্ষার্থীদের কেমন সময় কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন ঈদের আমেজ তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                                                    ‘‘অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রেমে মগ্ন হয়ে ঈদের উৎসবে”
আমার ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এবং কাঁচা আমের সুগন্ধে। আম্মু দেখি এখনো বিভিন্ন রকম খাবার  তৈরিতে ব্যস্ত । আমার ছোট ভাই-বোনেরা এসে বলতে লাগল, “ভাইয়া, আজকে কিন্তু আপনাকেও সালামি দিতে হবে।” বললাম, “আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আগে গোসলটা করে আসি।” আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ির মোটামুটি পাশেই। গোসল করার পর কাপড়-চোপড় নিয়ে নানুর বাড়ি গিয়ে মামাদের ডাক দিলাম। বললাম, “চলেন, নদীতে গোসল করতে যাই।” সবাইকে নিয়ে মাতামুহুরি নদীতে একসাথে গোসল করলাম। অনেক মজা করলাম। আমার নানুর বাড়ি যেহেতু কাছে, তাই ঈদ মানে আমার দ্বিগুণ উৎসব দ্বিগুণ আনন্দ। গোসল করে বাসায় গিয়ে তৈরি হয়ে সবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে রওনা দিলাম । ঈদের নামাজ পড়ে সবার সাথে কোলাকুলি করলাম। ধনী-গরিব সবাই একসাথে নামাজ পড়ছে, কুশলবিনিময় করছে এরচেয়ে আর সুন্দর মুহূর্ত কি হতে পারে! পুরাতন বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।  নামাজ পড়ে বের হতেই চারিদিকে শুধু  সুঘ্রাণ পাচ্ছি। তর সইছে না। বাড়ি গিয়ে  অবস্হা কাহিল, সালামি নেওয়ার জন্য সবাই ঘেরাও করছে ওদের সালামী দিতে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা।  এরপর  প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে যে  ভোজন শুরু করলাম, শেষ কিন্তু আর হয় না। এমন ভোজন করলাম যে, পেট ফেটে যাবে এমন অবস্হা, তবু ইচ্ছা করতেছে আরও খাই। কেন খাব না বলেন! খাবারে যদি থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, সেমাই ও বিভিন্ন রকমের পিঠা ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভোজনের সাথে কিন্তু আমিও সালামি নিতে ভুলিনি। এরপর বছরের সব জমানো কথা নিয়ে বিকালে স্কুলের মাঠে পুরাতন বন্ধুরা আড্ডা  দিতে বসলাম। এইভাবে অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং ঘুরে বেড়িয়ে আমার ঈদ কাটালাম।
কবির মোহাম্মদ গালিব তাসপি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                          ‘‘ছোটবেলার সেই চাঁদরাত আর আজকের চাঁদরাত”
ছোটবেলায় বিশ রোজার পর অপেক্ষায় থাকতাম কবে ২৯ রোজা আসবে, চাঁদ উঠবে। দোয়া করতাম যেন, কোন মতেই ঈদ ৩০ রোজায় না হয়। কারণ ২৯ রোজায় চাঁদ ওঠা একটা অনিশ্চয়তার ব্যাপার, আর তাই মজার। ইফতার করতে পারতাম না সেদিন, পানি আর দুই একটা জিনিস মুখে দিয়েই দৌড়। পিছন পিছন আম্মা হয়তো বলত, এই দাঁড়া, দাঁড়া। কে শোনে কার কথা? আমরা থাকতাম কলোনীতে, চাঁদ দেখতাম বড় মাঠে গিয়ে। আমরা এখন আর কলোনীতে থাকি না, সেই মাঠ এখনো আছে, কিন্ত আমরা ঢাকাবাসীরা কতদিন চাঁদ দেখি না। এখন চাঁদ দেখা যায় চুয়াডাংগা, পঞ্চগড় এ।আর দেখা যাবেই বা কেম নে ঢাকাতে এখন আকাশ দেখা যায় নাকি? চাঁদ উঠলে আমরা বাজি ফুটাতাম, তারাবাতি জালাতাম। আরেকটু বড় হলে ভাইরা ডেক সেটে গান ছাড়ত, মসজিদে মসজিদে আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, অসাধারাণ সেই সুর, কিছুক্ষন পর পর হুজুরের জানিয়ে দেয়া ঈদের জামাতের সময়। বাসা বাসা থেকে আসত রান্নার গন্ধ। সব মিলিয়ে আনন্দটা ছিল অনেক বেশি। এখন আর ছোট নেই, আমি বড় হয়েছি। এখন অনেক দায়িত্ব। তবুও মাঝে মাঝে খুব ছোট হতে ইচ্ছা করে আবারো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনো ঈদে অনেক আনন্দ আছে, অন্যরকম এবং দায়িত্বের। ছোট বেলার সেই বল্গাহীন আনন্দটা নেই। তবে সেজন্য আমি দুঃখিত নই এতটুকুও, মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই এই আর কি! সবাইকে ঈদ মোবারক।
মোঃ আরাফাত হোসেন রাফি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                        ‘‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবার”
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সীমাহীন আনন্দ ও ভালোবাসা। ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে ঈদ নিয়ে আসে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বয়স ভেদে মানুষের কাছে ঈদের সংজ্ঞা বা ঈদের আনন্দের রঙ একটু আলাদা। কেউ সকালে শত আশা-প্রত্যাশা নিয়ে জেগে উঠে ঈদের দিন ভোরে সকলের দোয়া নেওয়ার আশায়, কেউবা শত ত্যাগ এর মাধ্যমে হাসি ফুটিয়ে দেয় পরিবারের ছোটোবড় সকলের মাঝে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই ঈদের সার্থকতা। আবার, সকল ছেলেদের কাছে ঈদ স্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! কারণ, এই দিনে সে নিজের বাবার সাথে কোলাকুলি এবং সালাম করার মাধ্যমে জীবনের সকল হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে জীবন, যেমন করে ঈদের দিন ভোরে একটু একটু করে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হয় নতুন একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনের আশায়। আবার, শেষ রোজার সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিমে লুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা যায় ছোট্ট একফালি ঈদের চাঁদ। যা সকলের শত ক্লান্তি ও পরিশ্রমের পর স্নিগ্ধ এক হাসির কারণ। ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মোঃ সাদিয়াল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                  ‘‘ঈদ মানে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া”
ঈদ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে আনে। ঈদের আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় দাদুবাড়িতেই ঈদ কাটানো হতো। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাওয়া কিংবা নামাজে না গিয়ে চাচাতো ভাইয়াদের সাথে সদাই খাওয়া, খেলনা কিনার দিনগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যতই বয়স বেড়েছে ঈদের আনন্দ আসতে আসতে কমে এসেছে। তবুও ঈদ যেন পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেওয়ার সু্যোগ করে দেয়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা, খেলাধুলা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যাই। তবে ঈদের সময় বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষেরা খোঁজখবর নেয়। পুনরায় যোগাযোগ করার একটি সুন্দর সুযোগ হয়ে উঠে। এবারের ঈদটি কিছুটা বিশেষ কারন এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদের দিন রাত থেকেই অন্য রকমের অনূভুতি হয়। সকালে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। আব্বু-আম্মুর থেকে সালামি নিতে ভুল হয় না। তারপর কিছুটা মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজ শেষ হয়। পেটুক হওয়াতে কিছুক্ষণ পর পরই মুখে কিছু দিতেই হয়। সারাদিন আব্বু-আম্মু আর বোনের সাথে অনেক মজায় সময়গুলো কাটে। বিকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ঈদ আনন্দের অন্যতম অংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই ঈদটি আরো বিশেষ হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই রমজানের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের আগ মুহূর্তে ঘটে গেছে সূর্যগ্রহণের মতো বিরল এক ঘটনা যা প্রায় ১২৫ বছরের ব্যবধানে হতে দেখা যায়। এই হলো আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের ঈদ! হয়তো ঈদ উদযাপন খুবই সাধারণ, তবুও ছোটবেলার মতো খুবই জাকজমকপূর্ণ না হলেও এমন বিভিন্ন কারনে এই ঈদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা ঈদের দিনের মতো বছরের অন্যান্য সময়গুলোও কিছুটা হলেও আনন্দময় করে দিক এবং মুছে দিক সকল বেদনা।
মোঃ আব্দুল হাশেম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



বিএনপির বিরুদ্ধে করা মামলা রাজনৈতিক নয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক মামলা নয়; এগুলো অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা,বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধ করলে সাজা হবেই। আওয়ামী লীগ কোনো দলের ওপর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি। বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তারের মিথ্যা কান্না করে বেড়াচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত। তাদের দাবি অনুযায়ী, ৬০ লাখ নেতাকর্মী নাকি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের সব জেলখানার ধারণক্ষমতা তো এত নেই। তাহলে কি দেশের জেলে বন্দি সব কয়েদীই বিএনপির ক্রিমিনাল?

তিনি বলেন, আমরা প্রতিশোধপরায়ণ না দেখে তারা কথা বলার সুযোগ পায়। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যাস্ত থাকিনি, আমরা মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কখনোই চায়নি এ দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। তারা চেয়েছে অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে দেশ চালাতে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করেন।


আরও খবর



মাদক কারবারে সাবেক এমপি বদির ২ ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে,মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



রাজধানীর ডেমরায় ভলভো বাসের গ্যারেজে ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভয়াবহ আগুন লেগেছে রাজধানীর ডেমরায় কোনাপাড়া এলাকায় ভলভো বাসের একটি গ্যারেজে। ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট আগুন নির্বাপণের কাজ করছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকার ধার্মিক পাড়া একটি গ্যারেজে থাকা কয়েকটি ভলভো বাসে আগুনের খবর পাওয় যায়।

দুটি ইউনিট তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে আরও ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর