Logo
আজঃ বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মাহি ও তার স্বামী রাকিবের নামে ২ মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুরে দুটি মামলা হয়েছে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া। এছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের নামে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে চিত্রনায়িকা মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন তিনি। তারা পুলিশকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছেন। অথচ মাহি বা তার স্বামী জমি সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে আমার কাছে আসেননি। আজ যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদেরও আমি চিনি না। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ভোরে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দু’পক্ষই পালিয়ে যায়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। ইসমাইল হোসেনসহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আজ রাতে আহত ইসমাইল বাদী হয়ে ২৮ জনের বিরুদ্ধে বাসন থানায় একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, আজ ভোরে স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া চিত্রনায়িকা মাহী সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শো-রুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।

এ সময় তিনি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা-জানালার কাচ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলেছে। দুর্বৃত্তরা তার অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।

ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন মাহী। পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ।

মাহির ফেসবুক লাইভের পর সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘রকিব সরকার তার প্রায় সোয়া ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শো-রুম করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য দফায় দফায় চেষ্টাও করা হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে নতুন কিছু গাড়ি রকিব সরকারের লোকজন ওই শো-রুমে উঠাতে থাকে।

ইসমাইল বলেন, ‘খবর পেয়ে সেখানে আমিসহ কয়েকজন হাজির হই। এ সময় দেশিয় অস্ত্রসহ রকিব সরকারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালান। নিজেরাই নিজেদের শো-রুম ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় আমিসহ ছয়জন আহত হই। ওই জমি রকিব সরকারের নয়।


আরও খবর



জাস্টিন ট্রুডো যে বার্তা দিলেন ইসরায়েলকে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলকে নারী-শিশু হত্যা বন্ধ করতে বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনায় সরব হলেন ট্রুডো। যদিও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিল কানাডা।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের মতো কানাডাও এখন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমি ইসরায়েল সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর জন্য অনুরোধ করছি। সারা বিশ্ব টিভিতে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সব কিছু দেখছে। আমরা ডাক্তার, পরিবারের সদস্য, বেঁচে যাওয়া মানুষসহ বাচ্চাদের যারা তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে তাদের কথা শুনছি।

পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারা বিশ্বই নারী, অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে ও শিশুদের হত্যার এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে। এটা বন্ধ করতে হবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে হামাসকে। একইসঙ্গে আটক সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। সংঘাত শুরুর পর গাজা থেকে প্রায় ৩৫০ কানাডিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশে সহিংসতার যেকোনো ঘটনাকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাংলাদেশে নির্বাচনি পরিবেশ রয়েছে কি না, তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দেশের যেকোনো সহিংসতার ঘটনাকে গুরুত্বসহ দেখে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটি। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল।

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যুক্তরাষ্ট্র এ লক্ষ্যে বাংলাদেশিদের জন্য সি-৩ ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের অজুহাতে বিএনপির কর্মীরা ভাঙচুর ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে। তারা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। আপনি কি বিএনপিকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাবেন? আগামী নির্বাচনে তাদেরকে অংশ নেওয়া জন্য বলবেন? আমার আরও একটি প্রশ্ন রয়েছে।

জবাবে ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনি পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দেশটির যেকোনো সহিংসতার ঘটনাকে গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সরকার, বিরোধী দলগুলো, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলছি। দেশটির জনগণের স্বার্থে তাদেরকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়ে যাচ্ছি এবং আমরা এই কাজ চালিয়ে যাব।

অপর এক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বলেন, “ধন্যবাদ আপনাকে। আমি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে বলতে চাই, তিনি একটি কঠিন সময় পার করছেন। গত সপ্তাহে বিএনপিনেতারা একজন মার্কিন নাগরিককে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির করেন এবং ঘোষণা দেন, ওই ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দিনে তার ১০ থেকে ১৫ বার কথা হয় বলেও জানান। এ ছাড়া দলটির আরেক নেতা পিটার হাসকে ‘অবতার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, বিএনপির জন্য ‘উদ্ধারকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আপনি কি স্পষ্টভাবে বিএনপির এমন দাবি অস্বীকার করবেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বলেন, ‘আমি এমন কোনো রিপোর্ট দেখিনি। আপনি কি নিয়ে কথা বলছেন? বিশ্বাস করুন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।

ব্রিফিংয়ে অপর এক সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশজুড়ে আন্দোলন চলছে।

আন্দোলনকারীরা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলছেন। সরকার এক অর্থে বিরোধী দল বিএনপি ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। বিরোধী দলগুলোর আট হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আতক করা হয়েছে, যার মধ্যে বিএনপি মহাসচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী রয়েছেন।

২৮ অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলের লোকেদের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হাত পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেই পরিবেশ তৈরির জন্য আপনি কি বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবেন? একটি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবেন?’জবাবে ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতী নই। এই মুহূর্তে আমাদের নজর জানুয়ারির নির্বাচনের দিকে। বাংলাদেশের নির্বাচনি পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদেরকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে তাদের প্রতি এ আহ্বান করছি।


আরও খবর



তানোরে এসএসসি ফরম পুরনে অভিনব কায়দায় অতিরিক্ত টাকা আদায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে এসএসসি ফরম পুরনে বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু অতিরিক্ত টাকা না যারা টেস্ট পরিক্ষায় ফেল করেছে তাদের নিকট থেকে এক বিষয়ে আরো অতিরিক্ত ৮০০/১০০০ টাকা করেও নিচ্ছেন শিক্ষকরা বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। ফলে ফরম পুরনে শিক্ষকদের এমন বেপরোয়া বানিজ্যের কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন অভিভাবক মহল।জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর থেকে এসএসসি ও সমমান পরিক্ষার ফরম পুরন শুরু হয়েছে। ফরম পুরনের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান বিভাগে ২১৪০ টাকা ও মানবিক এবং ব্যবসয়ী বিভাগের জন্য ২০২০ টাকা। কিন্তু নির্ধারিত ফিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান ফরম পুরুন করছে না। প্রতিষ্ঠান গুলো বিভিন্ন অজুহাতে ঊর্ধ্বে ২৫০০ টাকা করে নিম্মে ২৪০০ টাকা করে আদায় করছেন। 

সরনজাই, মোহর, শুকদেবপুর ও লালপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২৫০০ টাকা ও মানবিক বিভাগে ২৪০০ ও ২৩৫০ টাকা করে আদায় করেছেন। আবার যে সব পরিক্ষার্থীরা টেস্ট পরিক্ষায় এক বিষয়ে ফেল হলে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা নিয়ে ফরম পুরন করতে দিচ্ছেন।সরনজাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফি নিয়ে ফরম পুরন করা হয়েছে। নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে ছাত্র বলেছে তাকে ধরে নিয়ে আসতে হবে। যত খুশি লিখ পত্রিকায় আমার কিছুই হবেনা। টেস্ট পরিক্ষায় যারা ফেল করেছিল বিষয় প্রতি ৮০০/১০০০ টাকা করে নিয়ে ফরম পুরন হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে সাব জানিয়ে দেন আমি এসব বলতে বাধ্য না।

অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,  বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান ফরম পুরুন করেননি। ২৫০০ টাকা ২৪০০ টাকা না হলে ২৩০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। আবার সারা বছর স্কুল করিয়ে টেস্ট পরিক্ষায় অনেকে ফেল করেছেন। কেউ এক বিষয়ে আবার কেউ দু বিষয়ে তাদের কাছ থেকে এক বিষয়ে নিম্মে ৮০০ টাকা ঊর্ধ্বে ১০০০ টাকা করে নিয়ে ফরম পুরন করতে দিয়েছে। শিক্ষক রা তো শিক্ষা কে আর শিক্ষার জায়গায় রাখেননি। প্রতিটি ক্ষেত্রে বানিজ্য আর বানিজ্য শুরু করেছেন। টেস্ট পরিক্ষায় কেন শিক্ষার্থীরা ফেল করবেন। ফেল করলে ফরম পুরুন করতে দিবে না। নচেৎ বাড়তি টাকার বিনিময়ে ফরম পুরুন করতে হচ্ছে। এটাও এক ধরনের বানিজ্য। উপজেলায় যতগুলো স্কুল মাদ্রাসা রয়েছে সবগুলোতে সরেজমিনে তদন্ত করলেই সব অনিয়ম অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনা বেরিয়ে আসবে। আমরা যাব কোথায় প্রাইভেট কোচিং না হলে হয়না। আবার পরিক্ষার্থীদের ফরম পুরনের পর বাকি আড়াই তিন মাস স্কুলে প্রিপারেশনের জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। যেখানে সরকার বছরের প্রথম দিনে বই দিচ্ছে বিনা মূল্যে। যাতে করে পড়া লিখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু সে বই কতটুকু কাজে লাগে। কারন গাইড ছাড়া কিছুই হয়না। শিক্ষকদের চাহিদামত গাইড কিনতে হয়। শিক্ষা উপকরণের দাম দ্বিগুন। এউপজেলার জনসাধারন কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখনো মাঠে ধান কাটা শুরু হয়নি। অনেকে এনজিও থেকে ঋন বা সুদের উপর টাকা নিয়ে ফরম পুরন করেছেন।লালপুর স্কুলের কয়েকজন পরিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে ২৫০০ টাকা ও মানবিক বিভাগে ২৪০০ টাকা করে নিয়েছেন।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে একটাকাও বেশি নেয়া হয়নি। আপনার শিক্ষার্থীরা বলেছে ২৪০০/২৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে এবং টেস্ট পরিক্ষায় যারা ফেল করেছে তাদেরকে বিষয় প্রতি ৮০০/১০০০ টাকা করে নিয়েছেন জানতে তিনি কোন সদ উত্তর দেননি।এছাড়াও মাদ্রাসা ও ভোকেশনাল শাখায় নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত টাকা।মোহর স্কুলের প্রধান রমজান আলী সামান্য পরিমান অতিরিক্ত টাকার নেয়ার কথা শিকার করে বলেন টেস্ট পরিক্ষায় যারা ফেল করেছে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। তারা এসএসসি পরিক্ষার আগে পুনরায় টেস্ট পরিক্ষার পাশ করলে এসএসসি পরিক্ষা দিতে দেয়া হবে, তানাহলে তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তালন্দ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২৩৫০ টাকা আর মানবিক বিভাগের জন্য ২২৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। আজ বনকেশর থেকে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসেছিল আমি পকেট থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ফরম পুরুন করিয়েছি।মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই। কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিলে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



দাপটে চাচাদের প্রতারণায় নিঃস্ব এতিম ভাতিজা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার ভারশোঁ ইউনিয়নের (ইউপি) চৌবাড়িয়া  গ্রামের বাসিন্দা মৃত লহির উদ্দিনের পুত্র আলতাজ উদ্দিন প্রামানিক ও আতাউর রহমান প্রামানিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তাদের ভাই প্রয়াত আব্দুল হামিদ ওরফে মুন্তাজের পুত্র ভাতিজা সাজ্জাদ হোসেন সুমন তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।  আলতাজ ও আতাউরের এই প্রতারণার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনা তদন্ত করে আলতাজ ও আতাউরের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেছেন চৌবাড়িয়ার জনগণ।জানা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মালশিরা মৌজায়, খতিয়ান নম্বর ৬৯ ও আরএস-৭৭১ নম্বর দাগে ২৩ শতক সম্পত্তি রয়েছে, এর মধ্যে ৪ শতক সম্পত্তি রাস্তার মধ্যে পড়েছে।

জানা গেছে, মালশিরা গ্রামের মৃত সখাতুল্লাহ মন্ডলের পুত্র রজব আলী মন্ডলের কাছে থেকে ক্রয় করেছেন  চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত লহির উদ্দিন প্রামানিকের পুত্র আব্দুল হামিদ ওরফে মুন্তাজ ও এন্তাজ। যাহার দলিল নম্বর ১২২৫ তারিখ ১৯/০২/১৯৮৬ ইং। আদালতের আদেশ মুলে এসব সম্পত্তির খাজনা-খারিজও করা হয়েছে যাহার খারিজ কেস নম্বর (৭৩৩ IX-I) ২০২২-২৩ এবং (১০১২IX-I)২০-২২-২৩। উক্ত সম্পত্তির ওপর ১৬টি দোকান ঘর রয়েছে। কিন্ত্ত বিগত ২০১৮ সালে লহির মন্ডল মারা গেলে  তার দুই পুত্র আলতাজ ও আতাউর উক্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে নানা অপতৎপরতা শুরু করে। এমনকি খারিজ বাতিলের আবেদন করেছেন। হাটের ব্যবসায়ী তৌহিদুল, আসাদুল ও শাহীন বলেন, সম্পত্তির মালিক সুমন।কিন্ত্ত সুমনের দাদা মারা যাবার পর তার দুই চাচা আলতাজ ও আতাউর দোকানের ভাড়া আদায় শুরু করেছে, এমনকি আতাউর বিশাল সারের গুদাম করে রেখেছেন। এবিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন সুমন বলেন, তার দাদা মারা যাবার পর তার দুই চাচা আলতাজ ও আতাউর উক্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এমনকি দোকান থেকে গত ৫ বছরে ভাড়া বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকায় তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। শুধু তায় নয় দোকানদারকে হুমকি দিয়েছে তারা যদি সুমনকে ভাড়া দেন তাহলে তাদের দোকান ছেড়ে দিতে হবে। আবার কয়েকজনের কাছে থেকে জামানত বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। এছাড়াও তিনটি পুকুরের কোনো হিস্যা দিচ্ছে না, আবার আলতাজ মিথ্যা তথ্য দিয়ে মালশিরা মৌজার বড় পুকুর অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছে। সুমন বলেন, আলতাজ ও আতাউরের চাপে তার বাবা অকালে মারা গেছে তবে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে এক চাচাকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে রেখেছে আলতাজ ও আতাউর যা গ্রামের সকল মানুষ জানেন। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আলতাজ উদ্দিন প্রামানিকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আতাউর রহমান প্রামানিক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ভাতিজা সুমন জালিয়াতি করে এসব সম্পত্তি খাজনা-খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, খাজনা-খারিজ বাতিলের আবেদন করা হয়েছে, আগামিতে শুনানি হবে।এছাড়াও যে তহসিলদার খাজনা-খারিজ করেছে সে এখন জেল-হাজতে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০১৮ সালে আলতাজ ও আতাউরের পিতা লহির উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকে ভাতিজা সুমনের উপর মানুষিক নির্যাতন শুরু হয়। শুধু মাত্র সম্পদ নিয়েই চলে এমন অমানবিক নির্যাতন। সুমন একজন এতিম ছেলে। আলতাজ ও আতাউর আপন চাচা। তারা আগলে রাখবে ভাতিজাকে। সেটা না করে মৃত ভায়ের সম্পদ কিভাবে দখল করা যায় এচিন্তায় মরিয়া। তাদের তো টাকা ও সম্পদের অভাব নাই। তাহলে আপন ভাতিজার সাথে এমন নির্যাতন কেন। যারা নিজের ভাই ভাতিজার সম্পদ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে, তারা কিভাবে জনগণের প্রতিনিধির স্বপ্ন দেখান।

আরও খবর



ধ্বংসের পথে গাংনীর বামুন্দি কাচারী বাড়ি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:ব্রিটিশ বেনিয়াদের অত্যাচার, নিপিড়ন ও নির্যাতনের স্মৃতি চিহ্ন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দি কাচারী বাড়ি ধ্বংস হতে চলেছে। সংস্কারের অভাবে একদিকে যেমন কাচারী বাড়িটির সৌন্ধর্য হানী ঘটেছে তেমনি অন্যদিকে মাদকাসক্ত ও চোরেরা গুপ্ত ধনের আশায় বাড়ির মেঝে খুড়ে নিয়ে গেছে মূল্যবান মার্বেল পাথর ও ইট। অপর দিকে প্রভাবশালীরা বেশ কিছু সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। সংরক্ষণ ও সংস্কার করলে এটিও হতে পারে পর্যটক কেন্দ্র হতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসি।

যতদুর জানা যায়, দেশ বিভাগের আগে কুখ্যাত নীলকর জেম্ধসঢ়;স হীলের পতনের পর কলকাতার বিখ্যাত জমিদার বটকৃষ্ণ রায় চৌধুরী অত্র এলাকার ইজারা গ্রহণ করেন। চলতে থাকে তার জমিদারী কার্যক্রম। এসকল কার্যক্রমের জন্য বামন্দী কাচারী বাড়ীটিকে বেছে নেয় জমিদার বটকৃষ্ণ রায় চৌধুরী। এখানে রয়েছে সুরক্ষিত শয়ণ কক্ষ, নাচ ঘর, কয়েদখানা এবং উঠানে রয়েছে মৃত্যুকুপ। প্রচলিত আছে জমিদারের খাজনা বা কর দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কিংবা খাজনা দিতে দেরী হলে চাষীদেরকে নির্মম নির্যাতন শেষে মৃত্যুকুপে নিক্ষেপ করা হতো। জমিদারের নায়েব গোমস্তাদের কু-দৃষ্টি থেকে রেহায় পায়নি এলাকার সুন্দরী রমনীরাও। তাদের কে ধরে এনে আমোদ-প্রমোদ শেষে হত্যা করা হতো। আবার অনেক রমনীকে বাইজি বা রক্ষীতা হিসেবে রাখা  হতো। কেউ যদি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো তাহলে তাকেও হত্যা করে মৃত্যু কুপে নিক্ষেপ করা হতো। কাচারী বাড়ির মূল ফটকের পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে ঘোড়ার ঘর।

পরবর্তীতে জমিদার বটকৃঞ্চ রায় চৌধুরীর কাছ থেকে ক্রয় সুত্রে জমিদারীর মালিক হন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার খেমেরদিয়াড়ের বিনোদ বিহারী বাবু । দেশ স্বাধীন পর্যন্ত তারা জমিদারী পরিচালনা করেন। দেশ বিভাগের আগ থেকেই কাচারী বাড়িটির দু’টি কক্ষে কাচারী কার্যক্রম পরিচালিত হতো। সে নিয়মেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বামুন্দি ইউপি ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে ওই কাচারী বাড়িতে। গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম জানান, কাচারী বাড়ির আওতায় ১৬ একর জমিতে ৩.১৫ একর আমবাগান, ধানী জমি ০.৮৪ একর, পুকুর ২.২১ একর, বাড়ি ০.৫৩ একর ও ০.৩০ একর জমিতে তহশিল অফিস অবস্থিত। আমবাগান ও আমবাগান সংলগ্ন কিছু জমিতে রাজস্ব বিভাগ ইজারা প্রদান করেছে। হাটের পার্শ্বে ১ একর ৩০ শতক জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দবর দখল করে নিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকেই গুপ্তধনের সন্ধানে কাচারী বাড়ির বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করা হয়। সংস্কার আর সংরক্ষণের অভাবে বাড়িটির স্থাপনাগুলো দিন দিন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রভাব শালীদের ইন্ধনে মাদকাসক্তরা ভবনের ইট কাঠ খুলে নিয়ে যায়। ইতিহাস ঐহিত্য সমৃদ্ধ কাচারী বাড়িটি দেখতে দুর দুরান্ত থেকে এখনও অনেক পর্যটক আসেন। স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগন আসেন শিক্ষা সফরে। আবার বিশেষ দিনগুলোতে অনেকেই এখানে আসেন সময় কাটাতে । এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি ইতিহাসের সাক্ষী কাচারী বাড়িটি সংস্কার আর সংরক্ষণ করে এখানেও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করা হোক।


আরও খবর