Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

মাগুরায় ঝড়ে পৌরসভার ইফতার মাহফিল পন্ড ফিরে গেল ৫ হাজার রোজাদার

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

সাইদুর রহমান,মাগুরা: মাগুরা পৌর সভা  ২য় রমজান  শনিবার স্থানীয় আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৫ হাজার রোজাদারকে ইফতারের আয়োজন করে। ইফতারের পুর্ব মুহুর্তে ঝড় বৃষ্টিতে পন্ড হয়ে যায় সাজান ইফতার সামগ্রী। পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলের ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যথারীতি উপস্থিত হন  মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর।

মাহফিলে মাগুরার জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মশিউদৌলা রেজা,  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফম আব্দুল ফাত্তাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুন্সী রেজাউল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া   আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ রেজাউল ইসলাম, মাগুরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ৫ হাজার লোক আমন্ত্রীত ছিলেন। ইফতার সামগ্রী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় সবাইকে ফিরে যেতে হয়। এ ঘটনায় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র দুঃখ প্রকাশ করেন।


আরও খবর



তানোর পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনের প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনের প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মাস্টার রোল কর্মচারী দেলোয়ার বলে নিশ্চিত করেন মেয়র ইমরুল হক। আত্মসাতের ঘটনা জানতে পেরে মেয়র দেলোয়ারকে সে দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়ে কাজিম নামের আরেক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন মাস্টার রোল কর্মচারী এত টাকা কি ভাবে আত্মসাৎ করেন এটা নিয়ে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সাথে মেয়রের বিরুদ্ধেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কারন মেয়রের ইন্ধন ছাড়া এত টাকা গায়েব করা অসম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি তানোর পৌরসভা ভোটে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমরুল হক। দায়িত্ব পেয়ে তার আত্মীয় ধানতৈড় গ্রামের দেলোয়ারকে চুক্তি ভিত্তিক বা মাস্টাররোলে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ওই গ্রামের মৃত আওয়ালের পুত্র। দেলোয়ার জন্ম নিবন্ধনের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু পর থেকে জন্ম নিবন্ধনের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে তছরুপ করেন। সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়লে মেয়রসহ কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তারা জানান, জন্ম নিবন্ধনের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু বিগত ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে টাকা জমা না দিয়ে নিজের পকেটে রাখেন দেলোয়ার। শুধু তাই না নিবন্ধন নিতে আসা ব্যক্তিদের কাছে নানা তালবাহানায় অধিক টাকা আদায় করে থাকেন এবং  খারাপ আচরণ করেন। এসব নিয়ে মেয়রকে একাধিকবার বলা হলেও কোন গুরুত্ব দেন নি। না দেওয়ার কারনে ও মেয়রের ইশারায় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আমরা মনে করছি। কারণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কাজিমকে কোন কাজ করতে দেওয়া হত না। কিন্তু টাকা আত্মসাতের পর পুনরায় কাজিমকে কাজ করতে দেওয়া হয়েছে। 

অভিযুক্ত দেলোয়ার বলেন, আমি টাকা আত্মসাৎ করিনি, টাকা নিয়ে আলু কিনেছিলাম, আলু বিক্রি করে গত সপ্তাহে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা হয়। আপনি কার অনুমতি নিয়ে টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে ব্যবসা করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ধানে বাতাস দিচ্ছি পরে কথা বলছি। পরে আর কথা বলতে চাননি। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী ও সচিব সরদার জাহাঙ্গীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। এতদিন ধরে টাকা জমা হয়নি আপনি কেন জানতেন না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন মেয়র ভালো বলতে পারবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেয়র ইমরুল হক বলেন, আমি জানার পর টাকা ফেরত দিতে বলি, দেলোয়ার বলে আমি আলু কিনেছি বিক্রি করে টাকা ফেরত দিব। এজন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়নি। গত সপ্তাহে আলু বিক্রি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। ১০ টাকা কেজি আলু কিনে ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছে, ভালোই দান মেরেছে। আমি এ সুযোগ তাকে দিয়েছিলাম। দেলোয়ার বলেছে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে আরো কয়েক লাখ টাকা পাবে জানতে চাইলে মেয়র জানান না এত টাকা হবে না বলে দায় সারেন তিনি।


আরও খবর



গাজীপুর সিটি নির্বাচন

জাহাঙ্গীরের মা যে প্রতীক পেলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: তফসিল অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম প্রতীক বরাদ্দ দিতে শুরু করেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। লটারির মাধ্যমে টেবিল ঘড়ি প্রতীক পেয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন।

এছাড়া জাতীয় পার্টির এম.এম নিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহ নূর ইসলাম রনি হাতি, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম মাছ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আতাউর রহমান হাত পাখা, জাকের পার্টির রাজু আহাম্মেদ গোলাপ ফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একজন থাকায় ওই ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়সাল আহমাদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। ওই ওয়ার্ডে চারজন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে ১৫ মে। শেষ দিনে মঙ্গলবার ৩৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ৩২৪ জন প্রার্থী তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।


আরও খবর



যৌতুকের টাকা না পেয়ে শাশুড়ীকে পেটালেন জামাই,থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: যৌতুকের টাকার জন্য হাতীবান্ধায় স্ত্রী,শাশুরী,শ্যালক,নানী শাশুরী সহ ৫ জন কে পেটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সোহাগের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই গৃহবধুর চাচা খাইরুল ইসলাম। প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, প্রায় দেড়বছর আগে উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের সহিদার রহমানের মেয়ে মিম আক্তারের সাথে সিংগীমারাী গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সোহাগের বিবাহ হয়। কিন্তু প্রায় সময় যৌতুকের টাকার জন্য সোহাগ তার স্ত্রী মিম আক্তার কে মারপিট করতো। শুক্রবার রাতে আবারো যৌতুকের টাকা দাবী করে সোহাগ তার স্ত্রীকে মারপিট করে। মিম আক্তার এর ছোট ভাই দেখতে গেলে তাকেও মারপিট করে।  

মোবাইল মাধ্যমে এ খবর শুনে মিম আক্তারের মা লাকী বেগম, খালা লাভলী বেগম ও দাদী ছকিনা বেগম দেখতে গেলে এক পর্যায়ে সোহাগ ও তার বাবা আবেদ আলী মা, চাচা যৌর্থ্য ভাবে পরার্মশ করে ঘড়ে দরজা বন্ধ করে সকলকেই এলো পাতারি মারপীট করেন,এতে  সকলেই আহত হয়। এ সময় মীমকে যেতে না দিলেও অপর আহতরা স্থানীয় লোকজনের সহয়তায় চলে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। মিম আক্তারের চাচা খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ শনিবার রাতে মিম আক্তারকে তার স্বামী সোহাগের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে সোহাগের বাবা আবেদ আলী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য যৌতুকের মিথ্যা অভিযোগ থানায় দিয়েছে। থানা অফিসার ইনর্চাজ শাহা আলম অভিযোগ পেয়েছে স্বীকার করে জানান অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



তানোর পৌরসভা মহিলালীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শিউলি সভাপতি নাসিমা সম্পাদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর: রাজশাহীর তানোর পৌরসভা মহিলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শিউলি রানীকে সভাপতি ও নাসিমা বেগমকে সম্পাদক করা হয়েছে। সোমবার বিকেলের দিকে পৌরসভা মহিলালীগের আয়োজনে গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। পৌরসভা মহিলালীগের সভাপতি শিউলি রানীর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মারজিনা পারভীন, সম্পাদক এডভোকেট নাসরিক আক্তার মিতা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সরকার( প্রদিপ), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, আওয়ামীলীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন, উপজেলা কৃষকলীগের সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক,  তালন্দ ইউপির চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু,পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আব্দুল মতিন, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি ফজলো রাব্বি ফরহাদ, কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি তানভীর রেজা প্রমুখ।

সকল অতিথি সম্মেলন স্থান ত্যাগ ও সন্ধ্যার  পর মহিলারা নব মনোনীত সভাপতিকে ধরে বসেন এই বলে যে আমাদেরকে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে দেওয়ার কথা, আমাদেরকে টাকা দিতে হবে নইলে স্বামী মারপিট করবে। এক প্রকার বাধ্য হয়ে সবাইকে ৫০ টাকা করে দেয় সভাপতি। কিন্তু যারা একাধিক মহিলাকে সম্মেলনে নিয়ে আসেন সে মোতাবেক টাকা না পেয়ে গালমন্দ করে চলে যান।

উপজেলা সভাপতি সোনিয়া সরদার জানান, আমাকে কোন লোড নিতে হবে না, কিন্তু সবাই চলে গেছে, আমি মঞ্চ, ডেকোরেশন ও মহিলাদের কিভাবে টাকা দিব। আমাকে দায়িত্ব দিলে এমন বিশৃঙ্খলা হত না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় পৌর এলাকার মহিলালীগ ও আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী রা উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



এ আর রহমানের গান বন্ধ করল পুলিশ, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: অস্কারজয়ী সুরকার, বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক এ আর রহমানকে মঞ্চে গাইতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুণেতে এমনই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।

এপ্রিলের শেষ দিনে রোববার পুণেতে ভারতীয় সংগীত তারকা এ আর রহমানের কনসার্ট ছিল। ওই দিন রাত ১০টায় স্টেজে ওঠেন তিনি। পরে কণ্ঠে যখন ‘ছাইয়াঁ ছাইয়াঁ’ গানটি ধরেন ঠিক তখনই গান বন্ধ করে দেওয়া হয় অস্কারজয়ী এ সুরকারের। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে জানা যায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই মঞ্চে উপস্থিত শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্র বন্ধের নির্দেশ দেন পুণের এক পুলিশ কর্মকর্তা। মাঝপথে থামিয়ে দেওয়ায় তড়িঘড়ি করে মঞ্চ ছাড়েন রহমান। এ ঘটনার পর চিৎকার শুরু করেন দর্শকরা।

এ ব্যাপারে গায়কের সহকর্মী জানিয়েছেন, সংগীতশিল্পীর দিকে আঙুল তুলে গান বন্ধ করতে বলে পুলিশ। সেই ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে ঝড় উঠেছে সঙ্গীতাঙ্গনে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মাত্রই গান শুরু করেছিলেন এর আর রহমান। হঠাৎ পুলিশ ঢুকে পড়ে সেখানে। পুলিশের এক কর্মকর্তা রহমানকে উদ্দেশ্য করে ঘড়ি দেখিয়ে গান থামাতে বলেন। রহমানও গান থামিয়ে দেন। আয়োজক এবং ব্যান্ডের বাকি সদস্যদের অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরা চিৎকার শুরু করেন। তারা আরও গান শুনতে চাইছিলেন। কিন্তু সেখানে বাধা আসে পুলিশের।

জানা গেছে, শোয়ের সময়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু নির্দিষ্টি সময় পেরিয়ে যেতেই পুলিশ হাজির হয়ে অনুষ্ঠান থামিয়ে দেয়। তবে এভাবে মাঝপথে গান বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি অনেকে। নিন্দার ঝড় ওঠে নেটপাড়ায়। এমন এক বিশ্ববন্দিত শিল্পীর সঙ্গে কেন আরও একটু সংবেদনশীল আচরণ করা হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

পুণের রাজা বাহাদুর মিল এলাকায় আয়োজিত এ কনসার্টে হাজারেরও বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে পুণে পুলিশের ডিসিপি (জোন ২) এস পাতিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ আর রহমান শেষ গানটি গাইছিলেন। উনি খেয়াল করেননি সময় ১০টা পেরিয়ে গেছে। তাই অনুষ্ঠানস্থলে আমাদের যে পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন, বাধ্য হয়ে স্টেজে উঠে তাকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে দেন। তখন অবশ্য শিল্পী গান বন্ধ করে দেন।’


আরও খবর