Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মাগুরায় দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৩৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:পিআই বি জার্নালিষ্ট অ্যসোসিয়েশন ঢাকার উদ্যোগে দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা ২৯ জুলাই শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। মাগুরা রিপোটার্স ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় মাগুরা সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষন কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি কামরুল ইসলাম। অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক অধ্যাপক সাইদুর রহমান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা পাভেল দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাগুরা রিপোর্টার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী। প্রশিক্ষন কর্মশালায় ঢাকা থেকে আসা প্রশিক্ষক ছাড়াও মাগুরার প্রথম আলো প্রতিনিধি কাজী আশিক রহমান, সময় টিভির মাগুরা প্রতিনিধি ইলিয়াস মিথুন প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রশিক্ষন হছে দক্ষতা অর্জনের উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। তিনি বলেন,  প্রশিক্ষন হচ্ছে দক্ষতাকে আরো ধারাল করে। শিক্ষার যেমন শেষ নেই, দামনি দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষনের বিকল্প নেই। তিনি বারবার প্রশিক্ষন গ্রহনের আহবান জানান। প্রশিক্ষন শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে জেলা প্রশাসক সনদপত্র বিতরণ করেন।


আরও খবর



হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে গরু বাহী ভটভটির (শ্যালোচালিত ইঞ্জিনের) ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর নিহত হয়েছেন।শুক্রবার দুপুরের দিকে হিলি-বিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বটতলী নামকস্থানে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন,নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে হাকিমপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (তদন্ত ওসি )এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হিলি থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাওয়ার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরুবাহী নসিমনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু। ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী নসিমন জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আফতাব নগরের কুরবানির পশুর হাটের ইজারা নিয়ে চলছে নানান নাটকিয়তা। এছাড়াও রয়েছে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ। গত কয়েক বছর ধরেই সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও প্রভাব খাটিয়ে হাট বাগিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া আফতাব নগরের গরুর হাটের টেন্ডার দেওয়ার কিছুদিন আগ থেকেই সম্পত্তি বিভাগের সামনে এবং আঞ্চলিক অফিসে প্রতিদিন ক্ষমতা দেখিয়ে ‘মহড়া’দেয় মেহেদীর ক্যাডারবাহিনী বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে যাদের ক্যাডারবাহিনী নেই সেসব ইজারা প্রার্থীর পক্ষে নির্বিঘ্নে দরপত্র জমা দেয়া সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গরুর হাটগুলো ইজারার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের আয়ত্বে রাখতে সব সময়ই নেওয়া হয় নানা কৌশল। ঘুরে ফিরে একই সিন্ডিকেটের সদস্যরা পশুরহাটের ইজারা পাচ্ছেন। কারণ একই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামে-বেনামে নামমাত্র মূল্য দিয়ে দরপত্র জমা দিয়ে থাকেন। যে কারণে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত দামে ইজারা পেতে সহজ হয়ে যায়। এতে প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারায়।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসাতে দেওয়া পৃথক ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৮মে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই থেকে এইচ পর্যন্ত এবং সেকশন ১ ও ২–এর খালি জায়গাসহ ১১টি স্থানে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ইজারা আহ্বান করা হয়। ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাট বসার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জানা গেছে, গত বছর সিটি কর্পোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের কারণে রাজধানী ঢাকার অস্থায়ী ২৬টি কুরবানি পশুর হাট থেকে শত কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে ডিএনসিসি-ডিএসসিসি। হাটগুলো থেকে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা হাসিল উত্তোলন করেছে ইজারাদাররা। অথচ হাটগুলোর ইজারা থেকে পেয়েছে মাত্র সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। এছাড়াও হাট নিয়ে রয়েছে দুই সিটির মধ্যে টানাপড়েন। আফতাব নগরে অস্থায়ী পশুর হাটও রয়েছে।

দুই সিটি কর্পোরেশনের দাবি- হাটের এলাকা তাদের সীমানায় পড়েছে। মূলত জায়গাটি দুই সিটি কর্পোরেশনের সীমান্ত এলাকায় পড়েছে। সামনের জায়গা ডিএনসিসির এবং পেছনের জায়গা ডিএসসিসির।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো.মাহে আলম বলেন, সীমানা নির্ধারণী গেজেট অনুযায়ী যেখানে আফতাব নগর হাট বসানো হয়, তার বেশির ভাগ অংশ ডিএসসিসির আওতাভুক্ত। এজন্য আমরা এবার ডিএনসিসিকে ওই স্থানে হাট ইজারা না দেয়ার অনুরোধ করেছি।ডিএনসিসি যদি আমাদের অনুরোধ না শোনে তাহলে ওই এলাকার দুটি হাট ব্যবস্থাপনা কঠিন হবে। 

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহে আলম বলেন, আফতাব নগর হাট বহু বছর ধরে ডিএনসিসি ইজারা দিচ্ছে। গত বছর বিশেষ কারণে ডিএনসিসি বরাদ্দ দেয়নি, তবে এবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২টি হাটের জন্য প্রথম দফার ইজারা কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলেও দক্ষিণ সিটির ১৪টি হাটের ইজারা নিয়ে এখনো চলছে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। এ হাটগুলোর জন্য টেন্ডার আহ্বানের পর থেকেই আগ্রহী প্রার্থীরা চালান কাটা শুরু করলেও তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সিডিউল সংগ্রহ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, দক্ষিণ সিটির ১৪ হাটের জন্য ৩০ এপ্রিল টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে উত্তর সিটির ১২টির অস্থায়ী হাটের টেন্ডার বাক্স খোলা হয়েছে গত ৩০ এপ্রিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, গত তিন বছর ধরেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী হাট ইজারা নিয়ে চলছে অনিয়ম আর দুর্নীতি।

ইজারা মূল্যের চেয়ে সে বছর ওই পশুর হাট থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেশি হাসিল আদায় হয়। ডিএসসিসি গত বছর এ হাটের ইজারামূল্য নির্ধারণ করে মাত্র ১০ লাখ ৩ হাজার টাকা। এবারো হাট ইজারা একই প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যাতে করে সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



পুলিশের ইউনিফর্ম আমার কাছে পবিত্র আমানত--সার্জেন্ট মাসুদ রহিম

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরা ট্রাফিক জোনে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট মাসুদ রহিম বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি প্রেরণার বাতিঘর বললে হয়তো বা ভুল হবে না। ট্রাফিক পুলিশের এই  অফিসার বর্তমানে ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তার মেধা, যোগ্যতা, সাহসীকতা ও দক্ষতা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।সততাও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় স্বপ্রনোদিত হয়েও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সার্বিক সহযোগিতা, বয়স্ক ও নারী শিশুদের সড়ক পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা গেছে তাকে। মানুষকে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে থাকেন সার্জেন্ট মাসুদ রহিম। রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রোধে চালক হেলপারদের সচেতন করতে ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে কাজ করেন সবসময়।চাকুরী জীবনের প্রতিটি ধাপে কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে সফলতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি।

তিনি ডিএমপি ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেমরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে সফলতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণনে রেখেছেন। তার কর্মকালীন সময়ে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। তার সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্বপালন ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং সড়ক আইন ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে  তিনি রেখেছেন পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর।মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিক নানা সমস্যার সম্মুখিন হলেও কখনোই পিছু পা হননি তিনি। একশ্রেণীর অসংবেদনশীলতা ক্রমান্বয়েই এই সমস্যা গুলো প্রকট করলেও দমাতে পারেননি তাকে। 

বর্তমান প্রচন্ড দাবদাহে রোদে পুড়ে প্রতিকূল পরিবেশেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষভাবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখছেন সার্জেন মাসুদ রহিম।

কখনো ক্লান্ত হন কিনা? জিজ্ঞেস করলে হাসি মুখে জবাব দেন “যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই, পুলিশের ইউনিফর্ম আমার অহংকার"।

মাসুদ রহিম  একজন নির্ভীক মানবিক পুলিশ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব তিনি। সৎ, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠার সাথে দেশের একজন সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কখনোই কুসুমাস্তীর্ন ছিলো না এই কর্মবীর এই পুলিশ অফিসারের পথচলা। বাঁধা এসেছে বারংবার তবে অদম্য মনোবলে জয় করেছেন সকল বাঁধার দেয়াল।

তিনি আরো বলেন কর্মক্ষেত্রে, পেশাগত দায়িত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসার জায়গায় অধিষ্ঠিত রেখেছি।  কাজের স্বীকৃতি থাকুক বা না থাকুক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরো অনেক দূর যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগীতায় বহুদূর এগিয়ে যেতে চান তিনি।পুলিশের পেশায় যোগদানের পর  ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রোববার (৫ মে) ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।

২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।


আরও খবর



বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪] অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ (২৬ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৩টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি অনবদ্য থিয়েটার পারফরমেন্স ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’ পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ‘অদম্য শিল্পোৎসব’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, সেখানে আইআইডি’র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য সহ আরও নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় । এছাড়াও থিয়েটার পারফরমেন্স, প্যানেল আলোচনা, ফিল্ম প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রেআই থিয়েটার কোম্পানির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট, ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসিরুদ্দীন ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের অংশ এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। বাংলাদেশের শিল্পকলা খাত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরিই এই বহুস্তরীয় ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য। বৃহত্তর সমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে এনে সংযোগ স্থাপন করা এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার ও আইআইডির (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে চালু হয় প্রকল্পটি।

আয়োজনের প্রথম দিনে অতিথিদের জন্য রমেশ মেয়াপ্পানের ‘৭১ ইন সাইলেন্স’, মোস্তাফিজ শাহিন পরিচালিত ‘সার্কাস সার্কাস’, কাজী নওশাবা আহমেদের ‘ত্রিবেণী’, এশা ইউসুফ ও রফিকুল ইসলামের ‘কেন্দ্র বরাবর সুড়ঙ্গটির নাম পৃথিবী’ এবং কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর থিয়েটার অফ দ্য অপ্রেসডের পরিচালক সঞ্জয় গাঙ্গুলির ‘ওয়েস্টল্যান্ড- এ জার্নি’, এই ৫টি থিয়েটার প্রযোজনা পরিবেশিত হয়। প্রথম দিন ‘ডিজেবিলিটি রিপ্রেজেন্টেশন ইন দ্য আর্ট সেক্টর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিল্পকলা সহ সমাজের নানান স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী দিনে আরও ৫টি থিয়েটার প্রযোজনার আয়োজন করা হবে - শামীম সাগরের ‘অতঃপর করিম বাওয়ালি’,সামিউন জাহান দোলার ‘সঙ্গতি’, আল জাবিরের ‘কাজলরেখা’, ড. আমির জামানের ‘পিতৃগণ’ ও অসীম দাশের ‘স্বপ্নকাহন’। এছাড়া, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ ও ‘ফান্ডিং ইনক্লুশন ফর ডিজ্যাবিলিটি আর্টস’ এই দুইটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ প্যানেল আলোচনায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তাদের বেশিরভাগই বুদ্ধি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সৃজনশীলতার দিক থেকে অনেক সময়ই বেশি যদি তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা থিয়েটার, আইআইডি, এবং এই অনবদ্য আয়োজনের সাথে যারা জড়িত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার ভিত্তিতে পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগ ও অনুশীলনের সুযোগ তৈরি করতে যুক্তরাজ্য সারা বিশ্বে কাজ করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প ও এই উৎসব বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিভা ও অর্জনকে উদযাপন করা এবং একটি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার সুযোগ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্বোধন করতে পেরে আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত; যা আমাদের ডেয়ার প্রকল্পের একটি চূড়ান্ত আয়োজন। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের ডেয়ার প্রকল্পটি বাংলাদেশি থিয়েটার সংস্থাগুলো ও দেশব্যাপী ডেয়ার শিল্পীদের সক্ষমতা তৈরি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুশীলন চর্চা, নীতিমালা পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেবিলিটি আর্ট থিয়েটারকে মূলধারায় আনয়নে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করায় সরকার ও সকল অংশীদারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বলেন, “২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার থিয়েটারের সাথে ডিজেবিলিটি আর্টকে একীভূত করার ক্ষেত্রে ঢাকা থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নানান প্রতিবন্ধকতা এবং নিত্যনতুন বাধা আসার পরেও প্রতিবন্ধী শিল্পী, প্রশিক্ষক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের অব্যহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছি আমরা; আর এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সফল আয়োজন তারই প্রমাণ।”

এই আয়োজন থেকে অতিথিরা অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে বোঝার সুযোগ পান; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পের যাত্রায় তাদের অতিক্রান্ত বাধাগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।


আরও খবর