Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

মাগুরায় বোরো প্রনোদনায় অর্ধকোটি টাকা বিতরণে অনিয়ম কৃষকরা বঞ্চিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৩৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় বোরোধান চাষে কৃষি প্রনোদনায় অর্ধকোটি টাকা বিতরণে অনিয়মের কারণে কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয় গেছে।

 চলতি  বোরো মৌসুমে মাগুরা জেলায় খাদ্য উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ১২ই নভেম্বর ১৫ হাজার কৃষকের মাঝে উফশি জাতের ধান বীজ ও সার  প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অনুমোদনের পর ১৪ নভেম্বর জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি উপজেলা ভিত্তিক বিভাজন করে দ্রুত তালিকা করে বিতরণের নির্দেশনা দেয়। বিভাজনে মাগুরা সদর উপজেলায় ৬ হাজার ২ শত প্রান্তিক কৃষককে এর আওতায় আনা হয়।

অনুমোদনের ৩৭ দিন পরও ৪৪ লাখ টাকার প্রনোদনার বীজ সার বিতরণ হয়নি সদর উপজেলায়। ইতোমধ্যে জেলার প্রায় শতভাগ বোরো বীজতলা কৃষকদের ব্যক্তিগত খরচে সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক সরকারের এই প্রনোদনা বীজ, সার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

গত ১৯ ডিসেম্বর শতাধিক কৃষক উপস্থিতিতে বীজ, সার বিতরণ উদ্বোধন কররা হয়। এ সময়  ৫/৭ জনের ভুয়া স্বাক্ষর করে সার বীজ ভ্যানে করে নিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। জানা যায় চলতি মৌসুমে প্রণোদনার হাইব্রীড বীজ কৃষকের বীজতলাতেই নষ্ট হয়েছে। কারণ হিসেবে নিম্নমানের বীজ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

উপজেলার ছোনপুর গ্রামের কৃষক শাহেব আলী (৬৫) জানান, সরকারি কোনও সহায়তা আমি পাইনি। পাঁচ বিঘা জমিতে ধান রোপন করবো। নিজের টাকায় ধান বীজ কিনে চারা দিয়েছি। যারা নেতাদের সাথে ঘোরে তারা সরকারি সহায়তা পায়। কিন্তু তারা চাষ করে না।

একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৬২) বলেন, শুনেছিলাম আমার নামে নাকি সার-বীজ দেওয়া হবে কিন্তু পাইনি। নিজের টাকায় বীজ-সার কিনে বীজতলা তৈরি করেছি।

ছোনপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৬৮) জানান, আমি দুই একর জমিতে ধান লাগাই কোনদিনও সরকারি কোন সহায়তা পায়নি কৃষি অফিস থেকে আমাদের কাছে কোন দিন কেউ আসে না।

আবু সাঈদ নামে এক ইউপি সদস্য জানান পূর্বে কৃষকদের মাঝে যে হাইব্রিড বীজ প্রদান করা হয়েছে তার ৫০% বীজ না গজানোর কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। পরে কৃষকরা বীজ কিনে বীজতলা তৈরি করেছেন। তিনি আরও বলেন, উফসি জাতের যে বীজ দেওয়া হবে তা  কোন কাজে লাগবে না। 

অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষকের ভূয়া তালিকা এবং এক ব্যক্তির একাধিক স্বাক্ষর করে উপকরণ নেওয়ার অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানালেন অভিযুক্ত সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন কবির।

মাগুরা জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, একজন কৃষক একটি সাক্ষরের বেশি করতে পারবে না। যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে  আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১২৭ জন কর্মকর্তাকে প্রশাসনে কর্মরত যুগ্মসচিব ও সমপর্যায়ের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

সোমবার (২২ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল আইডি উল্লেখ করে ং[email protected]-তে যোগদানপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ১২ মে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১১৪ কর্মকর্তা জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:“শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে বিষয়কে  রেখে খাগড়াছড়িতে  মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপিত হয়েছে।

বুধবার (১ মে) সকালের দিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল  থেকে বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে একটি  র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  টাউন হলে এসে র‌্যালিটি শেষ হয়। পরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।

বক্তারা  বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থসামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের ঘামে দেশ বাঁচে, শ্রমিকদের ঘামে দেশের অর্থনৈতিক টিকে থাকে। শ্রমিকেরা দেশের জন্য সম্পদ বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জোনায়েদ কবীর সোহাগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাঈমা ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, খাগড়াছড়ি  প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জিতেন বড়ুয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি জানু সিকদার, জাতীয় শ্রমিক লীগের খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শ্রমজীবী ও অন্যান্য সংগঠক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



তানোরে তামান্না হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ মজুদ ভারতীয় আলু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত তামান্না হিমাগারে রাখা কৃষকের আলুতে গাছ গজিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানি করা আলু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আমদানি করা আলু রাতের আধারে ঢুকানো ও বাহির করার কারনে গ্যাস সংকট। মুলত একারনেই আলুতে গাছ বের হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা । এতে করে অধিক টাকা খরচে কৃষকের রক্ত ঘামের আলু নষ্ট হওয়ায় মাথায় পড়েছে হাত। ফলে হিমাগার কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শতশত কৃষকরা। যার কারনে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।

কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরের পরে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, আলু রাখা সেটে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে আলু রাখা একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আলুতে ট্যাক বা গাছ গজানো দেখতে হলে সকালের দিকে আসতে হত। আলু সেটে ঢালার পর প্রায় আলুতেই এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি করে গাছ গজিয়েছে। প্রায় আলুর গাছ পরিস্কার করা হয়েছে। এজন্য এখন কম দেখা যাচ্ছে। গাছ গজানো আলু বিক্রি করা কষ্টকর এবং বাজার দামও কম হবে। কি কারনে গাজ গজিয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখছে আবার সেই আলু বাহির করছে। যার কারনে ঠিকমত গ্যাস দিতে পারেনি। মুলত একারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। এটার জন্য দায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ।  তারা আমদানি করা আলুতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  অধিক লাভের কারনে সাধারণ কৃষকের আলুর এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন । তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির আলু রাখা এক কৃষক সেখানেই ছিলেন, তিনি বলেন হিমাগার কর্তৃপক্ষই আলু নিয়ে মহা সিন্ডিকেট করে থাকেন প্রতিনিয়তই। আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে  সেটে ফেলার পর প্রতিটি আলুতে গাছ গজিয়ে পড়েছে। দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়েছে। আলু ভালো থাকার জন্য হিমাগারে রাখা হয় অথচ ভালো থাকার পরিবর্তে গাছ গজাচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর ও গত সপ্তাহের দিকে ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখার কারনে গ্যাস সংকট, সে কারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। তিনি আরো জানান, তামান্নাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে এবং বায়ার হিমালয় ও রাজেও রাখা আছে ভারতীয় আলু। 
আলু রাখা সেট থেকে যাওয়া হয় ম্যানেজারের চেম্বারে। সেখানে ম্যানেজার আব্দুল মান্নান ও  তার পাশে আরেকজন বসে ছিলেন। ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের কাছে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।  ভারত থেকে আমদানি করা আলু আপনার হিমাগারে মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তার পাশে থাকা আরেক ব্যক্তি বলেন, হিমাগারের বিষয়ে কিছু জানতে হলে তামান্নার হেড অফিসে চলে যেতে হবে।

সেখান থেকে বের হয়ে সেটে আসলে কালিগঞ্জ এলাকার এক কৃষক জানান সকালের দিকে শুনতে পেয়েছি হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজিয়েছে, আলু বিক্রি করব। কিন্তু গাছ গজালেতো দাম কম হবে। হিমাগার গুলো মহা সিন্ডিকেট শুরু করেছে। এহিমাগারে নাকি ভারত থেকে আমদানি করা আলু মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রাকের ট্রাক ভারতীয় আলু মজুদ রাখা আছে। তিনি আরেক বেপারিকে ডেকে বলেন ভারতীয় আলু কত বস্তা হতে পারে তিনি জানান নিম্মে হলেও ১০ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে। স্থানীয় ওই কৃষক আরো জানান, আমাদের  গ্রামের শ্রমিকরাই ভারতীয় আলু বাছাই করেছে।

তানোর পৌর এলাকার এক কৃষক মোবাইলে জানান, আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে তামান্না হিমাগারে যায়। গিয়ে দেখি যে সব আলু বের করে সেটে ঢেলেছে প্রায় আলুতে গাছ গজিয়েছে। গাছ গজানো আলু বাজার দর থেকে কম।  আমি বীজের আলুও রেখেছি, সে সবেও গাছ গজিয়েছে।

বেশকিছু প্রান্তিক আলু চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সব আলু গাছ গজিয়েছে ওই সব আলু সেটে ঢালার পর বাছাই করে বিক্রি করতে হবে। এজন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা।  
হিমাগারে ভাড়া লুজ, প্রতি বস্তা ৩২৫ টাকা,  কন্ট্রাক বুকিং প্রতি বস্তা ২৫০-৬০ টাকা, পেট বুকিং ২৩০-৪০ টাকা, লেবার খরচ প্লাটল বাবদ প্রতি বস্তা ২৫ টাকা, সেট খরচ প্রতি বস্তায়  ৩০ টাকা, লোড প্রতি বস্তায়  ৬ টাকা, ওজন প্রতি বস্তায় ৫ টাকা,কৃষক কে ঋন দিলে হিমাগার ২৮% সুদ নেয়, বাজার দর থেকে বাকিতে কৃষকের কাছ বস্তা প্রতি ৩০ টাকা বাড়তি নেয়।

এছাড়াও যে সব কৃষকরা একজনের নামে বুকিং কেটে ১০ জন মিলে হিমাগারে ৫ হাজার বস্তা আলু রাখলে মজুদদার হিসেবে হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা দিয়েছে । অথচ যারা ফড়িয়া ব্যবসায়ী হাজার হাজার বস্তা আলু মজুদ করে রেখেছে তাদের তালিকা দেয়নি হিমাগার কর্তৃপক্ষ। 

সুত্র জানায়, আলুর বাজার লাগামহীন হওয়ার কারনে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন সরকার । কিন্তু তামান্না হিমাগারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করার কারনে ভারতীয় আলু মজুদ করেছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক আলু চাষীরা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমরা তামান্না হিমাগার কে একাধিক বার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের তো অভিযান দেয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয় টি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



ডেমরায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজধানীর ডেমরা এলাকার সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। এখানে ট্রাফিক পুলিশ প্রচন্ড দাবদাহে পুড়েও নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছে।বাসের চালক- হেলপার সহ পথচারীদের সচেতন করা এবং ট্রাফিক আইন ও নিয়ম কানুন মেনে চলতে উৎসাহিত করছেন প্রতিনিয়ত। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো,অবৈধ পার্কিং নিরুৎসাহিত করা, দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন টিআই জিয়া।ডেমরা,ষ্টাফ কোয়াটার, হাজী নগর, বাঁশের পুল,দেইল্লা সহ আশেপাশের এলাকার ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, মিশুক নসিমন, করিমন ভটভটি, প্রধান সড়কে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে কঠোর নজরদারি রাখছে ট্রাফিক পুলিশ। 

ডিএমপি ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর নির্দেশে টিআই জিয়ার নেতৃত্বে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে সবসময় তৎপরতা চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কনষ্টেবল। অবৈধ পার্কিং করলে যানবাহন রেকার করে জরিমানা আদায় করছে। সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে যা কিছু দরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ষ্টাফ কোয়াটার এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া উদ্দিন বলেন,আমরা সবাই যদি ট্রাফিক আইন ও নিয়ম-কানুন মেনে চলি, তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবেই।’

তিনি আরো বলেন,ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটি জাতির সভ্যতার প্রতীক। সড়ক দুর্ঘটনারোধে চালক, মালিক ও পথচারীদের দায়িত্ব রয়েছে। সবাই সচেতন হলে ট্রাফিকের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত কাজ করছে।

এতসব ভালো কাজের পরেও নানা সময়ে বিভিন্ন মহলের বেআইনি অন্যায় আবদার রক্ষা না করায় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। কখনো অপপ্রচার চালিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়।

তবে সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ডেমরা ষ্টাফ কোয়াটার এলাকার ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনায় দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর

জিয়া।


আরও খবর



মধুপুরে দিন ব্যাপি দুগ্ধ উৎপাদন প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প(এল.ডি.ডি.পি) এর আওতাধীন প্রডিউসার গ্রুপ (পিজি)এর সদস্যদের নিয়ে ১দিন ব্যাপি দুগ্ধ উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১৫মে) সকালে মধুপুর উপজেলাধীন আশ্রা প্রাণিসম্পদ কৃষক স্কুল মাঠে এ দুগ্ধ উৎপাদন প্রশিক্ষনের আয়োজন করেন মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। 

মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কুমার পাল এর সভাপতি ত্বেউক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানা ও জেলা ট্রেনিং কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহীদুল আলম।

এসময় আরও অন্যান্য কর্মকর্তা সহ উক্ত পিজির ৪০জন সদস্য ও খামারিগন উপস্থিত ছিলেন। বক্তরা, দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গাভীর বিভিন্ন রোগ ও রোগের প্রতিকার বিষয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর