Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

মাগুরায় ১৬৪ হেক্টরে কালোজিরা চাষ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩২৭জন দেখেছেন

Image

সাইদুর রহমান,মাগুরা: কালোজিরা  দৈনন্দিন জীবনে ভীষণ অপরিহার্য। এটা শুধু মসলা জাতীয় ফসলই নয়, সব রোগের মহৌষধ হিসেবেও খ্যাতি আছে কালোজিরার।  

পুষ্টিমান ও ঔষধি গুণাগুণসহ কালিজিরা বহুগুণে গুণান্বিত। কালিজিরার তেল অতি উচ্চমানের বিভিন্ন অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড, যেমন- লিনোলেনিক (ওমেগা-৩), লিনোলিক (ওমেগা-৬), অলিক এসিড (ওমেগা-৯) সমৃদ্ধ। 

এছাড়া কালোজিরা তেলে বিভিন্ন সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড যেমন-মিরিস্টিক এসিড, পামিটিক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড, অ্যারাকিডিক এসিড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ কমায়। এমনকি কালোজিরা ফুলের মধুও অত্যন্ত উপকারী।

কৃষি অফিসের তথ্যে জানা যানা যায় চলতি মৌসুমে এবার মাগুরা জেলায় ১৬৪ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে  মাগুরা সদর উপজেলায় ১৭ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ১৬ হেক্টর, মহাম্মদপুর উপজেলায় ৫১ হেক্টর এবং শালিখা উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে কালোজিরার চাষ করা হয়েছে।

সব রোগের মহৌষধ কালোজিরা

সব রোগের মহৌষধ কালোজিরা

জেলার সফল কালোজিরা চাষি মাগুরা সদর উপজেলার নালিয়ার ডাঙ্গী গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী আক্কাস খান জানান, অগ্রহায়ণ মাসের শেষদিকে কালোজিরার বীজ বপন করতে হয়। এরপর তিন মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। সমতল, বেলে, দোঁআশ মাটিতে কালোজিরা ভালো হয়। চাষ, বীজ, সার ও পানি বাবদ বিঘাপ্রতি তিন হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ফলন হয় প্রতি বিঘায় তিন থেকে সাড়ে তিন মণ। বর্তমানে এক মণ কালোজিরা বাজারে ৯-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে কালোজিরার চাষ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছেন।

একই এলাকার সফল চাষি লাল মিয়া জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী কৃষক আক্কাস খানের পরামর্শ ও উৎসাহে তিনি কালোজিরার চাষ শুরু করেছেন। এবার তিনি ২৩ শতক জমিতে কালোজিরার চাষ করেছে। 

তিনি আশা করেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কাটা-মাড়াই শেষ করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন কালোজিরা। কম খরচে বেশি লাভের আশায় আগামীতে আরো বেশি বেশি করে কালোজিরার চাষ করবে এ গ্রামের কৃষকরা। কেননা কালোজিরা চাষ নতুন করে কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

সব রোগের মহৌষধ কালোজিরা চাষে ব্যস্ত কৃষক

সব রোগের মহৌষধ কালোজিরা চাষে ব্যস্ত কৃষক

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, আয়ুর্বেদী, ইউনানি ও কবিরাজি চিকিৎসায় কালোজিরা ও কালোজিরার তেল ব্যবহারের ব্যাপক প্রচলন আছে। আদিকাল থেকে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস ও ক্যারোটিন সমৃদ্ধ কালোজিরা বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

মাগুরার নালিয়ার ডাঙ্গি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী কৃষক আক্কাস খানের অনুপ্রেরণায় এবার অনেকেই কালোজিরার চাষ করেছে। কালোজিরা অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। জেলায় দিন দিন যেভাবে চাষিদের মধ্যে কালোজিরা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। তাতে আগামীতে কালোজিরা চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।


আরও খবর



ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যপক প্রচারণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দিন রাত দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে জয়ী হতে তারা তাদের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে হাট, বাজার, পাড়া মহল্লায় পথসভা,উঠান বৈঠক, মিছিল মিটিং করে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। পেষ্টারে ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিকাল হলেই শুরু হয় প্রার্থীদের নামে গান বাজনার তালে তালে গুনো কির্তন। দোয়া ও আর্শিবাদের পাশাপাশী নিজের মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে তারা।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ মোট ২১ জন বৈধ্য প্রার্থী মাঠে কাজ করছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, মতিউর রহমান রুবেল (উড়ো জাহাজ),রাশেদুজ্জামান রাশেদ (টিয়াপাখি), রোকনুজ্জামান রানা (বৈদ্যুতিক বাল্ব), রনজিৎ কুমার রায় (বই),জামাল উদ্দিন (মাইক), মাসুম বিল্লা (তালা), দিলিপ কুমার মুখোপাধ্যায় (টিউবওয়েল) এটিএম মিরাজুল কবির (চশমা), মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এখন জনমনে অপেক্ষার পালা ৮ তারিখের নির্বাচনে কে হতে পারে ভাইস চেয়ারম্যান। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৫শত ৭১। মোট কেন্দ্র ৭৫ এবং বুথ সংখ্যা হবে ৫শত ৮৫টি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নুরে আলম।


আরও খবর



হিলিতে ভুর্তুকি মূল্যে কৃষক পেল হারভেস্টার মেশিন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন সহায়তা আওতায় ৫০% ভুর্তুকিতে দিনাজপুরের হিলিতে কৃষক পেল কম্বাইন হারভেস্টার (ধানা কাটা) মেশিন। 

রোববার (৫ মে) বেলা ১১ টায় হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্তরে বোরো ধান কাটা মাড়াই করার জন্য হারভেস্টার মেশিনটি বিতরণ করা হয়।

ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টার মেশিনটি সংগ্রহ করেন উজেলার ১ নম্বর খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী ডাংগাপাড়া গ্রামের আব্দুল মামুদ হোসেন।

এসময় সেখানে হাকিমপুর উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা লায়লা ইয়াসমিন, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন, দিনাজপুর জেলা কৃষি ইঞ্জিনিয়ার আবু সামস মো: বদরুদোজা, উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন,এই হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কৃষকরা অল্প মূল্যে এবং একই মেশিন দিয়ে স্বল্প সময়ে ধান কাটা ও মাড়াই করতে পারবেন।


আরও খবর



ডোমার কাচাঁ বাজার ও মাছ বাজার নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে কাচাঁ বাজার ও মাছ বাজার নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠনিক ভাবে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ডোমার পৌরসভার সফল মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু। 

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান,  কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন, মিজানুর রহমান জুয়েল, ওহিদুল ইসলাম, দেলওয়ার হোসেন, আনারুল হক, উম্মেকুলছুম, হিসাব রক্ষক সিফাত করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণানালয়ের অধিনে বাজার উন্নয়ন প্রকল্প-৬১টির আওতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নুর কনস্ট্রাকশন ঢাকা কাজটি সম্পন্ন করবেন। মার্কেটে ৬টি লেনে উন্নত মানের পাঁকা ঘড় টিনসেট, টয়লেট, ব্লক ওয়াস ও ড্রেনেস ব্যবস্থা থাকবে। 

গত রমজান মাসে মার্কেটটি ভাঙা হয়, বর্তমানে দোকানীরা বাজারের পশ্চিমদিকে ভ্রাম্যমান দোকান সাজিয়ে ব্যবসা করে আসছে। এতে করে দোকানী ও ক্রেতারা চরম ভোগান্তিতে পড়তে। দ্রুত মার্কেটটি নির্মাণ হলে নতুন জায়গায় ব্যবসা জমজমাট হবে বলে এমনটি আশা করেন সাধারণ দোকানদার।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ'র যুগান্তকারী পদক্ষেপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৯১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃপেট্রো বাংলার অধীনস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিস্ময়কর প্রতিভা এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহারকারী ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় কোম্পানীর লোকসান কমে এসেছে বহুগুণ।রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। তিতাস গ্যাসের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কিছু কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদার।গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর স্থলে প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেন।সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কৌশলে সিষ্টেম লস কমাতে কাজ করে চলেছেন তিনি।প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।এ কারণে তার শত্রুর কোনো অভাব নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে যাদের স্বার্থহানি হয়েছে, সে সব স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে নানা মাধ্যমে।তবুও থেমে থাকেনি তার অগ্রযাত্রা। এ যাবত কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন। গত ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে তিতাস গ্যাস কর্মচারীদের পিকনিকের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ কর্মবীর লোক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। কোম্পানিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প সেক্টরে ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার রেকর্ড করেছেন তিনি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, বকেয়া আদায়ে,নিয়েছেন নানা যুগান্তকারী উদ্যোগ।সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা, সংস্থার হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ সময় উপযোগী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগ একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যেই , ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যে গুলো এখনো বাকি আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।

এছাড়াও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।

১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর তীরে বিরাট একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানি আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানি হিসেবে তিতাস গ্যাস আত্মপ্রকাশ করে। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করে দেয়ার পর১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহার মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের আবাসিক লাইনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ বলে তিতাস গ্যাসকে জাতীয়করণ করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।এই কোম্পানিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কয়েক প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে আগামী ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রসঙ্গ, বুধবার (৮ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোট উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এবার ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চার ধাপে দেশের উপজেলাগুলোতে নির্বাচন করছে ইসি।


আরও খবর