মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান: মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুচর গুলোতে প্রতিবারের মত এবারও বাদামের প্রচুর আবাদ হয়েছে। তবে খরতাপে পুড়ে যাচ্ছে বাদামগাছ। নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা চরের জমির বাদাম। এতে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
এদিকে খরার কারণে বাদাম উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। মধুমতি নদীর রায়পুর ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতি নদীর চরের মধ্যে শতাধিক বিঘা জমিতে চিনাবাদাম রোপণ করা হয়েছে। সেই বাদামের জমির অধিকাংশ বাদাম গাছ রোদে পুড়ে শুকিয়ে গেছে। ফলে জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাদাম।
রায়পুর গ্রামের কৃষক আসাদ মোল্লা জানান, গত বছর তিনি এক একর জমিতে বাদাম চাষ করেন। ভালো ফলন হওয়ায় এবার করেছেন দুই একর জমিতে। কিন্তু বৃষ্টি না আসায় প্রায় খেতের অধিকাংশ বাদামগাছ রোদে পুড়ে গেছে। লাভের পরিবর্তে এবার লোকসান গুনতে হবে।
হরিণাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সোবাহান মিয়া জানান, তাঁরা দুই ভাই মিলে ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে খেত শুকিয়ে বাদাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান বলেন, খরার কারণে বাদামগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। এটা প্রাকৃতিক বিষয়। বৃষ্টির পানির বিকল্প নেই।বৃষ্টি না হওয়ায় সৃষ্ঠ খরার কারণে এবার ফলন কম হতে পারে।