Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বচনে রানা আমীর ওসমানের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪১জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী রানা আমীর ওসমান তার পিতা ও  পৌর কবরস্থানে সাহিত সকল মোমিন মুসলমানের কবর  জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু করলেন। এসময় তার সাথে দলের নেতাকর্মী ও তার সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। রানা আমীর ওসমান আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে কার্যক্রম শুরু করলেন।


আরও খবর



আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জরিমানা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫১জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ফয়সাল দিদার দিপু নামের এক প্রার্থীর ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও সৈয়দপুর উপজেলার সহকারী কমিশন (ভুমি) আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই জড়িমানাও কারাদন্ডের আদেশ দেন। 

জানা যায়, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া মার্কা প্রতিক পেয়ে চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় শহরের শহীদ তুলশিরাম সড়কে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে মিছিল বের করেন।ওইসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আমিনুল ইসলাম তার টিম নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন নির্বাচনের আচরণ বিধি ভংগের অভিযোগে ওই প্রার্থীর ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং জড়িমানার টাকা অনাদায়ে একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে পুলিশি হেফাজতে পাঠান।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপু বলেন, আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিক হেলিকপ্টার হওয়ায় তার প্রবাসী ভাই ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে সৈয়দপুরে নির্বাচনী প্রচারনা চালান। তখন কিন্তু সৈয়দপুরের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেখেও জরিমানা করেন নাই।ভোটারদের কাছ থেকে ঘোড়া মার্কার প্রার্থীকে কিভাবে ছিটকে ফেলা যায় এজন্যই কৌশল গত ভাবে আমার জড়িমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। 

এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আমিনুল ইসলাম জানান,চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুর প্রতিক হলো ঘোড়া।একারনে তিনি আইন অমান্য করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়েছেন। আর একারনেই নির্বাচনী আচরন বিধি ভংগের অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জড়িমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। 

আরও খবর



বাড়ি ফেরা হলো না জাহিদের সড়কেই গেল প্রাণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃবাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না জাহিদের।সড়কেই গেল প্রাণ। দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৫২) নামের একজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) রাত ৯ টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের কলাবাগানস্থ মোড় এলাকায় এ দূঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৫২)বিরামপুর  উপজেলার ৭ নং পলিপ্রায়গ ইউনিয়নের টাঠকপুর (নয়াপাড়া) গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানান, নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রতিদিনের ন্যায় বিরামপুর বাজার থেকে বাইসাইকেল যোগে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর বাইসাইকেলে সজোর ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।  মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার তাহাজুল ইসলাম।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠায়। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পালিয়ে যাওয়া পিকআপ ভ্যানটি আটকের চেষ্টা চলছে। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ২লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ১৫টি অটোরিক্সা বোঝাই করে নিয়েগেছে চোরাকারবারী বুটকুন মিয়া, জাহেদ আলী ও জাহাঙ্গীর মিয়াগং।

অন্যদিকে এই সীমান্তের কড়ইগড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া পৃথক ভাবে ৫টি গরু, ২টি ঘোড়া, ১৫০বস্তা চিনি, ২৭৫ বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করে।

এছাড়াও নয়াছড়া, গারো ছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন, রুসমত আলী, মিলন মিয়া, জম্মত আলীগং প্রায় ২শ মেঃ টন কয়লা পাচাঁর করে অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে পরিবহন করে পাশে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজ ও তার আশে পাশে নিয়ে মজুত করে। একই ভাবে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী, মহিবুর মিয়া ও রুবেল মিয়াগং ঠেলাগাড়ি দিয়ে প্রায় ৫০ মেঃটন চুনাপাথর ও ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে একই স্থানে মজুত করেছে। অন্যদিকে পাশের লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, শাহিদাবাদ, পুরান লাউড় ও দশঘর এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী

বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং অবাধে কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পাচাঁর করলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একই ভাবে চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ১শ টন কয়লা, ৮০ বস্তা চিনি ও ১২০ বস্তা পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়া ও নজির মিয়াগং প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এছাড়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং প্রায় ৪হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে দুধের আউটা, বানিয়াগাঁও, তেলিগাঁও, লাকমা ও জামালপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘরে মজুত করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে চাঁনপুর সীমান্তের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- চোরাকারবারীরা সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার ফুছকা পাচাঁর করে অটোরিক্সা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকা লোক নিয়ে আটক করে, চাঁনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিতকে বারবার ফোন করার পরও রিসিভ করেনি। পরে চোরাকারবারীরা জোর করে মালামাল নিয়ে চলে যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি ৫০হাজার টাকা দিয়ে বিজিবিকে ম্যানেজ করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। সুনামগঞ্জ জেলার সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন-রাতে চোরাচালানের খবর পেয়ে লাউড়গড় ও চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বারবার জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত বলেন- রাতে আমি ক্যাম্পে ছিলাম, বাহিরে টহল ছিল। চোরাই পথে অবৈধ ভাবে কোন মালামাল পাচাঁরের খবর পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




জয়পুরহাটে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭১জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে ব্যয় সাশ্রয়ী খাদ্য ব্যবস্থাপনায় গরু মোটাতাজা করণ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় ও স্থানীয় সংস্থা জেআরডিএমের বাস্তবায়নে তেঘর বিশা এলাকায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দীন ও জেআরডিএমের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ খামারীরা উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সব দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব। স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাগুলো হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।


আরও খবর