সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্গণের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ছাত্রীদের নিয়ে এক প্রার্থীর অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল। এসব বিষয় তদন্ত করছেন নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান।
এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার গোসাত্রা এলাকায় গোসাত্রা ডাঃ জলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুনামধন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। পূর্বের ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ই এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে পাড়া মহল্লায়, আশপাশের বাজার ও চা দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচন। নির্ধারিত চারটি অভিভাবক সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৩ জন। হঠাৎ করে ওই এলাকায় ঢুকলে মুহুর্তের মধ্যে মনে হবে এটা কোনো জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কিন্তু এসব প্রার্থীদের মধ্যে সোহেল চৌধুরী, স্বপন, বেলাল হোসেন বিল্লাল, জাহাঙ্গীর আলম ও বজলুর রহমান নামে অভিভাবক সদস্য পদ প্রার্থীরা নিয়ম বহিঃভূত দেয়ালে স্টিকার লাগানোসহ নানাভাবে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্গণ করছেন।
এরই মধ্যে ছাত্রীদের নিয়ে এক প্রার্থীর অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল। তিনি নির্বাচিত হলে ছাত্রীরা অনিরাপত্তায় থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। এসব ঘটনায় অভিভাবক সদস্য প্রার্থী ফিরোজ কবীর বাদী হয়ে ওই পাঁচ অভিভাবক সদস্য পদ প্রার্থীর নামে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার থেকে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান।
অভিযুক্তদের মধ্যে বজলুর রহমান জানান, ওই স্ট্রিকারগুলো আমি লাগাইনি। আমার শত্রুপক্ষরা স্টিকারগুলো লাগিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সমাজসেবা অফিসে ডেকেছে, সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হবে। আর ছাত্রীদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিও বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের সামনে গিয়ে কথা বলবো।
ওই নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান জানান, আচরণ বিধি লঙ্গণের বিষয়ে পাঁচজন প্রার্থীর নামে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি প্রমাণিত হলে নির্বাচন বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।