নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরা থেকে লুট হওয়া ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকার বেশিরভাগই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৯ কোটি হতে পারে বলে ধারণা করছে তারা।
ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলের আশপাশের এলাকা থেকে আমরা লুট হওয়া বেশিরভাগ টাকা উদ্ধার করেছি। এখনো অভিযান চলছে।
কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মোট ৪ ট্রাঙ্ক টাকা লুট হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ ট্রাঙ্ক উদ্ধার হয়েছে। এখনো গোনা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ৯ কোটি টাকার মতো উদ্ধার হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকার গাড়িতে ছিনতাই হয়। সশস্ত্র একটি চক্র গাড়িটি ঘিরে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
গাড়িটি বুথে টাকা ঢোকাতে রাজধানী থেকে সাভারের ঢাকা ইপিজেডে যাচ্ছিল। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই গাড়িতে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিল।
অনলাইন ডেস্ক:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনি কেনার পর এবার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪০ টাকা লিটার দরে ১ কোটি ১০ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি এ বিপণন সংস্থার জন্য দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৩ টাকা লিটার দরে ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তেলের পাশাপাশি দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনা হবে।
আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় তেল ও চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকরপোরেশন (স্থানীয় এজেন্ট ওএমজি লিমিটেড) থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১২৯ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৪০ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। লিটার প্রতি দাম পড়বে ১৮২ টাকা ৬৫ পয়সা। সিটি এডিবল অয়েল কোম্পানি থেকে এই তেল কেনা হবে।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, জরুরি প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০৫ টাকা। ব্রান্ড শেয়ার ট্রেডিং লিমিটেড মাইডস থেকে এ চিনি কেনা হবে।
এর আগে, গত ১৭ মে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। দেশটির এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকরপোরেশন থেকে এ চিনি কেনা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা।
অনলাইন ডেস্ক:বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে আজ সোমবার ঢাকার স্থান দ্বিতীয়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ১৭৬ ছিল। এ বায়ু অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
এদিকে ১৯০ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। তৃতীয় অবস্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ, স্কোর ১৬৪। চতুর্থ অবস্থানে আছে চিলির সান্তিয়াগো, স্কোর ১৬৩।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়।
একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে তা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ‘ভালো’ মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হয়ে থাকে।
ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।
নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি—বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান সবচেয়ে বেশি খারাপ থাকে।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছেন নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে কয়েক শত মানুষ। এ ছাড়া ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ২৩ হাজার বাসিন্দা। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে এবং সংঘাতে ঘরছাড়া হয়েছে হাজার হাজার জন।
একই দিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক নিউজ চ্যানেলে বলেন, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি লোকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ
তবে বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটি থেকে দেশের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ বিমানে তাদের নিরাপদে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, মণিপুর থেকে অন্তত ৬০০ মানুষ পার্শ্ববর্তী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের প্রায় সবাই কুকি-চিন-মিজো জনগোষ্ঠীর মানুষ।
মণিপুর থেকে যেসব রাজ্য তাদের শিক্ষার্থীদের বা লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে সেগুলো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি বা মহারাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে সংঘাত থামলেও বর্তমানে রাজ্যটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অনেক রাজ্যই তাদের লোকদের মণিপুর থেকে সরিয়ে নিচ্ছে
এর আগে স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘাতে অনেক গাড়ি এবং ভবন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় সেনাবাহিনী নেমেছে এবং পাঁচদিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।
স্থানীয়রা বলছেন, তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায়। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফালের বাসিন্দা এল সানগ্লুম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা এখন আর আমাদের নিরাপদ মনে করছি না। কুকির সম্প্রদায়ের এ ব্যক্তি ইম্ফালের বিমানবন্দরের বাইরে তার পরিবারের ১১ সদস্যের সঙ্গে অবস্থান করছেন।
রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে
রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও বেশ থমথমে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এন বিরেন সিং জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে এক হাজারের বেশি বন্দুক লুট হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০০ টি উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, অস্ত্রগুলো ফেরত দেওয়া হলে রাজ্য অভিযান শুরু করবে।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরে মেইতেইরা মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। সেখানে নাগা ও কুকিরা ৪০ শতাংশ। এতদিন মেইতেইদের আদিবাসী বলে মানা হতো না।
কিন্তু এবার হাইকোর্ট তাদের সেই তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়। মেইতেইরা এতদিন ধরে ‘নোটিফায়েড' পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারতো না। কিন্তু এবার তারা পারবে। এ সিদ্ধান্তে অন্য আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হন। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগা ও কুকিরা গত সপ্তাহে প্রতিবাদ জানান, যা সহিংসতায় রূপ নেয়।
নিজস্বপ্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো শতভাগ মিথ্যা। যারা এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হোক।
আজ মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে নোটিশের জবাব দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুদক আজ যে স্বচ্ছতার সঙ্গে আমার সঙ্গে আচরণ করেছে, তারা যেন সবার সঙ্গে এটা করে, যাতে কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যারা অভিযোগ করেছে তাদের কোনো হদিস নাই। কাগজের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নাই। দুদক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। তারা রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে। সে হিসেবে দুদক এর আগেও আমাকে ডেকেছিল। আজও ডেকেছে। দুদক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি এসেছি। তারা যা যা জানতে চেয়েছিলেন, আমি সবগুলোর জবাব দিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘সরকার আমাকে দুটি প্রজেক্টে মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু দুদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ সব কাজ এখনো চলমান। অথচ লিখে দেওয়া হয়েছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ। যত মিথ্যা, অন্যায় ও অনিয়মের কথা কাগজে লেখা হয়েছে, যেগুলোর কোনো সত্যতা নাই। দুদক বলেছে, যেহেতু আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তাই সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তাদের আমি লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। আমি বলেছি এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার নামে একটি মিথ্যা ও ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখানো হয়েছে। এই ভুয়া ঘটনা কারা করেছে তার বিচার আমিও চাই। যাতে বাংলাদেশের আর কোনও নাগরিককে যেন আমার মতো হয়রান হতে না হয়।
তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষ আমার ওপর আগে যেমন আস্থা রেখেছেন, আমার মাকে নির্বাচিত করে সেটা আবার প্রমাণ দিয়েছেন।
ভুয়া ব্যাংক হিসাবে টাকা অবৈধ লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জবাব দিতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবরের নেতৃত্বে দুটি আলাদা অনুসন্ধান টিম জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করে। দুই টিমের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন ও মো. আশিকুর রহমান।
সহিদুল আলম বাবুল, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ও কর্মচারীরা রাজস্ব খাতে বেতন ভাতা প্রাপ্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে l আজ ১০ মে বুধবার সকাল ১১ টায় উলিপুর উপজেলা পরিষদের সম্মুখে উপজেলায় কর্মরত প্রায় শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী এক মানব বন্ধনে মিলিত হয় l এ সময় বক্তব্য রাখেন, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসান হাবীব l
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সর্ববৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ এবং জননন্দিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে নিয়োজিত মসজিদের ইমামগণ, শিক্ষিত বেকার, যুব সমাজ এবং শিক্ষিত মহিলাগন আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে পাঠদান করে শিক্ষার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে l এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তার ও কোর্স সম্পূর্ণকারী শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, সহিহ-ভাবে পবিত্র কুরআন শিক্ষা, বাল্যবিবাহ, মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে l প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বৃহৎ এ প্রকল্পটি জাতীয় স্বার্থে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য জোর দাবি জানানো হয় l মানববন্ধন শেষে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে মউশিক নেতৃবৃন্দ l