Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

লিটন কত টাকা পেলেন

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২০৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলের মাঝ পথে হঠাৎ পারিবারিক কারণে দেশে ফিরেছেন লিটন দাস। ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অভিষেক হলেও এক ম্যাচ খেলেই আপাতত ইতি হলো তার। ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন, লিটন কি আর ফিরবেন? তিনি মাঝের এই সময়টায় কেকেআরের সঙ্গে থাকার কারণে পুরো টাকা পাবেন? না কি তার বেতন কাটা হবে?

লিটনকে ৫০ লাখ রুপিতে  নিলামে দলে কিনেছিল কলকাতা, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৪ লাখ টাকা। দেশের সিরিজের ফাঁকে তিনি ভারতের উড়ে গেলেও সেসময় মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে কেকেআর। তার মধ্যে শুধু দিল্লি ম্যাচেই দলের হয়ে খেলেছেন লিটন। যদিও সেই ম্যাচে মাত্র ৪ রানে আউট হয়ে আর সুযোগ পাননি।

এদিকে কলকাতার সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার যদি দেশের হয়ে খেলার জন্য পুরো আইপিএল দলের সঙ্গে না থাকতে পারেন, তা হলে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি তাকে পুরো বেতন দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ নয়। এ ক্ষেত্রে যতগুলি ম্যাচে তাকে পাওয়া গিয়েছে (খেলা এবং না খেলা মিলিয়ে), ততগুলি ম্যাচের জন্য তাকে টাকা দেওয়া হবে।

এর ফলে  ৫০ লাখ রুপিতে লিটনকে কেনা হয়েছিল অন্তত ১৪টি ম্যাচে খেলার জন্য (কোয়ালিফায়ার বাদ দিয়ে)। সে ক্ষেত্রে প্রতি ম্যাচে লিটনের প্রাপ্য ছিল আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ রুপির আশপাশে। সে ক্ষেত্রে পাঁচটি ম্যাচের জন্যে সাড়ে ১৭ লাখ রুপির আশপাশে পেতে পারেন। সেখান থেকে আবার কর বাবদ টাকা কাটা হবে।

তবে লিটন আসলে কতটা টাকা পাবেন, সেটা জানা কার্যত অসম্ভব। এটি পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি এবং ক্রিকেটারের।


আরও খবর



স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হারপিক বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নে নিবেদিত এনজিও সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য অসহায় স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে একত্রে কাজ করা। সম্প্রতি গুলশান-১ এ অবস্থিত রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি- এর প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. ফজলুল হক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম, জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ও হারপিকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নুসরাত ইমরোজ তিশা, এশিয়াটিকের এ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সামিদা রশিদ আনিকা, গ্রুপ এ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ফারহান করিম, রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি-এর মহাব্যবস্থাপক ভিশাল গুপ্তা, মার্কেটিং ম্যানেজার সাবরিন মারুফ তিন্নি, সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার তাবাশ্বের আহমেদ এবং ম্যানেজার (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স) মো. রাকিব উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে স্যানিটেশন এবং বর্জ্যনিষ্কাশনের দায়িত্বে নিয়জিত কর্মীরা জনস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু অনেক সময় তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে হিমশিম খায়। জীবন ধারনের জন্য স্যানিটেশনের মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তাদের প্রায় প্রতিদিনই করতে হয়।

পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ও হাইজিন মেনে চলা স্যানিটেশন কর্মীদের জন্য অবশ্যই পালনীয় বিষয় হলেও প্রায়শই তা উপেক্ষিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে তারা বিভিন্ন চর্মরোগসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও বরন করে।

চুক্তি অনুযায়ী এই উদ্যোগের মাধ্যমে এক হাজার স্যানিটেশন কর্মী এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যবীমা ও স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে আগামী এক বছর স্যানিটেশন কর্মীদের পরিবার বীমা প্রিমিয়াম সহায়তা পাবে এবং তাদের পরিবারকে হাইজিন অভ্যাসে দক্ষ করার জন্য হারপিক স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতা সেশন পরিচালনা করবে। দেশের ২৫০টিরও অধিক হাসপাতালে তারা হারপিক স্বাস্থ্যসেবা কার্ড ব্যবহার এই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি বিশেষ করে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ এবং বছরজুড়ে হাইজিন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি-এর মহাব্যবস্থাপক ভিশাল গুপ্তা বলেন, বাংলাদেশে স্যানিটেশন কর্মীদের গুরুতর স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার চাহিদা পূরণের জন্য সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তি করতে পেরে আমরা গর্বিত। হারপিক বিশ্বাস করে- হাইজিন ও সুস্বাস্থ্য মানুষের অধিকার ও এটি কোন বিলাসিতা নয় এবং প্রত্যেকে মানুষেরই নিরাপদ পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারসুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমাদের সম্পদ ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাই।“

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসিএর মার্কেটিং ম্যানেজার সাবরিন মারফ তিন্নি বলেন, “হারপিক বাংলাদেশে ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করে আসছে। এই খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অন্যদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করা। আমরা যদি একসাথে কাজ করতে পারি তবে আমরা আরও বেশিকিছু অর্জন করতে পারবো। সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদার হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

আমাদের লক্ষ্য এই সহযোগিতার মাধ্যমে অসহায় স্যানিটেশন কর্মীদের কাছে পৌঁছানো। আশা করি একত্রে আমরা আগামী দিনে চাহিদাসম্পন্ন আরও বেশি মানুষের উপকার করতে পারবো আমরা।”

সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. ফজলুল হক বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীও ব্র্যান্ডগুলোর একটি হচ্ছে হারপিক এবং হারপিকের সাথে আমরা চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে বেশ আনন্দিত। সাজেদা ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সমাজ উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে বিশেষকরে স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে। আমার বিশ্বাস এই পার্টনারশীপের মাধ্যমে আমরা সমাজের স্যানিটেশন কর্মীদের জিবনে একটি ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারবো।

প্রসঙ্গত, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে, হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট কেয়ার ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের অবস্থান অক্ষুন্ন রেখেছে। হারপিক টয়লেট ক্লিনারের মার্কার নাম। আফ্রিকা,মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া-প্যাসিফিক, ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবী জুড়ে এটি পাওয়া যায়। ১৯৭৮ সাল থেকে, হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট-ক্লিনার ক্যাটগরির এক নম্বর ব্র্যান্ড।

ক্যাম্পেইনের ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুণঃ https://www.facebook.com/share/v/2umXRYFCCqZGbE3j/?mibextid=oFDknk


আরও খবর



মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ-

টাঙ্গাইলের মধুপুরে  কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মুল্যে তালিকা ভুক্ত কৃষকদের নিকট  কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) বিতরণ করা হয়েছে।রবিবার(৫এপ্রিল) দুপুরে মধুপুর উপজেলা কৃষি পূনর্বাসন কমিটির বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার শিবরামবাড়ী গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে  এ  কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। 


উপজেলা কৃষি অফিসার শাকুরা নাম্নী'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠা‌নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  জুবায়ের হোসেন।ভর্তুকি মূল্যে উপজেলার শিবরামবাড়ী এলাকার কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) হস্তান্তর করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে  উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা, সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। 


এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের  হোসেন বলেন, সরকারী ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে । এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ে অল্প খরচে জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে পারবে এতে শ্রমিক সংকট দূর হবে।মধুপুর  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী  বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সরকারের পরিচালনার বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মেশিনটি  ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকের  মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।কৃষক  আরিফ হোসেন জানান এ যন্ত্র পেয়ে সে  খুশি। এ মেশিনের কারনে  বর্তমানে খরচ কমে অর্ধেকে নেমে আসবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-৫

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কারাগারের নিউ জেলে এঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে দু’কাররক্ষী সামান্য আহত হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা অভ্যন্তরে হুইসেল বাজিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা কারা উপমহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টা যশোর কেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরের নিউজেল এলাকার সামনে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও আরেক সন্ত্রাসী সম্রাটের মধ্যে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় দু’গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শেষ মেষ তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সঙ্গে সঙ্গে হুইসেল বাজানো হয়। পরবর্তীতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার ও জেলার শরিফুল আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে খুলনা কারা উপমহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে, কারাগারের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দু’কারারক্ষী জখম হয়েছেন। তাদেরকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আহত হাজতিদেরও সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক কারাকর্তৃপক্ষ জড়িত সাত-আটজনকে চিহ্নিত করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। তাদের সাথে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দু’কারারক্ষী ও ৬-৭ জন হাজতি কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছেন।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঘটনাটি সামান্য। তবে, আকস্মিকভাবে তাদের একজন কারারক্ষী অ্যালার্ট হুইসেল বাজিয়ে ফেলেন। এতে করে বিষয়টি বড় আকারে রূপ নেয়। তিনি বলেন, মূলত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে শহরের দাগী কয়েকজন সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাইপো রাকিব অন্যতম। এদের দু’টি গ্রুপের সদস্যদের বাইরেই কোন্দল ছিল। যা কারাগারের ভেতরে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেছে। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, কারারক্ষীদের উপর হামলা চালানো হয়নি। মূলত তাড়াহুড়ো করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।


আরও খবর



ইতিহাস সৃষ্টি করে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তানভীর রেজা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তানভীর রেজা। গত ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল চার টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসার চশম প্রতীকের প্রার্থী তানভীর রেজা কে বে সরকারী ভাবে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। তানভীর ৩৮ হাজার ৫৩৭ ভোট পান এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে সোহেল রানা ভোট পান ২৪ হাজার ৬০১ টি। তালা প্রতীকের চেয়ে ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট বেশি পান চশমা প্রতীক। যে কজন প্রার্থী ছিলেন তানভীর রেজা সবার চেয়ে কম বয়সী। তিনি এত পরিমান ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করবেন কেউ ভাবতেই পারেন নি। তানভীর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং আজিজুর গ্রামে বাড়ি। অপর প্রার্থী সোহেল রানা সাবেক ছাত্র লীগ নেতা ও তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবু বাক্কার সিদ্দিকের কাছে পরাজিত হন। 

জানা গেছে, প্রয়াত এরশাদ সরকারের সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হত। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপি ও  ১৯৯৬ সালে আওয়ামী এবং ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বাতিল করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকারের সেবা গ্রামগঞ্জে পৌছে দিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সে মোতাবেক ২০০৯ সালে তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন চশমা প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা আব্দুর রহিম। ২০১৪ সালেও আব্দুর রহিম পুনরায় নির্বাচিত হন। এর পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এনির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবু বাক্কার সিদ্দিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এনির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সর্বকনিষ্ঠ তানভীর রেজা চশমা প্রতীকে নির্বাচিত হন।

ডলার নামের চশমা প্রতীকের এক কর্মী জানান, তানভীরের বয়স কম, তার সাথে সবাই কথা বলতে পারবে। কোন কাজ না করলেও তাকে অনেক কিছু বলা যাবে। কারন সে আমাদের বয়সের। তানভীর একেবারে কম বয়সে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
মোসারফ নামের আরেক কর্মী জানান, তানভীর বয়সে ছোট তাকে ভোট দিবে কিনা সন্দেহ ছিল। কিন্তু তাকে মানুষ এত পরিমান ভালোবাসা দিয়েছে কল্পনাতীত। আমার জানা মতে তার মত কম বয়সে ভাইস চেয়ারম্যান কেউ হতে পারেনি।

বিজয়ী প্রার্থী তানভীর রেজা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার এবিজয় উপজেলা বাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমি যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তার প্রতিদান অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। আমার দপ্তর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




ফিলিস্তিনে শিগগিরই খাদ্য সহায়তা পাঠাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খুব শিগগিরই আবারও ফিলিস্তিনে খাদ্য সহায়তা পাঠাবে বলে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরায়েলি আন্তর্জাতিক লবিস্টদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দলটির নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। কারণ এতে পশ্চিমারা রাগ করতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু ইসলামী দল নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে ভাষণ দিয়েছে। এখন তো নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখি না। তারা আসলে ইসলামের লোক নয়। তারা মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। তিনি আরও বলেন, আমেরিকায়, ইংল্যান্ডে বড় মিছিল হয়। আমাদের যুব মহিলা লীগ বড় মিছিল করে। অথচ ইসলামী দলগুলো যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে নেমেছিল তারা একটি বড় মিছিল করতে পারে না। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।


আরও খবর