Logo
আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

লিবিয়ায় নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:লিবিয়ার দেরনা শহরের আকাশ-বাতাস এখনো লাশের গন্ধে ভারি হয়ে আছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের কোনো খোঁজ মিলছে না।

সেখানে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শহরের কাছেই অবস্থিত একটি সেতু বন্যার পানিতে পুরোপুরি ভেসে গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মরদেহ পড়ে থাকায় তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াও এখন বেশ কষ্টসাধ্য। ঝাঁঝালো গন্ধে গা গুলিয়ে উঠবে আপনার, বিশেষ করে যদি কেউ বন্দরের দিকে যায় তবে বুঝতে পারবেন সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ।

হাজার-হাজার মানুষ, ঘরবাড়ি পানির স্রোতে ভেসে গেছে। যারা বেঁচে আছেন তাদের জীবনও পাল্টে গেছে। লোকজনের মধ্যে স্বজন হারানোর দুঃখ আর ক্ষোভ বাড়ছে। ফারিস গাসার নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা তার পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমাদেরকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল। তাদের বলা উচিত ছিল যে, ঝড় আসছে আর বাঁধটি নাজুক হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, কয়েকশ বছরের পুরনো ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা পুরোপুরি রাজনীতি। পশ্চিমে একটি সরকার, পূর্বে আরেকটি সরকার। এটাই আমাদের বড় সমস্যা। নিজের দশ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকেও হারিয়েছেন ফারিস গাসার। সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করতে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলোকে। দেরনা শহরের দুটি বাঁধ ও চারটি সেতু ধসে পড়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে। উদ্ধার কর্মীরা ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত মানুষের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত দিয়ে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম বলছে, শহরটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।

হাসপাতাল আর মর্গগুলো মৃতদেহে সয়লাব হয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়া। এর একটি সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত এবং এর রাজধানী ত্রিপলি। আরেকটি সরকার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

দেরনা শহরটি বেনগাজীর ২৫০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে। গাদ্দাফির পতনের পর এই শহরটি ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের একটি ঘাঁটি। পরে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এলএনএ তাদের বিতাড়িত করে। এলএনএ পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ জেনারেল খালিফা হাফতারের প্রতি অনুগত। প্রভাবশালী এই জেনারেল বলেছেন বন্যার কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি তারা নিরূপণ করছেন।

লিবিয়ার আল ওয়াসাত নিউজ ওয়েবসাইট বলছে, বহু বছর ধরে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট পুনর্র্নিমাণ বা সংস্কার না হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে লিবিয়ায়। তবে দুর্গতদের দিন কাটছে শোকে, স্তব্ধতায়, নিদারুণ অভাব আর সংকটে।

দেরনা শহরে যে পরিমাণ ওষুধ এবং খাবার পানি প্রয়োজন স্থানীয় বাসিন্দারা তা পাচ্ছেন না। যারা বাড়ি-ঘর হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা এখনো পৌঁছায়নি। দেরনা শহর থেকে লোকজনকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঝড়ের তাণ্ডবে তিনটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে একেবারে সমুদ্রে নিয়ে ফেলেছে বহু বসতি। এর জেরেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পচা দেহের গন্ধ ও স্বজন হারানো পরিবারের লোকেদের আর্তনাদ মিশছে বাতাসে। গণকবর দেওয়া হচ্ছে মরদেহ। পরিচয়ের অপেক্ষায় হাসপাতালে পড়ে আছে বহু লাশ।

গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে ভূমধ্যসাগরের ওপর তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর গ্রিসে রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটে। গ্রিসের জাগোরা গ্রামের একটি অংশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায় ১৮ মাসের বৃষ্টিপাতের সমতুল্য।

লিবিয়ার জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর তীব্রতর হয় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে ১৫০ থেকে ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ বন্যা। সবচেয়ে বেশি হয়েছে লিবিয়ার আল-বায়দাতে। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত রোববার ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ‘ড্যানিয়েল’ আছড়ে পড়ে লিবিয়ার উপকূলে। ‘ড্যানিয়েল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো বেশ কিছু শহর। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেরনা ও বেনগাজির। প্রবল বৃষ্টি ও বানের ফলে দেরনা শহর যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর



বিদেশে বসে যশোরের মেসকাত হত্যার নিল নকশা, নারীসহ দু’জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:পরকীয়া প্রেমিকা প্রবাসী নাজমা যশোরের মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন । এজন্য নাজমা বিদেশে বসেই মেসকাতকে হত্যা করতে রিক্তা বেগমের সাথে দুই লাখ টাকা চুক্তি করে। আর রিক্তা ঠিক করে ভাড়াটিয়া কিলার যশোর শহরের শংকরপুরের শাহীন ড্রাইভারকে। এরপর শাহীন ড্রাইভার কৌশলে মেসকাতকে মণিরামপুরে এনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে যায়। ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর এ হত্যায় জড়িত অন্যতম আসামি সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রিক্তা এসব তথ্য জানান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজমার বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মেসকাতের মোবাইল ফোন। নিহত মেসকাত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।

শনিবার ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, মেসকাত ও প্রবাসী নাজমা দু’জনেই যশোরের পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরই মাঝে বিদেশে পাড়ি দেয় নাজমা।এদিকে, মেসকাত নিজ এলাকায় চলে যান। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা। পরে সে নাজমাকে মোবাইল করে গালিগালাজ দেয়। এসব বিষয়ে ক্ষোভ তৈরী হয় নাজমা'র। এরপর সে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসময় নাজমা মেসকাতকে বলে ঝাউডাঙ্গা বাজারে তার সোনা রয়েছে সেই সোনা সাতক্ষীরার বাড়িতে পৌছে দিতে হবে। এ কাজে ঠিক করে শাহীন ড্রাইভারকে। শাহীন ড্রাইভার কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মৃতদেহ মণিরামপুরে এনে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত মেসকাতের ভাই এরশাদ আলী মণিরামপুর হত্যা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ।

শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মেসকাতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই দুই আসামিকে আটক করে।


আরও খবর



পত্নীতলায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্র‌তি‌নি‌ধি:আগামী ৮ মে আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা প‌রিষদ নির্বাচনের প্রথম ধা‌পে নওগাঁর পত্নীতলায় ৩টি পদে ৭জন প্রার্থী প্রতীক পেল মঙ্গলবার।

চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী প্রতীক পেয়েছেন ঘোড়া এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার প্রতীক পেয়েছেন মোটর সাইকেল।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ রাহাত প্রতীক পেয়েছেন টিউবওয়েল, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক দিলিপ চৌহান প্রতীক পেয়েছেন তালা এবং মিজানুর রহমান প্রতীক পেয়েছেন টিয়া।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা প্রতীক পেয়েছেন হাঁস এবং মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবিনা বেগম প্রতীক পেয়েছেন কলস। প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা সতস্ফুর্ত ভাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

পত্নীতলা উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লক্ষ ১ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লক্ষ ৮৯০ জন এবং মহিলা ভোটার ১০ লক্ষ ১ হাজার ৩০ জন। উপ‌জেলায় এবার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ৫৪২টি কক্ষে ভোট গ্রহন হবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুর রহমান জাহিদ জানান।

নির্বাচনী গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষ তারিখ ছিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল, আর প্রতীক বরাদ্দ ২৩শে এপ্রিল এবং ভোট গ্রহন হবে ৮মে। ঐদিন সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ১ম দফা নির্বাচন জমে উঠেছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

কামরুজ্জামান ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ১ম দফা নির্বাচন প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও জমে উঠেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন জেড এম রশিদুল আলম, মিজানুর রহমান মাছুম, গোলাম ছরওয়ার খান সঁউদ, এস এম আনিচুর রহমান, নূরে আলম বিপ্লব। সদর উপজেলা নির্বাচনে রশিদ ও মাছুমের প্রচারণা বেশি দেখা যাচ্ছে। সদরে ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার কেন্দ্র রয়েছে ১৬৫ টি। ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯২৮ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৯৫ হাজার ৫১৯ জন। কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন শিবলী নোমানী, জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, মতিয়ার রহমান মতি, রাশেদ শমশের ও ইমদাদুল হক। ১১ টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র ৯১ টি। মোট ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ৩২৮ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৫৫৩।  



আরও খবর



যশোরে হিট স্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত আহসান হাবিব যশোর আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার  দিকে স্কুলে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার হাবিবুর রহমান শিক্ষক আহসান হাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হারিব সকালে মাঠে কাজ করে ৯টার দিকে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে যশোরে হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগে যশোর সদর ও মনিরামপুরে হিট স্ট্রোকে একজন করে মারা যান।

আজ রবিবার যশোরের সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি এবং দুপুর দেঢ় টায় এই তাপমাত্রার পারদ দাঁড়ায় ৪২.৫ ডিগ্রিতে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে তীব্র  গরমে যশোরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে কুলিক নদী থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২ ব্যাক্তিকে ১৫ দিনের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুলিক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে আকাশ আলী (৩৩) ও রাশেল (২৩) নামে দুই বালু ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান। এ সময় ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী মকলেসুর রহমান ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার উমড়াডাঙ্গী কুলিক নদীর ঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ধারায় তাদেরকে এ কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আকাশ উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এবং রাশেল একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহেন্দ্র ট্রাক্টরের মাধ্যমে কুলিক নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন,জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে। 

আরও খবর