Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

কয়লাপাচাঁরের জন্য প্রস্তুত চোরাকারবারীরা: প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জানুয়ারী 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্তে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার কয়লা পাচাঁরের জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীরা। তারা গত ২বছর যাবত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে কোটিপতি হয়েগেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে শুল্কস্টেশনের বৈধ ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, লামাকাটা, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত প্রায় ২হাজার মেঃটন অবৈধ কয়লা চোরাকারবারীদের বসতবাড়ি ও উঠানে মজুত করে রাখা হয়েছে। নানান জটিলতার কারণে গত ৭দিন যাবত অবৈধ চোরাই কয়লা শুল্কস্টেশনের ডিপুতে ঢুকতে পারছেনা।

আজ সোমবার (১ জানুয়ারী) রাত ১২টার পর থেকে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী রফ মিয়ার ডিপুসহ শুল্কস্টেশনের আরো একাধিক ডিপুতে নিয়ে অবৈধ কয়লা মজুত করার জন্য পায়তারা শুরু করেছে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী আইনাল মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া ও শরাফত আলীগং। এজন্য দুপুর থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতি ট্রলি চোরাই কয়লা (৩ মেঃটন) থেকে ৭হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন শুরু করেছে সোর্স আইনাল মিয়া ও রফ মিয়া। কোন ভাবে রাতের আধারে অবৈধ কয়লা শুল্কস্টেশনের ডিপুতে মজুত করতে পারলেই হয়ে যাবে বৈধ। এছাড়াও প্রতিদিন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া ২থেকে ৩শ বস্তা কয়লা পাচাঁর করে তার নিজ বসতবাড়ি ও তার সহযোগী আরো একাধিক চোরাকারবারীদের বাড়িতে মজুত করছে। এজন্য পাচাঁরকৃত ১ বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ৭০টাকা করে চাঁদা নিয়ে সোর্স বাবুল মিয়া। কিন্তু চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ একাধিক মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে শুল্কস্টেশনের শতশত বৈধ ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্ভর) ভোর ৫টায় এই সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন ও গত বুধবার (২৭ ডিসেম্ভর) ভোরে কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে প্রায় ৮শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে শুল্কস্টেশনের ডিপুতে মজুত করেছে উপরের উল্লেখিত সোর্সরা বাহিনী। কিন্তু এব্যাপারে নেওয়া হয়নি আইনগত পদক্ষেপ। তবে শীগ্রই চারাগাঁও ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত সোর্স রফ মিয়া ও তার সহযোগীদের একাধিক ডিপুসহ জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, লামাকাটা, লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে কমপক্ষে ৫কোটি টাকার অবৈধ কয়লা উদ্ধার করাসহ সোর্সদের বাড়ি থেকে লাখলাখ টাকা জব্দ করা সম্ভব হবে জানাগেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিস্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বৈধ ব্যবসায়ীরা।

এব্যাপারে জানতে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯- ৬১৩১২৬) নাম্বারে কল করলে কমান্ডার মোতালিব খান বলেন- আমাদের বিজিবি ক্যাম্পের কোন সোর্স নাই। আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু ও বাবুল মিয়াসহ কাউকেই আমি চিনিনা। আমি কাউকে অবৈধ পথে কয়লাসহ কোন মালামাল পাচাঁরের অনুমতি দেইনি। তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- থানাপুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লার পাচাঁরের পর পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২৫৭ পিস ইয়াবা, ১৫৩ গ্রাম হেরোইন, ১৩ কেজি ৭০ গ্রাম গাঁজা ও ২১৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি জানায়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সাফল্য ১০২ টি মেবাইলসহ নগদ টাকা উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল জনগনের সেবায় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে।  তারই ফলস্বরূপ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, মাগুরা  গত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল২৪ মাস পর্যন্ত মাগুরা জেলার বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরী ভূক্ত ১০২ টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভুলবশতঃ অন্য নাম্বারে চলে যাওয়াসহ বিকাশ প্রতারণা, অনলাইন প্রতারণার শিকার ৮ জন ভুক্তভুগীর নগদ বিকাশের সর্বমোট এক লাখ চুরাশি হাজার পাঁচশত  টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।  এছাড়া বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের ভিকটিম উদ্ধারে থানা পুলিশকে সহায়তা করে ৮ জন ভিকটিমকে উদ্ধার, ডাকাতি মামলার আসামী গ্রেপ্তার ৪ জন ও আলামত হিসেবে দেড় ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, ইজিবাইক উদ্ধার ১ টি, ফেসবুক সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি ৪ টি এবং অন্যান্য ৪৩ টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহসহ জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস: গাজাবাসীর উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে। তবে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে, যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিতে রাজি হওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস।

হামাস নেতা খলিল আল–হায়া বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিশ্চিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা।

মূলত কাতার ও মিশর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাইডেন প্রশাসনের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

হামাসের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও একই কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিসর। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের বিবৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মহাদেবপুরে প্রার্থীর মৃতুতে চেয়ারম্যান নির্বাচন স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:চলতি ষষ্ঠ উপজেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে নওগাঁর মহাদেবপুরে একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আগামী ৮ মে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যথারীতি ভোট গ্রহণ করা হবে। এই উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান স্বাক্ষরিত গত ২১ এপ্রিলের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহাদেবপুরের মৃত নাসের উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আহসান হাবীব উপজেলা চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবার পর গত ২০ এপ্রিল রাত ৯.২৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এমতাবস্থায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ২৩(১) মোতাবেক মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করা হলো।

উল্লেখ্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব ভোদন গত ১২ মার্চ দিবাগত রাত ৯টায় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িযোগে মহাদেবপুর থেকে নওগাঁ যাবার পথে তেরমাইল মোড় নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাপায় মারাত্মক আহত হন। তখন থেকে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ ৩৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। গত রোববার বিকেল ৪টায় মহাদেবপুর হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তাঁর প্রথম জানাযা। বাদ আছর তাঁর গ্রামের বাড়ি জয়পুর ডাঙ্গাপাড়ায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর পিতামাতার কবরের পাশে তাঁকে শায়িত করা হয়।

তিনি ছাড়াও আরো ৭ জন এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের পুন:তফসীল ঘোষণা করা হবে।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ'র যুগান্তকারী পদক্ষেপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৯২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃপেট্রো বাংলার অধীনস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিস্ময়কর প্রতিভা এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহারকারী ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় কোম্পানীর লোকসান কমে এসেছে বহুগুণ।রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। তিতাস গ্যাসের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কিছু কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদার।গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর স্থলে প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেন।সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কৌশলে সিষ্টেম লস কমাতে কাজ করে চলেছেন তিনি।প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।এ কারণে তার শত্রুর কোনো অভাব নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে যাদের স্বার্থহানি হয়েছে, সে সব স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে নানা মাধ্যমে।তবুও থেমে থাকেনি তার অগ্রযাত্রা। এ যাবত কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন। গত ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে তিতাস গ্যাস কর্মচারীদের পিকনিকের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ কর্মবীর লোক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। কোম্পানিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প সেক্টরে ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার রেকর্ড করেছেন তিনি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, বকেয়া আদায়ে,নিয়েছেন নানা যুগান্তকারী উদ্যোগ।সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা, সংস্থার হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ সময় উপযোগী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগ একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যেই , ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যে গুলো এখনো বাকি আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।

এছাড়াও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।

১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর তীরে বিরাট একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানি আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানি হিসেবে তিতাস গ্যাস আত্মপ্রকাশ করে। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করে দেয়ার পর১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহার মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের আবাসিক লাইনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ বলে তিতাস গ্যাসকে জাতীয়করণ করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।এই কোম্পানিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


আরও খবর