Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় অদৃশ্য শক্তির আঘাতে অনেকেই আহত !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের উজানগ্রাম - দেড়িপাড়া জিকে ক্যানালের সেট নামক স্থানে দিনের আলোতে চড়, থাপ্পর,সেইকেল থেকে মাটিতে ফেলে দেওয়া সহ মারধরের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটে চলেছে,যাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটছে তারা সবাই কৃষক ও কিছু পথচারি।এই অদৃশ্য শক্তির হাত থেকে বাচার জন্য গত শুক্রবার সেখানে মিলাদ মাহাফিলের ব্যবস্থা করলেও থেমে নেই অদৃশ্য শক্তির থাবা। এইদিকে গতকাল উজানগ্রাম হিসাব নামের একজন যুবক সেখানে ধানে পানি নিতে গেলে তার সাথে এমন ঘটনা ঘটে,মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর ভাবে অসুস্থ। এমন ঘটনা নিয়মিত ঘটছে বলে ভয়ে রয়েছে এলাকার কৃষকেরা।তবে এর আগেও ওখানে এমন ঘটনা কমবেশী ঘটেছে বলা জানা যায়।তবে এই বিষয় নিয়ে এলাকার চায়ের দোকান গুলোতে বেশ সরগরম রয়েছে।তবে অনেকেই বলছে সেখানে জনসমাগম কম থাকার কারনে ভৌতিকের একটা বিষয় আছে।

আরও খবর



স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হারপিক বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নে নিবেদিত এনজিও সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য অসহায় স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে একত্রে কাজ করা। সম্প্রতি গুলশান-১ এ অবস্থিত রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি- এর প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. ফজলুল হক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম, জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ও হারপিকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নুসরাত ইমরোজ তিশা, এশিয়াটিকের এ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সামিদা রশিদ আনিকা, গ্রুপ এ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ফারহান করিম, রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি-এর মহাব্যবস্থাপক ভিশাল গুপ্তা, মার্কেটিং ম্যানেজার সাবরিন মারুফ তিন্নি, সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার তাবাশ্বের আহমেদ এবং ম্যানেজার (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স) মো. রাকিব উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে স্যানিটেশন এবং বর্জ্যনিষ্কাশনের দায়িত্বে নিয়জিত কর্মীরা জনস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু অনেক সময় তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে হিমশিম খায়। জীবন ধারনের জন্য স্যানিটেশনের মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তাদের প্রায় প্রতিদিনই করতে হয়।

পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ও হাইজিন মেনে চলা স্যানিটেশন কর্মীদের জন্য অবশ্যই পালনীয় বিষয় হলেও প্রায়শই তা উপেক্ষিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে তারা বিভিন্ন চর্মরোগসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও বরন করে।

চুক্তি অনুযায়ী এই উদ্যোগের মাধ্যমে এক হাজার স্যানিটেশন কর্মী এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যবীমা ও স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে আগামী এক বছর স্যানিটেশন কর্মীদের পরিবার বীমা প্রিমিয়াম সহায়তা পাবে এবং তাদের পরিবারকে হাইজিন অভ্যাসে দক্ষ করার জন্য হারপিক স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতা সেশন পরিচালনা করবে। দেশের ২৫০টিরও অধিক হাসপাতালে তারা হারপিক স্বাস্থ্যসেবা কার্ড ব্যবহার এই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি বিশেষ করে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ এবং বছরজুড়ে হাইজিন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি-এর মহাব্যবস্থাপক ভিশাল গুপ্তা বলেন, বাংলাদেশে স্যানিটেশন কর্মীদের গুরুতর স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার চাহিদা পূরণের জন্য সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তি করতে পেরে আমরা গর্বিত। হারপিক বিশ্বাস করে- হাইজিন ও সুস্বাস্থ্য মানুষের অধিকার ও এটি কোন বিলাসিতা নয় এবং প্রত্যেকে মানুষেরই নিরাপদ পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারসুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমাদের সম্পদ ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাই।“

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসিএর মার্কেটিং ম্যানেজার সাবরিন মারফ তিন্নি বলেন, “হারপিক বাংলাদেশে ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করে আসছে। এই খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অন্যদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করা। আমরা যদি একসাথে কাজ করতে পারি তবে আমরা আরও বেশিকিছু অর্জন করতে পারবো। সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদার হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

আমাদের লক্ষ্য এই সহযোগিতার মাধ্যমে অসহায় স্যানিটেশন কর্মীদের কাছে পৌঁছানো। আশা করি একত্রে আমরা আগামী দিনে চাহিদাসম্পন্ন আরও বেশি মানুষের উপকার করতে পারবো আমরা।”

সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. ফজলুল হক বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীও ব্র্যান্ডগুলোর একটি হচ্ছে হারপিক এবং হারপিকের সাথে আমরা চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে বেশ আনন্দিত। সাজেদা ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সমাজ উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে বিশেষকরে স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে। আমার বিশ্বাস এই পার্টনারশীপের মাধ্যমে আমরা সমাজের স্যানিটেশন কর্মীদের জিবনে একটি ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারবো।

প্রসঙ্গত, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে, হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট কেয়ার ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের অবস্থান অক্ষুন্ন রেখেছে। হারপিক টয়লেট ক্লিনারের মার্কার নাম। আফ্রিকা,মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া-প্যাসিফিক, ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবী জুড়ে এটি পাওয়া যায়। ১৯৭৮ সাল থেকে, হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট-ক্লিনার ক্যাটগরির এক নম্বর ব্র্যান্ড।

ক্যাম্পেইনের ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুণঃ https://www.facebook.com/share/v/2umXRYFCCqZGbE3j/?mibextid=oFDknk


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ২৮ এপ্রিল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দপ্তরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিলে খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে একই ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

রোজা ও ঈদের টানা ২৬ দিন ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার স্কুল খোলার কথা ছিল। এদিকে দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর



বিরামপুর পৌরসভার পানি ছড়াচ্ছে শীতলতার পরশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন হাঁসফাঁস  এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ জীবজন্তুসহ কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ জন। বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেও দেখা মিলেনি বৃষ্টির দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর এলাকায়। এ অবস্থায় বিরামপুর পৌরসভার নিজস্ব উদ্যোগে শহরের রাস্তায় রাস্তায় সকাল-বিকাল ছিটানো হচ্ছে পানি। গরমে অতিষ্ট শহরবাসী এতে ধুলি-বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা ও শীতলতার পরশ অনুভব করছেন।

জানা গেছে, প্রচন্ড খরা ও তাপদাহে প্রাণিকূলের ওষ্ঠাগত অবস্থা বিরাজ করছে। শুষ্ক মৌসুমে ধূলি-বালি থেকে নাগরিকদের রক্ষার জন্য প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের রাস্তায়-রাস্তায় পানিবাহী গাড়ী দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল পানি ছিটানো হয়।এতে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন, রাস্তার দু’পাশের দোকানী ও ক্রেতারা স্বস্তিতে চলাফেরা করতেন। কিন্তু, বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেরও এই এলাকায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শহরবাসী ও প্রাণিকূলের নাভিস্বাশ উঠেছে। এ অবস্থায় শহরবাসীকে শীতলতার পরশ দিতে অধিক পরিমাণে পানি ছিটানো হচ্ছে।

বিরামপুর কলেজ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা অটো চালক মিলন হোসেন বলেন, এই প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলাচল করা কঠিন ছিল। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানোর ফলে আমরা ধূলি বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। একই সাথে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি এবং অনুভব করছি শীতলতার পরশ।

বিরামপুর চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মেফতাহুন নাহার কবিতা বলেন, তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন  বিপর্যস্ত এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, কষ্ট পাচ্ছে  সাধারণ মানুষ ও প্রাণিকুল। এ অবস্থায় পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানো একটি মহতী উদ্যোগ। এতে আমরা ধূলিবালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। সেই সঙ্গে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি।

বিরামপুর পৌরসভার মেয়র  অধ্যক্ষ মো: আক্কাস আলী জানান, প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নানামূখি কার্যক্রম চলমান আছে। এই প্রচন্ড গরম থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য পানি ছিটিয়ে শীতলতার পরশ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর ফলে নাগরিকরা ধূলি- বালু ও রোগ জীবানু থেকেও রক্ষা পাবে। নাগরিকদের স্বস্তি দিতে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই পানি ছিটানোর কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



মধুপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা (বিশেষ প্রতিনিধি) মধুপুর টাঙ্গাইলঃসারাদেশ ব্যাপী প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।পাশাপাশি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাতেও তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। 

হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে জ্বর, সর্দিকাশি জনিত রোগীর সংখ্যা। 

রোদে পুড়ছে প্রকৃতি, বইছে তাপদাহ, স্বস্তি নেই কোথাও। দুপুরের রোদে খোলা আকাশের নিচে হাঁটলে গরম বাতাসে মুখমন্ডল পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। একটু প্রশান্তি ও শরীরকে সতেজ রাখার জন্য মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়ায়। এছাড়াও গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে সাতার কাটছে দিনভর। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না কারন প্রচুর লোডশেডিং আর বৈদ্যুতিক পাখাও হার মানছে এই তীব্র গরমের কাছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মধুপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আর এই তীব্র রোদে লোকজন ঘর থেকে কম বের হওয়ার কারণে মধুপুর পৌর শহরে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজির সংখ্যাও ছিলো অনেক কম। মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছিলো প্রায় ফাঁকা। 

এই অতিরিক্ত গরমে মধুপুরের জনজীবন যেন গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে ফলে দেখা দিচ্ছে জ্বর,সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব।

মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শিশু সহ বয়স্ক রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।এদের অধিকাংশই অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।  

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার  ডা. মো. ইমরান হোসেন  জানান, বিগত কয়েকদিনে তীব্র  গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ।

তিনি আরও জানান, আগে দেড়শো'র মতো রোগী প্রতিদিন ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা নিতে আসতো কিন্তু এখন তীব্র তাপদাহের কারণে প্রতিদিন দু’শোর বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য ইমারজেন্সিতে আসছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই হচ্ছে শিশু। 

আমাদের হাসপাতালে জনবল কম থাকার পরেও আমরা দিনরাত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তীব্র গরমে ঘরের বাহিরে গেলে সাদা ছাতা বা ক্যাপ, ঢিলেঢালা পাতলা সূতি কাপড়ের পোশাক পরিধান এবং শরীরে পানিশূন্যতায় খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি সহ প্রচুর তরল খাবার গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। 

এদিকে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানীয় খাবারের। ফুটপাতে প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে আখেঁর রস, ডাব এবং প্রচন্ড গরমে ক্লান্তি মেটাতে পথচারীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায় বিভিন্ন শরবতের দোকানে। 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাংগাইল সহ দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা আগামী কয়েকদিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবারও ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩দিনের  সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



নওগাঁয় ৩দিন ধরে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় ৩দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন শতাব্দী আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক) এর শাখা ব্যবস্থাপক হিজবুল ইসলামের স্ত্রী। 

সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজেও গৃহবধূ শতাব্দী আক্তারের কোন প্রকার হদিস মিলেনি। ঘটনায় মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।

ভার্ক কর্মকর্তা হিজবুল ইসলাম উপজেলার দেলুয়াবাড়ি বাজার শাখায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকার মোকলেছুর রহমানের ছেলে। 

তাঁর স্ত্রী শতাব্দী আক্তার একই এলাকার বাসিন্দা লাভলু প্রধানের মেয়ে। পারিবারিকভাবে প্রায় ১০বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে মেঘামনি নামে ৭বছরের একজন কন্যাসন্তান রয়েছে। 

ভার্ক কর্মকর্তা হিজবুল ইসলাম বলেন, প্রায় সাত বছর ধরে আমি এই সংস্থার দেলুয়াবাড়ি শাখায় কর্মরত আছি। এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাজারের সোলাইমান আলীর বাসা ভাড়া নেই। এরপর স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। 

ভার্ক কর্মকর্তা আরও বলেন, গত রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বাজারে কেনাকাটার কথা বলে স্ত্রী শতাব্দী আক্তার ভাড়াটিয়ার বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজেও তাঁর কোনো খোঁজ মিলছে না। এ বিষয়ে সোমবার রাতে মান্দা থানায় সাধারণ ডাইরি করেছি।

এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, গৃহবধূ শতাব্দী আক্তারের নিখোঁজের বিষয়ে বিভিন্ন থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাঁকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।


আরও খবর