Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল রোগীর চাপে কোনঠাসা !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:ধারণ ক্ষমতার চারগুণ রোগীতে ঠাসা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল। এখানে ২৫০ টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় সাতশো রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ড ও বারান্দা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন না। ২৫০ জন রোগীকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা ও জনবল নিয়ে সাতশো রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছে। ফলে হাসপাতালের যথাযথ সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে ঠান্ডা-কাশি জনিত রোগী বৃদ্ধি ও নতুন করে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে সেবা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়েছেন। 

 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। হাসপাতালের বারান্দায় ঠাসাঠাসি করে ছোট ছোট পাটি ও ফোম বিছিয়ে রোগীরা শুয়ে আছেন। রোগীর স্বজনরা তার পাশে বসা। অনেকেই এরমধ্যে বসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই খাওয়া দাওয়া করছেন। তাছাড়া রোগীদের বাধ্যতামূলকভাবেই এই পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করতে হচ্ছে। রোগী বহনকারী স্ট্রেচার গুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। চলার সময় রোগী ও স্বজনদের গায়ে ধাক্কা লেগে আহত হচ্ছে। রোগীদের গাদাগাদির কারণে চিকিৎসক ও নার্সরা পূর্ণ মনোযোগ সহকারে তাঁদের কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ভর্তি রোগী ছাড়াও হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। 

 অত্র হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রতিনিধিকে বলেন , হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগী ও তাঁর স্বজনদের অবস্থানের কারণে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখা যাচ্ছে না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাওয়া দাওয়া ও অবস্থান করার কারণে এক রোগের চিকিৎসা নিতে এসে আরেকটি অসুখ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। তাছাড়া সুস্থ লোক রোগীর সাথে কয়েকদিন হাসপাতালে অবস্থান করার কারণে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। দুই এক দিন পরে তিনিও হাসপাতালে ফিরে আসছেন চিকিৎসা সেবা নিতে। যার কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমছে না। বরং ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি ঠান্ডা-কাশি জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন করে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার কারণে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। আগামী দিনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে এই হাসপাতালে সব রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।

 তিনি আরও বলেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৪০ জন চিকিৎসক ও ২১৬ জন নার্স চিকিৎসা সেবায় দায়িত্বরত আছেন। এরমধ্যে ১৪০ থেকে ১৮০ জন নার্স অক্লান্তভাবে তিন শিফটে ২৪ ঘন্টা সাড়ে সাতশো রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। এই জনবল ২৫০ জন রোগীকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । কিন্তু সক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁরা নিজেরাও রোগা হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া বর্হিঃবিভাগ ও ভর্তি থাকা অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে গিয়ে চিকিৎসকদের মানসিক চাপ বাড়ছে। এতে তাঁরাও চিকিৎসা দিতে গিয়ে মনোযোগ হারাচ্ছে। এমতাবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করলে সকলের জন্য সহায়ক হবে। অনেক সময় মিডিয়ার মাধ্যমে হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে অভিযোগ পায় , আজ আপনারাই বলুন আমার কি করনীয় । তবুও সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমার দায়িক্ত সঠিকভাবেই পালন করার চেষ্টা করে যাবো ইনশাহ্আল্লাহ্ ।

 ভর্তি রোগী ও তাঁর স্বজনরা জানান, হাসপাতালে অনেক রোগী। ঠিকঠাক দাঁড়ানো বা বসার জায়গা নেই এমন অবস্থা। এরমধ্যে থেকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হাসপাতালের পরিবেশও নোংরা হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার, নার্সরাও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তাই মাঝেমধ্যে বকাবকি করেন । তাই অতিদ্রুত কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালুর জোড় দাবি জানায়। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ( আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দুর্ভোগ মুক্তির একমাত্র উপায় হতে পারে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা। তবুও আমার কাছে মনে হয় এই হাসপাতালের ডাক্তারের চেয়ে নার্সরা অনেক ধৈর্যশীল ।


আরও খবর



আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করে ফসল বিনষ্ট: কৃষক সর্বশান্ত!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২২৩জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ৩নং খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর দলদলিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাশে এক কৃষকের আড়াই বিঘা বোরো জমির ধান গাছে প্রতিপক্ষরা আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করায় ধান গাছের পাতা পুড়ে খেত বিনষ্ট হয়েছে। এতে ঐ কৃষক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।

অভিযোগে সুত্রে জানা যায়,বিরামপুর উপজেলার টাটকপুর গ্রামের মৃত দানেজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করে। ধান প্রায় পাকার পর্যায়ে। ইতিমধ্যে পূর্ব শশ্রুতার জের ধরে দলদলিয়া কুর্শাখালী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে বুলবুল হোসেন’সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জন গত ১৮ এপ্রিল রাতে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে সমুলে বিনষ্ট করে দিয়েছে।  গত ২১ এপ্রিল রাতে বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকটও অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, দ্রুত সময়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এটি একটি জঘন্নতম অপরাধ।

৩নং খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান বলেন, বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে বোরো ধানক্ষে নষ্ট করেছে। জানতে পেরে কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করেন। তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।এসময় খানপুর কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই তুহিন বাবু জানান, জমির বোরো খেত নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা অমানবিক কাজ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে৷ তাই দেশে তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সতর্কবার্তায়। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শনিবার সকাল থেকে রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থয়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রোববার সকাল থেকে সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পাঁচ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় হত্যা মামলার প্রতিবাদে ডাক্তারদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ!

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় ৪ ডাক্তারের  বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করেছেন মাগুরা জেলায় কর্মরত ডাক্তার সমাজ।মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল বেলা ১১.৩০ টার সময়ে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার ও দুপুর ২.৩০ টার সময়ে  জেলা প্রশাসক বরাবরে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

স্মারকলিপিতে  মাগুরা জেলার নিম্নস্বাক্ষরিত সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ, সিজারিয়ান অপারেশনের পরে একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনায় আমাদের কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা সাম্প্রতিক মামলা (ধারা: 304 (Part-2)/34, The Penal Code, 1860;] সম্পর্কে  গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান হয়

গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং প্রসূতি শায়লা রহমান সেতুকে পরিবারের লোকজন মাগুরা শহরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরিন আক্তারের নিকট আনেন এবং জরুরি সিজার অপারেশনের জন্য অনুরোধ করেন এবং অপারেশনের সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত হয়ে লিখিতভাবে সম্মতি দেন। সেই মোতাবেক এনেস্থেটিস্ট ডা. অরুণ কান্তি ঘোষ-এর সহায়তায় ডা. জাফরিন আক্তার যথাযথভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন। পরদিন ভোর অনুমান ৬টায় রোগির জটিলতা (PPH) দেখা দিলে রোগীকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের চিকিৎসকদল পুনরায় অপারেশন করেন। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় অপারেশনের পর আইসিইউ-এর প্রয়োজনে রোগিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগির স্বজনরা তাকে ঢাকার বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করান, যেখানে ৫ এপ্রিল রাত ১০-৩৬ মিনিটে বিভিন্ন জটিলতায় রোগি মৃত্যুবরণ করেন (ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত)। 

সমাজের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসাবে এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় আমরা রোগীর পরিবারের শোক অনুধাবন করি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস কবি যে, এই মামলায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নর হত্যার অভিযোগ কেবল উদ্দেশ্য প্রণোদিতই নয় বরং ভয়ঙ্কর বানোয়াট এবং সত্যের ভুল উপস্থাপনা।

আরও খবর



ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি !

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার,স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানী ডেমরা থানাধীন বাঁশের পুল এলাকার ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভেতরে ভবন নির্মাণে ত্রুটির কথা বলে সংবাদ প্রকাশ করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি চেষ্টা কালে স্থানীয়দের সাথে বিরোধের জের ধরে দুজনকে গনপিটুনি দেয়া হয়েছে।এ সময় নাম সর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দানকারী শরীফুল ইসলাম ও মাকসুদুল আলম রবি নামে দু'জন  আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন হাউজিং প্রকল্পটির ভেতরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় রাজউকের দোহাই দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বেশ কয়েক জন ব্যক্তি। কয়েক দিন আগে অখ্যাত একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে।

এর পর নানা ভাবে এসব ভবন মালিকদের রাজউক দিয়ে বিল্ডিং ভেঙে ফেলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। সোমবার ২২ এপ্রিল দুপুরে ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন ভবনের চিত্রধারণ করতে থাকে।এ সময় শরিফুল ইসলাম প্রকল্প এলাকার ভবন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এর সাথে খারাপ আচরণ করে।পরবর্তীতে আশেপাশের ভবন থেকে লোকজন এসে তাদের কে চ্যালেঞ্জ করলে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায় পরে দুইজনকে উত্তম মধ্যম দেয় উপস্থিত জনতা।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভিতরের মারা-মারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এরই মধ্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও খবর



বৃষ্টির আশায় জয়পুরহাটে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃচলমান তীব্র তাপদাহের কারনে প্রচন্ড গরম আবওহাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে মানব ও প্রাণিকুলের চলাচলে জীবন অতিষ্ট হয়ে পরেছে। তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে জয়পুরহাটের কালাইয়ে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বুধবার সকাল আড়ে ৮টার দিকে জেলার কালাই আহলে হাদিস কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। এতে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ পুরাতন কাপড় পরিধান করে সাথে গামছা নিয়ে ইস্তিসকার নামাজে অংশ নেন।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কালাই আহলে হাদিস কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব ও হাতিয়র কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের প্রভাষক মাওলানা সেলিম রেজা। আগের দিন মঙ্গলবার উল্লেখিত সময়ে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে মাইকিং করে জানান আয়োজকরা।

মাওলানা সেলিম রেজা জানান, কোরআন-হাদিসের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, মানুষের সৃষ্ট কোনো পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টি না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকা নামাজ আদায় করতেন। এজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তওবা করে ও ক্ষমা চেয়ে ২ রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

নামাজে অংশগ্রহন করতে আসা স্থানীয় মুসল্লী আব্দুল কুদুস জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছেন। এজন্য তারা বৃষ্টির আশায় নামাজ পড়েছেন। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছুই সম্ভব। আমরা মানবজাতি যতই কঠিন হইনা কেন ? তিঁনি মহান, তাঁর মহানুভবতায় আমরা এ সংকট থেকে পরিত্রাণ পাবো ইনশাল্লাহপাক। 

বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ওয়ারলেস অপারেটর প্রদিব কান্তি রায় জানান, কয়েকদিন ধরে সকালে ২৭-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকছে। বিকেল ৩টার দিকে তা ৩৮-৩৯ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় দেড়/দুই মাস ধরে জয়পুরহাটের পুরো জেলায় বৃষ্টিপাত হয়নি। এ ছাড়া আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি। 

আরও খবর