Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

কুড়িগ্রামের রৌমারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার খেরুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিহুর রহমানের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, অনুপস্থিতি, সেচ্ছাচারিতা, অসাদাচারন, যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে এবং জরুরী অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় খেরুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক,এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ এ মানববন্ধন করেছেন।

এর আগেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের এমন অনিয়মে শিক্ষার পরিবেশ বেহাল।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সচেতন নাগরিক আনোয়ার হোসেন, সমাজ সেবক জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জবেদ আলী, অভিভাবক পলাশ আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি ওমর আলী, সহকারি শিক্ষক আলমগীর, জাহাঙ্গীর ও আবু বক্কর প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামত স্কুল পরিচালনা করেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে কখনোই ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয় না, প্রাক-প্রাথমিকের বরাদ্দ অর্থ আত্মসাত, স্লিপের টাকা আত্মসাত, ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেইনটেইন্স ও অন্যান্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত, স্কুলের আসবাব পত্র ও পুরাতন ৪ রুম বিশিষ্ট ঘরের টিন, লোহার বাতি ও রুয়াসহ বিভিন্ন মালামাল আত্মসাত, স্কুলের সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, ২টা মটর ও ১টি পানির টেংকি রাতারাতি উধাও, অর্থের বিনিময়ে ভূয়া শিক্ষার্থীদের কাছে সমাপনী সনদ বিক্রি এবং অবৈধভাবে টাকা দাবি, জাতীয় দিবসে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানে অনিয়ম, সপ্তাহে বা পনের দিনে একদিন স্কুলে এসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর প্রদান, রুটিনের নির্ধারিত শ্রেণিপাঠদানে অংশগ্রহন না করাসহ দুর্নীতি অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতা, অভিভাবকদের সাথে অসদাচারন ও ইতিপুর্বে স্কুলের শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সাথে যৌন হয়রানির মত ১১ টি পয়েন্ট তুলে ধরে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন, জবেদ আলী ও স্কুলের সহকারি শিক্ষকগণ বলেন, প্রধান শিক্ষকের এহেন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার্থে এবং ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট।

প্রধান শিক্ষক মশিহুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার স্ত্রীর অসুস্থতার কারনে আপনার সাথে কথা বলতে পারলাম না। পরে কথা হবে। বিদ্যালয়ের সভাপতি মোনছুর আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।এবিষয়ে চিলমারী উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এমন কোন বিষয়ের উপর ঘটনার অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধনের বিষয় শুনেছি, এঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।


আরও খবর



ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডে নালা নর্দমার ময়লা অপসারণ কাজ উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃ

রাজধানীর কদমতলী থানার রায়ের বাগ মুজাহিদ নগর শাহী মসজিদ এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ও নালা নর্দমা মেইনহোলের ময়লা পরিষ্কার কাজের উদ্বোধন করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব সামসুউদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু। মঙ্গল বার ১৪ মে সকাল সাড়ে এগারোটায় এই কর্মসূচি উদ্বোধন হয়।মুজাহিদ নগর শাহী মসজিদ এর কোনা থেকে প্রধান সড়ক পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও কদমতলী থানা সংলগ্ন একতা ভিশন ভবনের সামনে ও নালা নর্দমা মেইন হোল পরিষ্কার অভিযান চলবে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৪'৬৫,৬৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকি,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান,৬৫ নং ওয়ার্ডের সিআই রাজকুমার, রায়ের বাগ মুজাহিদ নগর পঞ্চায়েত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, ইসমাইল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, শাহীন আহমেদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব সামসুউদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু বলেন, বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চান, সেই লক্ষ্যে তিনি সকল কাউন্সিলর কে ডেকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এলাকার নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য।"


তিনি আরো জানান, ডিএসসিসির ৬৫ নাম্বার ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার অধীনে এলাকার সুয়ারেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে নালা, নর্দমা এবং মেইন হোলের ভেতর জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এই বরাদ্দ কৃত টাকা দিয়ে এলাকার নালা নর্দমা এবং মেইন হোলে জমে থাকা বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এই সময়ে বরাদ্দকৃত টাকায়প্রায় ১৫০০ থেকে ১৭০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হবে।


এছাড়াও কাউন্সিলর এসময় এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। পরে স্থানীয় মুজাহিদ নগর মেইন রোড জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।মুজাহিদ নগর মেইন রোড জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি  ইউসুফ চেক গ্রহন করেন।







আরও খবর



ইবিতে দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই-বিহঙ্গের বই বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গ্রীণ আর্কিটেক্ট নিবেদিত বই-বিহঙ্গ বই দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নং রুমে বই-বিহঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এসময় প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সায়েম আহম্মেদের সঞ্চালনায় বই-বিহঙ্গ ইবি শাখার শাখা প্রতিনিধি মামুন শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বই-বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সজিব শিকদার,সহ-প্রতিষ্টাতা ফাহিম মুনতাছির আসাদুজ্জামান জিলানী সহ-প্রতিষ্ঠা উম্মে হাবিবা হ্যাপি, ঢাকা শাখার সক্রিয় সদস্য রিফা তাসনিম প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখার প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান, মামুন  ও তমা খাতুন প্রমুখ। 

বই -বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সজিব শিকদার বলেন,  বই দিবসকে ঘিরে এমন আয়োজন করার জন্য বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমরা আশা করি পরবর্তী বছর গুলোতে বই দিবসের এই আয়োজন আমাদের সকল শাখায় বিস্তৃত হবে।

সহ-প্রতিষ্ঠাতা উম্মে হাবিবা হ্যাপি বলেন, 'বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় শাখা। এভাবে সবাই বই-বিহঙ্গের পাশে থাকবেন ও সাহায্য করবেন এটাই প্রত্যাশা।  

সহ-প্রতিষ্ঠাতা আসাদুজ্জামান জিলান বলেন, 'এত গরমের মধ্যেও বইকে ভালোবেসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কারণে শুভেচ্ছা। আমাদের স্বপ্ন ছিল সারাদেশব্যপী বই-বিহঙ্গের শাখা ছড়িয়ে দিব, সেই লক্ষ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আজ এই আয়োজনে দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। সকলের জন্য শুভেচ্ছা। আপনারা বই-বিহঙ্গের যুক্ত হবেন এবং সারা বাংলাদেশের সেরা শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এটাই প্রত্যাশা।

ইবি শাখা প্রতিনিধি সাব্বির খান বলেন, মাত্র ৩ দিনে আমরা এত পরিমাণ আপনাদের সাড়া পাবো কখনও ভাবতে পারি নাই। সকলকে একসাথে করতে আমরা বই বিহঙ্গ ইবি আশা আনন্দিত।  

ইবি শাখা প্রতিনিধি তমা বলেন, ইবিতে এত পরিমাণ বই প্রেমী মানুষ আছে কল্পনা করতে পারি নাই আমাদের ইচ্ছা থাকলেও আমরা ১৫০ এর বেশি আসন দিতে পারি নাই তবে ইবিয়ান বই প্রেমীদের নিয়ে সামনে আরও বড় আয়োজন করব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কাউটের ইউনিট কাউন্সিল সভাপতি মুসা হাসেমী বলেন, 'ইবিতে এই প্রথম বই নিয়ে এত বড় কোনো প্রোগ্রাম হলো। বই- বিহঙ্গ ইবি শাখাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই ধারা যেন অব্যবহৃত থাকে সেই প্রত্যাশায় করি। '
 
ইবি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব বলেন, 'বই -বিহঙ্গ  ইবি শাখা হওয়ার পর থেকে তাদের কার্যক্রম দেখে আসছি। শুরু থেকে সাথে ছিলাম থাকব।'

সভাপতির বক্তব্যে ইবি শাখা প্রতিনিধি মামুন বলেন, আজকের আয়োজনে সফল করতে যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন বিশেষ করে ইবি শাখা প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান ও আখি খাতুন তমার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আশা করি আপনাদের সাথে নিয়েই এগিয়ে যাবে বই-বিহঙ্গ ইবি শাখা।

সার্বিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, 'বই মানুষের আলোকিত করে। আমি চাই, বই পড়ার মাধ্যমে দেশে আলোকিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক। এভাবে সকল বইপ্রেমীদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।' 

আরও খবর



মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মারামারিতে ১ জনের মৃত্যু,আহত ৭

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কৃষক নিহত ও অপর ৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তির নাম নাম আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার(৬২)। সে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। শুক্রবার বেলা ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হচ্ছেন, হারুণ জোমাদ্দার(৫০), লতিফ জোমাদ্দার(৫৫), রশিদ জোমাদ্দার(৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার(৪৫), জামিলা বেগম(৫০) ও মেহেদী হাসান(৩৫)।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার জানিয়েছেন। 

মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার বলেন, বেলা ৭ টার দিকে প্রতিবেশি শহিদুল হাওলাদার ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। 

আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাকে আটক করে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

আরও খবর



বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ মেহেরপুরে ক্ষেপেছে তামাক চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃব্রিটিস এমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি) মেহেরপুরের এক কর্মকর্তার প্রলোভনে তামাক কিনে বিপাকে পড়েছেন তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা। বেশি দরে তামাক কিনে বিএটিবি এখন কম দর দেওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন বিএটিবি এরিয়া ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন মাঠকর্মী। 

অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের মানিক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন তামাক চাষের পাশাপাশি তামাকের ব্যবসা করেন। এবার তামাক ক্রয় মৌসূমের শুরুতে বিএটিবি কর্মকর্তারা তাদের তামাকের দর যা দেয় তাতে মোটামুটি সšুÍষ্ট হয় চাষীরা। পরবর্তীতে দর নিয়ে নানা টালবাহানা এবং ওজনে বেশি নেওয়ার ঘটনায় চাষীদের মাঝে শুরু হয় অসন্তোষ। 

ভুক্তভোগী কয়েজনের অভিযোগ, বিএটিবির কর্মকর্তাদের আশ^াসে তারা অন্য চাষীদের কাছ থেকেও তামাক ক্রয় করেন। এলাকার অনেক চাষীর বিএটিবি তামাক চাষের কার্ড নেই। এমন চাষীদের কাছ থেকে তামাক ক্রয় করে কার্ডধারীদের মাধ্যমে বিএটিবি মেহেরপুর বাইংয়ে তামাক বিক্রি করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন থেকেই চলমান। তবে মানিকসহ কয়েকজন চাষী যে দরে এবার তামাক কিনেছেন তার চেয়ে অনেক কম দর দেয় বিএটিবি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ঠরা। এতে চাষীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। 

কালিগাংনী গ্রামের ইয়ারুল নামের এক চাষী বলেন, আমার চোষা তামুক প্রথমে ১৬০ টাকা কেজি দাম দেয়। দরাদম করার পর এক ম্যাডাম (বিএটিবি কর্মকর্তা) ১৭২, টাকা, ১৮৫ টাকা ও ১৯৫ টাকা কেজি দর দেয়। দাম কম হওয়ায় আমি তামাক  বাড়িতে ফিরিয়ে এনে ২১৫ টাকা কেজি দরে অন্য পার্টির কাছে বিক্রি করি। এভাবে তারা চাষীদের তামাকের দর কম দিয়ে ঠকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন চাষীরা। 

একই গ্রামের গোলাম দাউস নামের আরেক কৃষকের অভিযোগ, বিএটিবিতে তামাক নিয়ে গেলে বেলের ভেতর থেকে কয়েকটি ছোট তামাক পাতা বের করে। তখন মণ প্রতি দুই কেজি কম দেওয়া এবং কম দাওয়ার কথা বলায় তামাক নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরে আবুল খয়ের টোব্যাকোতে সেই তামাক ২২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আসি। 

চাষীদের অভিযোগ, বিএটিবি চাষীদের নানাভাবে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। ক্রয় মৌসূমে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় চাষীদের সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। এতে অনেক চাষী বিপাকে পড়েছেন। 

এদিকে বিএটিবি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী চাষীরা রোববার সংবাদ সম্মেলেন ডাক দেয়। এ খবর পেয়ে বিএটিবি কর্মকর্তারা নানাভাবে চাপ দিয়ে চাষীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা তদবির শুরু করে। 

কালিগাংনী গ্রামে গিয়ে তারা চাষীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও চাষীরা তাতে সাই দেয়নি। বিএটিবি কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন চাষীরা যাতে কোথাও লিখিত অভিযোগ না করে। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেন নি। 


আরও খবর



ছাত‌কে অনু‌মো‌দিত ছাড়াই ১৩‌টি গাছ কর্তন,শি‌ক্ষিকা হ‌য়ে আইন মানচ্ছেন না!

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:দেশব্যাপী খরতাপ, পরিবেশের রুক্ষতা নিয়ে হৈ—চৈ’এর মধ্যেই সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপ‌জেলার দ‌ক্ষিন খুরমা ইউপির ম‌নিঞ্জা‌তি সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃপ‌ক্ষের অনু‌মো‌দিত ছাড়াই নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দে‌খি‌য়ে ১৩টি ছায়াবৃক্ষের গাছ কর্তন ক‌রে প্রায় ২ লাখ টাকার বি‌নিময় বি‌ত্রিু করেছেন। এ ঘটনায় ‌জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এলাকার ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমিরা এই অবিচার সাইতে না পেরে বিচারের জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিচ্ছেন তারা। গত ১ মে  সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথ‌মিক শিক্ষা কর্মকতার বরাব‌রে গ্রামবাসী লিখিত এক‌টি অ‌ভি‌যোগ দা‌য়ের ক‌রা হ‌য়ে‌ছে।

গ্রামবাসীর অ‌ভি‌যো‌গে বলা হয়, প্রায় তিন যুগ ধ‌রে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে কিছু ছায়াবৃক্ষ বড় হয় । বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে।

গত ৩ মাচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃর্পক্ষ বা গ্রামের সঙ্গে কথা না বলেই এ বৃক্ষ গু‌লো কেটে বিক্রয় করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা বলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এসব তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রেন ।

গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী জানান, গাছগুলো কাটায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কর্তন করে না। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাজ ক‌রে‌ছে প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ।

গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ জানান, বৃক্ষ কর্তনে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি, মতামত কিংবা তাদেরকে দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি।এই অনিয়মের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্থানে ধরণা দিলেও কেউ আমাদের ফরিয়াদ আমলে নিচ্ছেন না কেউ—ই।

এব‌্যাপা‌রে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী জানান, উপ‌জেলার নিবাহী কর্মকতার অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ‌্যমে এই গাছগু‌লো কর্তন করা হয়ে‌ছে । 

এব‌্যাপাার ইউপি সদস‌্য সুমন মিয়া জানান,ইউএনও অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ‌্যাল‌য়ের নানা জা‌তের গাছ গু‌লো কে‌টে‌ছেন শি‌ক্ষিকা।

এব‌্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান,ছাতকে বন বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পর বিট কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে মতামত ও মূল্য নির্ধারণ করে জেলা কমিটিতে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এব‌্যাপারে জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানালেন, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেয়নি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান,,অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।


আরও খবর

ছাত‌কে জমেছে ভোটের লড়াই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪