Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

কুড়িগ্রামের রৌমারী মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলোর একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাকোঁ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ১৬০জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ পূর্বে ভারত পশ্চিমে ব্রক্ষপুত্রর নদ দ্বারা বিছিন্নজনপদে বসবাস করছেন রৌমারী ও রাজিবপুরের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। এরমধ্যে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল ছিলো কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলাটিতে হানাদার বাহিনির হায়নাররা প্রবেশ করতে পারেননি। ততকালিন যুদ্ধর সময় রৌমারী সিজি জামান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামক স্থানে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে অংগ্রহণ করেছিলেন। রৌমারী সিজি জামান মাঠ প্রাঙ্গনে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এমন খবরের পাকিস্থানী হায়নাররা রৌমারী উপজেলায় প্রবেশ করার সাহস পাচ্ছিলনা। ফলে রৌমারী উপজেলাটি ৭১ সালের যুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল হিসেবে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রশিক্ষনের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানতেন। এই মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলো এখন পর্যন্ত অসহায় শুধু যাতয়াতের উন্নয়ন না হওয়ার কারনে। উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা আলগারচর , লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বংশির ভিটা,বাগান বাড়ী, চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বিকরিবিল, খেওয়ার চর, বকবান্দা,নামা পাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নিজের তৈয়ারী করা বাঁেশর সাকোঁ। মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলোর ভাগ্যের পরির্বতন কেন হচ্ছেনা জানতে চায় বিছিন্ন এলাকার মানুষ। রাস্তাবিহিন বিছিন্নজনপদের মানুষ গুলোর অভিযোগ আর আর্থনাত কেউ যেন আমলে নিচ্ছেনা এমন অভিযোগ অনেকের। ততসময় রৌমারীর সকলস্থরের জনসাধারনরা মুক্তিযোদ্ধাদের সকলপ্রকারের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আজ স্বাধীন বাংলাদেশ নামে সারাবিশ্বে পরিচিত লাভ করেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসের বানি দিয়ে ভোটের সময় ভোট নেয়,ভোট নেয়া শেষ হলে আর খবর রাখেনা এটি হচ্ছে বাস্তব চিত্র। ১০টি গ্রামে রয়েছে কয়েকহাজার হেক্টর জমি ওই জমির ফসল গুলোও ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত যোগাযোগ ব্যবস্তা না থাকায়। হাজার হাজার একর জমির ফসল বাশেঁর সাকোঁর উপর ভর করে বহন করতে হচ্ছে ক্ষেতের ফসল। যোগাযোগ ব্যবস্তা ভালো থাকলে একবিঘা জমির ফসল আনতে খরচা হতো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আর যোগাযোগের ব্যবস্তা না থাকায় বিছিন্নজনপদে একবিঘা জমির ফসল মাথায় করে বাড়ী পর্যন্ত বহন করতে খরচা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। একারনে এঅঞ্চলের মানুষ গুলো দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও আলোর মুখ দেখতে পারেননি বলেও অভিযোগ এলাকাবাসিদের। বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন বলেন এই জিঞ্জিরাম নদিতে একটি ব্রীজের দাবীতে দীর্ঘ ৫০টি অতিবাহিত হলেও ব্রীজটি না পাওয়ার বেদনা থেকেই গেলো আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা র, সুদৃষ্টি কামনা করছি। স্কুল শিক্ষার্থী রুবি আক্তার বলেন আমরা স্কুলে যাই যাইতে আসতে অনেক সময় বইসহ ব্রীজ ভাঙ্গে পানিতে পইরা যাই সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয়না, আমি সরকারের কাছে একটি ব্রীজ চাই। নবম ¤্রনেীর স্কুল ছাত্র রফিকুল ইসলাম ব=জানায় প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে এই বাশেঁর সাকোঁর উপর দিয়ে যাতয়াত করতে হয় প্রায়ই সমস্যায় পরতে হয় সরকার যদি এখানে একটি টেকসই ব্রীজ করে দিতেন তাহলে এই এলাকার উন্নয়ন হতো। এমন আবেগের অভিযোগ অনেকের রয়েছে শুধু একটি ব্রীজের দাবীতে ৫২টি বছর এমনিভাবেই পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত ভাগ্যে জোটেনি এই এলাকার জন্য একটি টেকসই ব্রীজ। উপজেলার চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা জিঞ্জিরাম নদের উপর একটি ব্রীজের দাবীতে ৫২টি বছর চরম দূর্ভোগে ১০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ এবিষয়,কুড়িগ্রাম জেলা প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা ব্রীজের খুবই প্রয়োজন এটি আমার মাথায় আছে। তবে বর্তমান কোন প্রকল্প নেই নতুন বাজেট আসছে প্রকল্প আসলেই ওখানে ব্রীজ করা হবে এমন আশ্বাস দিয়েছে জেলাএলইজিডির প্রকৌশলী


আরও খবর



সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৬৮জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:অবশেষে সেই ধর্ষক জনিকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রশাসন বলে নিশ্চিত করেন  তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে বিকেলে তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষক জনির বাড়ী উপজেলার কলমা ইউনিয়ন (ইউপির)  শালবাড়ী গ্রামে। সে আলেক চানের পুত্র। অপর আসামী আলীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।

জানা গেছে,  উপজেলার কলমা ইউপির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক স্কুল পড়ুয়া জৈনিক ব্যক্তির মেয়ে ও তার ভাই খাড়ির ধারে ঘাস কাটতে যায়। এসময় পার্শ্ববর্তী জমিতে কাজ করছিল জনি (২২) ও আলি( ২০) নামের দুই বখাটে। তারা ওই মেয়েকে একা পেয়ে ভাইকে বেধে রাখেন আলী। আর বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে জনি। ওই মেয়ের ডাকচিৎকারে গ্রামের লোকজন উদ্ধার করেন। এঘটনায় মেয়ের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন ও ধর্ষণের শিকার মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে  রামেক হাসপাতালে পরিক্ষার জন্য পাঠান।

ওসি আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পর থেকে ধর্ষক জনি ও সহযোগীতাকারী আলী পলাতক ছিল। অবশেষে রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার হন ধর্ষক জনি।আর সহযোগী আলীকে গ্রেফতারে জোরালো অভিযান চলছে। আটককৃত আসামীকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হবে।

প্রসঙ্গত,  গত শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কলমা ইউপি এলাকায় ঘটে লোমহর্ষক ধর্ষনের ঘটনাটি। ওইদিন রাতে ধর্ষনের শিকার মেয়ের পিতা থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরও খবর



ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ২১ মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ত ২ সেপ্টেম্বরও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান ২১ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০১৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৫৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০২৫ জন।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫ হাজার ৮৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৭৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮০ জন। ঢাকায় ৭১ হাজার ৪২৬ এবং ঢাকার বাইরে ৯৪ হাজার ২৫৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



একমাস ধরে ডিএসসিসি'র ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : তাপস

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার ,স্টাফ রিপোর্টার: ডিএসসিসি'র ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা একমাস ধরে  নিয়ন্ত্রণে রয়েছে  বলে মন্তব্য করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঝিগাতলার ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডে মশা নিধন অভিযানে তিনি একথা বলেন।

মেয়র বলেন, আপনারা জানেন যে, এখন এডিস মশার মৌসুম  বিশেষ পর্যায়ে। আশ্বিন মাস শুরু হয়ে গেছে,  এডিস মশার মৌসুম শেষ পর্যায়ে। তারপরও আমরা এখনো লক্ষ্য করছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখনো নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। এজন্য আমরা চৌদ্দ নাম্বার ওয়ার্ড এবং ৫৬ নাম্বার ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর এবং হাজারীবাগের এই দুটি ওয়ার্ডে গত এক সপ্তাহে আমরা লক্ষ্য করেছি এখানে দশ জনের উর্ধ্বে রোগী সনাক্ত হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমরা মশা নিধক এর জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ  করছি।

মেয়র আরো বলেন, সপ্তাহের ১০ জনের ঊর্ধ্বে রুগী পাওয়া গেলে আমরা সেই ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত ঘোষণা করছি। লাল চিহ্নিত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রচার প্রসারসহ চিরুনি অভিযান,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম করে যাচ্ছি।এর আগে আমরা যে পাঁচটি ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়েছি সে পাঁচটি ওয়ার্ডের ফলাফলে আমরা দেখেছি সেখানে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। এখন কামরাঙ্গীরচর এবং হাজারীবাগ এই দুটি ওয়ার্ড আমাদের গত সপ্তাহের পর্যালোচনায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

 মেয়র আরো বলেন, এজন্য আমরা সকল এলাকাবাসিকে তাদের তা বাড়ি সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার আহ্বান করেছি এবং আমরা তাদেরকে সাথে নিয়ে একদিন ব্যাপী এই চিরুনি অভিযান চালাচ্ছি।  আমরা আশা করি এতে এলাকাবাসি  আরো সচেতন হতে হবে এবং অচিরেই এলাকাতে ডেঙ্গু অনেক কমে যাবে।  আমরা এডিস মশার প্রজননকে ধ্বংস করছি এবং এবং আমাদের কার্যক্রম বেগবান রেখেছি। এর ফলশ্রুতিতে গত এক মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে ঢাকা এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে ।

মেয়র বলেন, আমরা প্রত্যেকদিন তদারকি করছি সেখানে আমরা লক্ষ্য করেছি যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায়  দৈনন্দিন ৫০,৫১,৫৪ এরকম রোগী সনাক্ত হচ্ছে। সুতরাং আমরা মনে করি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি।কোনভাবেই যেন এটা বৃদ্ধি না হতে পারে  এজন্যই আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম ।আমরা পুরো মৌসুমই কার্যক্রম চলমান রাখবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কমিশনার ইলিয়াছুর রহমান বাবুলসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ    ।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট : দোয়ারায় গ্রেফতার ৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান বাণিজ্য চলছে জমজমাট। অন্যদিকে দোয়ারাবাজারে পৃথক অভিযানে মদ ও চিনিসহ ৭জনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্ভর) রাত ১২টার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্ভর) ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজের পিছন দিয়ে ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাকমা গ্রামের রফিকুল মিয়া ৯০ বস্তা, শহিদুল মিয়া ৮০বস্তা, ফিরোজ মিয়া ৭৫বস্তা ও ভুট্টো মিয়া ৬৫বস্তা কয়লাসহ অন্যান্যরা ২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে নিলাদ্রী লেকপাড়ে অবস্থিত অসিউর রহমানের ডিপুতে নিয়ে ওই গ্রামের বিশিস্ট চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী মোক্তার মহলদার ও আক্কাছ আলীর কাছে বিক্রি করে। পরে পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা (৫০কেজি) কয়লা থেকে বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ৩শ টাকা করে চাঁদা নেয় সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী রতন মহলদার, ইয়াবা কালাম ও কামরুল মিয়া। একই ভাবে এই সীমান্তের বড়ছড়া, ভাংগারঘাট, বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে শতাধিক মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে মজুত করার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে এউপজেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়েও কয়লা, চুনাপাথর, মাদকদ্রব্য, চিনি, সুপারী, কাঠ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, কসমেটিকস, বিস্কুট ও গরুসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল পাচাঁর করে সোর্স পরিচয়ধারীরা। কিন্তু এব্যাপারে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। অথচ গত ২দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া থেকে ভারতীয় মদসহ চোরাকারবারী ফয়জুল ইসলাম, আবুল কালাম, ইমরান আহমেদ ও এউপজেলার নরশিংপুর ইউনিয়নের শ্যামরগাঁও থেকে ২৬৫০কেজি ভারতীয় চিনিসহ চোরাকারবারী হেলাল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, কাছম আলী ও জব্বার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযান নেই তাহিরপুর সীমান্তে। এব্যাপারে লাকমা গ্রামের রফিকুল মিয়া বলেন- অনেকেই প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করছে। এই চোরাই কয়লা আমরা মোশাহিদ, নবীনুর, ইব্রাহিম, মোক্তার ও আক্কাছসহ ৮-১০জনের কাছে বিক্রি করি। টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া বলেন- চোরারা নিজেরাই সবাইকে ম্যানেজ করে কয়লা পাচাঁর করছে, আমরা তাদের সাথে জড়িত না। কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক আবুল বাশার খান নয়ন, ফজলু সরদার ও ইপি সদস্য ধন মিয়াসহ অনেকেই বলেন-সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ও তাদের গডফাদারের চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন। দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান সাংবাদিকদের জানান- গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দোয়ারাবাজারে আসা অবৈধ পণ্য ও মাদক প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



পৃথিবীর কোনো দেশ এটি পারে কি না, আমি জানি না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখব। এটি কিন্তু আমরা রাখতে পেরেছি। পৃথিবীর কোনো দেশ এটি পারে কি না, আমি জানি না। আমাদের সঙ্গে কিন্তু প্রতিটি দেশের একটি সুসম্পর্ক আছে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) নৌ-প্রধানের সচিবালয় গ্যালাক্সিতে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৩ এর সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার কৌশল সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা জানতে চায়, আমরা এটি কীভাবে করি। আমি বলি, এটি আমাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা যে নীতিতে বিশ্বাস করি, জাতির পিতা যে নীতি (বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি) দিয়ে গেছেন, সে নীতি নিয়ে আমরা চলি বলে সবার সঙ্গে আমাদের সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য, দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি, তাদের যেন কোনো কষ্ট না হয় সেটা দেখা, সেটা আমরা দেখি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশ যত এগিয়ে যাবে, সেই সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিতে পারব।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মানুষের কাছে থেকে একটি আস্থা-বিশ্বাস তারা অর্জন করতে পেরেছে।


আরও খবর