Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

কুড়িগ্রামে সাড়ে ২২ হাজার পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৩৫৭জন দেখেছেন

Image

মোঃ সহিদুল আলম বাবুল,কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ২২ হাজার ৬শ পিচ ইয়াবাসহ এক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। কুখ্যাত ওই মাদক ব্যবসায়ী রৌমারী সদর ইউনিয়নের চর নতুন বন্দর গ্রামের রকিব হাসান ওরফে রফিক (৩৪)।

সে অবসর প্রাপ্ত আর্মি দেলোয়ারের পুত্র।

জানা গেছে,৭ ফেব্রুয়ারি রৌমারী থানা পুলিশ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা কালীন সময়ে সদর ইউনিয়নের চর নতুন বন্দর পোর্ট এলাকায় অবস্থানকালে ভোর রাত ৪ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে চর নতুন বন্দর গ্রামের বাসিন্দা রকিব হাসান ওরফে রফিক এর বাড়ীতে ইয়াবা ট্যাবলেট বেচাকেনা হচ্ছে। খবর পেয়ে রৌমারী থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী রফিক পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার বাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী করে তার বসতঘরের ড্রয়ার ও সিন্দুকের ভিতর থেকে ২২ হাজার ৬'শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এসময় তার কাছে থাকা ২ টি পুরাতন এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন জব্দ করে। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৪১.ধারায় রৌমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



নাহিদ সুলতানা যুথীর বাসায় ডিবির অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে এ অভিযান চালানো হয়। এতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় নাহিদ সুলতানা যুথীকে বাসায় পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলায় আসামিরা হলেন অ্যাড. মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ , ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাড. আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী (সম্পাদক পদপ্রার্থী), আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবী এবং সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সু-কৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনীভাবে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টায়। ৭ হাজার ৮৮৩ জন আইনজীবীর মধ্যে ৫ হাজার ৩১৯ আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।


আরও খবর



পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে। এর জন্য সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবাই মিলে সমন্বয় করবে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ অধিদপ্তরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা যেহেতু বাজার মনিটরিং করি আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করব। প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে উৎপাদকপর্যায়ে থেকে পাইকারি এবং পরে খুচরাপর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করা।

তিনি বলেন, একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেকদিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয়নি। আমরা এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর , ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করব। আশা করি এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাদেরকে এনকারেজ করতেছি। তাদের সমস্যার সমাধান করে এটা (সঠিক দামে পণ্য বিক্রি) আমরা বাস্তবায়ন করতেছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি না বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না। যারা একেবারেই আইন মানছেন না। যেমন, পাইকারি থেকে খুচরাপর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে তখন আপনাকে রিসিটটা রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন তখন আপনাকে রিসিট দিতে হবে। এই জিনিসগুলোকে বলে একেবারে মিনিমাম কমপ্লায়েন্স। এই জিনিসগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনছি।

এর আগে টিসিবি ভবনের অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মোবাইলের দোকান চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার নন্দীগ্রাম শহরের জনতা মার্কেটে মা মোবাইল প্যালেসে দিনের বেলায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সেসময় লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাত মোল্লা (৩১) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। 

রবিবার (৩ মার্চ) মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার এসআই জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। ওই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে কুমিল্লা কোতয়ালী থানা এলাকার কুমিল্লা সিটির ১৭নং ওয়ার্ডের তেলিকোনা মামণি হাসপাতালের সামনে থেকে চোর চক্রের সদস্য ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সেসময় তার হাতে থাকা ১টি ব্যাগ তল্লাশি করে লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নন্দীগ্রাম শহরের জনতা মার্কেটে মা মোবাইল প্যালেসে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্র দোকানের তালা কেটে নগদ টাকাসহ অনেকগুলো মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মা মোবাইল প্যালেসের মালিক খালিদ হাসান আকাশ বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে থানায় চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ঢাকা, ভোলা, গাজীপুর ও কুমিল্লার বিভিন্ন থানার ৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। 

চোর চক্রের অন্য সদস্যরা হলো, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঁশকাইট (বর্তমান সুরনন্দি-সার্মাকান্দা) এলাকার কাশেম আলী (৪৫), একই উপজেলার কামাল্লা এলাকার শরিফুল ইসলাম ওরফে জামাই শরীফ (২৯), শোলা পুকুরিয়া এলাকার ইকবাল হোসেন (৩৩), তিতাস উপজেলার মাছিমপুর (বর্তমান কোতয়ালীর সেন্ট্রাল জেল সংলগ্ন) এলাকার ফারুক হোসেন (৩২), চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাতিরবন্দ (মুছা হাজীর বাড়ি) এলাকার মহরম মজিব (২৬), মনু মিয়া ওরফে মানিক (২৭), নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মধ্যনগর চর এলাকার মোকারাম হোসেন রুবেল ওরফে মনির ওরফে মনু (৩৩) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালামুড়িয়া (মাজার বাড়ি পশ্চিমপাড়া) এলাকার সোহেল ওরফে মোটা সোহেল (৩১)। 

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আজমগীর হোসাইন জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করা হয়। তারা সংঘবদ্ধ বড় চোর চক্রের সদস্য। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্স, মোবাইল ও বিকাশের দোকানসহ বড় বড় দোকানে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ১০মিনিটের ব্যবধানে লুট করে চলে যায়। চোর চক্রের সদস্যরা কৌশলগত কারণে ভ্রাম্যমাণভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে এবং তাদের মোবাইল ফোনে সিম ব্যবহার করা হয় না। হোয়াটসঅ্যাপ-ইমুতে চুরির পরিকল্পনা ও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা চুরির জন্য প্রথমে এলাকা এবং দোকান টার্গেট করে। এরপর ভিডিও ধারণ করে নিয়ে চলে যায়। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী চোর চক্রের সদস্যরা দোকানে যায়। এরপর তালা কাটার সময় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিতে লুঙ্গি ও ছাতা ব্যবহার করে। চোর চক্রের ২/৩জন সদস্য দোকানে ঢুকে চুরি করে আর বাকি সদস্যরা বাইরে পাহারায় থাকে। চোর চক্রের সদস্যরা কৌশল করে ২২ ফেব্রুয়ারি একটি পরিবহনে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে আরেকটি পরিবহনে নন্দীগ্রামে আসে। বাস থেকে নেমেই সরাসরি মা মোবাইল প্যালেসে গিয়ে ১০মিনিটের ব্যবধানে নগদ টাকাসহ মালামাল চুরি করে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হেঁটে যায়। সেখান থেকে ২টি অটোরিকশা ভাড়া করে নাটোর চলে যায়। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর



ডুবতে বসেছে সম্ভাবনাময় রেস্তোরাঁ খাত শিল্প !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার স্টাফ রিপোর্টার:‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২’-এ সেবা খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁকে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে এ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছিল। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা এই নীতির অনুমোদন দেয়। অবশেষে গেজেট প্রকাশ হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।বাংলাদেশ শিল্পনীতি-২০২২-এর গেজেটে সেবা খাতের পঞ্চম অবস্থানে রাখা হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁ শিল্পকে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয়ের কারণে শিল্পের মর্যাদা অর্জন করেছে রেস্তোরাঁ সেক্টরটি।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে কর্তপক্ষের অবহেলায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে ।তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় অপরিকল্পিত ভাবে ভবনের প্রতিটি সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো ডজনে ডজনে যার কারনে দ্রুত সময়ে আগুন ছডিয়ে পড়েছে পুরো ভবনে এমনি অভিযোগ ছিলো ভবন কর্তৃপক্ষের 
 বিরুদ্ধে ।যাহা ভবন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস  ও রাজউক তদন্ত  কমিটি ।

বেইলী রোডের ঘটনার পরপরই টনক নড়েছে রাজউকসহ অন্যন্যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার।বেইলী রোড়ের ঘটনার সূত্রধরে রাজউক নিজেদের খামখেয়ালী মতো রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় সরকারী অনুমোদিত ভবনের রেস্টুরেন্ট  গুলো কোনো লিখিত  নোট্স ছাড়া বন্ধ করে দেয় ।বাদ যায়নি রাজধানীর আভিজাত এলাকা ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক বিল্ডিং এর ১৫ অধিক রেস্টুরেন্ট যার কারনে দিশেহারা ১৪০০ এর অধিক কর্মকর্তা কর্মচারী ।


গাউসিয়া টুইন পিক বিল্ডিং টির সভাপতি জাকির হোসেন ও সেক্রেটারী আবুল এহ্সান আনোয়ার সাহেব এর কাছে জানতে চাইলে তাহারা সাংবাদিকদের জানান আমাদের এই বিল্ডিং টি রাজউক নকশার কোন ব্যাপ্তয় না ঘটিয়ে একটি আইকনিক ভবন হিসাবে পুরো ঢাকা শহরের একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে সূ পরিচিত।আমাদের রেস্তোরাঁগুলি উন্নত মানের রেস্তোরাঁ হিসাবে সূ পরিচিত। এখানে দেশি বিদেশি অতিথিরা আপ্যায়ন করতে আসেন।এই বাণিজ্যিক ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট এবং চলাচলের জন্য দুইটি প্রশস্ত সিঁড়ি রহিয়াছে। এবং অগ্নি নির্বাপক সকল ব্যাবস্থা বিদ্যমান থাকা সত্তেও গত ৪ ঠা মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে কোন লিখিত নোটিশ ব্যাতিত হঠাৎ রাজউক অভিযান চালিয়ে আমাদের ভবনটির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে সিলগালাও করে দেয়। 

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একই রোডে রুপায়ন এবং জাস্টিস আমিন আহমেদ বিল্ডিং এর বাফেট লাউঞ্জ, বাফেট প্যারাডাইজ, বাফেট এম্পাইয়ার, চিকিং, সিক্রেট রেসিপি, ধাবা, স্নাক্স অ্যাটাক, গ্র্যান্ড লাউঞ্জ, বাফেট স্টোরিজ, গারলিক এন্ড জিঞ্জার, গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরি, এম্রসিয়া, ক্যাফে রিও, দা ফরেস্ট লাউঞ্জ এই রেস্তোরাঁ গুলি খোলা আছে সেগুলোর দিকে নজর নেই রাজউক কর্তৃপক্ষের ।

সভাপতি আরো বলেন,আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিদ্যুৎ,পানির অপচয়,অপব্যবহার ও কোন অনিয়মের অভিযোগ নাই এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ করিয়া আসিতেছি। আমাদের ভবন টি বর্তমান যুগের অত্যন্ত আধুনিক, দৃষ্টি নন্দন, বিনোদন উপযোগী নিরাপদ ভবন। 

তিনি আরো বলেন আমাদের এই বিল্ডিং এ যেসকল রেস্টুরেন্ট আছেন প্রতিটি রেস্টুরেন্ট সর্বদিক দিয়ে গুনগত ও সেফ্টি সম্পন্ন রাজউক অনুমোদিত ফায়ার সেফটি সম্পূন্ন সরকারী সকল বিধিমালা অনুয়ায়ী পরিচালিত হয় ।

আমাদের এই বিল্ডিং এর প্রতিটি রেষ্টুরেন্ট গ্রাহক সেবায় অনেক উন্নত ও গুনগত গ্রাহকের সকল চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেস্টুরেন্ট গুলো পরিচালিত হয় ।আমাদের ভবনে রয়েছে গ্যালিটোস,ডলসি,সাওপাওলো,কড়াই গোস্ত,ইয়ামচা ডিসট্রিকট,দা লবি লাউঞ্জ,এরিস্টোক্রেট লাউঞ্জ,হোয়াইট হল বাফেট,মেরিটেজ ঢাকা,প্যান প্যাসিফিক লাউঞ্জ,স্পাইস এন্ড হারবস,কালচার এন্ড কুইজিন,চাপঘর,কাভান সিগনেচার এর মতো জনপ্রিয়সব রেস্টুরেন্ট ।রেষ্টুরেন্ট গুলো বন্ধ থাকলে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট ও রাজস্ব হারাবে। 

তিনি আরো জানান যে আমাদের ভবনে রয়েছে,ফায়ার হাই ড্রেনট,ফায়ার হোস সিস্টেম,ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি,ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম,স্মোক ডিটেক্টর,ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার,যাহা প্রতিটি তলায় বিদ্যমান রহিয়াছে। ভবনটিতে ভূগর্ভস্থ দোতলা বিশিষ্ট পার্কিং ব্যাবস্থা বিদ্যমান রহিয়াছে। যেখানে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ব্যাবস্থা আছে। আমাদের রেস্তোরাঁ গুলিতে রান্নার জন্য এল পি জি গ্যাস ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হইয়াছে, যাহা ভবনের পেছনে নীচতলায় খালি জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কয়েকজন হোটেল মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে প্রতিষ্ঠানগুলি প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে তারা  যাহার অর্ধেকের বেশি ব্যাংক লোন আছে।সুধু তাই নয় প্রায় পনের (১৫)জন বাড়িওয়ালা,যাহারা এই ভবনের ভাড়ার উপর নির্ভর করিয়া তাদের সংসার পরিচালনা করেন।

পবিত্র মাহে রমজানে এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে জন্মদিন,বিবাহ বার্ষিকী,কর্পোরেট মিটিং সহ বিবাহ অনুষ্ঠান এবং ইফতার ও
সেহরি পার্টির আয়োজন হয়ে থাকে। সুধু তাই নয় উক্ত অনুষ্ঠানগুলি আমরা প্রি বুকিং করে থাকি।কিন্তু হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ায় আয়োজক মহা বিপদে পরে যান। ৫/ এই ১৪ টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৪ শতাধিক গরীব কর্মচারীর কর্ম সংস্থান রয়েছে।এদের বেতন বোনাস সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।

সর্বপরি সকল রেস্টুরেন্ট দোকান মালিক ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা আকুল আবেদন দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন এবং এই বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি হইতে রক্ষা করিয়া প্রতিষ্ঠান গুলি সচল রাখার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন ভুক্তভোগীরা ।
এরই মধ্য গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর অনেকে লিখিত স্বারক লিপিও  দিয়েছেন বলে ও জানান যায় ।

আরও খবর



ডোমারে চাকুরী দেয়ার নামকরে ২৫ লক্ষটাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক দুলাল পলাতক, থানায় মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত-আঃ কাদের এর ছেলে দুলাল হোসেন (৫২) এলাকার বেকার যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে এক ভুক্তভুগি দুলালের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সুত্রে জানাযায় ডোমার ডিমলার সাবেক এমপি ইঞ্জিঃ শাহরিন ইসলাম তুহিন সাহেবের গাড়ী চালক ছিলেন দুলাল। বিএনপি ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরথেকে দুলাল তার ৬ষ্ঠ তম স্ত্রী রানু বেগমকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে। চলাফেরার ভাব ছিলো রাজকীয়, এলাকায় আসতেন বিভিন্ন ধরণের দামী গাড়ী নিয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো স্টিকার লাগিয়ে মানুষের সাথে সক্ষ্যতা তৈরী করে। নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ের গাড়ী চালকের পরিচয় দিয়ে নিয়োগপত্র দেখিয়ে এলাকার

বেকার অনেক যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেয়ার পরথেকে ফোন থেকে শুরু করে সবধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক দুলাল। বিষয়টি সন্দেহ হলে ভুক্তভুগিরা ঢাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে তারা কোন চাকুরী করে না, দুই স্বামী স্ত্রী এবং দুলালের ছেলে ইমরান খান (২৪) তারা একটি ঐক্যবদ্ধ চক্র ঢাকা তুরাগ থানা এলাকার ভাবনার টেক মাতবর বাড়ীতে হাজী আঃ রশিদের ৩ তলা ভবনে ভাড়া থেকে বিভিন্ন এলাকায় এধরণের প্রতারণা কর্মকান্ড চালায়। গত ৬মার্চ ২৪ তুরাগ থানা এলাকার মাতবর বাড়ী হাজী আঃ রশিদের বাড়ীতে গিয়ে বাসা ওয়ালার কাছ থেকে জানাযায়, তার বন্ধু হাজী জাফর আলীর ছেলেকে চাকুরী দেয়ার নাম করে ২ জনের কাছে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ৪ মাসের ঘড় ভাড়া না দিয়ে রাতে অন্ধকারে মালামাল রেখে স্বামী ও স্ত্রী ছেলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে হাজী জাফর আলী জানান, আমি গতবার হজে¦ যাওয়ার আগে মিস্টি মিস্টি কথা বলে সক্ষ্যতা তৈরী করে। এক পর্যায়ে বলে আপনি হজ¦ থেকে এসে দেখবেন আপনার ছেলে চাকুরীতে জয়েন্ট করেছে। এমনি ভাবে ৮লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময় তার মা রংপুর মেডিকেলে ভর্তির কথা বলে এবং শেষে মা মারাগেছে লাশ বাড়ীতে নেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয় দুলাল। অথচ পরে জানতে পারি তার মা বেঁচে আছে, এমন প্রতারকের নামে

মামলা করবে বলে তিনি জানান। দুলালের ফুপা কেতকীবাড়ী চান্দখানা ইন্দিরার পাড় এলাকার আশরাফ আলী মুন্সি বলেন, দুলাল আমার ভাতীজা হয়,আমার ছেলে রবিউলের চাকুরী দেয়ার নামে প্রথমে বিশ^াস স্থাপন করার জন্য সামান্য কিছু। পরে ধাপে ধাপে ডিও লেটার, ভুয়া নিয়োগ পত্র দেখীয়ে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন নম্বর বন্ধ করে রাখে। সে কতটা খারাপ লোক নিজ গ্রামে, ফুপা, বোনের শশুর এমন কি মেয়েকে উকিল দিয়ে সেই নতুন জামাইকেও ছাড় দেয়নি প্রতারক দুলাল। চিলাহাটি আদর্শ পাড়ার ওছমান গনির ছেলে নাজমুল ইসলাম বলেন তার কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার, সিরাজুল ইসলামের ছেলে গোলাম হোসেনের কাছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে ঐ প্রতারক চক্রটি। এ বিষয়ে একজন ভুক্তভুগির অভিভাবক আনিছুর রহমান মানিক বাদী হয়ে গত ১৬ মার্চ ডোমার থানায় দুলাল ও তার স্ত্রী রানু বেগম এবং ছেলে ইমরানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। চক্রের মুল হোতা দুলালসহ সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান ভুক্তভুগি পবিাররের সদস্যগণ।


আরও খবর