Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুমিল্লার স্বপ্ন ভেঙে নতুন চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:কুমিল্লার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে বিপিএলে নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। তামিম ইকবালের হাত ধরে চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় অধরা শিরোপা ঘরে তুলল দলটি।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান করেছিল লিটন দাসের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ওপেনিংয়ে তামিম-মিরাজের জুটির পর মায়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় বরিশাল।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ফরচুন বরিশাল। তামিম-মিরাজের জুটি টিকে থাকে অষ্টম ওভারে পর্যন্ত। দলীয় ৭৬ রানে তামিমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।

২৬ বলে ৩৯ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বরিশালের অধিনায়ক। স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ করতেই ফেরেন মিরাজও। ২৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান করে মঈন আলীর শিকার হন তিনি।

মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্স দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন। মুশফিককে এক প্রান্তে রেখে চার ছক্কার ফুলঝুড়ি ফোটাতে থাকেন মায়ার্স। দুজনে মিলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। দলীয় ১৪১ রানে মায়ার্সের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।

৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার সৌজন্যে ৩০ বলে ৪৬ রান করেন মায়ার্স। স্কোরকার্ডে ৩ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ১৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তবে জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বরিশালের।

বাকি কাজটা  মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার সহজেই সেরেছেন। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রান করে। আর ৮ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মিলার।

এর আগে, টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টসে হেরে কুমিল্লার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সুনীল নারিন ও লিটন দাস।

প্রথম ওভারেই মাত্র ৫ রানে আউট হন নারিন। চলমান বিপিএলে ফর্মের তুঙ্গে থাকা তাওহিদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ষষ্ঠ ওভারে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাসও। ফেরার পূর্বে ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি।

৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা কুমিল্লাকে টানছিলেন জনসন চার্লস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে দুজনের জুটিতে ২৩ রানের বেশি হয়নি। দলীয় ৬৫ রানে ম্যাককয়ের বলে তামিমের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন চার্লস।

১৭ বলে ১৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। দলীয় ৭৯ রানে রান আউট হয়ে ফিরলেন মঈন আলি। এতে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় কুমিল্লা।

ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলী অনিককে নিয়ে দলের হাল ধরেন অঙ্কন। দুজনে মিলে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকানো অঙ্কন ৩৫ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিলে ক্রিজে নামেন আন্দ্রে রাসেল।

শেষ দিকে এই ক্যারিবিয়ান ঝড় তোলেন । ১৯তম ওভারে জেমস ফুলারের ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন। খেলেন ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস। এছাড়া জাকের আলী ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান দাঁড়ায় কুমিল্লার সংগ্রহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৫৪/৬ (সুনীল নারিন ৫, লিটন দাস ১৬, তাওহীদ হৃদয় ১৫, জনসন চার্লস ১৫, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৮, মঈন আলী ৩, জাকের আলী অনিক ২০*, আন্দ্রে রাসেল ২৭*; মায়ার্স ৪-০-২৫-১, সাইফ ৪-০-৩৭-১, ফুলার ৪-০-৪৪-২, তাইজুল ৪-০-২০-০, ম্যাককয় ৪-০-২৪-১)।

ফরচুন বরিশাল: ১৯ ওভারে ১৫৭/৪ (তামিম ইকবাল ৩৯, মেহেদি হাসান মিরাজ ২৮, কাইল মায়ার্স ৪৬, মুশফিকুর রহিম ১৩, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭*, ডেভিড মিলার ৮*; তানভীর ৩-০-২৪-০, বর্ষণ ১-০-১৫-০, নারাইন ৪-০-২১-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৩১-২, মঈন ৪-০-২৮-২, রাসেল ৩-০-৩৩-০)।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত ৩৭ বছর আগে করা এক রিট খারিজের পুর্ণাঙ্গ রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

১৯৮৮ সালে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের মার্চে শুনানি শেষে রিট সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতি।

আদালত বলেন, এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার রিটকারীদের নেই।


আরও খবর



ঈদে সবার জীবনে সুখ-শান্তি নেমে আসুক: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদে সবার জীবনে আনাবিল সুখ-শান্তি নেমে আসুক,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী দিনগুলো আরও সুন্দরভাবে যাক সেটাই কামনা করি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গণভবনে দলীয় নেতাকর্মী, বিচারক ও বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি অনেকে গর্ব করে বলে, এক হাজারের ওপর ইফতার পার্টি করেছে। যারা ইফতার পার্টি হাজারের ওপরে করে, ইফতার খেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে দেয়। আওয়ামী লীগ খেতে আসে না, দিতে আসে। আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে।

শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বাবা, মা, ভাই-বোন সব হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহিদের প্রতি। শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় চার নেতার প্রতি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়েছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। আজকে আমরা দারিদ্রের হার কমাতে পেরেছি। কিন্তু এখনো যেটুকু দারিদ্র রয়েছে, আমারা আগামীতে ইনশাল্লাহ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব। এটাই আমাদের প্রতীজ্ঞা। পবিত্র ঈদ সামনে রেখে আমরা সেটাই চাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের অগনিত নেতাকর্মী, সংসদ সদস্যসহ, সামরিক-অসামরিক, জনপ্রশাসনসহ অন্যান্য সংগঠনকে। আমি যখন বলেছি ইফতার পার্টি করব না। মানুষের মাঝে ইফতার বিলিয়ে দেব, মানুষের পাশে দাাঁড়াব। সেই নির্দেশ পাওয়ার পর সবাই যার যার অবস্থান থেকে মানুষকে ইফতার দিয়েছেন। যারা সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত মানুষ তাদের কাছে ইফতার পৌঁছে দেওয়া অত্যান্ত পবিত্র কাজ, আপনারা করেছেন।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের ২৭ জেলেকে সাগর থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতীয় বঙ্গোপসাগরে সীমানায় ভাসতে থাকা বিকল বাংলাদেশি ফিশিং বোট ‘এফভি সাগর-০২’-এর ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে ‘এফভি সাগর-০২’ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে।

বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জন সহ ৩ দিনে ৫জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জনসহ গত ৩দিনে ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোসহ পরিবারের নিকট হস্থান্তর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের তেরহাল গ্রামের হাঁসের ধান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে নোয়াব আলী (৫৮) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ওইদিন রাতে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চুনাপাথর ভাংগে। তাদের সাথে রমিজের ছেলে সাইদুল ও জড়িত। ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে অবাধে কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে সোর্স আক্কল আলী। তার কথা মতো চাঁদা না দিলে ঘটে নানান বিপত্তি, চোরাকারবীদেরকে করা হয় হয়রানী।

এব্যাপারে মৃত রমিজের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন-সোর্স আক্কল আলীর কথা মতো চাঁদা না দেওয়ার কারণে সে সন্ধ্যা ৭টায় টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে। আমার স্বামী তাদের প্রতিবাদ করার করণে আক্কল আলী ও এএসআই জিয়া লাটি পেটা করাসহ কিলঘুষি মারে। এঘটনায় রমিজ মিয়ার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সোর্স আক্কল আলী পুলিশ নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে পুলিশ ফাঁড়িতে চলে যায়। পরে রক্তাক্ত রমিজকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করে।

এব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের জানান- রমিজ মিয়া একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। সে আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। সে পালানোর পর আমরা তাকে আর ধরতে পারিনি। কিছু সময় খোঁজাখুজি করে আমরা চলে আসি। তাকে মারধর করার প্রশ্নই উঠে না। অন্যদিকে এদিন রাত ১০টায় জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামে মায়ের নামের জমির দখল নিয়ে ছোট ভাইয়ের ঘুষিতে আপন বড় ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ভাইয়ের নাম- হাফিজ উল্লাহ (৩০)। অপর দিকে সন্ধ্যায় পাশের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মালেক নূর (৪৫) ও আব্দুন নূর (৪০) বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তারা হাওরে ধান মাড়াই করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।

জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার, দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন পৃথক ঘটনায় ৫জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর

পাঁকা আমের কাঁচা আটি

শনিবার ০৪ মে ২০২৪