Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

ক্ষেতের ফসল সুরক্ষায় ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে কাকতাড়ুয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩০২জন দেখেছেন

Image

আত্রাই প্রতিনিধি (নওগাঁ): উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কৃষকেরা আজও ক্ষেতের ফসল রক্ষায় কাকতাড়–য়ার ব্যবহার করে আসছেন।

আবহমান গ্রাম বাংলায় কৃষক ক্ষেতের ফসলকে পাখি, ইঁদুর ও মানুষের কু-নজরের হাত থেকে রক্ষা করার কৌশল হিসেবে অদ্ভূত ও অভিনব পদ্ধতির আবিষ্কার করেন আদিকাল থেকে এরকম এক প্রহরী যার নাম কাকতাড়ুয়া। গ্রাম বাংলার গ্রামীন জনপদে ফসলের ক্ষেতের অতি পরিচিত দৃশ্য এই কাকতাড়ুয়া।

কালের প্রবাহে ফসল রক্ষার এই সনাতনি পদ্ধতিটি গ্রাম বাংলার বিমূর্ত প্রতীক হয়ে উঠে আসে গল্প, কবিতা, নাটক, সিনেমায়। এরপর কাকতাড়ুয়া আধুনিক সমাজে পৌছে যায় শিল্পীর চিত্রকর্মে বইয়ের প্রচ্ছদে প্রচ্ছদে।

গ্রাম-বাংলার গ্রামীন জনপদে আজো প্রবাদ আছে যাবার পথে কালো বিড়াল অতিক্রম করলে যাত্রা অশুভ হবে। পরীক্ষার আগে ডিম খেলে ফলাফল খারাপ হবে। গ্রামাঞ্চলে এখনো মায়েরা ছোট্ট শিশুর কপালে কালো টিপ এঁকে দেন, যাতে কারো নজর না লাগে।

বিজ্ঞানের যুগেও এমন অদ্ভুত বিশ্বাসের লোকের অভাব নেই গ্রামীণ জনপদে! তেমনই এক আত্মবিশ্বাস নিয়ে কৃষকরা ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে কাকতাড়ুয়া (মানুষের প্রতীক) ব্যবহার করছেন।

কৃষকদের আত্মবিশ্বাস, কাকতাড়ুয়া স্থাপন করলে ক্ষেতের ফসল দেখে কেউ ঈর্ষা করবে না বা ফসলে কারো নজর লাগবে না। পাঁখি বা ইঁদুর ফসল নষ্ট করতে পারবে না। ক্ষেতের ফসল ভাল হবে।

লম্বা খাড়া দন্ডায়মান একটি খুটি এবং দুই বা তিন ফুট উপরে আড়াআড়ি অরেকটি খুটি বেঁধে তাতে ছন বা খড় পেচিয়ে মোটাসোটা করা হয়। তারপর আড়াআড়ি বাঁধানো অংশের সামান্য উপরে ছন বা খড়কুটো দিয়ে ডিম্বাকৃতি বা মাথার মতো বস্তু বানানো হয়। এরপর বাড়ি থেকে ব্যবহূত পরিত্যাক্ত ছেড়া জামা বা পাঞ্জাবি পরিয়ে দেয়া হয় এটিকে। ডিম্বাকৃতির অংশটিকে ঢেকে দেয়া হয় মাটির হাড়ি দিয়ে। সেই হাড়িতে চোখ -নাক- মুখ এঁকে দেয়া হয় চুন বা চক দিয়ে। ফলে এক অদ্ভূত অভিনব সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়। যা দেখে ভয় পাওয়ার মতো একটা ব্যাপার ঘটে। এই কাকতাড়ুয়াকে ফসলি জমির মাঝখানে দন্ডায়মান পুতে রাখা হয়। অনেকের বিশ্বাস কাকতাড়ুয়া বাড়ন্ত ফসলের দিকে পথচারির কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় চাষাবাদের ধরণ বদলে গেলেও নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় ক্ষেতের ফসল রক্ষায় কৃষকরা সনাতন পদ্ধতির কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার করছেন।

খড়ের কাঠামোর মাথায় মাটির হাঁড়ি আর তাতে চুন দিয়ে কাঁচা হাতে এঁকে দেয়া হয় নাক, চোখ-মুখ। পরিত্যক্ত জামা গায়ে জড়িয়ে জমিতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। নাম তার কাকতাড়ুয়া।

কাকতাড়ুয়া হচ্ছে কাক কিংবা অন্যান্য পশু-পাখিকে ভয় দেখানোর জন্য জমিতে রক্ষিত মানুষের প্রতিকৃতি বিশেষ। এর মাধ্যমে পশু-পাখিকে ক্ষেতের ফসল কিংবা বীজের রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে নিরুৎসাহিত করা হয়।

দেখা যায়, ফসলি জমিতে পশু-পাখি তাড়ানোর জন্য কাকতাড়ুয়া জমির মাঝখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। দূর থেকে দেখলে যেন মনে হয় মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। এই কাকতাড়ুয়া দেখে ক্ষেতে পশু-পাখির উপদ্রব ঘটে না। ফলে ফসলও নষ্ট হয় না। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে জমিতে বেগুন, খিরা, মরিচ, আলু, পেঁয়াজ, শসা, টমেটো জাতীয় ফসল রোপণ করা হয় তখনই এই কাকতাড়ুয়াদের ব্যবহার করা হয়।

সরেজমিনে উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মাগুড়াপাড়া ও ভবানীপুর গ্রামের একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কাকতাড়ুয়া পশু-পাখিকে ভয় দেখানোর জন্যে জমিতে রক্ষিত মানুষের প্রতিকৃতি বিশেষ। ক্ষতিকর পাখির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে জমিতে কাকতাড়ুয়া দাঁড় করে রাখা হয়। এটি এক প্রকার ফাঁদ হিসেবে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। সনাতনি ধারায় এটি মানুষের দেহের গঠনের সঙ্গে মিল রেখে পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে সঙের ন্যায় সাজানো হয়। তারপর জমির মাঝামাঝি স্থানে খুঁটি হিসেবে দাঁড় করিয়ে রাখে। এটি বাতাসে দুলতে থাকায় পাখির উৎপাত ও তাদের খাদ্য সংগ্রহ করা থেকে বিরত রাখার প্রয়াস চালানো হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না এমন আত্মবিশ্বাস থেকেই প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা ক্ষেতে কাকতাড়ুয়া স্থাপন করে। চাষাবাদে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কৃষক আগের মত আর কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করছে না। দিন দিন উপজেলার প্রতিটি এলাকায় কৃষকের কাছে পার্চিং ও আলোকফাঁদ পদ্ধতির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

এদিকে উপজেলার কৃষিপ্রেমীরা মনেকরেন গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে কাকতাড়ুয়া হাজার বছর বেচে থাকুক তাদের ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে এমনটি প্রত্যাশা ।


আরও খবর



নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):নওগাঁর হাঁপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আল আমিনের (৩৮) মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গত বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় হাঁপানিয়া সীমান্তের ২৩৬নং মেইন পিলার এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

১৬ বিজিবি’র সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বার বার বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। এরপর বুধবার রাতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ তাদের নিকট হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাতেই স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় আল আমিনের মরদেহ। বিএসএফ’র গুলিতে নিহত আল আমিন নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউপির বিষœপুর গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে। গত ২৬ মার্চ ভোরে হাঁপানিয়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।


আরও খবর



বালিশ-কম্বল-খাবার দেওয়া হয়েছে জিম্মি ২৩ নাবিককে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক ও ক্রুদের জাহাজের একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সবাইকে বালিশ-কম্বলও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহাজের এক ইলেকট্রিশিয়ানের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইলেকট্রিশিয়ানের ভাতিজা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিকেল ৪টার দিকে চাচাকে অনলাইনে দেখতে পাই। কিন্তু পরক্ষণেই অফলাইন হয়ে যায়। কিছুক্ষণ আগে সামান্য সময়ের জন্য তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সবাইকে বালিশ-কম্বল দিয়ে এক রুমে রাখা হয়েছে। খাবার দেওয়া হচ্ছে। চাচা জানিয়েছেন, জাহাজ লোড থাকায় খুব কম গতিতে এগোচ্ছে। উনারা কিছুক্ষণের মধ্যে ডাটা বন্ধ করে দেবেন। সোমালিয়ায় পৌছে গেলে হয়ত আর কথা বলা সম্ভব হবে না।

এর আগে বুধবার সকালে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজু তার পরিবারকে জানান, সেহরিতে তারা অল্প খাবার পেয়েছেন।

রাজুর বন্ধু ইমরান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রাজু আমাকে ভয়েস মেসেজে জানায়, জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করেছে। আমরা ২৩ জন আটক আছি। আজ ভোররাতে আবার মেসেজ দিয়েছে, সেহরিতে সামান্য কিছু খাবার দিয়েছে। আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি। আমাদের জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলবি। বেঁচে থাকলে দেখা হবে।

এদিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’য় ২০ থেকে ২৫ দিনের মতো খাবার আছে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন। জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের।

আতিকউল্লাহ খান বলেন, ‘প্রক্সিমেটলি ২০ থেকে ২৫ দিনের প্রোভিশন (রসদ) আছে স্যার। ২০০ মেট্রিক টন ফ্রেস ওয়াটার আছে। আমরা অলরেডি সবাইকে বলছি ফ্রেস ওয়াটার সেফলি ব্যবহার করতে। প্রোভিসনও (রসদ) আমরা ওভাবে হ্যান্ডেল করবো।

এমভি আবদুল্লাহ’র মতোই ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এস আর শিপিংয়ের আরেক জাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জিম্মি হন এমভি জাহান মনির ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীসহ মোট ২৬ জন। তাদের একজন নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস।

জলদস্যুদের হাতে প্রায় ১০০ দিন জিম্মি দশায় থাকা ইদ্রিস বলেন, ‌‌‌‘আমরা যখন জিম্মি ছিলাম তখন কোনো সমস্যা হয়নি। খাবার দেয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ার সুযোগ দেন। তারা ইংরেজি ও আরবি ভাষায় কথা বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হয়নি।


আরও খবর



ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে,বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহা দিবাহ ছন্দার আদালত।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করে তার মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর ক্রয়কৃত মোটরসাইকেল যথা সময়ে দিতে ব্যর্থ হলে ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে মোটরসাইকেলের ক্রয় বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেন। চেকটি নগদায়নের জন্য ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করে। চেকের অর্থ পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে।

পরবর্তীতে ওই চেক নগদায়ন করার জন্য ফাহিম ইভ্যালি, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বার বার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও তারা তাকে টাকা দিতে কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান।

ফাহিমের অভিযোগ, তারা প্রতারণা করতে মোটরসাইকেলের টাকা আত্মসাৎ করার মানসিকতা নিয়ে এমন কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ফাহিম আদালতে মামলা করেন।


আরও খবর



"ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি"

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধীতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কী সম্ভব?

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কি না! একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কি না; তা বলব কী করে?

তিনি বলেন, এখন আমীর খসরু বলেন একটা, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খান বলেন ভিন্ন কথা।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কি না; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে, সংবিধান অনুসারে হবে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই

ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।


আরও খবর



শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়তে হবে: খসরু চৌধুরী এমপি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরী এমপি বলেছেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজ মাদকাসক্ত থেকে দূরে থাকে। ডিসিপ্লিন ও সৎ হতে শেখায়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যই সব সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীর ও মন ভালো থাকে না। এজন্য সুস্থ জীবনযাপন করতে চাইলে খেলাধুলায় মন বসাতে হবে।

সোমবার সকালে ঢাকা-১৮ আসনের ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আগে শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়তে হবে। কারণ একটি দেশের প্রধান সম্পদই হচ্ছে মানবসম্পদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নই ছিল দেশের মানুষকে সম্পদে পরিণত করা। তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে হলে দেশের মানুষের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মোতালেব মিয়া।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম, ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি এম কবির উদ্দিন রিপন, প্রধান শিক্ষক মোঃ বদরুল আলম প্রমুখ।



আরও খবর