Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি বাজেটে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪১০জন দেখেছেন

Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। বিনামূল্যে না হলেও কৃষি যন্ত্রপাতি দিচ্ছি। মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট নিয়ে বিএনপি নেতারা গত ১৪ বছর ধরে বলে আসছেন- এটা উচ্চ বিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনাভিত্তিক বাজেট। কল্পনাভিত্তিক বাজেট হলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ জাতীয় আয় হতো না। প্রতি বছর আমরা স্মার্ট ও আধুনিক বাংলাদেশ করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট দিচ্ছি। সেই লক্ষ্যে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা বলে অদম্য বাংলাদেশ। আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। এই গতিকে আমরা আরও বেগবান করব। এই বাজেটের মাধ্যমে উন্নয়নকে আর গতিময় করব।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কেউ স্যাংশন দিয়ে এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। আপনারা যত ধরনের স্যাংশনই দেন, তা মোকাবিলা করার যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।

মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।


আরও খবর



বরুড়া উপজেলা জনকল্যাণ সমিতি ঢাকার ইফতার ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ

রাজধানীর শাজাহানপুরস্থ রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বরুড়া উপজেলা জনকল্যাণ সমিতি ঢাকার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ মার্চ শুক্রবার এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বরুড়া উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি মনিন্দ্র কিশোর মজুমদার।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বরুড়া  জনকল্যাণ  সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা- ৮ (বরুড়া) আসনের সংসদ সদস্য  এ জেড এম  শফিউদ্দিন শামীম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুই দুইবারের সিআইপি স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক তোফাজ্জল আলী  , সাবেক এমপি নাসিমুল  চৌধুরী নজরুল, সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমন, ডাক্তার রুহুল আমিন, হকস-বে এর ব্যবস্থাপনা  পরিচালক আব্দুল হক,সমাজ কল্যন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ আলম, বরুড়া উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান  প্রার্থী মোঃ কামাল হোসেন এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির আজীবন সদস্য ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস পত্রিকার সম্পাদক ওমর ফারুক জালাল সহ  সিনিয়র সদস্য বৃন্দ।


আরও খবর



মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর গেলেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও তার সঙ্গে রয়েছেন।

সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হন।

মির্জা ফখরুলের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্যার হেলথ চেকআপ করাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সিঙ্গাপুরে একটি ক্লিনিকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাবেন। ইতোমধ্যে ডাক্তারদের অ্যাপয়েন্টমেন্টও করা হয়েছে। আগামী ১৮ তারিখ স্যার দেশে ফিরবেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি মহাসচিব ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমে যায়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে তিনি সিঙ্গাপুরে গেছেন।

উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৩ মাস কারাভোগের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। কারাগার থেকে মুক্তির পর মির্জা ফখরুল ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে অধ্যাপক শামসুল আরেফীনকে দেখান এবং বাসায় থেকে তার তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নেন। এর আগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করিয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী ফখরুল। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ অগাস্ট তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।

কারামুক্তির পর অনেকটা সময় অতিবাহিত হলেও এখনও পুরোদমে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তৎপরত হতে পারেননি বিএনপি মহাসচিব।


আরও খবর



আমি একজন বিশ্বস্ত কর্মকর্তাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে তিনি অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে তিনি রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম হারালো একজন প্রিয় সহকর্মীকে, আর আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত কর্মকর্তাকে।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ইহসানুল করিম কুষ্টিয়ার এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম ডিগ্রি লাভ করেন। ইহসানুল করিমের সহধর্মিণীর নাম মমতাজ শিরিন করিম। তাদের ১ কন্যা ও ১ পুত্রসন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মৃত্যু হয় ইহসানুল করিমের। ইহসানুল করিমকে ২০১৫ সালের ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে ১ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নিয়োগের মেয়াদ ২০১৬ সালের ১৬ জুন ৩ বছরের জন্য বাড়ানো হয়।

২০১৯ সালের ১৮ জুন আরও ৩ বছর তার নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের জুনে আরও একদফায় তার নিয়োগের মেয়াদ ২ বছরের জন্যে বাড়ানো হয়।


আরও খবর



রমজান মাসে ন্যায্য দামে পন্য বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন পিয়াস জেনারেল ষ্টোর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৫৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃপবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানা এলাকার আলী মোহাম্মদ খান রোড আদর্শ বাগে অবস্থিথ পিয়াস জেনারেল ষ্টোর ন্যায্য দামে ক্রেতাদের নিকট নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। পিয়াস জেনারেল ষ্টোরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম এই ঘোষণা দেন। বর্তমানে দ্রব্য মূল্য উর্ধগতিতে ক্রেতাদের নাভিঃশ্বাস অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে তার এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ। রমজান মাস জুড়ে জাহাঙ্গীর আলমের এই পন্য মূল্য হ্রাস ঘোষণার পর ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে তার দোকানে।প্রায় প্রতিটি পন্যের উপড় খুচরা এবং পাইকারি বিক্রিতে এই ছাড় বলবৎ থাকবে যা চলবে আগামী ঈদ পর্যন্ত।এই দোকানে পন্য কিনে লাভবান হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।প্রতি এক হাজার টাকা পন্য কিনে একশত টাকা ছাড় পাওয়ার সুযোগ থাকছে। পন্যের গুনগত মান অক্ষুন্ন রাখতে সচেষ্ট পিয়াস জেনারেল ষ্টোর বদ্ধপরিকর।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। ‘রাজনীতিতে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক’ উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলায়’।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আজ ১৭ মার্চ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯২০ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে এসেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছি এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আর এজন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।’

তিনি জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, গ্রামের কাদা-জল, মেঠো পথ আর প্রকৃতির খোলামেলা পরিবেশে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি। কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। পরোপকার আর অন্যের দুঃখকষ্ট লাঘবে তিনি ছিলেন সদা তৎপর। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ-নির্যাতন দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ব্রিটিশ বিরোধী সভা-সমাবেশে অংশ নেন তিনি। এছাড়া গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ পরিচালনা করেন। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের কিছুদিন পরই তরুণ নেতা শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন, ব্রিটিশ পরাধীনতার কবল থেকে মুক্তি পেলেও বাঙালি নতুন করে পশ্চিমাদের শোষণের কবলে পড়েছে। শাসকগোষ্ঠী প্রথম আঘাত হানে বাঙালির মায়ের ভাষা ‘বাংলা’র ওপর। বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু সচিবালয় গেট থেকে গ্রেফতার হন। এভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাভোগের মধ্যদিয়েই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের পথে এগিয়ে চলেন। ১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন’, ‘৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন’, ‘৫৮’র সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন’, ‘৬৬’র ৬-দফা’, ‘৬৯’র গণঅভ্যূত্থান’, ‘৭০’র নির্বাচন’সহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি (বঙ্গবন্ধু) কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপস করেননি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির আবেগ ও আকাঙ্খাকে ধারণ করে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ডাকই দেননি বরং মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ‘আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি অবস্থায় শাসকগোষ্ঠী তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল। অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা’। দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে।

মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। কিন্তু হায়েনার দল বুঝতে পারেনি জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে লোকান্তরের বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জলে-স্থলে-আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছা যায়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। সকল আশঙ্কা ও নেতিবাচক ধ্যানধারণাকে ভুল প্রমাণ করে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আজ ‘আমরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিমুখে’।


আরও খবর