Logo
আজঃ বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কর্কট রাজনৈতিক শোভাযাত্রা এড়িয়ে চলুন,পাওনা আদায়ে কুশলী হোন বৃষ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ২৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার অনুকূলে যাবে। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। দূরের যাত্রায় না যাওয়ায় ভালো।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)

শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। যাবতীয় কেনাকাটা শুভ।

মিথুন (২২ মে-২১ জুন)

বেকারদের কেউ কেউ প্রত্যাশার চেয়ে ভালো চাকরি পেতে পারেন। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য আজকের দিনটি বিশেষ শুভ। জনসমাগম এড়িয়ে চললে আপনার ভালো হবে। দূরের যাত্রায় সহযাত্রীর ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)

ফেসবুকে কারো সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কের শুভ সূচনা হতে পারে। সৃজনশীল কাজের জন্য প্রশংসিত হবেন। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। ই-মেইলে পাওয়া কোনো তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তে পড়তে পারেন। রাজনৈতিক শোভাযাত্রা এড়িয়ে চলুন।

সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)

বেকারদের কারো কারো জন্য সুখবর আছে। আপনি একজন সংগীতশিল্পী হয়ে থাকলে আজ এ ক্ষেত্রে সম্মাননা পেতে পারেন। ফেসবুকে একাধিক প্রেমের প্রস্তাব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উচিত হবে না জেনেও কেউ কেউ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।

কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)

ব্যবসায়িক যোগাযোগের দিনটি বিশেষ শুভ। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। পাওনা আদায়ে তৎপর হোন। পুরনো কোনো প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ফিরে পেতে পারেন। দূরের যাত্রায় না যাওয়ায় ভালো।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)

দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া কোনো সুখবর দিয়ে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। বিদেশ যাত্রায় প্রবাসী আত্মীয়ের সহযোগিতা পাবেন। কেনাকাটায় বাড়তি ক্রয়ের চিন্তা পরিহার করুন।

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)

বৈদেশিক বাণিজ্যে বিদেশি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে লোভনীয় প্রস্তাব পেতে পারেন। পেশাগত দ্বন্দ্বের অবসান হবে। আপনি সংগীতশিল্পী হয়ে থাকলে আজ এ ক্ষেত্রে সম্মাননা পেতে পারেন। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।

ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)

বেকারদের কেউ কেউ বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেন। পাওনা আদায়ে তৎপর হোন। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। ই-মেইলে পাওয়া কোনো তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তে পড়বেন। রাজনীতি শুভ।

মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)

আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। ই-মেইলে পাওয়া প্রেমের প্রস্তাবে সম্মতি দিতে পারেন। জনসমাগম এড়িয়ে চলা উচিত। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে হাতছাড়া হওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। পাওনা আদায়ে তৎপর হোন। ফাটকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। ব্যর্থ প্রেমে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। অর্থের ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ কেউ আপনার সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফেসবুকের তথ্য ভালো করে যাচাই করে নিন। পারিবারিক সম্প্রীতি বজায়ের স্বার্থে অন্যের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হতে পারে। যাবতীয় কেনাকাটায় লাভের মুখ দেখবেন। দূরের যাত্রা শুভ।


আরও খবর



সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, গোজামিলে ড্রেনেজ গাংনী কাথুলী সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। গাংনীর কাথুলী থেকে মেহেরপুর শহর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ইট-খোয়া ওঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৮ গ্রামের মানুষসহ পন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট যানবাহন। সকল কর্মকা-ে পড়ছে ভাটা। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ৯ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সড়ক সংস্কার ও বাজার এলাকায় পয়নিস্কানের জন্য ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৬৪ লক্ষ টাকা। যার কার্যাদেশ পান ঢাকার আবেদ মনসুর কনষ্টাকশন। কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কুষ্টিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম। কাজ শেষ হবার কথা চলতি বছরের মে মাসে।

স্থানীয়রা জানান, কায়েমকাটা মোড়ে থেকে দুটি সড়ক দু’দিকে গেছে। একটি সড়ক শোলমারি, শোভরাজপুর, তেরঘরিয়া গ্রামের দিকে গেছে। অন্যাটি কাথুলী ইউনিয়নের সহগলপুর, হাটপাড়া, গাড়াবাড়িয়া, কাথুলী বাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এই সড়কটি দির্ঘ ১২ বছর ধরে খানাখন্দে ভরে থাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বছরে একবার করে খানাখন্দগুলো ভরাট করে চলে যায়। কিন্তু নতুন করে কার্পেটিং করার অভাবে পুনরায় নতুন নতুন খানা খন্দ সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।

গত ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে ওই সড়কের খানাখন্দ ভরাট করেছে সওজ। শুরু হয়েছে ড্রেন নির্মাণ কাজ। কাথুলী সড়কের কুলবাড়িয়া(যে অংশটি সদর উপজেলাধীন) ও হাটপাড়া বাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই ড্রেন নির্মাণ নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, যেখানে ড্রেন নির্মাণ করা জরুরী সেখানে না করে অন্যস্থানে ড্রেন করছে।

কাথুলী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কের গাড়াবাড়িয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকার সামনে সব চেয়ে বেশি পানি জমে। ওই সময়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসিকে। মাঝে মাঝে যানবাহন উল্টে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেখানে ড্রেন করা গুরুত্বপূর্ণ সেখানে না করে উচু স্থানে ড্রেন করছে। যা সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসবে না।

গাড়াবাড়িয়ার কম্পিউটার দোকানি আলি হোসেন জানান, গত একযুগেও সড়কটিতে মানুষ আরামে চলাচল করতে পারেনি। বেশিরভাগ স্থানে খানাখন্দ। এবারে নতুন করে আরো একটি ঝামেলা তৈরি করেছে তারা।যেখানে ড্রেনের দরকার সেখানে না করে উচু যায়গায় ড্রেন নির্মাণ করছে। আগামী বর্ষায় এই সড়কদিয়ে মানুষ কেন কোন পরিববহনও চলাচল করতে পারবে না। একই অভিযোগ কাথুলী গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত হোসেনের। তিনি আরো জানান, এই সড়কে কোন কাজের ঠিক নেই। এমনিতে কয়েকস্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলার কারণে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। তার উপর উঁচু স্থানে ড্রেন নির্মাণ।

কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, কাথুলী সড়কে যেখানে ড্রেন নির্মাণের জন্য এলাকাবাসি দির্ঘ দিন থেকে দাবি জানাচ্ছিল। সেই জলাবদ্ধ স্থানে সড়ক বিভাগ ড্রেন নির্মাণ না করে একটি উচু স্থানে ড্রেনটি নির্মাণ করছেন। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা। কয়েকদফা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরও তারা সেখানেই ড্রেনটি নির্মাণ করছে।জানতে চাইলে আবেদ মুনসুর কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম জানান, কাজ চলমান রয়েছে।

সড়কের উপরিভাগ তুলে ফেলে নতুন করে কার্পেটিং করা হবে। সওজের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। কোন কোন স্থানে ড্রেন হবে তা আগে থেকে সওজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে রেখেছে। এখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন গাফলতি নেই।

কোন অনিয়ম হয়নি মর্মে দাবি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী (এসডি) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ড্রেন হওয়ার কথা বাজার এলাকায়। সওজ সব সময় তদারকি করে কাথুলী সড়কের তিন স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। এর আগে সওজ কয়েকদফা এলাকায় ড্রেন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করেছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।


আরও খবর



নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে হিলিতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতণের মধ্যে দিয়ে ঐহিতাকি ৭ মার্চ উদযাপিত হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসন পক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।এরপর উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইউএনও অমিত রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হাকিপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম,সহকারি কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম,ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন,ওসি দুলাল হোসেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান সদরুল ইসলাম,প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলুসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।এরপর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির অংশ গ্রহনে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত ভাষণ,আবৃত্তি, চিত্রাংকন ও সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এদিকে সকাল ৯ টায় হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে হিলি চারমাথা দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য করা হয়। এসময় সেখানে হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহমান লিটনসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী এবং একজন নুর মোহাম্মদ রাজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১৯৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃ❝পারিবোনা এ কথাটি বলিওনা আর একবার না পারিলে দেখো শতবার❞এই উপপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী সংস্কার এবং নদীর তীর ঘেষে রাস্তা নির্মানের পরিকল্পনা নিয়ে যিনি দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি হলেন, টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাবেক ছাত্র,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব,কবি,লেখক ও অভিনেতা নুর মোহাম্মদ রাজ্য।তিনি আজ লৌহজং নদীর পাড়ের মানুষের কাছে একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি যেমন বিনয়ী হাসি খুশি, তেমনই কলেজ জীবন‌ থেকে তার ভিতরে এক বিশাল সৎ সাহস কাজ করতো, যার প্রতিফলন ঘটেছে লৌহজং নদী সংস্কার ও নদীর তীর ঘেষে রাস্তা নির্মানের মাধ্যমে।দীর্ঘদিন যাবত অবহেলায় পড়ে থাকা টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাস নামক লৌহ জং নদী যেটিকে কিছুদিন আগেও ময়লার স্তুপে পরিনত ছিলো, নদীর পাশ দিয়ে চলতে গেলে র্দূগন্ধে কাপড়ে মুখ লুকাতে হতো, সেই লৌহজং নদীর তীরে বসে আজ দর্শনার্থীরা খাবার খাচ্ছেন।এসবই সম্ভব হয়েছে এর মূল উদ্যোগত্বা নুর মোহাম্মদ রাজ্যের কারণে।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয় এর উদ্যোগে এবং সার্বিক সহযোগিতায় ৪১ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শত বাঁধা বিপত্তি কে পার করে বিডি ক্লিনের সহযোগিতা নিয়ে লৌহজং নদীর ময়লা অপসারণ করে নদীর দুই পাড়ে দৃশ্যমান রাস্তার কাজে শ্রম দিয়ে যাচ্ছি। যেখানে পূর্বে পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া কষ্টকর ছিলো সেখানে এখন দাঁড়িয়ে সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করা যায়।তার এই উদ্যোগের কারণে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্ধাদের মনে তিনি সাদা মনের মানুষ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। তাই তো ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে বলতে হয়- ❝যতদিন রবে লৌহজং নদী বহমান, ততদিন রবে সবার অন্তরে নুর মোহাম্মদ রাজ্য তোমার নাম❞

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীতে ধানমণ্ডি ৩২ সড়কে একে একে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এর আগে, শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন সাত প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। এরপরই তাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে।

পরে ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। এতে প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণ মন্ত্রী রয়েছেন ২৫ জন। নতুন সাতজনসহ প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ জনে। তবে এই মন্ত্রিসভায় কোনো উপমন্ত্রী নেই।


আরও খবর



৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে আমাদের ‘স্বাধীনতা’ নামের এক অমরবাণী শুনান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে বুধবার (৬ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতির কালজয়ী মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ভাষণের মাধ্যমে দেশের শাসনভার জনগণের হাতেই তুলে দেন। ক্ষমতাকে কি করে নিয়ন্ত্রিতভাবে সকলের কল্যাণে ব্যবহার করতে হয় তাও বুঝিয়ে দেন। শিখিয়ে দেন আত্মরক্ষামূলক কিংবা প্রতিরোধক সমরনীতি, যুদ্ধকালীন সরকার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে শহিদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে একটি মহাকাব্য রচনা করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং বাংলাদেশ একই সুত্রে গাঁথা। পূর্ব বাংলার মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং পৃথিবীর মানচিত্রে তাদের জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা শেখ মুজিব পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন এবং সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একমাত্র তিনিই ছিলেন হাজার বছরের শোষিত-বঞ্চিত বাঙালিদের মধ্যে সবচেয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ না করে নানা টালবাহানা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে তিনি আমাদের ‘স্বাধীনতা' নামের এক অমরবাণী শুনান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান। তিনি বীর বাঙালির অবশ্যম্ভাবী বিজয়কে উৎকীর্ণ করেন তার ভাষণের শেষ দু’টি শব্দে- ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে।

একটি ব্রিটিশ পত্রিকা বঙ্গবন্ধু ভবনকে লন্ডনের ১০-ডাউনিং স্ট্রিটের সঙ্গে তুলনা করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ শুনে ঢাকায় রাষ্ট্রপতির বাসভবনে বাঙালি বাবুর্চি ইয়াহিয়া খানের জন্য রান্না বন্ধ করে দিয়েছিল। ২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি মানুষ ইয়াহিয়ার শাসনকে অগ্রাহ্য করে শেখ মুজিবের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।

তিনি আরও বলেন, সেই রাতে পাকিস্তানি শাসক তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে নয় মাস যুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের বাংলার মাটিতে পরাস্ত করে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন এবং তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের পরাজিত শত্রুদের এ দেশীয় দোসররা পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। তারা ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে এবং ‘জয় বাংলা’ শ্লোাগানও নিষিদ্ধ করে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু মুজিবের নাম মুছে দিতে উদ্যত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর খুনি মোস্তাক-জিয়ার আনীত দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করে এবং জাতির পিতার খুনিদের বিচার শুরু করে। পরবর্তীতে আমরা ২০০৯ সাল থেকে পরপর চার দফা সরকার গঠন করে জাতির পিতার আদর্শে দেশের সার্বিক উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি। ফলে, জাতি গ্লানিমুক্ত হয়। আমরা সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ প্রণয়ন করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদের পঞ্চম তফশিলে অন্তর্ভুক্ত করি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। শুধু তাই নয়, ইউনেস্কো মনে করে এ ভাষণটির মাধ্যমে জাতির পিতাই প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ-এর বিশ্বস্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমাদের হাইকোর্টের রায়ের ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২০৪১ সালে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৭ মার্চের ভাষণ যুগে-যুগে বাঙালিদের বিশ্বের বুকে আত্মমর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে চলতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।


আরও খবর