পুঠিয়া(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃবছরে কোটি টাকা আয় হলেও উন্নয়নের তেমন ছোয়া লাগে নাই রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায়। পৌরসভা জুড়েই নানা অনিয়ম। সারা বছরই রয়েছে মশার উপদ্রব,রাস্তাগুলো যেন মরণফাঁদ,এরপরেও রহস্যজনক ভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে দেনার বোঝা।নানা করনে বন্ধ থাকে পৌরসভার কর্মকতা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা। প্রায় ২ যুগ পার হলেও স্থায়ী ভাবে হয় পৌরসভার কার্যালয়। ২০০২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৭৫লক্ষ টাকা দিয়েছিল পৌরসভার ভবন নির্মানের জন্য তাও আজ পযর্ন্ত ভবন নির্মানত দুরের কথা ভবন নির্মানের স্থাননির্ধারণ করাই সম্ভব হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর সভার একাধিক কাউন্সিলর জানান, এই পৌরসভায় প্রতিবছর বিভিন্ন খাৎ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। তার পরেও আমাদেও বেতন ভাতা বাঁকি থাকে। এই টাকা যায় কোথায় আমরা জানিনা। এ জন্য তারা পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী এবং মেয়রকে দায়ী করেন। তারা বলেন,মেয়র আর প্রকৌশলী মিলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে ভুয়া ভাউচার তৈরী করে অর্থ আতœসাৎ করে আসছেন। এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন,অর্থ আতœসাতের কথা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়ার্ড । অর্থ সংকটের করনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও বেতন ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। কোথায় কি ভাবে অর্থ ব্যায় হচ্ছে তার সঠিক হিসেব আমার কাছে আছে। ২০০১ সালে পুঠিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে১৫ বছর চালিয়েছেন প্রশাসক। এর পর ২০১৬প্রথম মেয়র হন রবিউল ইসলাম রবি, ২০২০ সালে বর্তমান মেয়র আল মামুন ৯৪ লক্ষ দেনা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহন করেন। বর্তমানে পুঠিয়া পৌরসভার দেনা প্রায় দেড় কোটি। অথচ এই তিন বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটিও বেশি। পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল হাওলাদার বলেন,জন্ম,মৃত্যু,নাগরিকত্বসহ যে কোন সনদ নিতে গেলে তাদেও বেধে দেওয়া ফির এর চেয়েও বেশি টাকা দিতে হয়।এই পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি।
এবিষয়ে পৌর মেয়র আল মামুন বলেন,আমি পৌরসভার দায়িত্ব নেবার পর থেকে এখানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমার জানা মতে এখানে কোন অনয়িম হয়নি।ভবন নির্মানের জন্য ব্যাংকের রাখা অর্থ গায়েবের বেপাওে তিনি বলেন,এই টাকা আমার আগের মেয়র বলতে পারবে এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।