Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কোমর বেধে বোরো রোপনে বিলের জমিতে তানোরের কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯৯জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি; কনকনে শীত সাথে হিমেল হাওয়ার কারনে খুব সকালে বিলের জমিতে নামা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। কিন্ত গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এবং রোববারে ঠান্ডা অনেকটাই কম ছিল। সেই ফাকেই কোমর বেধে বিলের জমিতে আগাম বোরো রোপন শুরু করেছেন রাজশাহীর তানোরের কৃষকরা। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে রোপন ও জমি তৈরির কাজ। আর রাতে সেচ পাম্প থেকে রোপনকৃত জমিতে সেচ পানি ও তৈরির জন্য পানি নিচ্ছেন কৃষকরা। এককথায় দিন রাত সমান তালে চলছে কৃষি কাজ। তবে টানা কনকনে শীত ও হিমেল বাতাসের কারনে বীজ তলা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলেও জানান কৃষকরা। এছাড়াও আলু সরিষা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে। দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। তারপরও থেমে থাকার অবকাশ নেই। তবে বিদ্যুতের বাড়তি দামে বাড়তি সেচ হারে মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার নিচু এলাকা বলতে বিল কুমারি বা শীবনদী। এই বিলের জমিতে আগাম আলু সরিষা ও আগাম বোর চাষ হয়ে থেকে। যদিও পোষ মাসেই বিলের জমি রোপন হয়ে যায়। কিন্তু এবারে প্রচন্ড শীত অনেকটাই বাগড়া দিয়েছে। টানা ঘন কুয়াসা আর উত্তরের হিমেল হাওয়া কাবু করে দেয় সবাইকে। গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার ও রোববারে তেমন ঠান্ডা না থাকায় কোমর বেধে বোরো রোপন চলছে। কারো রোপন শেয হয়েছে তো কেউ রোপন করছেন। 
উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপি, তানোর পৌরসভার কালিগঞ্জ, বুরুজ, জিওল, আমশো, গোল্লাপাড়া, কুঠিপাড়া, হিন্দুপাড়া, তানোর পাড়া, সিন্দুকাই, গুবিরপাড়া, ধানতৈড়, চাপড়া, গোকুল, তালন্দ, সুমাসপুর, হরিপুর ও কামারগা ইউপির, কামারগা, শ্রীখন্ডা, দমদমা, মাঝিপাড়া, বাতাসপুর, পারিশো, দূর্গাপুর, মাদারিপুর,জমসেদপুর, বিহারইল, মাড়িয়া, মালশিরা, কলমা ইউপির কুজি শহর,চন্দনকোঠা এলাকা জুড়ে বিল কুমারি বিলের জমিতে চলছে বোরো রোপনের কাজ।

পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব আলী জানান, গত ১৩ দিন আগে বিলের সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে বোরো রোপন শেষ হয়েছে। রোপনের পরে প্রচুর কোয়াসা, ঠান্ডা সাথে হিমেল বাতাসে ধান গাছের চেহারা লাকচে হয়ে গিয়েছিল, কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা না থাকার কারনে চেহারা ভালো লাগছে। তিনি আরো জানান, শাওনের ৬ বিঘা ও মফিজের ২ বিঘা ১০ কাঠা রোপন শেষ হয়েছে। ভূমিহীন কৃষক  ফারুক জানান, বিলের নিচে  ২৫ কাঠা জমি রোপন করব, বিলের পানি নেমেছে, দুএক দিনের মধ্যে রোপন করা হবে, মজিবর, দেড় বিঘা, সুনিল, ৭ বিঘা, জুল, দেড় বিঘাা রোপন করবেন। শীতলীপাড়া বঙ্গবন্ধু সমবায় সমিতির গভীর নলকুপের সেচ পানির দায়িত্বে থাকা ডলার, শাকির, মমিন জানান, বেশির ভাগ জমি রোপন হয়েছে। সামান্য বাকি আছে। প্রচন্ড শীত না হলে রোপন হয়ে যেত।

কামারগাঁ ইউপির কৃষক আব্দুর রহিম জানান, এই ইউপিতে আগাম বোরো রোপন হয়। প্রায় জমি রোপন হয়েছে। যাদের জমিতে সরিষা কিংবা আলু আছে তাদের রোপন হয়নি। তবে আগাম রোপন হয়,কারন বন্যা হলে ইউপির জমিগুলো ঢুবে যায়। মুলত এজন্যই পোষ মাসেই রোপন শেষ হয়ে যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবারে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপন হয়েছে। বিলের জমি রোপন প্রায় শেষের দিকে, উপরের মাঠে জমি তৈরি চলছে বলে জানান তিনি।
আব্দুস সবুর

আরও খবর



নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা,প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এরশাদ আলী (৩০) নামে এক দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পরানপুর ইউপির গোপালপুর বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ  দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বান্দাইপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে। গোপালপুর বাজারে ফয়সাল টেইলার্স নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী বুলবুল হোসেন বলেন, দর্জি এরশাদ আলী নিজেই কাপড় কেটে ও সেলাই করে পোষাক তৈরি করেন। তার দোকানে কোনো কর্মচারী নেই। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তৈরি পোষাকে ক্যালেন্ডার করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। 

এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



বিরামপুরে নকল পণ্য সরবরাহের অপরাধে দু’জনের কারাদন্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুরে নকল’জুস, চকলেট ও পাউডার’জুস সরবরাহ করার সময় দুই ব্যবসায়ীকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ র্মাচ) দুপুর ৩টার দিকে বিরামপুর পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টার এর সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.  মুরাদ হোসেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন ইসলাম(২৬) ও একই এলাকার সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে গৌতম কুমার (২৫)।

জানা যায়, ঢাকা থেকে নকল বোতলজাত জুস,  চকলেট ও পাউডার’জুস সরবারহ করে করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর  পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে দুই’জনকে আটক করা হয়। এসময় জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে চার হাজার ১শত ৫০টি বোতলজাত নকল জুস, দুই কার্টুন পাউডার জুস ও দুই কার্টুন চকলেট।

 ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন জানান, জুস,  চকলেট ও পাউডার’জুস সরবারহের অপরাধে  দুই’জনকে একমাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জনসার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



মোবাইলের অডিওকে উন্নত করতে ইনফিনিক্স ও জেবিএল-এর পার্টনারশিপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:বিশ্বখ্যাত অডিও ব্র্যান্ড জেবিএল-এর সঙ্গে আবারও একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। পার্টনারশিপটি দুই প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ফলে, সাউন্ড বাই জেবিএল-এর মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে উন্নত অডিও অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহকরা।

এই পার্টনারশিপের পর আরও উন্নত মানের সাউন্ডের জন্য স্পিকার ও হেডফোন আউটপুটকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজে এই পার্টনারশিপ তুমুল সাফল্য পেয়েছিল। তার পথ ধরেই, নতুন এই পার্টনারশিপ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। 

জেবিএল-এর অ্যাকুস্টিক ডিজাইন, উন্নত অডিও প্রসেসিং অ্যালগরিদম এবং আধুনিক ড্রাইভার প্রযুক্তি সেরা মানের হার্ডওয়্যার নিশ্চিত করে। এতে ইনফিনিক্স ডিভাইসে পাওয়া যাবে নির্ভরযোগ্য সাউন্ড সিস্টেম।

এই পার্টনারশিপের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- নোট ৪০ সিরিজের ফোনে ডুয়েল জেবিএল স্পিকারের অন্তর্ভুক্তি। চমৎকার, থ্রিডি সাউন্ডের অভিজ্ঞতা দিতে এই ডুয়েল স্পিকার ডিজাইন করা হয়েছে। এতে আরও আছে ডিপ বেইজ ইফেক্টসহ ৫৮% উন্নত বেইজ পারফরম্যান্স।

নোট ৪০ সিরিজের ফাইভ-ম্যাগনেট সাউন্ড ইউনিট নির্ভরযোগ্য সাউন্ডের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটি মিউজিক, ভিডিও ও গেমিংয়ে গ্রাহকদের জন্য সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

তাছাড়া, ইনফিনিক্সের নিজের তৈরি এআই অ্যালগরিদমযুক্ত ডাবল মাইক্রোফোন সিস্টেম কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও পরিষ্কার ভয়েস ক্যাপচার নিশ্চিত করে। ফিচারটি গেমারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকলেও গেমিংয়ের সময় তারা টিমের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন নির্বিঘ্নে।

গত মার্চ থেকে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের নোট ৪০ ও নোট ৪০ প্রো স্মার্টফোন দুটি।

নোট ৪০ প্রো ফোনের ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ ফোনটির মূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদা বেগম (৭০) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২ জন। নিহত জাহিদা বেগম মীরডাঙ্গী এলাকার পাইকার বস্তির খোসিবোদ(তালি`র) স্ত্রী বলে জানাগেছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদশিরা জানান, উপজেলার মীরডাঙ্গী পাইকার বস্তি নামক এলাকায় বৃদ্ধ মহিলাটি রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।এতে ওই মহিলা সহ মোটরসাইকেলে থাকা আরো দুজন গুরুতর আহত হলে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ওই বৃদ্ধ মহিলা সহ আরো দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরের বৃদ্ধ মহিলা কে  কর্তব্যরত  চিকিৎসক দিনাজপুর এম এ আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার দ্বিপজল চন্দ্র রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থল থেকে এক বৃদ্ধাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। আহত মোটরসাইকেল আরোহীরা পলাতক। 

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন খবর পাইনি। খোজ নিলে জানতে পারবো। অভিযোগ পেলে আইন আইনু ব্যাবস্তা নেওয়া হবে। 

আরও খবর



প্রচন্ড তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ চলছে কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমের তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও এক প্রকার দাপটের সাথেই চলছে কোচিং সেন্টার। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় ব্যবস্হা নেয়ার দাবী জানান অনেকেই।নিত্যদিনের ন্যায় গতকালও শহরের ৮ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার চিত্র চোখে পড়ে।

দেখা গেছে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা গদাগদি করে বসে আছে। অনেকের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। অনেক অভিভাবক বলছেন,এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে ভালো হতো। কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে না থেকে কোচিং সেন্টারে ছুটছে।

৮ নং ওয়ার্ডে কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী বলছেন,গরমে বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এরপরেও মেধার বিকাশ করতেই যেতে হচ্ছে সেখানে। এমনিতেই প্রচন্ড গরম এরপর কোচিং সেন্টারে গদাগদি করে বসলে সারা শরীর থেকে ঘাম ঝরে। কোচিং সেন্টারের সারেরা যদি এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতেন, তাহলে খুব ভালো হতো।আবার কেউ কেউ বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কোচিংয়ের কারনে পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে গেছে। স্কুল কলেজ খোলার সাথে সাথে পরিক্ষা। কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা না করলে পরিক্ষায় লিখতে পারবো না।

গরমে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টার কেন খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে সৈয়দপুর শহরের ডাক বাংলা সংলগ্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জাবেদ আকতারি জানান, সৈয়দপুরের অনেকেই তো কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন। গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে তা জানা ছিল না। তাছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক।  সকলের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে আমি ও বন্ধ রাখবো। তবে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সাথে সাথে যদি কোচিং সেন্টার ও বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেই।

সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম  জানান,যারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন তারা নীতিবহির্ভূত কাজ করছেন। সরকারের নির্দেশ কে সম্মান জানিয়ে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রচন্ড গরমের দিন গুলোতে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবী জানান তিনি। এরপরেও যদি কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর