Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কলারোয়ায় জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে টিকাদান অবহিতকরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৩৭জন দেখেছেন

Image

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি : বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপকহারে কুকুরকে টিকা দান (এমডিভি) কার্যক্রম উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবর রহমান সেন্টু। ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন-কলারোয়া পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ নাজনীন খুকু, কয়লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নুর মোহাম্মাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেডিনারী সার্জন ডা: সাইফুল ইসলাম, সাবেক বিআরডিপির সভাপতি মশিয়ার রহমান বাবু, কলারোয়া পৌর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সহ.সভাপতি সরদার জিল্লুর। এমডিভি কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাগত বক্তৃতা করেন এমডিভি ফিল্ড সুপারভাইজার রাসেল খন্দকার,কলারোয়া হাসপাতালের আরএমও ডা: শফিকুল ইসলাম সহ স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও বিভিন্ন ইউনিয়নের সহকারী স্বাস্থ্য  পরিদর্শকবৃন্দ।

উল্লেখ্য-কলারোয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একযোগে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বক্তরা বলেন, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি। এ রোগের মৃত্যুর হার শতভাগ। জলাতঙ্গ রোগ মুলত কুকুরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরের কামড় ও আঁচড় থেকেও হতে পারে। বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ জলাতঙ্কে মারা যেত এবং গবাদী পশুর মৃত্যুর সংখ্যা অগনিত ছিল। ২০১১ সাল থেকে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে এটি ২০১৬ সালে ৯০% এর নিচে নামিয়ে আনে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন সরকার। যার মধ্যে ভ্যাক্সিন কার্যক্রম অন্যতম। জলাতঙ্ক একটি তীব্র ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রায় সবসময়ই মারাত্মক। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বানরের মাধ্যমে সংক্রমন হয়ে থাকে। প্রথম পর্যায়ে বাদুড় থেকে এই ভাইরাস অন্যপ্রাণি বহন করে সব শেষে মানুষে দেহে প্রবেশ করে। আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে অন্য মানুষ সংক্রমনিত হয় না। এ জন্য বেশি বেশি সচেতনতা দরকার। এমনকি আক্রান্ত প্রাণি থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করার আগে প্রতিরোধ করা গেলে ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব। যেহেতু প্রাণীর লালার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায়। বিপথগামী কুকুরগুলি সংক্রমণের সবচেয়ে সম্ভাব্য উৎস, সে কারণে পোষা প্রাণীদের টিকা দেওয়া হয়। যদি একটি উন্মত্ত প্রাণী একজন ব্যক্তির উপর একটি খোলা ক্ষত চাটতে পারে, তাহলে ভাইরাসটি সহজে সংক্রমণ হতে পারে। মাথা এবং ঘাড়ের ক্ষতগুলি আরও বিপজ্জনক কারণ সংক্রমণ দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে। জলাতঙ্কের উপসর্গ এবং লক্ষণগুলি রোগের শেষ পর্যায়ে দেখা যায় না, এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এনসেফালাইটিস সৃষ্টি করে এবং এর পরেই মৃত্যু ঘটে।

প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল: মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, জ্বর এবং কামড়ের জায়গায় খিঁচুনি। অত্যধিক লালা নিঃসরণ, গিলতে অসুবিধা, গিলতে অসুবিধার কারণে পানির ভয়, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি, অনিদ্রা এমনকি আংশিক পক্ষাঘাত এবং কখনও কখনও কোমার মতো লক্ষণগুলি জলাতঙ্কের ইঙ্গিত দেয়। ব্যক্তি শব্দ, আলো এবং এমনকি বাতাসের ভয় দেখা যায়। বক্তরা আরো বলেন, জলাতঙ্ক ৩টি  স্তরের ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রথমত যদি কোন মানুষকে কুকুর, বিড়াল বা শিয়ালে কামড়ে বা আঁচড় বা জিহ্বা দিয়ে কোন স্থানে চাটতে পারে তাহলে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত বের না হয় সেক্ষেত্রে ওই স্থানে সাবান পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার জাতীয় জিনিস দিয়ে ৩০-৪০ মিনিট ধরে ধুতে ফেলতে হবে। ২য় স্তরে যদি কোন ব্যক্তিকে কামড় দেয় সেই স্থান থেকে রক্ত নিগত হতে থাকে তাহলে ক্ষত স্থান চেপে ধরে রাখতে হবে এবং সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এমনকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসে কিংবা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের নিকট হতে ভ্যাক্সিন গ্রহন করতে হবে। ৩য় স্তরে আক্রন্ত ব্যক্তিকে যদি একাধিক স্থানে কামড়িয়ে জখম করে থাকে সেক্ষেত্রে যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সেখানে ডাক্তারের বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে জলাতঙ্ক সাথে সাথে ছড়িয়ে না পড়লেও এটি ১০/১৫ বছর পরেও লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই ঝাঁড় ফুক না দিয়ে রুগকে সরাসরি চিকিৎসকের নিকট নিয়ে এসে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে হবে। মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগে যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা যায় তাহলে দেশ থেকে জলাতঙ্ক কমে যাবে। সে জন্য বিপথগামী কুকুর, পোষা প্রাণীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। এজন্য এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।




আরও খবর

বিশ্ব কিডনি দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪




ইলিয়াস কাঞ্চন প্ল্যানবাজ লোক: জায়েদ খান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:ইলিয়াস কাঞ্চন হচ্ছেন সবচেয়ে বড় একটা প্ল্যানবাজ লোক। একুশে পদক পাওয়া একজন স্মরণীয়-বরণীয় মানুষ। তিনি আমাদের সবার সিনিয়র। যতই কান্নাকাটি করুক না কেন, এইসব ঝামেলার দায়িত্ব কিন্তু উনার ঘাড়ে নিতে হবে। এবার বিভিন্ন কারণে সদ্য বিদায়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে দুষলেন জায়েদ খান।

বুধবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না কাঞ্চন ভাই কোনোদিন সমিতির গঠনতন্ত্র পড়ছেন! তাকে জিজ্ঞেস করবেন, কোন ধারায় কী আছে? তিনি বলতে পারবেন না। আর আমাকে জিজ্ঞেস করেন কোন ধারায় কী আছে, সব মুখস্থ।

এদিকে, সম্প্রতি শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তা ছাড়া এর আগে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাতিল করা হয়েছিল চিত্রনায়িকা সুচরিতা ও চিত্রনায়ক রুবেলের সদস্যপদ।

এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে জায়েদ বলেন, ‘সুচরিতা ও রুবেল ভাইয়ের যে সদস্য ও কার্যকরী পদ স্থগিত করা হয়েছিল, সেটাও অবৈধ। কেন বলি? কারণ চিঠি দিয়েছিল নিপুণ। তখন রুবেল ভাই ও সুচরিতা আপা বলেছিলেন, আপনি তো সেক্রেটারি না, আপনি আমাকে চিঠি দিতে পারেন না। এই পদ নিয়ে মামলা চলমান। অতএব আপনার নোটিশে আমি মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারি না। এতে মহামান্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের অবমাননা হয়।

সম্প্রতি শিল্পী সমিতির পিকনিকে ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন তিনি। তার মতে, শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার কথা ভুলে গেছেন সদস্যরা। এ ছাড়া বর্তমান কমিটির কার্যক্রম ও সাফল্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যে কারণে আগামী নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না তিনি।

২০২২ সালের নির্বাচনে সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে সেই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে কে জয়ী হয়েছেন, তা নিয়ে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। শেষমেশ জটিলতা অবসানে আদালতের দ্বারস্থ হন দুই প্রার্থী নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খান। যদিও উচ্চ আদালতে বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।


আরও খবর



ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ‘প্রমাণ’ মিলেছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ‘প্রমাণ’ পেয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদ তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে কিছু অডিও, ভিডিও ক্লিপ পাওয়া গেছে। সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষক মুরাদ কী জানিয়েছে, জানতে চাইলে খ মহিদ উদ্দিন বলেন, বাদীর মেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় মুরাদের কোচিংয়ে পড়ত। প্রায় সময় মুরাদ তার মেয়েসহ তার সহপাঠীদের কুরুচিপূর্ণ কৌতুক শোনাত।

তিনি বলেন, বাদীর মেয়ে স্কুলে নাচ করত। ওই নাচের ভিডিও মুরাদ ঘুমানোর আগে দেখত বলে ওই শিক্ষার্থীকে প্রায়ই বলত।

অভিযোগ এক বছর আগের, এখন সেটা কীভাবে প্রমাণ করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত এই কমিশনার বলেন, ফৌজদারি অপরাধ কখনো তামাদি হয় না, ৫০ বছর হলেও তার বিচার হতে পারে। আর এই ঘটনা প্রমাণে মেডিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও আরো কিছু বিষয় তদন্ত করে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ বের করতে হয়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন এক অভিভাবক।

এ বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদপত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর মুরাদ হোসেন সরকারকে আজিমপুরের ক্যাম্পাসের দিবা শাখা থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। কলেজের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না হয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে ভিকারুননিসার ছাত্রীরা। অভিভাবকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান।

পরে গত সোমবার রাতে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভায় মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলাবাগানের বাসা থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে র‍্যাবের অভিযানে মাদকসহ আটক ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এরই ধারাবিকতায় গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের আদর্শ কলেজ পাড়া গ্রামের মৃত বুদু মন্ডলের পুত্র ওবায়দুল ইসলামের আধা পাকা বাড়ী থেকে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল, ফেন্সিগ্রীপ, এমকেডিল, ফেয়ারডিল সহ মোট ৩৬৪ বোতল মাদক জব্দ করে এবং ওবায়দুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। দিনাজপুর র‌্যাব-১৩ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি অভিযানিক দল ফুলবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৩৬৪ বোতল সহ ওবায়দুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ওবাইদুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে দেশের সীমান্ত এলাকা হতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে আসছে। র‍্যাব বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। ফুলবাড়ী থানার পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী ওবাইদুল ইসলামকে গতকাল মঙ্গবার জেল হাজতে প্রেরণ করেন।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে ১৩৩টি ইটভাটার মধ্যে ১৩০টিই অবৈধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় ১৩৩টি ইটভাটা রয়েছে। জেলার ১৩৩টি ইটভাটার এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা রয়েছে রায়গঞ্জ উপজেলায় ৬২ টি, উল্লাপাড়ায় ৩১টি, শাহজাদপুরে ১৯টি, সিরাজগঞ্জ সদরে ০৯টি, তাড়াশে ৬টি, কাজিপুরে ৩টি, কামারখন্দে ২টি ও বেলকুচিতে ১টি। ইটভাটাগুলোর মধ্যে কোনোটির লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ আর কোনোটির লাইসেন্সই ছিলনা কখনো। এভাবেই দিনের পর দিন, বছরের পর বছর সবাইকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব ইটভাটাগুলো। পরিবেশ সংরক্ষন আইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাহাড়, বন ও জলাভূমির এক কিলোমিটার এলাকা এবং কৃষিজমিতেও কোনো ইটভাটা করা যাবে না বলা থাকলেও এসব কোনো আইনই মানছেন না ইটভাটা মালিকরা। আর এসব ইটভাটা থেকে যে বিষাক্ত উপাদান ও ধোয়া নির্গত হয় সেটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এবং মানবদেহের স্বাস্থ্যঝুকি বাড়াচ্ছে। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালীদের মালিকানার ছত্রচ্ছায়ায় এসব ইটভাটা চলছে। গত বছর কয়েকটি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম বন্ধ ও জরিমানা করলেও কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার সেগুলো চালু হয়েছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রিন সিরাজগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা আশিক ইসলাম জানান, ইটভাটাগুলো কার্বন কণা সমৃদ্ধ সাসপেন্ডেড পার্টিকুলেট ম্যাটার, কার্বন মনোক্সাইড ও সালফার অক্সাইডের উচ্চ ঘনত্বযুক্ত বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত করে, যা পরিবেশের ভারসাম্য এবং মানবদেহ; বিশেষ করে চোখ, ফুসফুস ও গলার জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর।

প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন মাহবুবুল ইসলাম পলাশ, তিনি বলেন, পরিবেশ ও জমি দূষন রোধে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। ইটভাটার ধোয়ায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, ফলমূলের ক্ষতি হচ্ছে। এরকারণে অদূর ভবিষ্যতে এদেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এসব অবৈধ ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষিজমিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে এর কারণে এই অঞ্চলের খাদ্যনিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।

রায়গঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার, আমরা জেলা প্রশাসনের সকল আইন মেনে ইটভাটা পরিচালনা করছি, শুরু পরিবেশরে ছাড়পত্র নেই। কিছু ইটভাটার লাইসেন্স ছিল না, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জরিমানা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ভাটা গুড়িয়ে দিয়ে প্রশাসন। 

রায়গঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু হানিফ খান, ইটভাটা পরিচালনার জন্য অন্যান্য সকল লাইসেন্স আমাদের রয়েছে। পরিবেশের ছাড়পত্র ছিল এখন নেই কিন্তু ছাড়পত্রের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

আর সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর জানান, আমরা কাজের তৎপরতা বাড়িয়েছি, ভাটাগুলোর আইনগত কাঠামো বিশ্লেষন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে বেশ কয়েকটি ইটভাটায় জরিমানা করা হয়েছে এবং গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এবছর সিরাজগঞ্জের ২১টি ইটভাটায় ৫৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ১৩১ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রোববার (১০ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা-১ থেকে,বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সহকারী জজ/সমপর্যায়ের বিচারক জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মরত ১৩১ কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়।

 এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ ওসমান হায়দার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পদোন্নতিপ্রাপ্ত বিচারকরা পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদ/সমপর্যায়ের পদে স্ব-স্ব কর্মস্থলে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মরত থাকবেন। এছাড়া পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে যোগদানের তারিখ হতে উল্লিখিত বিচারকদের পদোন্নতি কার্যকর হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাই বিজেএস ১১শ ব্যাচের।


আরও খবর