কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের জেলে কামাল পাহলান (৪০)। বছর দুই আগে তিনি পার্শ্ববর্তী খালে মাছ শিকারে যান। এসময় একটি বাজপাখি অসু¯’ অব¯’ায় খালের পাড়ে এবং অপর একটি বাজপাখি গাছের ডালে দেখতে পান। পরে তিনি অসু¯’ বাজপাখিটি উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাজপাখিটির শরীরে অনেক জ্বর ছিলো এবং পাখায় আঘাতপ্রাপ্ত ছিলো। এসময় সু¯’ বাজপাখিটিও তার সঙ্গে চলে আসে। পরে প্রায় ১৫ দিন তিনি পাখি দুটি খাঁচায় আটকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সু¯’ করে ছেড়ে দেন। কিš‘ এর মধ্যে একটি পাখি তাকে ছেড়ে যায়নি। থাকছে তার বাড়ির খালপাড়ের একটি রেন্ট্রি গাছে। দীর্ঘদিন পাখিটি তার সঙ্গে থাকায় তিনি নাম দিয়েছেন ডায়মন। বর্তমানে ডায়মন বলে ডাকলেই পাখিটি তার কাছে চলে আসছে। তার হাত এবং শরীরের উপরে বসেই খুনসুটি করছে। পরে খাবার খেয়ে ফের চলে যা”েছ গাছের মগডালে। তীক্ষèদৃষ্টি সম্পন্ন হিং¯্র শিকারী এ বাজপাখির সঙ্গে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে বিরল দৃষ্টান্ত ¯’াপন করেলো জেলে কামাল। বাজপাখি এবং মানুষের এ বন্ধুত্ব দেখে অনেকটা বেজায় আনন্দিত এলাকাবাসী।
বিপিনপুর গ্রামের কৃষক জালাল মুন্সী জানায়, টিয়া, ময়না এবং শালিক পাখি মানুষ পোষ মানিয়েছে। এটা আমরা সচরাচর দেখেছি। কিš‘ বাজপাখির সঙ্গে মানুষের এমন ভালোবাসা অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তব ঘটনা। এটা অলৌকিক মনে হলেও কামাল পাহলান তা করে দেখিয়েছিন। বাজপাখি তার কথা শুনছে।
আরেক ¯’ানীয় রাসিন্দা ষাটোর্ধ তমিজ উদ্দিন জানান, এটি একটি অবাক করা দৃশ্য, যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাশই করতাম না। বাজপাখি আর কালাম পাহলানের অভূতপূর্ব বন্ধুত্ব দেখে আমরা আনেকটা আনন্দিত।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শুধু বাজপাখিই নয় আদর-ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় আরো অনেক হিং¯্র প্রানির মন। কামাল পাহলান খুবই ভালো কাজ করেছেন। প্রানীটি হিং¯্র দেখেও তিনি না মেরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সু¯’ করেছেন। সবাইকে হিং¯্র প্রানী দেখে না মেরে কামালের মতো বিরল দৃষ্টান্ত ¯’াপন করার কথা বলে জানান তবে কোন প্রানিকে আবার জোর করে পোষ না মানানোরও অনুরোধ জানান তিনি।