Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কলাপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ রহিম নির্মান শ্রমিকের কাজ করে প্রশংসিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৪জন দেখেছেন

Image

রাসেল কবির মুরাদ কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  কলাপাড়ায় ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আ: রহিম নির্মান শ্রমিকের কাজ করে প্রশংসিত, লক্ষাধিক ভিউয়ারে ভাইরাল হলেন ফেইসবুকে। ২০২২ সালের জুন মাসে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হাতপাখা প্রতিক নিয়ে ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাফেজ আবদুর রহিম। শুরু থেকেই তিনি চেষ্টা করছেন ইউনিয়াবাসীকে সর্বো”চ সেবা দিতে। ইউনিয়ন পরিষদের ২৫ ফুটের সড়ক, টয়লেট ও ওজুখানা নির্মানের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্ধ পান মাত্র দেড় লাখ টাকা। বাজেট স্বল্প হওয়ায় তিনি নিজেই শ্রমিক নিয়ে শুরু করেন রাজমিস্ত্রীর কাজ।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে দীর্ঘ ১ মাস নিজেই রাজমিস্ত্রীর কাজ করে তৈরী করেন এসব স্থাপনা। এভাবেই দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান করছেন রাজমিস্ত্রীর কাজ। দীর্ঘ ১ মাস ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন, ভাইরাল হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তিনি। তার এ কাজে অনেকটা খুশি সহযোগি শ্রমিকরা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের আগে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর ভরাট ও এলাকায় বেশ কিছু মসজিদ নির্মান এবং মাদ্রাসা নির্মান করেছেন। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি এসব স্থাপনা নির্মান করেন। চেয়ারম্যানের এ কাজে শ্রমিকরা পেয়েছেন ব্যাপক উৎসাহ ও নায্য মূল্য। চেয়ারম্যান কাজের নায্য মূল্য সঠিক সময়ে দেন বলে জানান তার সঙ্গে কাজ করা সহযোগি শ্রমিকরা। 

চেয়ারম্যানের সঙ্গে কাজ করা শ্রমিক এমাদুর রহমান জানান, সকালে আমরা কাজ শুরু করার আগেই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে এসে উপস্থিত হন এবং কাজ শুরু করে দেন। তার সঙ্গে কাজ করে আমরা অনেক আনন্দিত। কারন তিনি সন্ধ্যায় কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেন মজুরি দিয়ে দেন। ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলী বাজারের সত্তরোর্ধ্ব নেছার মিয়া জানান, চেয়ারম্যান ১ মাস ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এ রকমের চেয়ারম্যান আমি জীবনেও দেখিনি। তাকে স্বাদুবাদ জানাই। দেশের সব চেয়ারম্যান যদি জনগনের সেবায় এরকমের কাজ করতো তাহলে দেশটা আরো এগিয়ে যেতো। 

এবিষয়ে নির্মান শ্রমিক, ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর রহিম জানায়, সড়ক, টয়লেট এবং ওজুখানার জন্য মাত্র দেড় লাখ টাকা বরাদ্ধ পেয়েছি। এটাকা দিয়ে মজবুতভাবে এসব স্থাপনা তৈরী করা সম্ভব না। আর আমি আগেই বেশ কিছু মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান করেছি। সেখানে শ্রমিকরা কাজ করেছে তাদের সঙ্গে সহায়তা করেছি। সেই পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই আমি শ্রমিকদের সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদের মসজিদ, টয়লেট এবং ওজুখানা নির্মান করেছি। 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আপাতত দেখে মনে হ”েছ চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর রহিম কাজটি খুব ভালই করছেন, প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তবে নতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দাপ্তরিক কাজে আরো মনযোগী হতে হবে। 




আরও খবর



মেট্রোরেলের ওপরে থাকা ইন্টারনেট-ডিসের ক্যাবল অপসারণের নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এমআরটি লাইন-৬ এর ওপর দিয়ে ৫১টি ভবনে টানা হয়েছে ইন্টারনেট ও ডিসের তার (ক্যাবল) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)।

মেট্রোরেলের রুটের অ্যালাইনমেন্টের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা বিভিন্ন ভবনের এসব ক্যাবল আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ডিএমটিসিএল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং সম্পাদক বরাবর ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাবউদ্দিন তালুকদারের সই করা এক চিঠিতে এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএমটিসিএলের আওতায় পরিচালিত এমআরটি লাইন ৬ এখন শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৭.১০ মিনিট থেকে রাত ১০.১৪ মিনিট পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করছে।

ঢাকা মহানগরীর জনসাধারণ নিরাপদে, স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বল্প সময়ে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছেন। এখন প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৯০ হাজার যাত্রী মেট্রো ট্রেনে যাতায়াত করছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই রুটের অ্যালাইনমেন্টের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর দিয়ে বিভিন্ন ভবনে ক্যাবল টিভি লাইন (ডিস লাইন), ইন্টারনেটের ক্যাবল লাইন ইত্যাদির সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫১টি ভবনে বর্তমানে এই ধরনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে ক্যাবেল ছিঁড়ে গিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপরে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। চলমান বর্ষা মৌসুমে এই ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেশি।

চিঠিতে ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা বিভিন্ন ভবনের ক্যাবল টিভি লাইন (ডিস লাইন), ইন্টারনেটের ক্যাবল ইত্যাদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় ডিএমটিসিএল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানানো হয়েছে।

ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ. বি. এম.সাইফুল হোসেন এবং সম্পাদক মো. ইমদাদুল হককে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর

রোববার খুলছে স্কুল-কলেজ

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;পবিত্র ঈদুল ফিতর,পহেলা বৈশাখ উদ্ধসঢ়;যাপন উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। সেই সাথে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সকল প্রকার কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান,৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে।

এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল ইসলাম জানান,ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হিলি  স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি- রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।


আরও খবর



যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর



ইসরায়েল সেনা কমিয়েছে দক্ষিণ গাজা থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সেনাকে প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল,ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে একটি ব্রিগেড বাদে সব পদাতিক । রোববার (৭ এপ্রিল) সেনাবাহিনীর এক সামরিক মুখপাত্র এই দাবি করেছেন। খবর- কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আল-জাজিরার।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। এই সেনা প্রত্যাহারের ফলে গাজার রাফা শহরে সামরিক অভিযান বিলম্বিত হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। ইসরায়েলি নেতাদের দাবি, হামাসকে নির্মূল করতে হলে রাফায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

মিসরের কায়রোতে যুদ্ধবিরতি ও ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে নতুন সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনা শুরুর দিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সেনা প্রত্যাহারের তথ্য জানালেন।

ছয় মাস আগে গত ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। তবে গত মাসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মনোযোগ ছিল উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে।

মিশর সীমান্তের কাছে রাফাহ শহর ফিলিস্তিনিদের কাছে শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। এই শহরে দশ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে। এই হামলার জবাবে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গত ৬ মাসে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে।


আরও খবর

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




চৈত্র সংক্রান্তি আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ শনিবার, চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়।আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

এছাড়া চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।


আরও খবর

রোববার খুলছে স্কুল-কলেজ

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪