Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ক্লাব প্রিমিয়াম আশালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৫৫জন দেখেছেন

Image

রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি : মোঃআবু কাওছার মিঠু 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ক্লাব প্রিমিয়াম, আশালয় এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও নাম ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। ১৯ মার্চ শনিবার দুপুরে উপজেলার পিতলগঞ্জে আশালয় হাউজিং সোসাইটির অভ্যন্তরে এ ক্লাবের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের এমপি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী  গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)।


স্কোয়াড্রন লীডার (অব.)  এ এ এম এম সামসুজ্জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,  মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, আশালয় প্লট মালিক ওনার্স এ্যাসোশিয়েসন লীডার ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, সালাহউদ্দিন বাচ্চু, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা,আব্দুল হক ভুইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনিরুল হক ভুইয়া প্রমূখ।

এ সময় ক্লাবের সদস্যরা প্রধান অতিথির কাছে স্থানীয় ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী থেকে পূর্বাচল প্রবেশ সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও বাড়ানোর দাবী করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




সিরাজগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ৩দিন ব্যাপি কৃষি প্রযুক্তি মেলার ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 মঙ্গলবার ( ১২ মার্চ ২০২৪) সকালে  উপজেলা পরিষদ হলরুমে সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এ মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে  সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.  মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার সাদাত,

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কৃষি প্রযুক্তি মেলার সকল স্টল পরিদর্শন করেন সিরাজগঞ্জ সদর ও কামরখন্দ ২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী এমপি তিনি বলেন, বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দেশের কৃষি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও স্মার্ট করে গড়ে তোলার জন্য সকল প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে কৃষকদের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন,  বাংলার কৃষি হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় খাত। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের পথে। গরু-লাঙ্গল নিয়ে আর মাঠে নয়। এখন চলছে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ। করোনা পরবর্তী বিশ্বের অনেক স্থানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাইতো কৃষির এত সফলতা। আমরা মনে করি, কৃষক বাঁচলেই বাঁচবে দেশ। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব  মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নাছিম রেজা নুর দিপু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা হাসনা হেনা, ৮ নং কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সি, প্রমুখ, এছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কৃষকগণ এবং সুধিজনেরা উপস্থিত ছিলেন। মেলায় স্টলে প্রদর্শন করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, সবজি, বীজ ও আধুনিক রোপনপদ্ধতি ও নিয়মাবলির লিফটেট, করে প্রদর্শন করা হয়েছে মালচিং পদ্ধতি বসতবাড়ী সবজি চাষ,ভাসমান বীজতলা, ভাসমান সবজিচাষ পুকুরের উপরে মাচায় সবজি চাষ প্রভৃতিতে পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৩দিন ব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল  ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্যে উন্মুক্ত থাকবে বলে জানা যায়।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ওরা নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদার এদের নিয়ন্ত্রনে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

খবরের পাতায় মাঝে মধ্যেই শিরোনামে দেখা যায় নারী ধর্ষণ, পাঁচার,গুম, হত্যা, আটক রেখে পতিতা ব্যবসা ঐ সকল ঘটনার মাঝে মধ্যে কূল কিনারা মিল্লেও অনেক ক্ষেত্রে  ঘটনার রহস্যই থেকে যায়। উন্মোচন হয় না কোন কুল কিনারা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেক ক্ষেত্রে। তবে বেশিরভাগ জট বাঁধে হোটেলে রহস্য জনক মৃত্যু। আবার অনেক সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা ফন্দি ফিকিরের পর লোম হর্ষক নরপিচাশ সন্ত্রাসী খুনিরা নানা স্বার্থ হাসিলের জন্য নারী পুরুষ শিশুকে হত্যা করে নদী নালা ডোবায়, পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে সটকে পরে হত্যাকারীরা। বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলে হত্যার রহস্যে জট বাঁধে ২০১০ইং ২৮শে রমজান মাসে নারী পাঁচারকারীদের খপ্পরে পরে গুলশান থানাধীন লর্ডস ইন আবাসিক হোটেলে সিমা নামে এক নারীকে পাঁচারকারীরা কৌশলে এনে আটক করে উপযপুরি দল বেঁধে গণ ধর্ষক করে। এর পর মেয়েটিকে সেখানে পতিতা বানানোর নানা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হোটেল দালালরা মেয়েটিকে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশটিকে ও মিথ্যা স্বামী পরিচয় দিয়ে লাভলু নামে এক ব্যক্তি সিমার লাশটিকে নিয়ে গায়েব হয়ে যান। এর মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত কমিটি গঠন করেন যাহা তৎকালীন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার ও সাড়া মিলে। এক পর্যায়ে নারী পাঁচারকারী দালালরা সংগঠনের তৎপরতা দেখে ২ দিন পর গায়েব হওয়া সিমার লাশ স্বামী পরিচয় দানকারী লাভলুগংরা গুলশান থানায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সংস্থার লোকজন লাশটিকে উদ্ধার করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম গেন্ডারিয়া কবরস্থানে মেয়েটিকে মাটি দেওয়া হয়। আজও সিমার পরিবারের পরিচয় পাওয়া যায় নি। 


২০১১ সালে এক গার্মেন্টস কর্মী সুমি-১৪ কে মালিবাগ মিরাজ আবাসিক হোটেলে এনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় নারী পাঁচারকারী দালালরা হোটেলের ভবন হতে ফেলে দিয়ে পাশের বাড়ির গেইটের উপরে থাকা ধাঁরালো ৪টি শুল সুমির বুকের ভিতর দিয়ে এ ফোর ও ফোর হয়ে মেয়েটি কাটা মুরগির মতো ছটফট করে রাস্তায় শত শত পথচারীদের চোখের সামনে ছটফট করে মারা যায়। এ নিয়ে তৎকালীন রামপুরা থানার ওসি দেলোয়ার সহ বেশ কিছু পাঁচারকারী দালালদের বিরুদ্ধে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থা জনস্বার্থে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 


এছাড়া ২০২৩ সালে যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় শাহিন আবাসিক হোটেলে এক নারী হত্যার শিকার হয়। এমন হত্যা দেশের আবাসিক হোটেল গুলোতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায় অসাধু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা ঢিলে ঢালা থাকায় সহজেই নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা রাজধীন সহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় মোটা অংকের সালামি দিয়ে  ভবন ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠা করছে। স্থানীয় থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তারা সহজেই ম্যানেজ হয়ে যাওয়ায় হোটেল গুলোকে নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে 


শত শত দালালদের মাধ্যমে প্রেম, বিয়ে, চাকুরী দেওয়া সহ নানা ফন্দি ফিকির করে দেশের আনাচে-কানাচ হতে মেয়েদের নানা ফাঁদে ফেলে গড ফাঁদারদের নির্ধারিত আবাসিক হোটেলগুলোতে এনে প্রথমে নিজেরা ধর্ষণ করে পরবর্তীতে অর্থ কামানোর লালসায় পতিতা ব্যবসায় নানা ফন্দিতে সংগ্রহ করা মেয়েদের নামানো হয়। যদি কেউ বিভিন্ন পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে না চায় তাহলে নিউ পপুলার ও নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে টর্চার সেলের রুমগুলোতে আটক করে বিব¯্র করে রেখে রুমের বাহির হতে গেটে তালা বদ্ধ করে রাখা হয়। খদ্দের এলে তালা খুলে নানা শারীরিক নির্যাতন পূর্বক পুরুষদের সাথে মিলামেশা করানো হয় তবে বেশিরভাগ নির্যাতনের শিকার হয় ১১ হতে ১৫ বছরের শিশুরা। আবার কাউকে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর যারা এক সময় পাঁচারকারী দালালদের বশে আসে তাদের দালালরা এক হোটেল হতে অন্য হোটেলে বিভিন্ন পতিতালয়ে অর্থ কামানোর জন্য পাঠানো হয়। নাম গোপন রাখা শর্তে যাত্রাবাড়ি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন রাজধানী ওয়ারী বিভাগের প্রায় ৫ হতে ৬ শতাধিক নারী পাঁচারকারীরা গড়ে তোলেছে ফাইভ স্টার গ্রুপ। এদের নেতৃত¦ দিচ্ছেন গড ফাদার হিসেবে সদরঘাটের ত্রাশ জাভেল হোসেন পাপন (মোবাইলঃ ০১৯৩৯-৩১৯১৪১), জামাল (মোবাইলঃ ০১৭১১-৪৪৬২৮৭), সাইদুল (মোবাইলঃ ০১৯৩৩-৫৭৮৮৫৯), সাজ্জাদ (মোবাইলঃ ০১৬১৫-২৯৮৮৬১), বাট্টু সেলিম (মোবাইলঃ ০১৭৪২-৬৮০৫৬৬), জাবেদ হোসেন মিঠু (মোবাইলঃ ০১৮২৭-১৬৫৬৩৬), এদের মূল আস্তানা হিসেবে রয়েছে যাত্রাবাড়ি থানাধীন ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেটের ৪র্থ তলায় নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল তার উল্টো পাশেই সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলায় নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল। সায়েদাবাদে রয়েছে নাহিদ, যাত্রাবাড়িতে শাহিন আবাসিক হোটেল, মেঘনা আবাসিক হোটেল, বাবুবাজারে রয়েছে বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেল, এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, যশোর, পটুয়াখালী, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে এই সিন্ডিকেটের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা 


তবে মূল ঘাঁটি হচ্ছে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি নিউ পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেল। সেখানে ফাঁদে পরা মেয়েরা একবার আসলে আর সুশীল সমাজে ভালো ভাবে ফিরে যেতে পারে না। সেখানে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে ব্যাপক গোপন নিরাপত্তা, যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বি, এম ফরমান আলী উক্ত হোটেলের গড ফাঁদারদের গোপন শোভাকাঙ্খি হওয়ায় গোপনে নিরাপত্ত দিচ্ছে। ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করলে তার আর কোন হয়রানির শেষ থাকে না। অনেকেই একাধিক বার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হোটেল দুটিতে চলা নারী ঘটিত অপকর্ম বন্ধ হয়নি। যারা ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বা কথা বলেছে তারাই বারবার হয়রানির শিকার হয়েছে। দালালদের খপ্পরে পরে যে সকল নারীরা সেখানে আসে ঐ টর্চার সেল হতে দুই একদিন পর বাছাই পূর্বক দেশ বিদেশের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা পতিতালয়ে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী এক নারী নাম গোপন রাখা স্বত্ত্বে বলেন, নিউ বলাকা, নিউ পপুলার, আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অবস্থান করে হোটেলে খদ্দের ও মেয়ে সংগ্রহ পূর্বক রিসিভ করে রাত দিন অপকর্ম করে সে সকল কিছু পাঁচারকারী দালালদের নাম ও নাম্বার প্রকাশ করা হইলঃ নারী পাচারকারী ও খদ্দের সংগ্রহকারী দালাল ১। ইমরান, মোবাইলঃ ০১৭২৬-২৬৩০২৬ ২। সুলতান, মোবাইলঃ ০১৬০৯-৩০৯২১৬ ৩। রসিদ, মোবাইল ঃ ০১৭২৭-০৮১৬৯০ ৪। সুলতান-২, মোবাইলঃ ০১৭৩৮-১৮৭৬২৮৫। ইমরান-২ মোবাইলঃ ০১৩১৯-০৭০৩৩৩৬। ইমরান-৩, মোবাইল ঃ ০১৩২৭-২৭০০৭২৭। মাহিম, মোবাইলঃ ০১৯৯৮-৩৫৩৬২৭৮। সুলতান-৩, মোবাইলঃ ০১৯৩২-৫৫৮৭২৫৯। রাকিব, মোবাইলঃ ০১৭৩৮-৭২১৮০৭১০। রাকিব, মোবাইল ঃ ০১৯৯২-৪৭১১৬৩১১। ফাইম, মোবাইলঃ ০১৩৩১-৪০১৪২৫,১২। মিহিন, মোবাইলঃ ০১৭১৮-২৬৪৪৫০ ১৩। হুমাউন, মোবাইলঃ ০১৮৩৪-৯৮৬৯৬৯১৪। নিরব, মোবাইল ঃ ০১৭১৭-৩৪২৫৮৮১৫। মহিদুল, মোবাইলঃ ০১৮২৬-৪৫১৬৩১১৬। আপন, মোবাইল ঃ ০১৯১১-৯৩০১৩০১৭। সুমন, মোবাইল ঃ ০১৭২০২৪৩২৩৪১৮। আবজাল, মোবাইল ঃ ০১৭৯০-৬৪০৯৯৪১৯। তোফাজেল, মোবাইলঃ ০১৭১১-৬৭৪৮৯৮২০। তারেক, মোবাইলঃ ০১৯২০-৪০১৫৬৬২১। আনোয়ার, মোবাইলঃ ০১৭৩৩-৭৬৮০৮৭ ২২। আরিফ, মোবাইলঃ ০১৭১২-৬৭৪৪১৩, ২৩। অভি ভাই, মোবাইলঃ ০১৯২৪-২৬৪২৩৫, ২৪। নাসির মোবাইলঃ ০১৮১৮-৮৭৬৫৯২০, ২৫। নাসির-২ মোবাইলঃ ০১৭২৫-৭২৯২২৭, ২৬। নাসির-৩ মোবাইলঃ ০১৮১৭-২৭১৪৪৫, ২৭। মানিক, মোবাইলঃ ০১৮৪৬-৮১৩১২৯, ২৮। ইউসুফ, মোবাইলঃ ০১৭২১-৬১৭৯৩৯, ২৯। সুমন, মোবাইলঃ ০১৭২০২-৪৩২৩৪ ৩০। সুমন-২ মোবাইলঃ ০১৮১৮-৫৫৮১৮২, ৩১। মনির, মোবাইলঃ ০১৭০৪৬০৫২১৪, ৩২। তারেক (০১৬০২-৮৮২৫৩৩), ৩৩। রিপন, ৩৪। তেল মনির, ২৭৩, 


ধোলাইপাড় ও নারী সদস্য ৩৫। মলিনা আক্তার জুুঁই ৩৬। সাথী, ৩৭। লিজা ৩৮।আনোয়ারা ৩৯। আঙ্গুরী ৪০। বেবী, ৪১। রানী সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে। তবে গড ফাঁদারদের নামে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ডিএমপির শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ি, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ থানাসহ তাদের নামে বে-নামে বিভিন্ন থানায় মানব পাঁচার সহ তাদের নানা ধরনের অপকর্মের দায়ে একাধিক বিভিন্ন মামলা রয়েছে।


রহস্যজনক কারণে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। যাত্রাবাড়ি হোটেল গুলোর টর্চার সেলে রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। রুমগুলোতে রয়েছে গোপন ক্যামেরা। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি ব্যবসার খদ্দের চাহিদা বাড়াতে দেশ ব্যাপী ইন্টারনেটের মতো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়ে থাকে। গুগলে ইউটিউবে, ফেইসবুকে মতো সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নারীদের  ছবি ও পাঁচারকারীরা খদ্দের যোগান দাতা দালালদের মোবাইল নাম্বারও ঐ সকল ছবির পাশে দেওয়া থাকে। তবে ইন্টারনেটে যাত্রাবাড়ি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা বলে সার্চ দিলেই চলে আসে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে খদ্দের যোগানদাতা দালালদের মোবাইল নাম্বার পথচারীদের মাঝে ছড়াতে দেশ ব্যাপী রাস্তার অলি গলি মেইন রোড কলকারখানা ও অফিস পাড়ার মতো জায়গায় দেখা যায় হোটেলের ভিজিটিং কার্ড বিলি করছে কিছু যুবক এ রকম হাজার হাজার হোটেল ভিজিটিং কার্ড রাস্তাঘাটে চোখ পড়তেই দেখা যায় ঐ সকল ভিজিটিং কার্ডে শুধু নারী ব্যবসায়ী দালাল ব্যক্তির ছদ্দনাম ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকে। ফোন করলেই লোকজন এসে নিয়ে যায় হোটেল নামে পতিতালয়ে। ঐ সকল পতিতালয়ে গিয়ে অনেক বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ খদ্দের সেখানকার ছিনতাইকারী দালালদের খপ্পরে পরে আটক হয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সৎ ইচ্ছা থাকলে যে কোন সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু রহস্য জনক কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দেখে ও না দেখার ভান করে থাকে। 


এলাকার গণ্যমান্য অনেকেই নিজেদের নাম গোপন রাখা স্বত্ত্বে বলেন, নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, আল-শাহিন, মেঘনাসহ অন্যান্য হোটেলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। কেনানা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভাল করার ইন্সপেক্টর জেলা প্রশাসক, আবাসিক হোটেল রেজিষ্ট্রেশন শাখা কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় পরিবেশ কর্মকর্তা ঢাকা-৫ আসানের এমপি সহ স্থানীয় থানা পুলিশ র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৩ এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেউ কিছু না বলার কারণে উক্ত হোটেল গুলোতে নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, নারী পাঁচার সহ নানাবিধ অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া এলাকার সচেতন যুবক, ভদ্র মানুষগুলো ও যাত্রাবাড়ি এলাকার মসজিদ, মাদরাসার সচেতন মানুষগুলো প্রতিবাদ মুখী হয়ে দাড়ালে যাত্রাবাড়ি সহ দেশের আনাচে কানাচে সরকারি অনুমতি বিহীন আবাসিক হোটেল ফ্ল্যাট বাসায় নারী পাঁচার ও অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকটাই কমে যেত।


আরও খবর



বেইলি রোডে সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে: সিআইডি প্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ধারণা করা হচ্ছে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া গেলেও গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ঘটতে পারে। এজন্য সঠিক তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে কমিটি।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে, আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।

এর আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। দুই ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে।

এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এজন্য দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।


আরও খবর



চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে চান সোনিয়া সরদার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সোনিয়া সরদার। তিনি বর্তমানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে আছেন  সোনিয়া সরদার। নারী নেতৃত্ব  গ্রামীন পর্যায়ে গড়ে তোলার লক্ষে ও স্মার্ট নারী সমাজ গড়তে ভোট করবেন তিনি বলেও প্রত্যায় ব্যক্ত করেন। তবে স্হানীয় ভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত কেও প্রাধান্য দিতে চান নারী নেতৃত্বের চমক সোনিয়া সরদার। একেবারেই তৃনমুল থেকে উঠে আসা পরিক্ষিত মুজিব সৈনিক তিনি।

জানা গেছে, সোনিয়া সরদারের জন্মভূমি কামারগাঁ বাজার এলাকায়। কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হিসেবে পরিচিতি পান। আগে থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।  ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ইউপির মহিলা লীগের দায়িত্ব থেকে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন এই নেত্রী। বিগত ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন সোনিয়া সরদার। 
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে কামারগাঁ ইউনিয়ন মহিলা লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোনিয়া সরদার। তার সাংগঠনিক প্রজ্ঞা ও গতিশীলতার কারনে পরে ইউনিয়ন সভাপতি করা হয়। বিগত ২০১১ সালে কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হন।  নারী নেতৃত্বে এক অনান্য ভূমিকা রাখায় ২০১৪ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে  উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে স্থানীয় সংসদের দিক নির্দেশনায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার কমিটি এবং প্রতিটি ওয়ার্ডেও কমিটি গঠন করে নারী নেতৃত্বের বিস্তার ঘটিয়ে চমক লাগিয়ে দেন সোনিয়া সরদার। 

তিনি জানান, রাজনীতি করি কোন না কোন প্রত্যাশা থাকবেই। উপজেলা জুড়ে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার কারনে বিগত ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করি। যদি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি না থাকত তাহলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয় হতে পারতাম না। গত নির্বাচন ছিল দলীয় প্রতীকে। তবে দলীয় প্রতীক ছিল চেয়ারম্যান পদের জন্য। কিন্তু এবারের নির্বাচন ভিন্ন। কোন দলীয় প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী থাকবে না। চেয়ারম্যান পদে কখনো কোন মহিলা নির্বাচন করেননি। মুলত এসব থেকেই চেয়ারম্যান পদে ভোট করার ইচ্ছে পোষণ করেছি। তারপরও দলের পদে আছি, দলের যে কোন সিদ্ধান্ত মানতে হবে। যদি স্থানীয় ভাবে এবং এমপির পক্ষ থেকে প্রার্থীর বিষয়ে কোন নির্দেশনা না থাকে তাহলে  অবশ্যই নির্বাচন করব। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে না।

আরও খবর



সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, গোজামিলে ড্রেনেজ গাংনী কাথুলী সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। গাংনীর কাথুলী থেকে মেহেরপুর শহর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ইট-খোয়া ওঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৮ গ্রামের মানুষসহ পন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট যানবাহন। সকল কর্মকা-ে পড়ছে ভাটা। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ৯ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সড়ক সংস্কার ও বাজার এলাকায় পয়নিস্কানের জন্য ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৬৪ লক্ষ টাকা। যার কার্যাদেশ পান ঢাকার আবেদ মনসুর কনষ্টাকশন। কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কুষ্টিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম। কাজ শেষ হবার কথা চলতি বছরের মে মাসে।

স্থানীয়রা জানান, কায়েমকাটা মোড়ে থেকে দুটি সড়ক দু’দিকে গেছে। একটি সড়ক শোলমারি, শোভরাজপুর, তেরঘরিয়া গ্রামের দিকে গেছে। অন্যাটি কাথুলী ইউনিয়নের সহগলপুর, হাটপাড়া, গাড়াবাড়িয়া, কাথুলী বাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এই সড়কটি দির্ঘ ১২ বছর ধরে খানাখন্দে ভরে থাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বছরে একবার করে খানাখন্দগুলো ভরাট করে চলে যায়। কিন্তু নতুন করে কার্পেটিং করার অভাবে পুনরায় নতুন নতুন খানা খন্দ সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।

গত ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে ওই সড়কের খানাখন্দ ভরাট করেছে সওজ। শুরু হয়েছে ড্রেন নির্মাণ কাজ। কাথুলী সড়কের কুলবাড়িয়া(যে অংশটি সদর উপজেলাধীন) ও হাটপাড়া বাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই ড্রেন নির্মাণ নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, যেখানে ড্রেন নির্মাণ করা জরুরী সেখানে না করে অন্যস্থানে ড্রেন করছে।

কাথুলী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কের গাড়াবাড়িয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকার সামনে সব চেয়ে বেশি পানি জমে। ওই সময়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসিকে। মাঝে মাঝে যানবাহন উল্টে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেখানে ড্রেন করা গুরুত্বপূর্ণ সেখানে না করে উচু স্থানে ড্রেন করছে। যা সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসবে না।

গাড়াবাড়িয়ার কম্পিউটার দোকানি আলি হোসেন জানান, গত একযুগেও সড়কটিতে মানুষ আরামে চলাচল করতে পারেনি। বেশিরভাগ স্থানে খানাখন্দ। এবারে নতুন করে আরো একটি ঝামেলা তৈরি করেছে তারা।যেখানে ড্রেনের দরকার সেখানে না করে উচু যায়গায় ড্রেন নির্মাণ করছে। আগামী বর্ষায় এই সড়কদিয়ে মানুষ কেন কোন পরিববহনও চলাচল করতে পারবে না। একই অভিযোগ কাথুলী গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত হোসেনের। তিনি আরো জানান, এই সড়কে কোন কাজের ঠিক নেই। এমনিতে কয়েকস্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলার কারণে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। তার উপর উঁচু স্থানে ড্রেন নির্মাণ।

কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, কাথুলী সড়কে যেখানে ড্রেন নির্মাণের জন্য এলাকাবাসি দির্ঘ দিন থেকে দাবি জানাচ্ছিল। সেই জলাবদ্ধ স্থানে সড়ক বিভাগ ড্রেন নির্মাণ না করে একটি উচু স্থানে ড্রেনটি নির্মাণ করছেন। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা। কয়েকদফা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরও তারা সেখানেই ড্রেনটি নির্মাণ করছে।জানতে চাইলে আবেদ মুনসুর কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম জানান, কাজ চলমান রয়েছে।

সড়কের উপরিভাগ তুলে ফেলে নতুন করে কার্পেটিং করা হবে। সওজের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। কোন কোন স্থানে ড্রেন হবে তা আগে থেকে সওজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে রেখেছে। এখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন গাফলতি নেই।

কোন অনিয়ম হয়নি মর্মে দাবি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী (এসডি) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ড্রেন হওয়ার কথা বাজার এলাকায়। সওজ সব সময় তদারকি করে কাথুলী সড়কের তিন স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। এর আগে সওজ কয়েকদফা এলাকায় ড্রেন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করেছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪