Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে বার্মিজ আচারের নামে বিক্রি হচ্ছে নকল আচার , দেখার কেও নেই!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ২৫৬জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজারে বার্মিজ আচারের নামে বিক্রি হচ্ছে নকল আচার। বাহারি প্যাকেটে মোড়ানো এসব আচার দেখে বোঝা কঠিন। কোনটা আসল আর নকল। এছাড়াও প্যাকেটে লেখা আচারের পরিবর্তে অন্য আচার ঢুকিয়ে দিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছেন কতিপয় বিক্রেতারা। ফলে আচার কিনে রীতিমতো হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন পর্যটক।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের আনাচে কানাচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয় বার্মিজ আচার নামে খ্যাত এসব ভুয়া নাম সর্বস্ব নকল আচার। ঘরে কিংবা দোকানে আচার তৈরি করে বাহারি প্যাকেটে ভরে নাম দেওয়া হয় বার্মিজ আচার। এরপর কতিপয় বিক্রেতারা আচারগুলো স্বল্প মূল্যে কিনে নিয়ে বিচের আনাচে কানাচে বিক্রি করে থাকেন। সেখান থেকে পর্যটকরা এইসব আচার কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।মূলতঃ মিয়ানমার থেকে যেসব আচার টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আনা হয় এসব হলো আসল বার্মিজ আচার। তবে এসব আচার শহরের বার্মিজ মার্কেটের কয়েকটি দোকান ছাড়া আর কোথাও তেমন বিক্রি করা হয় না।গত আগষ্ট মাসে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে আচার ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হন রোকনুজ্জামান নামে এক পর্যটক ।এ বিষয়ে পর্যটক রোকনুজ্জামান জানান, সুগন্ধা পয়েন্টে সারিবদ্ধ এক দোকান থেকে কয়েকটি বার্মিজ আচারের প্যাকেট ক্রয় করি। আচারের প্যাকেটগুলো দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। দামও কম রাখা হচ্ছে। তাই কিছু আচার কিনে নিয়ে রুমে চলে যায়। তারপরের দিন ঢাকা গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখি আমের আচারের প্যাকেটে দেওয়া হয়েছে বরই। বাকি প্যাকেটগুলোই আচারের নামের সঙ্গে জিনিসের মিল নেই। আচারগুলো এতো নোংড়া মুখেই দেওয়া যাচ্ছে না। পরে খবর নিয়ে দেখি এগুলো আসলে বার্মিজ আচার নয়। কম দামে নকল আচার বিক্রি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে এরা। একই কথা জানালেন আরেক পর্যটক আব্দুল কাইয়ুম । তিনি জানান, গেল বছর যখন কক্সবাজার যাই, সেখানে এক দোকান থেকে ১০ হাজার টাকার বার্মিজ আচার কিনেন আমার স্ত্রী, পরে বাড়ি গিয়ে দেখি আচারের কোনো অস্তিত্বই নেই। মূলত বার্মিজ আচারের নামে নকল আচার বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়টি দেখে খুবই খারাপ লাগল। কক্সবাজারের মতো একটি শহরে পর্যটক ঠকানো হচ্ছে এটি আসলে খুবই দুঃখজনক।এ বিষয়ে সুগন্ধা পয়েন্টে এক আচারের দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কিছু দোকানদার আছেন যারা অল্প দামে নকল আচার বিক্রি করেন। অরিজিনাল বার্মিজ আচারের দাম বেশি, তাই সবাই সেই আচার বিক্রি করে লাভ করতে পারেন না। আবার কিছু কিছু পর্যটক আছেন, যারা অল্প দাম পেলে জিনিস কিনে নিয়ে যায়। আসল বা নকল দেখেন না। সেই সুযোগটা কাজে লাগান কিছু ব্যবসায়ী।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃকাউছার মিয়া জানান, আমি নিজেই এর ভুক্তভোগী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে একবার সরাসরি কয়েকটি দোকানদারকে ধরেছিলাম। পরে তারা মিনতি করে মাপ চাওয়ায় সাবধান করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন দেখছি এর মাত্রা বেড়ে গেছে, অনেকের কাছ থেকে  অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমি যেহেতু অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি, আমাকে তিনটি জেলা দেখতে হয়। কক্সবাজারে গিয়ে এসব নকল আচার দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বিষয়টি আমি নলেজে রাখলাম। খুব শীঘ্রই এসব নকল আচার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



হজের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে গেছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের ৪১৯ যাত্রী নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিজি-৩৩০১ ফ্লাইট ৪১৯ যাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান উপস্থিত থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন।

এর আগে, গতকাল বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ হতে পারে। তবে ভিসা কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। এই কাজ শেষ করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার জেদ্দা ও মদিনায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টার এ ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।

এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।


আরও খবর



বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন,যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে ভাষণে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ‘সকলের সিঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোন আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সেনাসদস্যরা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন-স্মার্ট।

প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ও অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, আধুনিক এপিসি, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম।

প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

তিনি বলেন, কর্মনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসিত। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের সৈনিকদের সামর্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সম্প্রতি অত্যাধুনিক লাইট আর্মাড ভেহিক্যাল ও মাইন রেসিস্ট্যান্ট এ্যাম্বুস প্রটেক্টেড ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে কমপ্লেক্সে আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি বাস্তব প্রতিকৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারীর প্রথম গোলাবর্ষণকারী ঐতিহাসিক ৩.৭ ইঞ্চি হাউইটজার, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদ ও সকল কামানের প্রতিরূপ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গোলন্দাজ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অপারেশনসমূহের গৌরবময় ইতিহাস দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনা কর্মকর্তা এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



জয়পুরহাটে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের  তিন উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গণনা শেষে তিন উপজেলায় তিন জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৮মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম তাদের জয়ী ঘোষণা করেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান,

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন (মোটরসাইকেল) মার্কায় ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক (আনারস) মার্কা তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল ভোট পেয়েছেন (আনারস) মার্কা ৩০৯৪৩।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম মোস্তফা  (উড়োজাহাজ ) মার্কা ৩৪ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।  নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছানোয়ার হোসেন  ( টিউবয়েল) মার্কা পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেরিনা খাতুন ( হাঁস) মার্কা ৪৩ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মরিয়ম নেছা (কলস) ৩১হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব  দুলাল মিয়া সরদার (দোয়াত কলম) মার্কায় ৩০৪০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ নেতা তাইফুল ইসলাম তালুকদার ( আনারস) মার্কায় ২২৯০০ ভোট পেয়েছেন । ভাইস চেয়ারম্যান পদে মতলুব হোসেন (টিওবয়েল) মার্কা ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী এস এম তুহিন ইসলাম তৌফিক  (তালা) মার্কা পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৩৬ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নুরুন্নাহার গুন্নাহ ( সেলাই মেশিন)  মার্কা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নুরবানু খাতুন  (হাঁস) ১৩ হাজার ৪৩৫ ভোট পেয়েছেন।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকসেদ আলী মন্ডল (মোটরসাইকেল) মার্কা ১৯৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার নুরুন্নবী আরিফ (আনারস) মার্কায় ভোট পেয়েছেন ৩১৮৮। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টুটুল হোসেন (টিওবয়েল) মার্কা ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী তাইজুল ইসলাম ( টিয়া পাখি) মার্কা পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৪২ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছিয়া খানম সম্পা ( প্রজাপতি)  মার্কা পেয়েছেন ১১ হাজার ২৫০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আয়শা সিদ্দিকা ( হাঁস) ৬ হাজার ১৪৩ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর এই তিনটি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৯ জন। এরমধ্যে কালাই উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৭৩৬ জন, ক্ষেতলালে ৯৫ হাজার ১৯১জন ও আক্কেলপুর উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন ভোটার রয়েছে। কালাইয়ে ৩৭টি, ক্ষেতলালে ৩০টি, আক্কেলপুরে ৪২টি সহ মোট ১০৯ টি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন।


আরও খবর



ট্রেনের ভাড়া কোন রুটে কত বাড়ল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রেয়াতি সুবিধা উঠে গেছে ট্রেনযাত্রায় আজ থেকে । ফলে দূরের যাত্রীদের ওপর চাপছে বাড়তি ভাড়ার বোঝা।

শনিবার (৪ মে) থেকে কার্যকর নতুন ভাড়া রুট ভেদে বেড়েছে ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এছাড়া বাড়ছে কনটেইনার পরিবহন ভাড়াও।

১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই। গত ২৪ এপ্রিল থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়েছে। কারণ ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়া। ওই দিনের আসন বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

গত ২২ এপ্রিল (সোমবার) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আজ থেকে কার্যকর করা হলো।

দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরইমধ্যে সারাদেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

ট্রেনের ভাড়া ১৫টি প্রধান রুটে যত বাড়ছে - সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।


আরও খবর