কক্সবাজার:কক্সবাজারে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।গতকাল বুধবার (০৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় কক্সবাজার পৌরসভার সম্মুখে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, র্যালী ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ আদিবাসি ফোরাম কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মং এ খেন মংমং। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন,বাপা কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী।আদিবাসী দিবসে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৩০ লক্ষাধিক আদিবাসী জনগণ এখন এক কঠিন সংকট ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এ বছরের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। কিন্তু বিগত সময়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে আদিবাসী জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় করা সমস্ত অঙ্গীকার কেবল মুখের বুলিতে পর্যবসিত হয়েছে। দেশের আদিবাসীদেরকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি তো দূরের কথা, গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার মসনদে বসে থাকা আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনের পূর্বে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে আদিবাসী জনগণের জন্য যে প্রতিশ্রুতিগুলো ব্যক্ত করেছিল সেগুলোর কোনোটিই বাস্তবায়িত করেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সংঘাত নিরসনের লক্ষে ২৫ বছর পূর্বে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ স্থরিব রাখা হয়েছে। চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোসহ অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী মানুষের জীবন আরও কঠিন ও অনিশ্চিত বাস্তবতার সাথে প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাচ্ছে। অন্যদিকে সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার প্রসঙ্গগুলোও সরকার বেমালুম ভুলে গেছে। এতে করে নানাবিধ কর্পোরেশন, নামস্বর্বস্ব নানা উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও মহল দ্বারা সমতলের আদিবাসীরা ক্রমাগত নিজেদের বাস্তুভিটা হারাচ্ছেন এবং নিগৃহীত, নিপীড়িত হয়ে প্রান্তিক থেকে প্রান্তিকতর হয়ে দেশান্তরী হতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নিজস্ব জমিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অবৈধ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা আদিবাসী তরুণরা বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর শতাব্দী ব্যাপী চলা রাষ্ট্রীয় শোষণ বৈষম্য বঞ্চণা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিজেদের মেধা ও জ্ঞান এবং উদ্যোম ক্ষমতাকে নি:স্বার্থভাবে কাজে লাগাবে এবং আদিবাসীদের জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে।বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কক্সবাজারের সভাপতি থোই অং এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মংথেনহ্লা রাখাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, বাপা কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম, নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলার জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ তঙ্গচঞ্চা, চাকমা ও তঙ্গচঞ্চা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব চাকমা, কক্সবাজার আদিবাসী ফোরামের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মা টিন টিন, হাজং ছাত্র সংঘের ছাত্রনেতা আশীষ হাজং এবং মহেশখালী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছেন থেন।কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৩ শতাধিক মারমা, রাখাইন, চাকমা, ম্রুরুং, তঙ্গচঞ্চা আদিবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়।
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত
এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায়
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
দাফন সম্পন্ন হয়েছে আসিম জাওয়াদের
শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
আ.লীগকে ৩ বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় রেখেছে: জি এম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের মন্তব্য করেছেন,তিন বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে কাজ করেছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশের সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব না, তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় মতামত দিয়েছিলেন, আপনারা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে নন। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।
নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।
নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিলেন।
নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে, এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়, যা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না। জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি না।
অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে অফিসে বসে দাপট দেখান তিতাস গ্যাসের তাজুল ইসলাম
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
মেট্রোরেল শুক্রবারও চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসছে
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
পদ্মা সেতুতে ঈদ-নববর্ষে সাড়ে ২১ কোটি টাকা টোল আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক: (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) এবার ঈদের ছুটিতে পদ্মাসেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১ টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।
এসব তথ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।
অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে অফিসে বসে দাপট দেখান তিতাস গ্যাসের তাজুল ইসলাম
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
মেট্রোরেল শুক্রবারও চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসছে
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
দেশের আট জেলার ১৯ ইউনিয়নে চলছে ভোটগ্রহণ
খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দেশের ৮টি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সাধারণ নির্বাচন,ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, আমরা আশা করছি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
যেসব ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করবে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে সেলটি।
অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে অফিসে বসে দাপট দেখান তিতাস গ্যাসের তাজুল ইসলাম
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
মেট্রোরেল শুক্রবারও চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসছে
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ
সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।
এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।
রূপসী বাগবাড়িতে মুন্না খানের নেতৃত্বে দোয়াত কলমের গণসংযোগ
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
ইসলামপুরে ধান-চাল ও গম সংগ্রহ উদ্বোধন
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
দেশের অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয়ে যা বলল বিটিআরসি
নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের নেটওয়ার্কে বর্তমানে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত উভয় মোবাইল ফোন সচল রয়েছে। তবে যেসব অবৈধ ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে গ্রাহকদের এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ ।
বুধবার (৮ মে) দেশের টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে এসব কথা জানান তিনি।
যাচাই-বাছাই করে ফোন কেনা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এবং বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করব, সবাই যেন নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন কেনেন। আমরা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের বিষয়ে আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি।
কারও কাছে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন থাকলে বিটিআরসিতে এলে সেগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান বিটিআরসি কমিশনার। তিনি বলেন, সব মোবাইল সেটই নেটওয়ার্কে কাজ করবে। কোনোটাই বন্ধ করা হবে না।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কমিশনের অন্যান্য কমিশনাররাও বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে অফিসে বসে দাপট দেখান তিতাস গ্যাসের তাজুল ইসলাম
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
মেট্রোরেল শুক্রবারও চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসছে
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪