Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কিংবদন্তি নায়করাজের জন্মদিন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী আয়োজন

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক : কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের ৮১তম জন্মদিন আগামী সোমবার। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর ১৯৬৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) চলে আসেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

প্রয়াত এই নায়কের জন্মদিন ঘিরে চ্যানেল আই তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীত সিনেমা, বিশিষ্টজনদের স্মৃতিচারণ, বিশেষ তারকাকথন এবং তার অভিনীত সিনেমার গান।

আগামীকাল রোববার প্রচার হবে রাজ্জাক অভিনীত সিনেমা ‘বড় ভালো লোক ছিল’। এদিন দুপুরে ‘এবং সিনেমার গান’ অনুষ্ঠানে তার অভিনীত সিনেমার গান দেখানো হবে। আর সকালে ‘গান দিয়ে শুরু’তে থাকবে রাজ্জাক স্মরণে বিশেষ পরিবেশনা।

সোমবার প্রচার হবে তার অভিনীত সিনেমা ‘অভিযান’। এদিন বেলা ১২টা ৫ মিনিটে থাকবে রাজ্জাককে নিয়ে ববিতার স্মৃতিকথা ‘অন্তরঙ্গ ববিতা’। সাড়ে ১২টায় ‘তারকাকথন’ অনুষ্ঠানে নায়করাজ রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করবেন সৈয়দ হাসান ইমাম ও রাজ্জাক তনয় সম্রাট। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ‘গান দিয়ে শুরু’র বিশেষ পর্বে অংশ নেবেন শিল্পী মো. খুরশীদ আলম ও অন্যরা। আর মঙ্গলবার প্রচার হবে নায়করাজ পরিচালিত সিনেমা ‘আয়না কাহিনি’।

উল্লেখ্য, রাজ্জাক নায়করাজ নামে পরিচিত হলেও তার পরিবারিক নাম আবদুর রাজ্জাক। রূপালি পর্দায় তার অভিষেক ঘটে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। নায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ হয় জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ সিনেমায় সুচন্দার বিপরীতে। তারপর থেকে একাধারে অভিনয়, প্রযোজনা ও পরিচালনার মাধ্যমে সিনেমা অঙ্গনে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন গুণী এই অভিনেতা।

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজ্জাক পরিচালনা করেছেন ১৬টি সিনেমা। গড়ে তোলেন রাজলক্ষী প্রোডাকশন হাউজ। প্রযোজক হিসেবে তার যাত্রা হয় ‘রংবাজ’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর বেশ কিছু সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন তিনি।

রাজ্জাক ১৯৬২ সালে খায়রুন নেসার (লক্ষ্মী) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির ঘরে জন্ম নেন রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), খালিদ হোসেইন (সম্রাট), নাসরিন পাশা (শম্পা), রওশন হোসেন (বাপ্পি), আফরিন আলম (ময়না)।

দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে নায়করাজ ২০১৫ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ পুরস্কারে ভূষিত হন। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মোট পাঁচবার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পান ২০১৩ সালে। এছাড়াও পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ৭৫ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান ঢাকাই সিনেমার এই রাজা।


আরও খবর

১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




দিনাজপুরে আগাম ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:অন্যান্য বাবের ন্যায় এবারেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলায় আজ বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল এলাকায়, বোচাগঞ্জে, বিরল উপজেলার বনগাঁ জামে মসজিদে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। 

বুধবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ২৫০ জন মুসল্লি অংশগহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। 

এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইলে, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁ জামে মসজিদ ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে প্রায় ২০/২২টি গ্রামের কয়েক'শ মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। 

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়। এ সময় পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানানো হয়। 

পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। 

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২৫০ জনে পৌঁছেছে।

আরও খবর



দুইবারের ব্যর্থতার পর তৃতীয়বারে সফল নিটারের মারুফ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

লাবিবা সালওয়া ইসলাম:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর ইইই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রবিউল ইসললম মারুফ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে "ডেভলপমেন্ট অফ অ্যান্টিগ্র্যাভিটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণার উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অবশিষ্ট অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে তাকে অবগত করা হয়েছে।

গত ৩১শে মার্চ, রোজ রবিবার তৃতীয় দফায় গবেষণা মূল্যায়নের পর মারুফকে মঞ্জুরিপত্রের অনলাইন কপি প্রেরণ করা হয়। এই মূল্যায়ন এর আগে ২ বার যথাক্রমে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল সন্তোষজনক অগ্রগতি মূল্যায়ন লাভ করেনি। অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব তার প্রজেক্ট অসমাপ্ত রেখেই শেষ করার পরামর্শ দিলেও, সে ইচ্ছেশক্তি দিয়ে কাজ চালিয়ে যায়। গত ৩১শে জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর সাক্ষাৎকার এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ভার্চুয়ালি গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জানান, বর্তমানে তিনি জনাব কামরুল আলম খান, অধ্যাপক, পদার্থবিদ্যা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা করছেন এবং গবেষণা বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো করতে পারেননি। তবে ইতিমধ্যে বিদেশ হতে তা সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন; যা শীঘ্রই পাওয়া যাবে। সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায়, প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। উক্ত মূল্যায়নে সন্তোষজনক বিবেচিত হলেই পরবর্তী কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়। এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে ড. মো: শাহেদুল আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যানেজমেন্ট, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কে প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়। গত ২০২৩ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জানান, তিনি বিদেশ হতে হাই ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই আনলেও কাজ করার জন্য যথাযথ ল্যাব এর সাপোর্ট পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলেও তারা তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায় কিছু শর্তারোপে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। 

সর্বশেষ ৩য় ধাপেই তার কাজ মূল্যায়ন কমিটির নজরে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করে এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে অবশিষ্ট ২য় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এমন সফলতায় আপ্লুত হয়ে মারুফ বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ ২.৫ বছর পরে আমি চেকের অবশিষ্ট পাচ্ছি।আসলে লেগে থাকতে পারলে যেকোনো কষ্টের একটা শ্রমফল আছে, যা আমি আজ পেয়েছি। এখন সৃষ্টিকর্তার কৃপায় উদ্ভাবনটি পরবর্তী ধাপে সফলভাবে এগিয়ে যাওয়াটাই আগামির লক্ষ্য।"


আরও খবর



সৎ মায়ের কাছে বেড়াতে এসে লাশ হল বেনাপোলের শিশু জোনাকি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:সৎ মায়ের কাছে বেড়াতে এসে লাশ হল বেনাপোলের নয় বছরের শিশু জোনাকি। যশোর শহরের রেলগেট মডেল মসজিদের পিছেনের ডোবা থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

শিশুটি বেনাপোল পোর্ট থানার পুড়াবাড়ি গ্রামের শাহিন তরফদারের মেয়ে। শিশুটি বেনাপোল থেকে গত ৭দিন আগে যশোর শহরে তার সৎ মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। এরপর গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরিবারের অভিযোগ শিশুটির সৎমা কোহিনুর বেগম তাকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রেখেছে।


বিস্তারিত আসছে----


আরও খবর



আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



রেললাইনের প্যাচানো ক্লিপ খোলার সময় দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:রেললাইনের প্যাঁচানো ক্লিপ খোলার সময় দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্হানীয়রা। ওইসময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি ক্লিপ উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম নুরুল ইসলাম।সোমবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারি সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খয়রাত নগর এলাকা থেকে ক্লিপ খোলার সময় তাদের আটক করা হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন নাশকতার উদ্দেশ্যেই ক্লিপগুলো খোলা হচ্ছিল। তবে ঘটনার প্রায় ১৫ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও থানায় মামলা দায়ের না হওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আটককৃতরা হলেন সোনারায় ইউনিয়নের জয়চন্ডী পুটিহাট এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৬) ও উত্তর মুসশুর কুখাপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ওরফে বেলাল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃত দুইজন উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক। ওদিন রাতে তারা রেললাইনের ফাঁকা জায়গায় ক্লিপ খুলছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সৈয়দপুর রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা বলেন, যদি স্থানীরা বিষয়টি না দেখতেন তাহলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল । ধারনা করছি ওই দুই যুবক নাশকতার উদ্দেশ্যেই ক্লিপগুলো খুলেছে। তবে তাদের জিজ্ঞাসা করলেই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি এম নুরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পরে বলা যাবে তাদের উদ্দেশ্য নাশকতা নাকি অন্য কিছু। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

আরও খবর