Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

খলিলপুর গ্রামে প্রতিপক্ষরা দেড় একর জমির ধান ক্ষেত নষ্ট করেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২৬জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ি, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষরা জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা মোঃ দেলোয়ার সরদারের দেড় একর জমিতে লাগানো ধান ক্ষেত উপড়ে ফেলেন ও বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করেন। পাবর্তীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান সরদারের অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মোঃ হাইকুল ইসলাম (৪০), মোঃ মিজানুর রহমান (৪৮), উভয়ের পিতা মৃত হজকেদ আলী, জালাল উদ্দীন (২৮), রনি (২৮) উভয়ের পিতা মোঃ শাহাজান আলী, মোঃ নুর উদ্দীন (২৫), পিতা মোঃ সোরাব আলী, মোঃ লিমন (২৪) পিতা মোঃ মিজানুর রহমান, মোছাঃ নিলুফা বেগম (৪৮), স্বামী মোঃ শাহাজাহান আলী, মোছাঃ হীরা বেগম (২৫), স্বামী মোঃ জালাল উদ্দীন, মোঃ আলো বেগম (৩৮), পিতা: ইমরান আলী, সর্ব সাং-খলিলপুর সরদারপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। মোঃ সোরাব উদ্দীন (৪৫), পিতা:আছর উদ্দীন,খলিলপুর সরদারপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। তারা দলবদ্ধ হয়ে গতকাল সোমবার গভীর রাতে মোঃ দেলোয়ার সরদারের জমিতে গিয়ে ধান ক্ষেত কেটে ফেলেন ও বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করে দেন। উল্লেখ্য যে, ঐ ব্যক্তিরা মোঃ দেলোয়ারের পরিবারদেরকে ২৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে মারপিট করায় এদের বিরুদ্ধে মোঃ দেলোয়ার সরদারের পুত্র আব্দুল হান্নান সরদার বাদি হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় মারপিটের ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২৫, ২৬/০১/২০২৪ ইং। ধারা ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৫৪, ৪২০, ৫০৬ (২) ১১৪ ৩৪ পেনাল কোডে মামলা করেন। ঐ ব্যক্তিদের সাথে জমি জমার বিরোধ নিয়ে পারিবারিক মামলা চলছে। এরই জের ধরে গত সোমবার দিবাগত রাত্রিতে মোঃ দেলোয়ারের জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন ও ধানক্ষেতের চারা উপড়ে ফেলেন। এই ঘটনায় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোকছেদুল হক জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ঠিক করেনি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কেননা, এতবড় ক্ষতি কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জমির মালিক মোঃ দেলোয়ার সরদার জানান, যারা আমার এই ক্ষতি করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব।


আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।  গতকাল ২৪ এপ্রিল বুধবার  দুপুরে উপজেলার  ভুলতা বলাইখা এলাকায় প্রায় ২ ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় এলাকাবাসী  অভিযোগ করে জানান, প্রিপেইড মিটারে টাকা বেশি কেটে নেয়।  প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জেও  বিভিন্ন ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ প্রিপেইড মিটার অনেক সমস্যা। গত মঙ্গলবার পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মীরা কোনো নোটিশ ছাড়াই আমাদের পূর্বের মিটার পরিবর্তন করে প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য আসে। আমরা প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কাছে ৩ মাস সময় চেয়ে নিষেধ করি। পর তারা চলে গিয়ে পুনরায় গতকাল বুধবার ভোরে প্রায় ৪ শতাধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারা আরো বলেন, যদি এ প্রিপেইড মিটার লাগানো বন্ধ না হয় এবং আমাদের বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ লাইন সচল না হয় তাহলে পুনরায় ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ করা হবে। 

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ডিজিএম   শান্ত নুর রায় মুটো ফোনে বলেন, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার উপজেলার বলাইখা এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মীরা প্রিপেইড মিটার লাগাতে গেলে এলাকাবাসী তাদেরকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে মুখোমুখি হয়। সে কারণেই তাদের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন বিদ্যুৎ লাইন চালু করার জন্য আলোচনা চলছে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের অনন্য সাফল্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘আউটস্ট্যান্ডিং কেমব্রিজ লার্নার্স অ্যাওয়ার্ড’ -এর ফলাফল। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছেন। দেশের আইজিসিএসই-তে ১১টি শীর্ষস্থান অর্জনকারীদের মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থীই ডিপিএস এসটিএস স্কুলের, যা স্কুলটিকে দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের স্কুলে পরিণত করেছে।     

স্কুলের ৩৭৮ জন সিএআইই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ডিপিএস’র ১০ জন শিক্ষার্থীকে কান্ট্রি টপার ও হাই অ্যাচিভার ক্যাটাগরিতে সম্মানজনক কেমব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ দেয়া হয়। সম্মানজনক এ পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জন হচ্ছেন  আইজিসিএসই ও ১ জন  এএস লেভেলের কান্ট্রি টপার; অন্যদিকে, ১ জন আইসিএসই এবং ১ জন এএস লেভেল শিক্ষার্থী হাই অ্যাভিচার। ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা থেকে ১৫৮ জন আইজিসিএসই, ১৩২ জন এএস লেভেল এবং ৮৮ জন এ লেভেল শিক্ষার্থী সিএআইই ২০২৩ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে  

শিক্ষার্থীদের ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “আমি সকল কান্ট্রি টপার এবং হাই অ্যাচিভারদের আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। এই অর্জন আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরলস কঠোর পরিশ্রম এবং তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধারাবাহিক সহায়তারই প্রতিফলন। আমি তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।”

আইজিসিএসই কান্ট্রি টপাররা হলেন: ফাইয়াজ এনায়েত হোসেন, মোহাম্মদ জুমায়েল উদ্দীন, পারিসা আবেনি হক, ফাইয়াজ এনায়েত হোসেন, তায়েবা আঞ্জুম রাহা, মুসাররাত ইসলাম খান ও ফারহান শহীদ। এএস লেভেল বিজনেসে দেশ সেরা হন আনিশা ইবনাত নিধি। হাই অ্যাচিভারদের মধ্যে আরও রয়েছেন আফরাহ নূর (আইজিসিএসই ফ্রেঞ্চ) এবং ফারদীন আবরার খান (এএস লেভেল ইনফরমেশন টেকনোলজি)।


আরও খবর



আগামীতে উপজেলা নয়, জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামীতে উপজেলাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে এসে জেলাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নে সরকার গুরুত্ব দেবে,বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নগরীর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে চলমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়াচ্ছে না সরকার। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে মোট বরাদ্দ থাকছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।

তিনি বলেন, দেখা যায় অনেক উপজেলায় একাধিক প্রকল্প, আবার অনেক উপজেলা অবহেলিত থাকে। এটা বন্ধ করতেই জেলাভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেবো যাতে উন্নয়ন সমভাবে বণ্টন হয়। যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানান সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান, সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরন অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগের অনুশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, চলতি অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। কোনো চিকিৎসক প্রকল্প পরিচালক হলে তাকে আলাদা প্রশিক্ষণ দিতে এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন।


আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




মেহেরপুরে তাপদাহের উত্তাপ বেড়েছে কাঁচা বাজারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর:তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে অস্বস্থিতে ভুগছেন মেহেরপুরের মানুষ। ক্ষেত খামারে তাপপ্রবাহের উত্তাপের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। বর্তমানে সকল ধরনের সবজির দাম উর্ধ¦মূখী। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি আলুতে ১০ টাকা এবং পেঁয়াজে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা করে। এছাড়াও সব ধরনের সবজির দর বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত।

সোমবার ও আজ মঙ্গলবার মেহেরপুর ও গাংনী কাচা বাজার এবং বামন্দী বাজারে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা এবং সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, উস্তে ৫০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও আলুর দর ছিল ৩৮ টাকা।

এদিকে পাইকারী বাজার থেকে ‍খুচরা বাজার পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও ২৫-৩৫ টাকা পর্যন্ত। যা ভোক্তাদের তাপদাহের অস্বস্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাংনী কাঁচা বাজারের সততা ভান্ডারের সত্বাধিকারী সাহাদুল ইসলাম জানান, এখনও আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেত থেকে পরিপক্ক আলু পেঁয়াজ তোলার পর সেগুরো সংরক্ষণ হয়ে থাকে। আর কিছুদিন পরেই সংরক্ষণকৃত এসব পেঁয়াজ ও আলু বাজারে বিক্রি শুরু হবে। তখন বাজার স্থিতিশীল হওয়ার আশা করছেন তিনি।

বামন্দী বাজারের সবজি ব্যবসায়ি মনিরুল ইসলাম জানান, পাইকারী হিসেবে যে সবজি কেনা হয় তার সাথে পরিবহন খরচ ও নিজের মুনাফা যোগ করেই খুচরা বিক্রি করতে হয়। তাছাড়া আড়তেও দাম বেশি। মাঠে কৃষক পর্যায়ে সবজি খুবই কম। সেখান থেকেই বেশি দামে আড়তে সবজি আসছে। ফলে দাম উর্ধ্বমূখী।

ভোক্তারা বলছেন, তীব্র তাপদাহে জনীবন অতিষ্ট। কোথাও নেই স্বস্তি। এর মধ্যে আলু পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি তাদের বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বছরের এ সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। তবে এবার সেই চিত্রের ভিন্নতা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও খবর