Logo
আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

খেরসনে রুশ গোলাবর্ষণে ২১ বেসামরিক নাগরিক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের খেরসন শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় রুশ গোলাবর্ষণে ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল বুধবার খেরসন শহর ও এর আশপাশের এলাকায় এই হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় যেসব স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয় তার মধ্যে হাইপারমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন ও ক্রসিং, পেট্রল স্টেশন এবং আবাসিক ভবন রয়েছে।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জেলেনস্কি বলেছেন, হামলায় আরও ৪৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার ভাষায়, ‘সব বেসামরিক নাগরিক! দিন এখনো শেষ হয়নি! এক অঞ্চলেই এত হতাহত!

এর আগে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রুশ হামলায় খেরসনে ১২ জন নিহত হয়েছেন। মূলত হামলার পর সেখানকার একটি হাইপারমার্কেটে আগুন লেগে যায়। ঘটনার সময় বহু মানুষ সেখানে তাদের কেনাকাটা করছিলেন। এ ছাড়া একটি রেলস্টেশনে গোলাবর্ষণের ঘটনায়ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসন অঞ্চলের এলাকা থেকে চালানো হামলায় মূল শহরের বাইরের গ্রামে আরও চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত ওই চারজনের মধ্যে তিনজন প্রকৌশলী। হামলার সময় তারা আগের রুশ হামলায় পাওয়ার গ্রিডের ক্ষতি মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন।

ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বলেছেন, ‘যখন শত্রুরা যুদ্ধক্ষেত্রে কিছুই অর্জন করতে পারে না, তখন তারা শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে হামলা চালায়।

রাশিয়া গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছিল তার মধ্যে একটি হচ্ছে খেরসন। অবশ্য খেরসনে বুধবারের এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।

তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করা রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে দেশ দুটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর



বিএনপি নেতা আমান জামিন পাননি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত কারাবন্দি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে জামিন দেননি চেম্বার আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।এ ছাড়া দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

এর আগে, দুদকের মামলায় গত ৩০ মে হাইকোর্ট আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন। পরে তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আমান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম।এ মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ আমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ করা হয়। পরে ওই বছরের ২১ জুন আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।

পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।


আরও খবর



ভবিষ্যতে এই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক নির্বাচন কমিশন তা চায় না। এ কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই জামালপুরের জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার ও অন্যদের সতর্ক করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রয়েছে। 

সম্প্রতি জামালপুরের ডিসি এক সভায় আওয়ামী লীগকে পুনরায় সরকারে আনার জন্য বলায় তাকে প্রত্যাহার করে অন্য ডিসিদের সতর্ক করতে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেয় ইসি। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই কমিশন এমন চিঠি দিতে পারে কি না, সাংবাদিকরা তা জানতে চান।

সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে বাধা নেই। পাঁচ বছরে নির্বাচনের এখতিয়ার আমাদের রয়েছে। তফসিলের আগেও আচরণ নিয়ে যদি কোনো বিতর্ক উত্থাপন হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন অতি অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে।  

কেবিনেট সচিবকে জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার ও সব ডিসিকে সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সিইসি।  

ভোটের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। নির্বাচনের সময় তাদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে সবকিছু দেখতে হয়। কাজেই কোনোভাবেই আমরা চাইবো না তাদের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক। ভবিষ্যতেও আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, আমরা এমন উদ্যোগ নেব।

সংলাপের অর্জন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। বিশিষ্টজনরা কী বলতে চান, আমাদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, সরকার ও রাজনীতিবিদদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, আমার মনে হয়, এই সংলাপটা ওপেন ছিলো। মিডিয়ায় যখন এই জিনিসটা প্রচার হয়, তাহলে সকলের ওপর একটা চাপ একটা দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে।

এ সময় সিইসি বলেন, এখন সকলেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন, আমাদের ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না, তাহলে নিশ্চয় আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি।


আরও খবর



বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরে মহামারি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে একটি বৈশ্বিক সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া (পিপিপিআর) বিষয়ে ৭৮তম ইউএনজিএ উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের সবার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে হাজির হয়েছে। আমরা সারাবিশ্বে অনেককে হারিয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি যে মানুষের হস্তক্ষেপের জন্য প্রকৃতির নিজস্ব সীমা রয়েছে। আমরা বিশ্ব সংহতির অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতাও পেয়েছি। আমরা স্বীকার করেছি যে সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই উত্তম চর্চা বাড়িয়ে এবং অতীতের ভুলগুলো এড়িয়ে আমাদের সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে। সমতা ও সংহতি অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টার প্রাণভ্রমরা তৈরি করবে।

মহামারি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরেছেন। পাঁচটির মধ্যে তিনটি অগ্রাধিকার হলো- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য রেয়াতযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন, মহামারি নজরদারি, প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে মোকাবিলার জন্য সম্পদ ও দক্ষতা একত্র করা; সবার জন্য ভ্যাকসিনসহ মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী ও কার্যকর মহামারি পণ্যগুলোর ন্যায়সঙ্গত ও অবাধপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।

অবশিষ্ট দুটি অগ্রাধিকার হলো- প্রযুক্তির প্রাপ্যতা ও বাস্তব জ্ঞানের মাধ্যমে মহামারি পণ্যগুলোর উৎপাদন বৈচিত্র্যকরণ; এবং ডব্লিউএইচও’র নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে প্রাপ্যতা ও সুবিধা ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা।

তিনি বলেন, এ লক্ষে আমরা একটি মহামারি চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালা (২০০৫) এর সংশোধনী থেকে ন্যায্য এবং সুনির্দিষ্ট ফলাফল দেখার আশা করি। বাংলাদেশ উভয় প্রক্রিয়ার সাথে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকবে।

প্রথম দিকে ডব্লিউএইচও’র সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি মোকাবিলা পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ ও পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করি। শূন্য থেকে ৮৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার ডাক্তার ও ১৩ হাজার মেডিকেল সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করা হয়। মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ সীমিত রাখাসহ আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বিস্ময়করভাবে কাজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্য একটি ডেডিকেটেড ডিজিটাল অ্যাপ চালু করা হয়। আমরা কমপক্ষে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ৯৩ শতাংশ ভ্যাকসিন কভার করেছি। আমি মহামারি ভ্যাকসিনগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি।


আরও খবর



‘জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে’

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ২০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, জনগণ যদি সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে সেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে তিনি এ কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। কাজেই প্রস্তুতি প্রয়োজন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত করা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন। নয় লাখের নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন।

সিইসি বলেন, আমাদের সার্থকতা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারা। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ক্রেডিবিলিটি। নির্বাচন কোনো সহজ কর্ম নয়। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিযে হা-হুতাস করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে স্থিতু হয়েছে। কিন্তু আমাদের বেলায় ভিন্ন হয়ে থাকে।


আরও খবর



খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যে তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি সেটা থেকে ফিরে এসে তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদেরকে যদি চাইতে হয় তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আদালতের কাজে আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রী এমন সময় এ কথা বললেন, যখন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন কয়েক দিন আগে আবেদন করা হয়েছে। যেটা পরে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে সোমবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের বিদ্যমান অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১)-এর ধারার ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত রেখে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়। এখন আইনের যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তা হলে খালেদা জিয়াকে দেওয়া শর্তযুক্ত মুক্তি আগে বাতিল করতে হবে। বাতিল করে আগের অবস্থায় যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে আবেদন করার কথা বলে সরকার সময়ক্ষেপণ করে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে আদালতের আদেশের প্রয়োজন নেই। সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে অস্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়েছেন। নির্বাহী আদেশেই তাকে বিদেশ পাঠাতে পারেন।


আরও খবর