Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

খেজুর খাবেন ইফতারে যে কারণে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৩৬১জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক: খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। একে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কসমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। তাই রোজার সময় ইফতারিতে খেজুর রাখা ভালো।

খেজুর এমন একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক–সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এবার জেনে নিন খেজুরের নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে-

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়

খেজুরে তো পুষ্টি আছেই, তবে এটা খাওয়ার পাশাপাশি এই ফলের পাতা খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। রাতকানা রোগসহ চোখের সমস্যা প্রশমনেও সহায়তা করে।

শরীরে শক্তি জোগায়

খেজুরের মধ্যে থাকা সুগার শরীরে একটা চনমনে ভাব আনে। এটি মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

হার্ট সবল থাকে

ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে খেজুর খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। তাই এতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়

প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে এটি হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর পাশাপাশি এতে বদহজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

হাড় সবল রাখে

খেজুরে সেলেনিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারী খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, যা হাড়কে খুবই সবল রাখে। এ ছাড়াও বয়সী ব্যক্তিরা নিয়মিত খেজুর খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে

যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে তারা খেজুর খেলে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ব্রেইন ভালো রাখে

খেজুরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বিশেষ করে পটাশিয়াম নার্ভ ও ব্রেইনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

রক্তশূন্যতা দূর করে

খেজুর নিয়মিত খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের বেলায় ক্যানসারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

অ্যালার্জি থেকে বাঁচায়

খেজুরে থাকা সালফার অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

খেজুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গ্লুকোজের পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিনি পাওয়া যায় খেজুর থেকে যা এনার্জি বাড়ায়। খেজুরে থাকা ভিটামিন সি ও ডি ত্বক ভালো রাখে। এ ছাড়া খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা প্রতিরোধেও সহায়ক।

যারা খেজুর খাবেন না

যাদের মাইগ্রেন বা প্রচণ্ড মাথাব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাদের খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ ছোট মিষ্টি খেজুরে টিরামিন বলে যে পদার্থটি রয়েছে, তা মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাদের জন্যও খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আবার যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি, তারা খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আর যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, খেজুর গ্রহণের আগে তারা অবশ্যই নিকটস্থ পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।


আরও খবর

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩




মাগুরা বিএনপি ও অংগ সয়গঠনের ২৪ নেতা কর্মীর জামিন মঞ্জুর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপের্টার মাগুরা থেকে: মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অংগ সংগঠনের  ২৪ জন নেতাকর্মীকে হাইকোর্ট  জামিন মঞ্জুর করেছে। গত ২৭ এপ্রিল মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৬৭/২০২৩ নং মামলার ৩০ জন আসামী হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার রায় ৬ জনের জামিন মঞ্জুর করে বিএনপি নেতা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তুষার। সাবেক চেয়ানম্যান আনিসুর রহমান, জালাল বিশ্বাসসহ  ২৪ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারী মাগুরা শহরতলীর পারলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার ঘটনা উল্লেখ করে পুলিশ বাদি হয়ে ৩৬ জনকে আসামী করে ২৩ ফেব্রুয়ারী বিস্ফোরক মামলা দায়ের করে। আসামীরা গত ১ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। হাইকোর্টের নির্দেশে ১১ এপ্রিল মাগুরা জজ আদালতে হাজির হলে আদালত ২৭ এপ্রিল শুনানীর দিন ধার্য করে। শুনানীর দিনে ৬ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ২৪ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে  থেকে তারা জেল হাজতেই রয়েছেন। রবিবার ৭ মে হাইকোর্টে তাদের জামিনের আবেদন করলে ২৪ জনের জামিন মঞ্জুর হয়। মামলাটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আইনজীবী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান   এ্যাডঃ নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং মাগুরা জেলা বিএনপির  যুগ্ন- আহ্বায়ক এ্যাড, মিথুন রায় চৌধুরী। 

উক্ত মামলাটি সার্বিকভাবে তদারকি করেন মাগুরার বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন খান।


আরও খবর



দুদকের মামলায় জামিন পেলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হুমায়ুন খাদেম। প্যারালাইসজনিত অসুস্থতার জন্য তাকে স্ট্রেচারে করে বাসা থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম জুয়েল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৪ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আটজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।

মামলার অপর আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয়, যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সেলিনা আখতার।  ওই বছরের ১০ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। হুমায়ুন খাদেম ও আমির হোসেন দেওয়ান পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।


আরও খবর



হোমনায় পরিবেশ দূষণের দায়ে চামড়া পোড়ানোর অবৈধ কারখানা বন্ধসহ জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image
মোর্শেদুল ইসলাম শাজু, হোমনা : হোমনায় পরিবেশ দূষণের দায়ে চামড়া পোড়ানোর একটি অবৈধ কারখানা বন্ধ করে দিয়ে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসান  মঙ্গলবার থানা পুলিশের সহায়তায় পৌরসভার বাগমারা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসান বলেন, হোমনা পৌরসভার বাগামারা গ্রামে চামড়া পোড়ানোর একটি অবৈধ কারখানা গড়ে উঠে। যা থেকে এর পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে বিকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত বিশেষ করে রাতের বেলায় যখন চামড়া পুড়ানো হত। চামড়া পোড়া গন্ধে এলাকার মানুষের জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। বাগমারা এলাকা থেকে কিছুদিন ধরেই অবৈধ কারখানাটির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল ।

পরে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা স্যারের নির্দেশনায় সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় কারখানার মালিকপক্ষ স্বীকার করেন কারখানা স্থাপনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্রই তাদের কাছে নেই এবং চামড়া পোড়ানোর সময় বায়ু দূষনকারী যে ভয়ানক দুর্গন্ধ নির্গত হয় সেটি নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা সেখানে নেই। এসব অপরাধে কারখানা মালিক রাজীব চৌধুরীর পক্ষে ঘটনাস্থলে উপস্থিত তার শাশুড়ি খোদেজা বেগমকে বায়ু দূষণ বিধিমালা, ২০২২ এর ১৭ বিধি অনু্যায়ী আশি হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কারখানাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বে নিলখী ইউনিয়ন এর সিনাইয়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একইরকম বায়ু দূষনকারী ও দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী আরো একটি অবৈধ চামড়া পুড়ানোর কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়।

আরও খবর



কুয়াকাটায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক চায়না সিকো কোম্পানীর দোভাষী জিসান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

রাসেল কবির মুরাদ কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কুয়াকাটায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন চায়না সিকো কোম্পানীর দোভাষী জিসান (৩১)। সোমবার রাতে কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকাসহ তাকে আটক করে পটুয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল। পানি উন্নয়ংন বোর্ডের আওতাধীন ৪৮নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধ উন্নয়নের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিআইসিও কোম্পানী (সিকো)। জিসান ওই প্রতিষ্ঠানের চায়না কর্মকর্তাদের দোভাষী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। আটককৃত দোভাষী জিসান বরগুনা জেলার পাথরঘাটার কাঠালিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে।

চাঁদাবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় ৯ মে রাতে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-০৭। স্থানীয় সূত্র ও মামলার বিবরনে জানা যায়, তৈল ব্যবসায়ী মহসিন বিশ্বাসের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজ চায়না প্রজেক্টের ৪৮নং পোল্ডারে কোটেশন দাখিল করে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়ে তেল সরবারহ করছিল। একপর্যায়ে দোভাষী জিসান হাওলাদার তাদের কাছে প্রতি গাড়িতে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করলে চায়না কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে তাদের বিল আটকে দেয়। পরে নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন সময় তেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি দোভাষী জিসানকে বিভিন্ন কিস্তিতে মোট ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। পরে চাঁদা দিতে বিলম্ব হওয়ায় আবার তাদের বিল আটকে দেয় এবং বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে বিল পাওয়ার লক্ষ্যে তারা চাঁদার টাকা প্রদানের জন্য জিসানকে কুয়াকাটার একটি হোটেলে ডাকেন এবং তাকে পুনরায় ৮০ হাজার টাকায় প্রদান করে ডিবি পুলিশকে অবগত করলে ডিবি পুলিশ তাকে ৮০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আটককৃত দোভাষী জিসানের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহনসহ অকারণে চায়না কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করারও অভিযোগ রয়েছে।মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মো. আবুল খায়ের জানান, চায়না সিকো কোম্পানীর দোভাষী জিসানের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম ছাড়ল প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১৯ যাত্রী নিয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি বছরে পবিত্র হজ পালনে ৪১৯ যাত্রী নিয়ে প্রথম হজ ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের জিএম মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিমানবন্দরের চেকিং কাউন্টারে বোর্ডিং পাস ও ইমিগ্রেশনসহ বিমানের নানা প্রক্রিয়া শেষ করেন হাজিরা। পরে নির্ধারিত সময় রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম থেকে প্রথম হজ ফ্লাইটটি।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম জানান, চলতি হজ মৌসুমে চট্টগ্রাম থেকে মদিনা ও জেদ্দায় ২০টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। এসব ফ্লাইটে ১০ হাজার ৫০০ জন হজযাত্রী বহন করা হবে। আগামী ২২ জুন চট্টগ্রাম থেকে সর্বশেষ হজ ফ্লাইট যাবে।

গত বছর চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে ১১টি ফ্লাইট গেলেও এবার ১০টি বাড়িয়ে ২১টি করা হয়েছে বলেও জানান মো. শাহ আলম।


আরও খবর