Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

খেজুর খাবেন ইফতারে যে কারণে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৪৯জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক: খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। একে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কসমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। তাই রোজার সময় ইফতারিতে খেজুর রাখা ভালো।

খেজুর এমন একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক–সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এবার জেনে নিন খেজুরের নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে-

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়

খেজুরে তো পুষ্টি আছেই, তবে এটা খাওয়ার পাশাপাশি এই ফলের পাতা খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। রাতকানা রোগসহ চোখের সমস্যা প্রশমনেও সহায়তা করে।

শরীরে শক্তি জোগায়

খেজুরের মধ্যে থাকা সুগার শরীরে একটা চনমনে ভাব আনে। এটি মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

হার্ট সবল থাকে

ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে খেজুর খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। তাই এতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়

প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে এটি হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর পাশাপাশি এতে বদহজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

হাড় সবল রাখে

খেজুরে সেলেনিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারী খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, যা হাড়কে খুবই সবল রাখে। এ ছাড়াও বয়সী ব্যক্তিরা নিয়মিত খেজুর খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে

যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে তারা খেজুর খেলে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ব্রেইন ভালো রাখে

খেজুরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বিশেষ করে পটাশিয়াম নার্ভ ও ব্রেইনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

রক্তশূন্যতা দূর করে

খেজুর নিয়মিত খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের বেলায় ক্যানসারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

অ্যালার্জি থেকে বাঁচায়

খেজুরে থাকা সালফার অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

খেজুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গ্লুকোজের পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিনি পাওয়া যায় খেজুর থেকে যা এনার্জি বাড়ায়। খেজুরে থাকা ভিটামিন সি ও ডি ত্বক ভালো রাখে। এ ছাড়া খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা প্রতিরোধেও সহায়ক।

যারা খেজুর খাবেন না

যাদের মাইগ্রেন বা প্রচণ্ড মাথাব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাদের খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ ছোট মিষ্টি খেজুরে টিরামিন বলে যে পদার্থটি রয়েছে, তা মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাদের জন্যও খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আবার যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি, তারা খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আর যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, খেজুর গ্রহণের আগে তারা অবশ্যই নিকটস্থ পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।


আরও খবর

"নোবেলের ম্যাজিক শুধু প্রতারণা"

মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24

ভালোবাসার দিন আজ

বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




বাকেরগঞ্জে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন!

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নে কাজ না করেই কর্মসৃজন কর্মসূচির সিংহভাগ টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ কামরুজ্জামান এ প্রকল্পের অনুকূলে মোট বিলের অর্ধেক টাকা উত্তোলন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির (৪০ দিন) আওতায় মাটি কেটে জিরাইল চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন উত্তর গোবিন্দপুর শাহজাহান হাওলাদারের বাড়ি থেকে কাঁটাখালি শাহজাহান মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করে।

এ প্রকল্পের সভাপতি হলেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য শতাধিক শ্রমিক তালিকাভুক্ত করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ২০০ টাকা। শ্রমিকদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোনের সিমে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার দুজনে মিলে নিজেদের পছন্দের লোককে শ্রমিক দেখিয়ে তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন। পরে ওইসব তালিকাভুক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ না করিয়ে প্রকল্পের সভাপতি কৌশলে এসব শ্রমিকের বিকাশ নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করছেন।

গত ১১ মার্চ দুপুরে ওই প্রকল্পে গিয়েও কোনো শ্রমিকের দেখা মেলেনি। প্রকল্প এলাকার দেড় কিলোমিটার রাস্তায় গত বছর বেকু দিয়ে মাটি কেটে ফেলা হয়েছে। অথচ এ বছর ওই রাস্তায় মাটি কাটার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইতিমধ্যে শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রায় তিন লাখ টাকার বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের দিনমজুর লিয়াকত আলী খান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ, মানুষের বাড়িতে কাজ করি। মাটিও কাটি। কিন্তু, চেয়ারম্যান-মেম্বার আমার নামড্যা দেয় নাই। নাম দিলে কাম কইরা কিছু টাহা পাইতাম।

উত্তর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল মিলন বলেন, তিনি প্রতিনিয়ত এ মাটির রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে চলাচল করেন। তিনি বলেন, গত বছর বেকু দিয়ে মাটি কেটে এ রাস্তার কাজ করা হয়েছে। এ বছর এ রাস্তায় কোন মাটির কাজ হয়নি। 

একই ধরনের কথা বলেন, উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের জাফর হাওলাদার, জেলে সোহাগ খান, বৃদ্ধা খাদিজা বেগম ও গৃহবধূ মাহিনুর বেগমসহ আরও অনেকেই।

এ ব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার গত বছর বেকু দিয়ে মাটি কেটে অগ্রিম এই রাস্তার কাজটি করিয়ে রেখেছিলেন। তাই এ বছর উক্ত প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শ্রমিকদের কোন টাকা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি মুচকি হেসে বলেন, আপনারাতো সবি জানেন, আমাকে আবার জিজ্ঞাসা করে লজ্জা দিচ্ছেন কেন। আমি প্রকল্পের সভাপতি না খেলার পুতুল বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে দুর্গাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার জানান, ভালো কাজ করার জন্য তিনি গতবছর এ রাস্তায় অগ্রিম কাজ করে রেখেছেন। এ বছর প্রকল্প দেখিয়ে সেই টাকা উত্তোলন করেছেন। অগ্রিম প্রকল্প দেখিয়ে লেবার দিয়ে কাজ না করে টাকা উত্তোলন করার কোন বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।  

পিআইও মো. কামরুজ্জামান বলেন, ওই প্রকল্পের অনুকূলে মোট বিলের অর্ধেক টাকা ছাড় করা হয়েছে। আপনি কি প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফাইল নোট না দেখে অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। তবে প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তিনি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘কোনো কাজেই অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করব। কাজের গরমিল পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করল সৈয়দপুরের আ.লীগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image
জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। সৈয়দপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগের দেওয়া তালা ২৫ মার্চ খুলে দেওয়ার জের ধরে এ বর্জনের ঘটনা ঘটেছে।সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়,  গত ৭ মার্চের অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কিছুদিন ধরে সৈয়দপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণে দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে গত সোমবার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল অধ্যক্ষ, শিক্ষক, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সুধীজনদের সাথে আলোচনা করে অধ্যক্ষের তালা খুলে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। 

সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, সৈয়দপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান একজন জামাত-শিবিরপন্থী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্থান হানাদারবাহিনী  এ দেশের নিরীহ বাঙ্গালীর ওপরে হামলা করে গণহত্যা চালায়। আর গণহত্যা দিবসে  সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অধক্ষের তালা ভেঙ্গে জামাত-শিবিরকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা মনে করি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও স্বাধীনতাবিরোধী ও জামাত-শিবিরপন্থী। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এভাবে তালা দেওয়া সমীচীন নয়। আমি সবার সাথে কথা বলেছি।বিষয়টা বুঝেছে ছাত্রলীগ। ফলে তারা নিজেরাই  অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দিয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যদি নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ( মাউসির) কাছে লিখিত জানাতে হবে। কারো বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা ঠিক না।স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান কে বর্জন করেছে তা আমার জানা নেই। 

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি, ৭০ রোহিঙ্গা নিহতের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একটি নৌকা ডুবে গেছে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে। এতে ৭০ এর অধিক রোহিঙ্গা নিহত বা নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) শুক্রবার (২২ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ইউএনএইচসিআর এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, যদি হতাহতের বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয় তবে এটি হবে চলতি বছরের সবচেয়ে বড় মিথ্যে।

গত বুধবার রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটি ডুবে যায়। ওই সময় স্থানীয় জেলেরা ছয় অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। ওই অ্যালার্ট জারি করা হয়। আচেহ প্রদেশের একটি জেলে সম্প্রদায় জানিয়েছে, তীব্র স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। আমাদের দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।

দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে তাদের ওপর চালানো নিপীড়ন ও নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছে দুই হাজার ৩০০ রোহিঙ্গা। এর আগের চার বছরে ইন্দোনেশিয়ায় যত রোহিঙ্গা গেছে তার থেকেও বেশি গেছে গত বছরে। গত জানুয়ারিতে এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছিল, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বা মিয়ানমার থেকে ইন্দোনেশিয়ায় পালাতে গিয়ে সাগরে প্রাণ হারিয়েছে ৫৬৯ রোহিঙ্গা।

ইউএনএইচসিআরের এশিয়ার মুখপাত্র বাবর বেলুচ শুক্রবার রয়টার্সকে জানান, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ১৫১ জন রোহিঙ্গা ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ৭৫ জনকে উদ্ধার করেছে। বাকিরা মৃত বা নিখোঁজ রয়েছে।


আরও খবর

সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




মাটিরাঙ্গায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়বো” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি জেলার  মাটিরাঙ্গা উপজেলায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

রবিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যস্থাপনা অধিদপ্তর আয়োজনে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে  পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে  আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.ইশতিয়াক আহম্মেদ।

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার রাজীব রায় চৌধুরী,মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস এর ইনচার্জ  মো.হারুন মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.রুহুল আমিন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুকুল কান্তি চাকমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পল্লীউন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মো.জাকির হোসেন বাবলু,  সহ জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন,

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রাজাকারের তালিকা হচ্ছে দুই ক্যাটাগরিতে:মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন,সরকারিভাবে দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাজাকারের তালিকা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজাকারের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, সেটা কিন্তু আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন দেখা গেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের স্বপক্ষে ছিল এমন মানুষের নামও তালিকায় চলে আসে।

তিনি আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা করে পাঠাতে বলা হলো, দেখা গেল আমার নাম ঢুকিয়ে দিলো। এমনও আছে, যাদের জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল তারাও রাজাকার হয়ে গেছে। অনেক হিন্দু ব্যক্তির নামও ঢুকানো হয়ে গেছে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু রেকর্ডে তাদের নাম ছিল। এখন আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি মনে মনে। একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর জন্য সহযোগিতা করেছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, লুটপাট করার জন্য সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা। আরেকটি হচ্ছে, যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না। এগুলো নিয়ে এখন খুবই বিভ্রান্তি-দ্বিমত হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজটি জটিল, তারপরও শাজাহান খান সাহেবের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওনারা কাজ করছেন। ওই কমিটি তালিকা পাঠালে আমরা সেটি প্রকাশ করব।

আগামী মে মাসের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, রমজান মাসের পরেই নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হবে। মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন হয়ে যাবে। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যে সমস্ত কাজকর্ম চলছে, যেমন- বদ্ধভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, সে সমস্ত কাজকর্ম যেন যথাযথভাবে হয়। সেজন্য তাদের (ডিসি) তদারকি-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে বা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর