Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই বিএনপির কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছে: ডিবি প্রধান

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির ডাকা সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিএনপির কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছে  বলেছেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বিএনপিকর্মী ইসমাঈল পাটোয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্যসচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং যুবদলকর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী আল আমিন (২৯)।

ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয় নেতাকর্মীরা। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।

হারুন বলেন, শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটোয়ারী দুটি সবুজ রংয়ের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমনকি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন ‘দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি’। এছাড়া নিহত পুলিশ সদস্যের শিশু মেয়ে ‘বাবা, বাবা বলে কাঁদছে’ এমন এক ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছে ‘উই আর নট আনহ্যাপি’। গ্রেপ্তারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে। পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল-আমিন নামে এক বিএনপিকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন আরও বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়ি বংশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের ট্রাফিক সিগন্যালে থামলে যাত্রীবেশে কয়েকজন উঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেমে যায়। এ ঘটনায় জড়িত আল-আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচন অস্থিতিশীল করতে সব সময়ই একটি পক্ষ সচেষ্ট থাকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব সময়ই একটি পক্ষ সচেষ্ট থাকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । সেসব যেন না হয়, এ জন্যই নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৫২ বছর’ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়। এর অন্তরালে অনেক সময় বিপত্তি ঘটানোর, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি কিংবা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য একটি পক্ষ অনেক পন্থা অবলম্বন করে। সে ধরনের কোনো ঘটনা যাতে কেউ না করতে পারে এ জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যারা আছেন তারা অত্যন্ত দক্ষ।

সন্ত্রাসীদের আটক একটি চলমান প্রক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়তই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা আটক করা হচ্ছে। আমরা সবসময়ই তাদের চিহ্নিত করে আসছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাদের বেশিরভাগই এখন জেলখানায়, না হয় দেশত্যাগ করেছে। বিদেশে যারা আত্মগোপন করেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আনাও হয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের মাঝে শুধু একটা সীমান্তরেখা রয়েছে। কিন্তু আমাদের পরস্পরের হৃদয়ের কোনো সীমা নেই। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চির অটুট থাকবে সব সময়।

৫২ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা থামছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা অনেকাংশে কমে এসেছে। এটা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও দফায় দফায় বৈঠক চলছে।

সীমান্তে অস্থিরতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হত্যার সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এ নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়েও মিটিং হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, সীমান্তে নন লিগ্যাল অস্ত্র ব্যবহার করার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




রাশমিকার বিকৃত ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:দিল্লি পুলিশ রাশমিকা মান্দানার বিকৃত ভিডিওর উৎস খুঁজতে মাঠে নেমেছে। চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে শেষমেশ তাদের জালে বিহারের এক কিশোর। পুলিশের ধারণা, ১৯ বছর বয়সি ওই কিশোরই প্রথম অভিনেত্রীর ভিডিও নেটপাড়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে।

দিন কয়েক ধরেই রাশমিকা মান্দানার বিকৃত ভিডিও নিয়ে তুলকালাম সোশাল মিডিয়া। দিল্লি মহিলা কমিশনের নোটিশ পাঠানোর পরই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ ও ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় দায়ের করা হয় এফআইআর। সেই সূত্র ধরেই এগোতে থাকে দিল্লি পুলিশ। তারপরই বিহারের এক কিশোরের কথা উঠে আসে। 

জিজ্ঞাসাবাদে দিল্লি পুলিশের কাছে ওই কিশোর স্বীকার করে যে, আমি শুধু ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করেছিলাম মাত্র। তবে বিহারের কিশোরের এমন উত্তরে সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে তাকে কড়া জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নেটদুনিয়ায় দাবানল গতিতে ছড়িয়ে পড়া ওই বিকৃত ভিডিও নিয়ে রাশমিকা নিজে তো বিরক্তি প্রকাশ করেইছেন। পাশাপাশি এমন কাজের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন খোদ অমিতাভ বচ্চনও। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাশমিকার চর্চিত প্রেমিক বিজয় দেবেরাকোন্ডা এবং বন্ধু ম্রুণাল ঠাকুরও।


আরও খবর



গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন ধরে রাখতে চায় জাতীয় পার্টি পুনরুদ্ধারে মরিয়া আওয়ামী লীগ-জামায়াত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা), প্রতিনিধিঃভোটের দিনক্ষন গণনা শুরু হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ২৯'গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের রাজনীতির মাঠ বেশ সরগরম। ভোটের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে নির্বাচনের সমীকরণ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি আর জামায়াতে ইসলামীর জ্যামিতিক ত্রিভুজে ঘুরপাক খাচ্ছে। জাপা চায় আসনটি নিজেদের দখলে ধরে রাখতে আর আওয়ামী লীগ-জামায়াত আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া।

এ আসনে ইতোমধ্যেই সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের ফিরিস্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। জয়ের আশা করছে জাতীয় পার্টিও। আন্দোলনে সক্রিয় হয়েও নির্বাচনের নীরব প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। নিজেদের একক প্রার্থী ঠিক করে ভোটের মাঠে রয়েছে জামায়াত। সবাইকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভোটারদের দোয়া চেয়ে রং-বেরংয়ের ব্যানার ফেষ্টুন ছাপিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

জোটগত সমীকরণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও এবার কী হবে তার হিসেব হচ্ছে নানা দিক থেকে। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে দাবী করে আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে জাতীয় পার্টি আশাবাদী হলেও এবার মাঠ ছাড়তে নারাজ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ আসনে দলের একক প্রার্থী চান তারা। এদিকে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড়া দল জাতীয় পার্টি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ধরনের চমক দেখাতে চায়। আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের সম্প্রতি দলের জেলা সম্মেলনে জানান- ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দলটি। পাশাপাশি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ভাবনাও উড়িয়ে দিতে নারাজ জাতীয় পার্টি। অপরদিকে জামায়াত তাদের একক প্রার্থী নির্ধারণ করে ভোটের মাঠে তলে তলে নিজেদের গুছিয়ে নিতে ‘গ্রাউÐওয়ার্ক’ সেরে ফেলছেন। জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হিসিবে পরিচিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। দলের মজবুত সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাড়িয়ে এবার এ আসনটি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া রাজপথের আন্দোলনে চ‚ড়ান্ত সফলতায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। সরকার পতনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় দলটির নেতাকর্মীরা। তবে আপাতত তাদের মূল ভাবনায় আন্দোলন থাকলেও নির্বাচনের প্রস্তুতিও যে একেবারে নেই তা বলা যাবে না। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা না থাকলেও চলছে নির্বাচনি হোমওয়ার্ক। 

জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও পনেরটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-১ সংসদীয় আসন। এখানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৬ জন। এই আসনে স্বাধীনতার পর থেকে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ছয়বার জাতীয় পার্টি, দুইবার আওয়ামী লীগ, , একবার ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) ও একবার জামায়াতে ইসলামী জয়লাভ করেছে। রাজনৈতিক কারণে বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে এখানে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ আর জামায়াতের মধ্যেই ত্রিমূখী প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা।

এ আসনে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শামসুল হক সরকার, ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগের (আইডিএল) মোহাম্মদ রেজাউল আলম খন্দকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের (১৫ ফেব্রæয়ারি) ষষ্ঠ নির্বাচনে বিএনপির বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া হোসেন খন্দকার এবং ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ওহায়েদুজ্জামান সরকার বাদসা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আব্দুল আজিজ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আব্দুল কাদের খান আসনটি পুনরুদ্ধার করে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একচল্লিশ বছর পর এ আসনটি পুনরুদ্ধার করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হলে আসনটি শুন্য হয়। ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গোলাম মোস্তফা আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ পুনরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিজয়ী হন। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জাপা নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মোহসীন সরদারও মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। 

শামীম হায়দার পাটোয়ারী নির্বাচিত হয়ে সুন্দরগঞ্জে সুশাসন নিশ্চিত করতে পেরেছেন। চেষ্টা করেছেন সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করলেও করোনার কারণে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প ব্যাহত হয়েছে। নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন। এমনটাই বলছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ -সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজা,

প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বোন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী এবং লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, এছাড়াও সহসভাপতি উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান,সহসভাপতি সৈয়দ মশিউর রাব্বানী আপেল, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল সহ আরো অনেকে  মনোনয়ন চাইতে পারেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে সুন্দরগঞ্জ। আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করে এলাকার উন্নয়নকে বেগবান করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।

অন্যদিকে আন্দোলনে বিএনপির নজর থাকলেও প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচনেরও। মামলা আর গ্রেফতার আতঙ্ক কাটিয়ে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এখন সাংগঠনিক তৎপরতায় বিএনপি অনেকটাই সুসংগঠিত। রাজনীতির মাঠের বিপর্যয় কাটিয়ে নতুন কৌশল নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। বাস্তবতার নিরিখে পথ চলতে চান দলের নেতারা। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষিত না হলেও ভোটের মাঠে রয়েছেন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক মো. বাবুল আহমেদ, সদস্যসচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক ও পৌর বিএনপি নেতা ইফতেখার হোসেন পপেল।

এছাড়া আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবি এবং জনসম্পৃক্ত নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে শক্তি দেখাতে চাইছে। একই সঙ্গে নির্বাচনেরও প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে এ আসনে তারা প্রার্থীও ঠিক করেছে। তবে আপাতত দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনেই থাকতে চায়। এ জন্য তারা নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির জেলা নেতারা।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলটির গাইবান্ধা জেলা শাখার নায়েবে আমির ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান এর নাম শোনা যাচ্ছে।


আরও খবর



মনোনয়নপত্র বাতিল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এ জন্য মনোনয়ন ফরম তুলে ছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড তাকে বিবেচনায় নেয়নি।

দল মনোনয়ন না দেওয়ায় রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন এ নায়িকা। কিন্তু এক শতাংশ ভোটার জালিয়াতির (ভুয়া স্বাক্ষর) অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রাজশাহী নির্বাচন কমিশন অফিস।

এদিকে শনিবার (২ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে মাহি লিখেছেন, ‘যেটা খবর পেলাম সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে আপনার কপালে খারাপ আছে বলে দিলাম যুদ্ধ ঘোষণা হবে কালকে।

তার এই পোস্ট মনোনয়নপত্র বাতিলের ইঙ্গিত কি না সেটা নিশ্চিত নয়। তবে মন্তব্যের ঘরে অনুরাগীরা তাকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন।

এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে মাহি বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করাটা আমারও দায়িত্ব। প্রার্থী যত হবে, কেন্দ্রে ভোটার তত আসবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতেই আমি প্রার্থী হচ্ছি, যাতে বিশ্ববাসী দেখে। আশা করছি, এলাকার ভোটাররা আমার সঙ্গে থাকবেন।

মাহির গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। আর তার নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসনের যেকোনো একটিতে তিনি নির্বাচন করতে কিছুদিন ধরে মাঠে রয়েছেন।

চিত্রনায়িকা মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি এ আসনের এমপি।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে তিন আসনে । তার একজন প্রতিনিধি মনোনয়ন ফরমগুলো সংগ্রহ করেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিব আল হাসানের পক্ষে ফরমগুলো সংগ্রহ করা হয়। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসন তিনটি হলো মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ এবং ঢাকা- ১০।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রথম দিনেই ১০৬৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে। এর মধ্যে সরাসরি ১০৫০ জন, আর অনলাইনে ১৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

এর আগে, সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩