Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

কদমতলীতে আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলা:আসামী র‍‍্যাবের হাতে আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ২০১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃরাজধানীর কদমতলী থানাধীন ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত তুষার ধারা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মোল্লার উপড় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালনো প্রধান অভিযুক্ত নোমান বেপারী (২৭) কে হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করেছে র‍‍্যাব-১১। রবিবার ২৮ জানুয়ারি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ফতুল্লা থানার শান্তিধারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নোমান বেপারী ওই এলাকার আব্দুর রব বেপারীর ছেলে।

তুষার ধারা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মোল্লা দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, সন্ত্রাসী নোমান বেপারী তার সঙ্ঘবদ্ধ একটি গ্রুপ নিয়ে তুষার ধারা এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতা সহ নানা অপরাধের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তোলেন, তার এসব অপকর্মে বাধা দেওয়ায় গত ২২ জানুয়ারি অভিযুক্ত ৬ জনসহ অন্য ৫/৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে দুপুর  তিনটার দিকে গিরিধারা আবাসিক এলাকার শাপলা টাওয়ারের সামনে নোয়াখালী হোটেলের ভিতরে আমার উপর আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে) মারধর করেন। এই বিষয়ে আমি কদমতলী থানায় সাত জনের নামে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি অভিযোগ করেছি। অভিযুক্তরা হল, নোমান বেপারী পিতা -আব্দুর রব বেপারী, আলামিন পিতা -বাবু, মাসুদ ওরফে ন্যারো মাসুদ, আল ইমরান, তামিম, ওমর ফারুকসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন। কদমতলী থানার এসআই জহিরুল ইসলাম অভিযোগ তদন্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, গিরিধারা এলাকাটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এবং ডিএমপির কদমতলী থানার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা তৎপরতার কারণে সহজে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ফয়সাল আহমেদ রাজু বলেন, ঘটনার দিন এলাকার সন্ত্রাসী নোমান বেপারী সাত আটটি মোটরসাইকেল যোগে এসে ১০-১২ জন ব্যক্তি মিলে নোয়াখালী হোটেলের ভেতরে আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন মোল্লার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

নোয়াখালী হোটেলের কর্মচারী শাহ আলম বলেন, অভিযুক্তরা আলামিন মোল্লাকে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকেন, তাদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র থাকায় আমরা ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়ি।

কদমতলি থানার এসআই জহিরুল ইসলাম বলেন অভিযোগের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ গুলো সংগ্রহ করে পর্যবেক্ষণ করছি, অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।সন্ত্রাসীরা আল আমিন মোল্লাকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তুষার ধারা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মোল্লা।


 


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কয়েদীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামীর আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি (৮৫) মারা গেছেন।

সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কিংবদন্তি এই কোচের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’এক পোস্টে এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!

মেনোত্তির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে লেখেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখন তিনটি তারকা। তারকাখচিত এই জার্সি একসময় ফাঁকা ছিল। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার জার্সিতে স্থাপিত হয় প্রথম তারকা। সময়টা ১৯৭৮। মেনোত্তি সেই আসরে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ উপভোগ করান।

আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জেতানোর পরই নিজের দায়িত্ব শেষ করে দেননি মেনোত্তি। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে বিশ্বজয় করেছিল ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম যুব বিশ্বকাপ।


আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



ফরিদপুরে ১২৭ বোতল ফেনসিডিল'সহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

টিটুল মোল্লা"ফরিদপুর:১২৭ বোতল ফেনসিডিল সহ ১(এক)মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০,সিপিসি-৩ ফরিদপুর।এ ব্যাপারে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়,গতকাল সোমবার র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন বদরপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে কুয়াকাটাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে যাত্রী সেজে ফেনসিডিল বহনকালে ১২৭ (একশত সাতাশ) বোতল ফেনসিডিলসহ আনুমানিক যার মূল্য  ৩,৮১,০০০/- (তিন লক্ষ একাশি হাজার) টাকা'সহ ০১(এক) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ ওমর আলী (৩৯),পিতা- মৃত দলিল উদ্দিন,সাং- কুতুবপুর (মাঝপাড়া), থানা- দামরহুদা, জেলা- চুয়াডাঙ্গা বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেন।সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসসহ অন্যান্য মাদকন্ত্রব্য সংগ্রহ করে অভিনব কৌশলে রাজধানী ঢাকা, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে র‌্যাব জানায়।।


আরও খবর



সরকার ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে স্থানীয়ভাবে টিসিবির মাধ্যমে সরকার। মোট খরচ পড়বে ১৮২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সায়বিন তেলের এরকম আরও কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবসহ উত্থাপিত ১২টি প্রস্তাবের সবগুলোই অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা।

বুধবার (৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মাহমুদুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

মাহমুদুল হোসাইন জানান, টিসিবির মাধ্যমে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেলও কিনবে সরকার, যার মোট খরচ পড়বে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবার স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের ক্ষেত্রে টিসিবির গুরুত্বই বেশি।

তিনি জানান, সংস্থাটির মাধ্যমে ৩ দফায় যথাক্রমে ৬ হাজার মেট্রিক টন, ১০ হাজার মেট্রিক টন ও ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। যার দাম পড়বে যথাক্রমে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

মাহমুদুল হোসাইন আরও জানান, বরাবরের মতো সারও কিনবে সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে, যার খরচ পড়বে ৯৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। একই পরিমাণ ইউরিয়া সার কেনা হবে কাতার থেকে, যার মোট খরচ ৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।

সচিব বলেন, তিন কার্গো এলএনজি কেনা হবে। দুই কার্গো কেনা হবে সিঙ্গাপুর থেকে, দুটোরই দাম পড়বে যথাক্রমে প্রতি ইউনিট ১০ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার করে। তৃতীয় কার্গো কেনা হবে কাতার থেকে প্রতি ইউনিট মার্কিন ডলার দরে।


আরও খবর