Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

কাতার সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কাতার সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিন সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর আগে বুধবার (২৪ মে) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২৫মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ২৫ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে

প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির আমন্ত্রণে তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে (কিউইএফ) যোগ দিতে গত ২২ মে দোহায় পৌঁছান। শেখ হাসিনা কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগদান ছাড়াও সফরের সময় আমিরি দিওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে সাক্ষাত, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ ছাড়া কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি ও সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ ও সৌদি অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

শেখ হাসিনা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ও দোহায় কাতার ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা নিয়েছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার জোরালো ভূমিকা নিয়েছে,বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন । ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের মিটিং করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মন্ত্রী।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি জানিয়ে তিনি বলে, চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের ঘাটতি যেন না থাকে তা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবার স্যালাইনের কোনো অভাব হবে না। পাশাপাশি কেউ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসময় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জনবল সংকটে ভুগছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জনবল সংকটের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করা হবে। এতে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের চাপ কমবে।


আরও খবর



ইউপি সদস্য’কে চোর পেটানোর মতো পিটালো ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বনের জমি জবর-দখল করে ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাইয়ের নির্মাণার্ধীন মার্কেট ভেঙ্গে দিলো বনবিভাগ। আর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ইউপি সদস্যকে চোর পেটানোর মতোই পিটালেন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা। এঘটনায় ওই আহত ইউপি সদস্য বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ করলে বুধবার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আহত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার নলোয়া এলাকার হেলাল উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মজনু মন্ডল। তিনি বর্তমানে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার)।

এলাকাবাসী, আহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নলোয়া বাজার এলাকায় বনের জমি জবর-দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বোয়ালী বন বিট কর্মকর্তা আবু ইউনুছ ও তার কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজস করে ওই মাকেট নির্মাণ করেছেন স্থানীয় বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই শাহিন।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে গত মঙ্গলবার সকালে ওই মার্কেটটি ভেঙ্গে দেয় বনবিভাগের লোকজন। ওই মার্কেটটি ভাঙ্গার পিছনে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজনু মন্ডলের হাত রয়েছে, এমন সন্দেহে ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন খান, তার ছেলে নিসাদুল রহমান, ভাতিজা পলাশ, শ্যালক হাসান, দুই পুতুরাসহ কয়েকজন ওই বাজারের একটি দোকানের ভেতর থেকে ইউপি সদস্য মজনুকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে বাইরে বের করে। এসময় তারা সবাই মিলে চোর পেটানোর মতোই ওই ইউপি সদস্যকে এলোপাথারী পেটায়। পরে আশপাশের লোকজন আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওইদিন ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বুধবার দুপুরে ওই ঘটনার তদন্তে যান কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, ওই ইউনিয়নের অন্যান্য ইউপি সদস্যরা হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। কিন্তু তাকে দেখতে যাননি অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারমান আবজাল হোসেন খান। আহত ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের আরো অভিযোগ, গত ছয় মাস আগে একদিন সকালে কে বা কাহারা ৯ লক্ষ টাকার মালামালসহ তাদের মৎস্য খামারের গোডাউন আগুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। বছরখানেক আগে তাদের রাতের আধারে বসত-বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। গত ১৫ দিন আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাদের মৎস্য খামারের রাস্তা বন্ধ করে দেয় তার লোকজন। ইউপি সদস্যকে পেটানোর ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে পূর্বের ঘটনায়ও ওই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন জড়িত বলেও তাদের অভিযোগ।

আহত ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বলেন, চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই শাহিনের নির্মাণাধীন মার্কেট ভেঙ্গে দিয়েছে বনবিভাগের লোকজন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা আমাকে সন্দেহ করে দোকানের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে চোর পেটানোর মতো পিটিয়েছেন। এর সুষ্ঠ বিচার চান ওই ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন।

অভিযুক্ত স্থানীয় চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন খান জানান,ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বনের জমিতে স্থাপনা ভাঙ্গা-গড়ার সঙ্গে জড়িত। ওই স্থাপনাটি ভাঙ্গলে স্থানীয় লোকজন তার সঙ্গে ধাক্কা- ধাক্কি করে। আমি তাদের সবাইকে সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি তাকে মারধর করি নাই।

এব্যাপারে জানতে স্থানীয় বোয়ালী বিট কর্মকর্তা আবু ইউনুছ এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ওই ইউপি সদস্যকে পেটানোর ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্দোগে ৫০ টাকায় ৫ পণ্য বিক্রি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারিও সৈয়দপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ৫০ টাকায় ৫ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য বিক্রি করা হচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে। গত বুধবার তাদের ওই কার্যক্রম উদ্ভোদন করে আগামি ৭ দিন তারা সকল শ্রনীর ক্রেতাদের মাঝে ওইসব পন্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বুধবার উদ্ভোদনের দিনে ৩০০ জন,বৃহস্পতিবার ২৫০ জন ও শুক্রবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন ক্রতাদের মাঝে ওইসব পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। ৫০ টাকার বিনিময়ে ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ,১ কেজি করলা, বাধাকপি ১ টি ও ৫০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ দেয়া হচ্ছে।শুক্রবার সকালে ৫০ টাকায় পণ্য কিনতে আশা রিক্সা চালক মিষ্টার বলেন, সৈয়দপুরে ৫০ টাকায় ৫ পণ্য কিনতে পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। সারা দেশের ন্যায় সৈয়দপুরেও যেভাবে জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে, সেখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই মহোতি উদ্দোগ আসলেই প্রশংসা পাওয়ার মতো।শহরের শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়কের জিআরপি মোড়ে সবজি বিক্রির সময় ক্রেতা রহিমা, আকলিমা, ও বিলকিস সহ অনেকেই বলেন,আজকাল গরীবের দিকে কেউই তাকায় না। নীলফামারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি মহসিন মন্ডল মিঠু একজন ভালো মানুষ বলেই গরীবের চিন্তা করেছে। আল্লাহ পাক তার ভালো করবেন। তার দেয়া ৫ পণ্য আগামী ৫/৬ চলবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নীলফামারী শাখার সভাপতি মহসিন মন্ডল মিঠু বলেন,প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে রমজান মাসে গরীব অসহায় এর পাশে দ্বারানোর। আমরা একারনেই সবার জন্য ৫০ টাকায় ৫ পণ্য বিক্রি করছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ গতদিনে জনগনের সাথে ছিল, আগামীতেও পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। কতদিন ৫০ টাকায় ৫ পণ্য বিক্রি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলে পবিত্র ঈদের পরেও এ কার্যক্রম চালু রাখবেন বলে জানান তিনি। 

আরও খবর



মাগুরার ঈদ বাজারে বেচাকেনা কম ক্রেতাদের হাতে পয়সার অভাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরায় ঈদকে সামনে রেখে ঈদের বাজার   যেমন জমে ওঠার কথা তা এবার পরিলক্ষিত হয়নি। রোজা শেষ হতে চললেও মাগুরা শহরের দোকানপাটে বেচা কেনা আশানুরূপ হচ্ছেনা একথা জানান ব্যবসায়ীরা। একেত মানুষের কাছে পয়সার অভাব, অপরদিকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবের ফলে ব্যবসায়ীরা ভাল বেচাকেনা করতে পারছেনা। অপরদিকে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব ক্রয়ের বাজেট করেও   কিনতে  হীমসিম খাচ্ছে। মাগুরা বেবীপ্লাজায় ঈদের কাপড় চোপড় কিনতে আসা রুকসানা পারভিন জানান, পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য ১৫ রমজানের পর থেকে কিছু কাপড় চোপড় কিনে এখন বাকি সদস্যদের জন্য কিনতে বাজেট শেষ। ঈদকে সামনে রেখে   যুবক যুবতীরা রোজার প্রথমদিকে  তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করে। সে সময়   শহরের নুরজাহান প্লাজা, সুপার মার্কেট, বেবি প্লাজা, জামান মার্কেট, মরিয়ম প্লাজা, কাজী টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, খন্দকার প্লাজায় কাপড় বিক্রি হয়েছে।  সকাল ৯ টা থেকে রাত১২ টা পর্যন্ত চচলে বেচা কেনা। তবে দোকানীরা বলেন, ক্রেতার চেয়ে দেখার জন্য ভীড় এবার বেশী ছিল। মাস শেষে বেতন পাওয়ার পর 

বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে ঈদের পোশাক ক্রয়ে মানুষের ভিড় বাড়ছে। দোকানীরাও বলছে বর্তমানে বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে। ঈদে শিশুদের পছন্দের তালিকায় সবার আগে রয়েছে আফগানী সালোয়ার কামিজ।  তাছাড়া দোকানিরা জানান  গাইনি ও বুটিক কাজের কাপড় মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।  শহরের হাজীপুর কমপ্লেক্সের দোয়েল ফেব্রিক্স ও টেইলার্সের মালিক মোঃ আলাউদ্দিন।  বলেন, সামনে ঈদ নিয়ে কয়েকদিন আমরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছি।  তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দেশি থ্রি পিস।  দেশি থ্রি পিসের দাম ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বিদেশী থ্রি পিচ ১০০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে বিতরণ করা হয়। তবে বেচা কেনা কম। বড় বড় দোকানে ভীড় তেমন একটা না থাকলেও শেষ দিকে রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকানে নিম্নবিত্তের মানুষের ভীড় দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশের ছোট দোকানে ছেলে মেয়ের জন্য ঈদের কাপড় কিনতে আসা রিকসা চালক রওশন মিয়া বলেন, তিনটি ছেলে মেয়ে তাদের কাপড় কেনার ইচ্ছা নিয়ে দোকানে এসে কাপড়ের যা দাম তাতে কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি। এক সাথে তিনজনের না কিনলে হবেনা। তাই টাকা জমা করে আবার আসতে হবে। আর নিজেদের কাপড় কেনার কথা গত তিনচার বছর চিন্তাও করিনা। ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাব মাগুরায় ও পরিলক্ষিত হচ্ছে। থ্রীপিস মেয়েরা দেশী কিনছে  এছাড়া ভারতের শাড়ীর প্রতি দুর্বলতা খাকলেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবে ভাটা পড়ছে ভারতীয় শাড়ী বিক্রিতে। মাগুরা শহরের বকশী মার্কেটর মদিনা শাড়ীর দোকানের শাড়ী বিক্রেতা বিপ্লব জানান, এবার ভারতীয় কাপড় ক্রেতারা তেমন একটা চাচ্ছেনা। মানুষের হাতে টাকা কম তাই কেনা কাটায় প্রভাব পড়েছে। এদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসন ঈদের বাজারের শান্তিশৃংখলা রক্ষায় সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাগুরা ঈদের বাজারে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর



সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর