স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করা রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াকের একহাত নিয়েছেন ফ্রান্সের সমর্থকরা। তাদের দাবি, আর্জেন্টিনার প্রথম ও শেষ গোলটি ‘অনৈতিক’। এ নিয়ে তারা অনলাইনে প্রায় ২ লাখ সইয়ের পিটিশনও করেছে।
ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪–২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। যেখানে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৩–৩ গোলে সমতায় ছিল। তবে আর্জেন্টিনার পাওয়া প্রথম পেনাল্টি গোলে পোলিশ রেফারি মার্চিনিয়াকের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
২৩তম মিনিটে লিওনেল মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। যেখানে ওসমান দেম্বেলে দি মারিয়াকে ফাউল করলে রেফারি বাঁশি বাজান। তবে ফরাসি সমর্থকদের দাবি, দেম্বেলে কোনো ফাউল করেননি।
৩৬ মিনিটে দি মারিয়ার দ্বিতীয় গোলের আগে ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন, রেফারি তা দেখেননি-এ নিয়েও যুক্তিতর্ক হয়েছে।
এ ছাড়া ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলের সমতা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে যাওয়া ম্যাচে গোল করে দলকে লিড এনে দেন মেসি। ওই সময় মাঠে আর্জেন্টিনার অতিরিক্ত দুজন ফুটবলার ছিল। যেখানে মেসি শট নিয়ে গোল করার আগে বাইরে যেতে পারেননি তারা।
তবে এবার এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াক। জানিয়েছেন, এমবাপ্পে যখন দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিল তখন ফ্রান্সের অতিরিক্ত সাত ফুটবলার মাঠে ছিলেন।
এ সময় নিজের মুঠোফোনে ম্যাচের একটি ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলব ফরাসি সংবাদমাধ্যমটি বোকার মতো কাজ করেছে। কিছু জিনিস তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের গোলের সময় ওদের সাতজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল।’