Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কানাডার খুনিদের আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কানাডা খুনিদের আড্ডাখানা বা আশ্রয়স্থল হতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, খুনিরা কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন ও সুন্দর জীবনযাপন করেন। একদিকে খুনিরা কানাডায় নিরাপদে রয়েছে, অন্যদিকে নিহতের পরিবারের লোকজন কষ্টে দিনযাপন করছে।

খালিস্তানপন্থী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত ও কানাডার চলমান উত্তেজনার মধ্যেই কানাডার প্রত্যর্পণ নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ। বারবার আবেদন জানানোর পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে প্রত্যর্পণ করতে কানাডা অস্বীকৃতি জানানোয় এমন অভিযোগ উঠেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যপর্ণ বিষয়ে কানাডার অবস্থান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এক ধরনের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কানাডার অবস্থান অপরাধীদের জন্য একটি প্রতিরক্ষা কবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাদের (কানাডার) একটি আইন রয়েছে। সেটি হলো, যদি কোনো ব্যক্তি তার নিজ দেশে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিপ্রাপ্ত হন, তাহলে কানাডার আইন অনুসারে, তারা সেই ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে পারে না আমরা কানাডা সরকারের কাছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি। দুর্ভাগ্যবশত, কানাডা আমাদের কথা শুনছে না, বরং বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে আসছে।

আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন ও সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে নূর চৌধুরী যদি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তাহলে তিনি ও রশিদ চৌধুরী- উভয়েই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতে পারেন। এটা প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার।

অনেক সময় অনেকেই মানবাধিকারের যে ধারণা রয়েছে, তার অপব্যবহার করছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক কারণ এটি অনেক সময় কিছু লোকের জন্য খুনি ও সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার অজুহাত হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, আমি  আশাবাদী  এবং আমি বিশ্বাস করি যে একদিন কানাডিয়ান সরকার এই অনিয়ম পরিবর্তন করবে কারণ কানাডা এখন খুনিদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। আমি জানি, কেউ খুনি হলে তারা নানা ধরনের মিথ্যা ছলনা করে কানাডায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে ও এই প্রক্রিয়ায় কানাডা খুনিদের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। কানাডা একটি সুন্দর দেশ। তবে এই বিশেষ আইন কানাডার সুনামকে প্রভাবিত করছে। কানাডার খুনিদের আশ্রয় দেয়া উচিত নয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে খুন হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বাকি আছেন আরও পাঁচজন। তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।

এরমধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। অন্যদিকে আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন কোথায় আছেন সেই খোঁজ এখন পর্যন্ত পায়নি সরকার।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।


আরও খবর



"বিএনপি নির্বাচনে এলে ভোটের সময় বাড়ানোর চিন্তা করবে ইসি"

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে তাদের সুযোগ তৈরি করে দেবে কমিশন। এমনকি নির্বাচনের সময় বাড়ানোরও চিন্তা করবে ইসি।

সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

এ সময় ইসি রাশেদা বলেন, আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচন কমিশন কঠোর থাকবে। ইসির সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি নিশ্চিত করা।

এর আগে ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাতিল হলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও আপিল নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণার জন্য ২২ দিন সময় রয়েছে। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।

বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




রূপগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে গৃহবধূর পলায়ন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকায় পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে ১৩ মাসের শিশু সন্তানকে রেখে পালিয়ে গেছে এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী রুবেল।মামলার বাদি রুবেল ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী এলাকার বাসিন্দা মোতালিব মিয়ার ছেলে রুবেলের সঙ্গে নীলফামারীর উত্তর হারুয়া পঞ্চপুকুরপাড় এলাকার আলী হোসেনের মেয়ে জিয়াসমিন বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ ছিল। একপর্যায়ে ব্যবসার সুবাদে মেসার্স রুবেল এন্টারপ্রাইজ এন্ড ট্রান্সপোর্টের মালিক রুবেল স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করেন। গত ৭ নভেম্বর শিশু সন্তানকে অপর ভাড়াটিয়া মহিলার কাছে রেখে মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে গৃহবধূ জিয়াসমিন পালিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন।

২ ভরি স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরেই পালিয়ে গেছে বলে গৃহবধূর স্বামী রুবেল ও তার পরিবার ধারণা করছেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে রুবেল মিয়া বাদি হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মায়ের জন্য শিশু সন্তান সার্বক্ষণিক কান্নাকাটি করছে। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে গৃহবধূকে খোঁজাখুঁজি করছেন।রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি।তবে ওই গৃহবধূ প্রেমের টানেই ঘরছাড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গৃহবধূ জিয়াসমিনকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে ১৬ হাজার ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারিকে আটক করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দীন, বিপিএম, পিপিএম, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আাটককৃতরা হলেন, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার দাইমুল্যা গ্রামের মৃত শাহজাহান ফকিরের ছেলে মোঃ শাফায়েত ফকির(৩৫) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত ইমদাদুলের ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া (৩০) এদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

অপর দিকে বগুড়া শিবগঞ্জ থানার সিহালী গ্রামের মোঃ দিলবর ফকিরের ছেলে মোঃ বাছেদ ফকির অরফে আঃ বাছেদ (৩২) জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার সমশিরা গ্রামের সুজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (২৮) এদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দীন, বিপিএম, পিপিএম, জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় গোলচত্বর এলাকায় চেকপোষ্টে ডিউটি করাকালে মোঃ শাফায়েত ফকির ও মোঃ জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

অপর দিকে মঙ্গলবার সকালে সয়দাবাদের সদানন্দপুর মিয়াবাড়ী মার্কেটের সামনে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বাছেদ ফকির অরফে আঃ বাছেদ ও মোঃ মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত আসামী মোঃ জুয়েল মিয়া (৩০) এবং মোঃ বাছেদ ফকির অরফে আঃ বাছেদ (৩২) এদের বিরুদ্ধে ১টি করে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।


আরও খবর



কৃষকের জমি নিয়ে অপারেটরদের রাম রাজত্ব অপারেটরের কাছে জিম্মি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:জমি কৃষকের হলেও রাম রাজত্ব করছেন গভীর নলকূপ অপারেটরেরা বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। এরাম রাজত্ব চলে আলু মৌসুমে। সিংহভাগ কৃষকের জমি লীজ দেন অপারেটরেরা। অধিক টাকায় লীজ দিলেও যত সামান্য টাকা কৃষকদের দেয়া হয়। এমন ঘটনা ঘটে রয়েছে রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়েই। বছরের পর বছর ধরে বিএমডিএ ও অপারেটরেরা কৃষকের জমি লীজ নিয়ে রাম রাজত্ব করে আসলেও কোন প্রতিকার নেই। উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে আলু রোপনের কাজ। বহিরাগত আলু চাষীরা প্রজেক্ট করে থাকেন উপজেলায়। তারা কৃষকের কাছ থেকে জমি লীজ না নিয়ে সরাসরি গভীর নলকূপ অপারেটর দের কাছ থেকে লীজ নিয়ে থাকেন। এমনকি কোন প্রান্তিক কৃষক দু চার বিঘা আলু চাষ করতে চাইলেও পারেন না। আবার জমির মালিক হয়েও জানেনা কাকে লীজ দেয়া হয়েছে, কত টাকায় লীজ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গভীর নলকূপে এমন ভয়াবহ চিত্র। ফলে এসব নিয়ে বিএমডিএ ও প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত করলেই অপারেটরদের রাম রাজত্ব ধরা পড়বে বলে মনে করেন কৃষকরা।

জানা গেছে, কয়েক জেলার মধ্যে এউপজেলায় আলু চাষ হয় সব চাইতে বেশি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমি চাষীরা প্রজেক্ট করে থাকেন। এমৌসুমে জমির লীজ বেড়ে প্রকার ভেদে এক বিঘা ২০ হাজার, ১৮ হাজার ও ১৫/১৬ হাজার টাকায় লীজ হয়েছে। উপজেলায় সেচ যন্ত্র বা গভীর নলকূপ রয়েছে বিএমডিএর আওতায় ৫৩৬ টি ও ব্যক্তি মালিকানা ১৬ টি, মোট ৫৫২ টি। উপজেলায় আবাদ যোগ্য জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর। সেচের আওতায় ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমি। অগভীর বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র রয়েছে ৪১১ টি।

সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় আলুর চাষ হয় নিম্মে ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর থেকে উর্ধ্বে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। সিংহভাগ জমিতে বহিরাগতরা প্রজেক্ট হিসেবে চাষ করে থাকেন। এক একটি গভীর নলকূপের আওতায় ২০০ বিঘা থেকে ৩০০ বিঘার প্রজেক্ট করে থাকেন।কৃষকরা জানান,  গভীর নলকূপ হয়েছে কৃষকের জন্য। সেই গভীর নলকূপ নিয়ে রাজনীতির শেষ থাকেনা। অপারেটর হতে নিম্মে ৫০ হাজার টাকা থেকে উর্ধ্বে ৭০/৮০ হাজার টাকা এমনকি স্কীম বড় হলে ১ লাখ টাকা দিয়েও অপারেটর হয়েছে । অপারেটর হওয়ার পর তাদের দাপটের শেষ থাকেনা। যেই গভীর নলকূপ চাষাবাদের জন্য সেই নলকূপ নিয়ে রাহাজানীর শেষ নেই। তবে যে সব গভীর নলকূপ সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হয় সে সবে কিছুটা হলেও সেচ হার কম নেয়। কিন্তু আলুর প্রজেক্ট করতে জমি লীজ দেয় অপারেটর। তারা প্রজেক্ট করা ব্যক্তির সাথে কৃষকের নামে লীজ নামা তৈরি করলেও কৃষকরা কিছুই জানেনা।চলতি মৌসুমে আলুর জমি লীজ হয়েছে নিম্মে ১৬ হাজার টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ২০/২২ হাজার টাকা করে। অথচ কৃষক রা এসব নিয়ে কোন কথা বললেই সে আর চাষাবাদ করতে পারবে না।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকের সাথে কথা বলা হলে নাম প্রকাশ না করে অনেকে বলেন, একটি গভীর নলকূপে ২০০ বিঘা কিংবা ১০০ বিঘা জমিতে আলুর প্রজেক্ট করা হলে এবং প্রতি বিঘায় যদি ১৮ হাজার টাকা করে লীজ হয়, আর কৃষককে যদি ১২ হাজার টাকা দেয়া হয়। তাহলে প্রতি বিঘায় ৬ হাজার টাকা করে অপারেটরের পকেটে ঢুকছে। তাহলে ১০০ বিঘার বিপরীতে ৬ লাখ টাকা অপারেটরের পকেটে যাচ্ছে। অবশ্য যে গভীর নলকূপে ২০০ বিঘা কিংবা তার বেশি জমি থাকে ওই সবে বেশি পরিমাণ প্রজেক্ট হয়। প্রতি আলু মৌসুমে ১০০ বিঘার বিপরীতে যদি ৬ লাখ টাকা আসে তাহলে কেন লাখ টাকা খরচ করে অপারেটর হবে না। দীর্ঘ দিন ধরে বিএমডিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সবাই সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত করার নির্দেশনা দিলেও উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী একেবারেই নিরব। 

বিএমডিএর বেশকিছু কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান, এতদিন সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম থাকলে প্রায় গভীর নলকূপ গুলো সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হত। তিনি সমিতি করার জন্য কঠোর ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ার পর থেকে সবকিছু থমকে গেছে। গভীর নলকূপ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের। বরং কোন কৃষক তার সাথে কথা বলতে এলেও খারাপ আচরণ করে থাকেন। যেখানে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ সমিতির মাধ্যমে সেচ পরিচালনার জন্য নির্দেশ দিলেও বর্তমান সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান কর্নপাত করেন না। তিনি নিজের খেয়াল খুশিমত সবকিছু করে থাকেন। 

এসব নিয়ে সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সাথে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, জমি লীজ কিভাবে হবে এসব আমার দেখার বিষয় না।তারপরও কোন কৃষক লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



স্টপেজে বাস ও যাত্রীদের ছবি তুলে রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ প্রতিরোধে স্টপেজে বাস ও যাত্রীদের ছবি তুলে রাখাসহ মালিক শ্রমিকদের ১০ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা মালিক শ্রমিকদের বলেছি তারা যেন যাত্রীদের ছবি তুলে রাখে। এছাড়া আমরা আরও বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছি।

ডিএমপির নির্দেশনাগুলো হলো:

১। স্টপেজগুলোতে বাসের ও যাত্রীদের ছবি তুলে রাখতে হবে।

২। স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করানো যাবে না।

৩। বাসে থাকা যাত্রীদের বাসের সহকারী সচেতন করবে।

৪। রাতে বিচ্ছিন্নভাবে বাস পার্কিং না করে কোনো উন্মুক্ত স্থানে একত্রে একাধিক বাস রেখে নিজস্ব প্রহরার মাধ্যমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫। চালক ও সহকারী কখনই একই সঙ্গে গাড়ি রেখে খেতে বা বিশ্রামে যাবে না।

৬। ইতোমধ্যে নাশকতাকারীর তথ্য প্রদানকারীর জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

৭। সহকারী ছাড়া চালককে একা গাড়ি চালাতে দেওয়া যাবে না।

৮। রাতে গাড়ির মধ্যে ঘুমানো যাবে না, অন্তত একজনের মাধ্যমে হলেও প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে।

৯। বাসের দুটো দরজা থাকলে পেছনের দরজা অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে এবং মালিক পক্ষ থেকে চালক ও সহকারীদের অবশ্যই নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।

১০। এছাড়া যাত্রীদের জন্য সতর্কতামূলক স্টিকার বাসে লাগিয়ে দিতে হবে।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩