সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি বাসা বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছে। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় বাসা বাড়িতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় শফিক খানের বাসা বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার রাস্তার দুই পাশে সারি সারি লম্বা আকৃতির টিনসেড বাড়ি।
সেখানে ছোট ছোট ঘরে আলাদা আলাদা পরিবার বসবাস করেন। তাদের একেকজনের একেক পেশার লোকজন।সেখানকার একটি ঘরের ভাড়াটে শফিক খান নামে একজন বিকেলে রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। এরপর সেটি সংযোগ দেওয়ার সময় সেখান থেকে লিক হয়ে প্রচুর গ্যাস বের হতে থাকে। এটা দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডারটি ঘরের সামনে রাস্তায় ফেলে দেন। আর পাশেই মাটির চুলায় রান্না করছিলেন আরেক পরিবার। তখন সেখান থেকে আগুনের সংস্পর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা শিশু, নারীসহ ৩০-৩৫ জন মানুষ দগ্ধ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালেকে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি পাঠানো হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এদের মধ্যে মাইদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কুটি, আরিফুল, ইয়াসিন, সোলেমান, আকাশ, নূর নবী, নিরব, জহিরুল ইসলাম, ফারহানা আক্তার, নারগিস আক্তার, শাপলা বেগম, সুমন মিয়া, মোছাম্মৎ শিল্পী, নাঈম, মাহবুব, মশিউর, মোতালেব মিয়ার নাম জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাকী দগ্ধদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ইফতারের আগে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগ দেওয়ার সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সিলিন্ডারে আগুন ধরে সেটি রাস্তায় ফেললে সেখানে থাকা লোকজনও দগ্ধ হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ওই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ৩০-৩৫ জনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) সাইফুল আলম জানান, দগ্ধদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিস্ফোরণে দগ্ধরা ঢাকা বান ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। তবে ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ক্ষতি পুরণের ব্যবস্থা করা হবে।