সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডে শিশু ও নারীসহ ৩৬ জন দগ্ধের পর টনক নড়েছে ফায়ার সার্ভিসের। এ ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ওই ক্ষতিগ্রস্থ মহল্লায় প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বাপণ প্রশিক্ষণ দিয়েছে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যা পৌণে ৬টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় শফিক খানের বাসা বাড়িতে ভয়াবহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আগুনে দগ্ধ হন শিশু, নারীসহ ৩৬ জন। এদের মধ্যে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ৩৪ জন ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজন আইসিওতে ভর্তি আছেন। এ ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর টনক নড়েছে প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ মহল্লায় প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বাপণ প্রশিক্ষণ দিয়েছে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস। কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর ইফতেখার রায়হান চৌধুরীর নেতৃত্বে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এসময় শতাধিক ব্যক্তিকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। ওই প্রশিক্ষণ দেখে দেখে আরো শত শত মানুষ শিখেছে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, ওই প্রশিক্ষণের পর এমন দুর্ঘটনা আর ঘটবে না। ওই প্রশিক্ষণে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস, কালিয়াকৈর থানা ও জেলা পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর ইফতেখার রায়হান চৌধুরী জানান, ওই মহল্লাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে যারা থাকেন, তাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে অভিজ্ঞতা কম। যার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। সে জন্য এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, ওই এলাকার মানুষ গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে অভিজ্ঞতা কম। এ জন্য ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ওই এলাকায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।এতে প্রশিক্ষণার্থী নিজে ও পরিবারও সচেতন হবে। ফলে এ ধরণের দুর্ঘটনা আর পূণরাবৃত্তি হবে না বলেও মনে করছেন এই কর্মকর্তা। এছাড়াও গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলারশিপের বৈধতা আছে কিনা? উায়ার সার্ভিসকে সেটাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।