Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

কাজকর্মে উৎসাহ পাবেন ধনু , ভ্রমণের সুযোগ মিথুনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

জ্যেষ্ঠ ভাইবোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা পেতে পারেন। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। আর্থিক দিক ভালো যাবে। উপার্জন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা জোরদার করুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে)

কর্ম পরিবেশ অনুকূল থাকবে। কর্মস্থলে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারবেন। সামাজিক অবস্থান  দৃঢ় হতে পারে। পাবলিক ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। পিতার শারীরিক অবস্থা ভালো থাকতে পারে।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন)

উচ্চ শিক্ষার্থীদের জন্য সময় অনুকূল থাকতে পারে। পরীক্ষায় আশানুরূপ সাফল্য পেতে পারেন। মন ভালো থাকবে। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই)

অতীন্দ্রিয় শাস্ত্রাদির প্রতি আগ্রহ বোধ করতে পারেন। ব্যবসায়িক দিক ভালো যাবে না। বিক্রয়-বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে। সামাজিক সংকট এড়িয়ে চলুন। অন্যথায় বদনাম হতে পারে।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট)

কোনো কনিষ্ঠ বন্ধুর সহযোগিতা পেতে পারেন। অপরের প্রতি সদাচরণ করুন। ব্যবসায়িক দিক ভালো যাবে। যৌথ অংশীদারী ব্যবসায় সুফল পাবেন। নতুন বিনিয়োগ ফলপ্রসূ হতে পারে।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

শত্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। শত্রুদের দুর্বল ভাবা ঠিক হবে না। সীমা লংঘন করা ঠিক হবে না। ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মস্থলে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন। পরীক্ষায় আশানুরূপ সাফল্য পেতে পারেন। কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। মন ভালো থাকবে। সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

যানবাহনে ওঠা-নামায় সাবধানতা অবলম্বন করুন। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে পারেন। মাতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে। আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। উত্তেজনা পরিহার করুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগে সুফল পাবেন। ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা পেতে পারেন। কাজকর্মে উৎসাহ বোধ করতে পারেন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

আর্থিক দিক ভালো যাবে। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিন। পড়াশোনায় আনন্দ পাবেন। মূল্যবোধ বজায় রাখুন। কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হতে পারে।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

আত্মপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা জোরদার করুন। সেক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন। ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন। শরীর ভালো থাকতে পারে। ব্যবসায়ীদের জন্য সময় অনুকূল থাকবে ।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

গোপান শত্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। গোপন শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। শরীর অসুস্থ হতে পারে। অবহেলা না করে চিকিৎসা নিন। আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।


আরও খবর



বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না: জি এম কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর সকল ধর্মই শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণের কথা বলেছে। প্রতিটি ধর্মই মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ণের কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐতিহ্য লালন করছে। সকল ধর্মের মানুষ যেন আত্মীয়তার বন্ধনে বাধা। দেশের মানুষের রক্তের মধ্যেই আছে ধর্মনিরপেক্ষতা। অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাদের শেখাতে হয় না।

আজ শনিবার দুপুরে দয়াগঞ্জের জাতীয় শিব মন্দির চত্বরে স্বামী শ্রী অধোক্ষানন্দ দেবতীর্থ মহারাজের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভারত হচ্ছে আমাদের সব চেয়ে কাছের এবং বড় প্রতিবেশী। ভারতের জনগণ সবসময় আমাদের পাশে ছিল। শুধু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল প্রয়োজনেই ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের পাশে ছিল। আমাদের সংস্কৃতি, চেহারা ও ইতিহাসে মিল আছে। বর্তমানে ভারত শুধু সামরিক শক্তি নয়, অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে। বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের সাথে আমরাও উপকৃত হচ্ছি। ব্যবসা, চিকিৎসা এবং শিক্ষার জন্যও ভারত আমাদের কাছে দরকারি। আমাদের স্বার্থেই ভারতের সাথে সুস্পর্ক রাখা জরুরি।

জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতিবেশী সকল দেশের সাথেই জাতীয় পার্টি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে। ভারতের সাথে আমাদের যেমন সম্পর্ক রাখা দরকার, তেমনি আমাদের সাথেও ভারতের সম্পর্ক রাখা জরুরি। ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশের সাথে ভারতে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। কারণ, ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে বাংলাদেশকে যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে। ভারতে ন্যায্য দাবি হচ্ছে, বাংলাদেশকে ব্যবহার করে কেউ যেন ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে। পরস্পরের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত শক্তিশালী সম্পর্ক। তাই বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। এমন সম্পর্কে পরস্পর এক সাথে এগিয়ে চলা সহজ হয়। ভারতের প্রয়োজনে আমরা সহায়তা দেব, আবার আমাদের প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করবে—এটাই দুটি দেশের মানুষের প্রত্যাশা। এ কারণেই ভারতে যে সরকারই আসে তারাই বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরস্পরের ভাই হিসেবে থাকব, একে অন্যের বিপদে পাশে থাকব। বাংলাদেশ ও ভারত একইসাথে সার্বিক উন্নয়ণের পথে এগিয়ে যাবে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ভারতের ত্রিপুরা বিধান সভার ডেপুটি স্পিকার শ্রী রাম প্রসাদ পাল, সত্যম রায় চৌধুরী, এসকে বাদল ও তরুন চক্রবর্তী।

অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধণা সাভা পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু ও যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব।


আরও খবর



কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন দিনের সফরে আগামী ২৩ মে কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে দোহায় হতে যাওয়া ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম : অ্যা নিউ গ্লোবাল গ্রোর্থ স্টোরি’ শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।

আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান।

মুখপাত্র জানান, আগামী ২৩-২৫ মে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম : অ্যা নিউ গ্লোবাল গ্রোর্থ স্টোরি’ শীর্ষক ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে।

সেহেলী সাবরীন বলেন, ব্লুমবার্গের সহায়তায় আয়োজিত এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরাসহ প্রযুক্তি, অর্থ ও ব্যবসা খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং তা থেকে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।


আরও খবর



তানোরে চোরাই মহিষসহ আটক চোর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে চোরাই মহিষসহ চোর  আটক করেছে থানা পুলিশ। গত শুক্রবার সকালের দিকে তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোদাগাড়ী উপজেলার দিঘা গ্রামে ঘটে মহিষ চুরির ঘটনাটি।  পর দিন  শনিবার সকালের দিকে মুন্ডুমালা পৌর এলাকার সাতপুকুরিয়া ব্রীজ মোড়ে চোর মুক্তারকে গ্রেফতার করেন গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার সাতপুকুরিয়া ব্রীজ পাড়া মোড়ে ঘটে এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। এঘটনায় গোদাগাড়ী থানায় মহিষের মালিক আনিসুল হক বাদি হয়ে চোর মুক্তার ওরফে জাহাঙ্গীর কে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।  এঘটনায় গ্রামবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে প্রকৃত চোর আটকের খবরে কিছুটা হলেও গ্রামে স্বস্তির নি:শ্বাস পড়েছে।

গ্রামবাসীরা জানান, গত শুক্রবার গোদাগাড়ী উপজেলার দিঘাগ্রামের আনিসুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মহিষ চুরি করে একই গ্রামের মুক্তার ওরফে জাহাঙ্গীর।  সে মহিষ টি পায়ে হেটে কৃঞ্চপুর গ্রামে নিয়ে আসছিলেন। পথে সাতপুকুরিয়া গ্রামের ব্রীজ মোড়ে মহিষ দেখে কয়েকজন কিনতে চায়। এসময় গ্রামের অনেক লোকজন জড়ো হয়। এক পর্যায়ে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকায় মহিষটি কিনেন সাতপুকুরিয়াগ্রামের মোজাম্মেল হক। সে আফজালের পুত্র। 

এদিকে মহিষের প্রকৃত মালিক দিঘা গ্রামের আনিসুলসহ লোকজন খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সাতপুকুরিয়া মোড়ে এসে মহিষের খোঁজ করলে ক্রেতা মোজাম্মেলসহ গ্রামের লোকজন জানান সকালে মহিষ টি কিনা হয়েছে। তখন মহিষ দেখে মালিক আনিসুল বলেন এটাই আমার চুরি হওয়া মহিষ। সাথে সাথে গোদাগাড়ী থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে থানা পুলিশ তদন্ত করে মহিষটি প্রকৃত মালিক কে বুঝিয়ে দিয়ে ক্রেতা মোজাম্মেলকে থানায় নিয়ে যান। 

গ্রামের একাধিক প্রবীন ব্যক্তিরা জানান, মহিষটি সকলের সামনে দরদাম করে কিনেছে মোজাম্মেল। কিনার পর বিকেলের দিকে জানা যায় এটা চোরাই মহিষ। কেনার জন্য মোজাম্মেলকে থানায় নিয়ে যায়। আমরা গ্রামের প্রায় শতাধিক লোক চোর মুক্তার ওরফে জাহাঙ্গীরের খোঁজ পায়, সে পাঁচন্দর ইউপির কৃঞ্চপুর গ্রামের ওয়াজেদের বাড়িতে বিগত ২-৩ বছর ধরে আছেন। আমরা ভোরে তার বাড়ির আশপাশে অবস্থান করি। সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই তাকে ধরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান ।

তারা আরো জানান, মোজাম্মেল ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে মহিষ কিনে অপরাধী কেন হবে। সে তো জনতার সামনে মহিষটি কিনেছে। এজন্য গ্রামের বড় ছোট পুরুষ মহিলারা চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মহিষটি কিনার সময় চোর মুক্তারের মোবাইলে ছবি তুলে রাখে। এজন্য চোরকে সহজে ধরতে পারা গেছে।

কৃঞ্চপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে কয়েকবার পুলিশ অভিযান দেয়। চোর মুক্তার কৃঞ্চপুরগ্রামের উত্তরপাড়ায় ওয়াজেদের বাড়িতে থাকে। সে ছাগলেরও ব্যবসা করত এবং গরু মহিষও কেনাবেচা করেন। সে দীর্ঘ দিনের চোর, তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার এসআই সাহেদ আলী বলেন, সাতপুকুরিয়া মোড় থেকে চোরকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর ২৯, তারিখ ১২/০৫/২০২৩।  যেহেতু ক্রেতা মোজাম্মেল হকের কোন সম্পৃক্তা নাই, এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। চোরকে রিমান্ডে নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সে সবকিছু শিকার করেছেন। এজন্য রিমান্ডের প্রয়োজন নেই।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে কাগজে-কলমে পাঠাগার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image
জসীমউদ্দীন ইতি  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:দেখে বাড়ির বেলকুনি মনে হলেও এটি একটি সরকারি নিবন্ধিত পাঠাগার। আশেপাশে নেই কোন সাইনবোর্ড কিংবা আলাদাভাবে চেনার উপায়। কাছে গিয়ে দেখা মিলে- বেলকুনির চারপাশে শুকাতে দেওয়া আছে ভেজা কাপড়। তার পাশে অনুদান পাওয়া দুটি বুকসেলফে কিছু বই, দুটি চেয়ার, একটি টেবিল। এ ছাড়া আর পাঠাগারের কোন অস্তিত্ব নেই৷ 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের পূর্ব নারগুনে একটি বাড়ির বেলকুনিতে অবস্থিত গ্রামীণ পাঠাগারটি। অনুমোদনের নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য সাত বছর বয়স হওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে গড়ে দুই শতাধিক পাঠক হওয়ার কথা থাকলেও পাঠাগারটির নাম জানেন না এলাকাবাসী। এমনকি পাঠাগারের পরিচালকেরাও নাম বলতে হোচট খেয়েছেন কয়েক দফায়। অথচ নামে মাত্র এসব পাঠাগারগুলো কাগজে কলমে সচল পাঠাগার দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি তহবিল থেকে লাখ লাখ টাকা।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় নিবন্ধিত পাঠাগারের সংখ্যা ১২ টি৷ যার মধ্যে অধিকাংশ পাঠাগার এখন শুধু নাম সর্বস্ব। কারো ঘরের বেলকুনি, কারো বেড রুম কিংবা কারো নেই কোন অস্তিত্ব। তবে নামে মাত্র হয়েও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪ টি পাঠাগার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ টি পাঠাগার অনুদান পেয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ টি পাঠাগার পাচ্ছেন পাঁচ লাখ সাতান্ন হাজার টাকা অনুদান৷ তার মধ্যে ২ টি 'গ' শ্রেণির পাঠাগার পাচ্ছেন ৫৫,০০০ টাকা করে, আর "খ" শ্রেণির ৬ টি পাঠাগার পাচ্ছেন ৪৭,৫০০ টাকা। 
অনুদানের সব টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন কাগজে কলমে থাকা পাঠাগারের সভাপতি ও সম্পাদক। নিয়ম মেনে তদারকি করে অনুদান প্রদানের সাথে অর্থ আত্মসাৎ কারীদের বিচারের দাবি জানান সচেতন মহল। 

স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কখনো গ্রামীণ পাঠাগার নামে কোন পাঠাগারের নাম শোনেননি৷ তাদের এলাকায় পাঠাগার হলে তারা সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারতেন৷ 

গ্রামীণ পাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, কাগজে কলমে আমাদের পাঠাগারটি ২০১৬ সালে দেখানো হয়েছে৷ আমরা সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাই৷ বিগত দুই অর্থ বছরে আমরা সরকারি অনুদান পেয়েছি৷ এবারেও আমরা সরকারি অনুদান পাব৷ বর্তমানে তেমন কোন কার্যক্রম নেই। আমরা সামনে একটি ঘর তৈরি করে পাঠাগারটি চালু করব। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৬ নং নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নে গ্রামীণ পাঠাগার রয়েছে এটি আজ জানতে পারলাম। কখনো এর কোন কার্যক্রম আমার চোখে পড়েনি। যারা পাঠাগারের নামে টাকা আত্মসাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। 

অফিসে কর্মকর্তা সংকট হওয়ায় এমন অবস্থা জানিয়ে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আম্বিয়া বেগম বলেন, পাঠাগারগুলোতে দুবছর আগে পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল। পরে আর যাওয়া হয়ে উঠে না। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা সরকারি অনুদান পেয়ে থাকেন৷ পরবর্তীতে আমরা তদারকি বাড়াব। 

নামে সর্বস্ব পাঠাগারগুলো আর অনুদান পাবে না বলে সাফ জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, পাঠাগার সমাজের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। একটি সমাজকে জ্ঞান ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে। তবে পাঠাগারের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নেন তাদের সে সুযোগ আর দেওয়া হবে না। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনি কাজ শুরু করব। কার্যক্রমহীন পাঠাগারগুলো আর কোন ধরনের সরকারি অনুদান পাবেন না। 

আরও খবর



ডিএনসিসির সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে: মেয়র আতিকুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মেয়র আনিসুল হক সড়কে ডিএনসিসি এলাকায় ২ লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই মেয়র আতিকুল ইসলাম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ আখতার হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।

উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে। কোনো জায়গা খালি রাখতে চাই না। ফুটপাতে ছাতিম, বকুল, কাঠবাদাম, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, সড়কের মিডিয়ানে কাঁটা মেহেদী, রঙ্গন, করবী ও বাগান বিলাস, বামন জারুল, রসকাউ লাগানো হবে। আর আমাদের খালের পাশে বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ, আম, জাম, কাঁঠাল ও ওষুধি গাছ লাগাব।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরে কোনোপাখি নাই। আমরা বন বিভাগের সাথে আলাপ আলোচনা করে রসকাউ লাগাচ্ছি। রসকাউ ফলটা পাখিদের খুবই প্রিয়। ক্লিনিং, গ্রিনিং ও ফিডিং এই তিনটিকে বিবেচনায় নিয়ে গাছ লাগানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সবুজে বাস, বারো মাস এই স্লোগানের মাধ্যমে আমারা আজকে বৃক্ষরোপণ শুরু করলাম। আমি নগরবাসীকে আহ্বান করছি যার যার বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাবেন। আমি রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- ‘‘প্রতিটি বাড়িতে এক কাঠায় অন্তত একটি গাছ’’ এটি যেন রাজউক অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাছ লাগানো অনেক সহজ কিন্তু গাছ বাঁচানো অনেক কঠিন। গাছকে লালন-পালন করা অনেক কঠিন। তাই গাছকে আমরা লালনের জন্য এই প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১০০ জন মালি নিয়োগ দিবে। একেক জন মালিকে ১ কিলোমিটারের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এক কিলোমিটারের মধ্যে যত গাছ আছে সেসব গাছের রিপোর্ট তারা আমাদেরকে দেবেন। আমরা একটি জিআইএস ম্যাপ তৈরি করেছি। যেটির মাধ্যমে জায়গা নির্বাচন, গাছ মনিটরিং এগুলো করা হবে।

মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিজেদের ইচ্ছা মতো কোন গাছ লাগাচ্ছে না। প্রত্যেকটি গাছ বন বিভাগ, পরিবেশবাদী ও নগর পরিকল্পনাবিদের পরামর্শ নিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা যে গাছগুলো লাগাচ্ছি সেই গাছগুলোর মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমে যাবে, এক্সট্রিম হিট কমবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ঢাকা সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক আর এস এম মনিরুল ইসলাম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান প্রমুখ।


আরও খবর