Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাফরুল থানা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : কাফরুল থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাফরুল থানাধীন মিরপুর ১৩তে  ৪ নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাফরুল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার (পল্লবী জোন) ডিবি মিরপুর মো: রাশেদ হাসান।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে কাজ করতে হবে। আপনারা যারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন তারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। আপনাদের কাজ শুধু তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। বাকি কাজ পুলিশ প্রশাসন করবে। আর পুলিশের পাশাপাশি আমাদের যারা ডিবি রয়েছেন তারাও কাজ করবে। কিশোর গ্যাং রোধে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান কোথায় যায় সেটি আপনাকে নজর রাখতে হবে। আপনার পাশে যেই ছেলেটি খারাপ আছে তার তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনার ছেলে ভালো কিন্তু যেই ছেলেটা খারাপ সেই ছেলে কিন্তু আপনি ছেলেকেও খারাপ বানিয়ে ফেলবে। তাই আপনার ছেলে হোক বা পরের ছেলে হোক খারাপ হলে  তার ব্যাপারে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। 

এ সময় বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসি ট্রাফিক পল্লবী (জোন) তানিয়া সুলতানা, এসি পেট্রোল (পল্লবী জোন) মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি  গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু,  কাফরুল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)   মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস আই বাদশা। 

অনুষ্ঠান শেষে সভাপতির বক্তব্যে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুকুল আলম বলেন, আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করুন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। পুলিশের একার পক্ষে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না। সকল সমস্যার সমাধান করতে হলে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর আপনারা যারা হুজুর রয়েছেন তারা প্রত্যেক জুমার দিন সকল মসজিদে এসকল কথা বলবেন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



এলপিজি ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সতর্কবার্তা জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়,বাসাবাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রতি ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বার্তায় মন্ত্রণালয় জানায়, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রান্তিক ব্যবহারকারী অগ্নিদুর্ঘটনা ও গ্যাস বিস্ফোরণের সম্মুখীন হচ্ছেন।

এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রান্না শেষে রেগুলেটরের সুইচ অন থাকলে গ্যাস লিক হয়ে ঘরে জমা হতে পারে। এলপি গ্যাস বাতাস থেকে ভারী বলে কোনো লিক বা সংযোগের ত্রুটির কারণে নিঃসৃত গ্যাস ঘরের মেঝেতে জমা হয়। এ অবস্থায় গ্যাসপূর্ণ ঘরে আগুন জ্বালালে বা স্পার্ক করলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সিলিন্ডার আগুনে বা অন্যভাবে গরম হলে তরল এলপিজি দ্রুত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধির ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে পারে। সিলিন্ডার কাত করে রাখলে বা চুলার উপরে রাখলে রান্নাঘরে অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

এমতাবস্থায়, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণকে নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে-

১. রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করুন। সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার/আগুনের পাশে রাখবেন না।

২. চুলা থেকে যথেষ্ট দূরে বায়ু চলাচল করে এমন স্থানে এলপিজি সিলিন্ডার রাখুন।

৩. এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখুন, কখনই উপুড় বা কাত করে রাখবেন না।

৪. চুলা সিলিন্ডার থেকে নিচুতে রাখবেন না, কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি উপরে রাখুন।

৫. গ্যাসের গন্ধ পেলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন।

৬. অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য এলপিজি সিলিন্ডারে তাপ দেবেন না।

৭. রান্নাঘরে স্থাপিত আবদ্ধ কোনো ক্যাবিনেটে এলপিজি সিলিন্ডার রাখবেন না।

৮. রান্না শুরু করার ৩০ মিনিট আগে রান্নাঘরের দরজা জানালা খুলে দিন।

৯. সিলিন্ডারের ভান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেগুলেটর ব্যবহার করুন।

১০. ত্রুটিপূর্ণ ক্লিপ, হোসপাইপ পরিবর্তন করুন।


আরও খবর



ফুলবাড়ী উপজেলার সমশের নগরে বালু তোলায় বাঁধা দেওয়ায় কৃষককে মারপিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বুজরুক শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী সংলগ্ন কৃষক আজিজুল ইসলাম (৪০) এর জমির ধার থেকে বালু উত্তোলন কারীদেরকে বাঁধা দিতে গেলে সমশের নগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন কৃষক আজিজুল ইসলামকে বেদম মারপিট করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির বুজরুক শমসের নগর গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আজিজুল ইসলাম (৪০) এর গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবনগর ইউপির শমসেরনগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন (৩৫), মোঃ ফয়জুল ইসলাম (৩৯), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৭), তারা গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে সকাল ৯ ঘটিকার সময় শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। নদীর পাড় সংলগ্ন মোঃ আজিজুল ইসলামের আবাদি জমি রয়েছে, সেই জমি বালু তোলার কারণে ভেঙ্গে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে আবাদি জমি পর্যায়ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বালু তোলার কারণে। সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষক মোঃ আজিজুল ইসলাম তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখ্য ব্যক্তিরা আজিজুল ইসলামকে একা পেয়ে বেদম মারপিট করেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানায় ০৩ (তিন) জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছামেদুল ইসলাম (মাস্টার) এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শ্মশান ঘাটের পার্শ্বে ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে সেখানে আমার ট্রলি চলছে। তবে আমার ট্রলির ড্রাইভার বালু উত্তোলন করছে কিনা বলতে পারব না। সরকারি কাজে বালুর প্রয়োজন হওয়ায় সেখান থেকে প্রশাসনকে বলে কিছু বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কৃষক আজিজুল ইসলামকে কারা মারপিট করেছে আমি বলতে পারব না। এদিকে কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শ্মশান ঘাটি যমুনা নদী সংলগ্ন পাড়ের ধাঁরে আমার আবাদি জমি রয়েছে। সেই জমি ভেঙ্গে পড়ছে, আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারপিট করে। আমার স্ত্রী ও আমার পিতা সেখানে গেলে তাদেরকেও বালু উত্তোলনকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমি ন্যায় বিচারের আশায় থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।


আরও খবর



ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে,রিয়াজ মাহমুদকে সভাপতি ও সাগর আহম্মেদ শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করে।

শনিবার (৪ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতানা বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট মহানগর বিনির্মাণের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গা কমিটি ঘোষণা করা হলো।

কমিটিতে সহ সভাপতি হয়েছেন ৬৮ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১১ জন।

এছাড়ার প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাকিল আহমেদ রকি, দপ্তর সম্পাদক বিজয় সূত্রধর, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ হাসান সুজন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক আরাফাত হাওলাদার, সমাজসেবা সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান আকাশ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাসিবুল খান আজিম, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহাদ সিকদার সফল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. রুবেল মিয়া, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক মো. সজিব মিয়া, স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তাকদীর হোসেন শান খান।


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।


আরও খবর